মাহে রমযান

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آَمَنُوا كُتِبَ عَلَيْكُمُ الصِّيَامُ كَمَا كُتِبَ عَلَى الَّذِينَ مِنْ قَبْلِكُمْ لَعَلَّكُمْ تَتَّقُونَ

হে যারা ঈমান এনেছ! তোমাদের উপর রোযা বিধিবদ্ধ করা হলো, যেরূপে তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপর বিধিবদ্ধ করা হয়েছিল যেন তোমরা ত্বাকওয়া অবলম্বন করতে পারো।

(আল্‌ বাকারা: ১৮৪)

আল্ হাদীস

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، وَقُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَعَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، جَمِيعًا عَنْ إِسْمَاعِيلَ، – قَالَ ابْنُ أَيُّوبَ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ جَعْفَرٍ، – أَخْبَرَنِي سَعْدُ بْنُ سَعِيدِ بْنِ قَيْسٍ، عَنْ عُمَرَ، بْنِ ثَابِتِ بْنِ الْحَارِثِ الْخَزْرَجِيِّ عَنْ أَبِي أَيُّوبَ الأَنْصَارِيِّ، – رضى الله عنه – أَنَّهُ حَدَّثَهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ مَنْ صَامَ رَمَضَانَ ثُمَّ أَتْبَعَهُ سِتًّا مِنْ شَوَّالٍ كَانَ كَصِيَامِ الدَّهْرِ

আবূ আয়্যুব আনসারী (রা.) থেকে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যাক্তি রমযান মাসের সিয়াম পালন করল, তারপর শাওয়াল মাসে ছয় দিনকে তার অনুগামী করল (অর্থাৎ ৬টি সিয়াম পালন করল), সে যেন সারা বছর রোযা রাখল।

(সহীহ মুসলিম)

অমৃতবাণী

হযরত আকদাস মসীহ্ মওউদ (আ.) বলেন:

“রোযার তাৎপর্য সম্পর্কেও মানুষ অনবহিত। আসল কথা হল, মানুষের যে দেশে যায় নি এবং যে জগতের জ্ঞান রাখে না তার অবস্থা (সে) কীভাবে বর্ণনা করবে? কেবল মানুষের ক্ষুৎপিপাসার্ত থাকার নামই রোযা নয় বরং এর একটি মর্ম এবং এর প্রভাব রয়েছে যা অভিজ্ঞতার মাধ্যমে জানা যায়। মানবস্বভাবে রয়েছে, আহার যত কম করে ততটাই আত্মশুদ্ধি হয় আর দিব্য-দর্শনের শক্তি বৃদ্ধি পায়। এর দ্বারা খোদা তা’লার অভিপ্রায় হল, একটি আহারকে কমিয়ে অন্যটি বৃদ্ধি কর। রোযাদারকে সর্বদা এটি দৃষ্টিপটে রাখতে হবে যে, নিছক অভুক্ত থাকাই এর (রোযা) উদ্দেশ্য নয় বরং তার কর্তব্য হল, সে যেন খোদা তা’লার স্মরণে ব্যাপৃত থাকে যেন তাবাত্তুল আর ইনিকতা’ অর্জিত হয়। অতএব, রোযার অর্থই হল, মানুষ এক আহারকে পরিত্যাগ করে যা দেহের লালন-পালন করে, অন্য আহার গ্রহণ করে যা আত্মিক প্রশান্তি এবং পরিতৃিপ্তর কারণ হয়। আর যারা শুধুমাত্র খোদা তা’লার জন্য রোযা রাখে আর নিছক প্রথাগতভাবে রোযা রাখে না তাদের উচিত তারা যেন আল্লাহ্ তা’লা মহিমা কীর্তন, প্রশংসা এবং তাঁর গুণগানে রত থাকে। যার মাধ্যমে অপর আহারটি তাদের লাভ হবে।”

(মলফূযাত, ৫ম খ-, পৃ: ১০২, ১৭ জানুয়ারি, ১৯০৭)

ইসলামের অন্যতম একটি স্তম্ভ হলো রোযা। বিশ্বের প্রায় সব ধর্মেই কোনো না কোনোভাবে এর চর্চা দেখা যায়। যদিও রোযা রাখার পদ্ধতি ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন শর্তের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধর্মে ব্যাপক পার্থক্য দেখা যায়, তারপরও বলা যায় যে রোযার মূল বিষয়টি সব ধর্মেই এখনো কোন না কোন ভাবে টিকে আছে। যে ধর্মে এর স্পষ্ট উল্ল্যেখ দেখা যায়না সেখানে এর কারণ হতে পারে, সময়ের আবর্তনে ধর্মাবলম্বীদের রোযার বিষয়ে উদাসীনতা যা মানুষ এক পর্যায়ে সম্পূর্ণভাবে পরিত্যাগ করেছে। এ সম্পর্কিত গৌতম বুদ্ধের ঘটনাটি খুব চমৎকার একটি দৃষ্টান্ত। সত্যানুসন্ধান করতে গিয়ে তিনি কঠোর সিয়াম সাধনা করেন; কিন্তু পরবর্তীতে তিনি তা ছেড়ে দেন। কারণ হিসেবে বলা হয়ে থাকে যে, কঠোর সাধনার ফলে তাঁর স্বাস্থ্যের উপর বিরূপ প্রভাব পড়ে। তিনি শুধু স্বাস্থ্যগত কারণে রোযা রাখা বন্ধ করেছেন। কিন্তু কোনোভাবেই এই ধারণায় উপনীত হওয়া যাবে না যে, তিনি রোযা পালনে বিশ্বাসী ছিলেন না। এ কারণেই হয়তো আজো বিভিন্ন স্থানে কিছু বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীকে রোযা রাখতে দেখা যায়। ইসলামী রোযার সঙ্গে এর পার্থক্য থাকলেও তা যে এরই ভিন্ন একটি রূপ বা ধরন তাতে কোন সন্দেহ নেই।

বিস্তারিত পড়ুন

জুমুআর খুতবা


ভিডিও

প্রবন্ধ

রমযানের শেষ দশকের বিশেষ গুরুত্ব

ই’তিকাফ – নিজেকে উৎসর্গ করতে এক নির্জনবাস

রোযার মাসলা মাসায়েল-সংক্রান্ত কিছু প্রশ্ন এবং এর উত্তর

রমযানে তারাবী ও নফল ইবাদত

লাইলাতুল কদরের কল্যাণ থেকে তুমি আমায় বঞ্চিত করো না

রমযানের শেষ দশ রাতের বেজোড় রাতগুলোতে শবে কদরের সন্ধান করো

আল্লাহ্‌ প্রেমিকদের আধ্যাত্মিক বাগান ফুলে ফলে সুশোভিত হয়ে উঠে রমযানে

জান্নাতি বাতাস বইয়ে যাক সারা বছর

ঈদ মুসলিম উম্মাহকে আনুগত্যের শিক্ষা দেয়

রমযানের শেষ দশকের বিশেষ গুরুত্ব

পাপ হতে মুক্তি আর পুণ্যের পানে এগিয়ে যাওয়ার মাস রমযান

নাজাতের দশক ও ইতিকাফ

ইতিকাফ সম্পর্কিত ইসলামী শিক্ষা

রমযান আধ্যাত্মিক জগতের বসন্ত

রমযান মাসের ফযিলত ও বরকত

রোযা খোদা তা’লার জন্যই আর তিনিই এর প্রতিদান

কেবল অভুক্ত এবং পিপাসার্ত থাকাই রোযার উদ্দেশ্য নয়

পবিত্র রমযান থেকে লাভবান হই

ই’তিকাফ

রমযান

সফরে এবং অসুস্থতায় রোযা পালন সম্পর্কিত নির্দেশনা

রমযান কি?

রোযা

রোযার মাহাত্ম্য এবং গুরুত্ব

প্রসঙ্গ: রোযা

পুস্তক