প্রেস বিজ্ঞপ্তি
০৪-ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আহমদীয়া মুসলিম জামা’তের বিশ্ব-প্রধানের সাথে ভার্চুয়াল সাক্ষাতের সৌভাগ্য লাভ করলো নরওয়ের আনসারুল্লাহ্ সদস্যবৃন্দ


২৯ জানুয়ারি ২০২৩, মজলিস আনসারুল্লাহ্ (চল্লিশোর্ধ্ব আহমদীয়া মুসলিম পুরুষদের অঙ্গ-সংগঠন) নরওয়ের সদস্যবৃন্দের সাথে আহমদীয়া মুসলিম জামা’তের বিশ্ব-প্রধান ও পঞ্চম খলীফাতুল মসীহ্ হযরত মির্যা মসরূর আহমদ (আই.) এক ভার্চুয়াল অনলাইন সভায় মিলিত হন।
হুযূর আকদাস টিলফোর্ডের ইসলামাবাদে এমটিএ ইন্টারন্যাশনাল স্টুডিও থেকে এ সভার সভাপতিত্ব করেন, আর আনসারুল্লাহ্ সদস্যবৃন্দ অসলোতে অবস্থিত বায়তুন নাস্র মসজিদ থেকে সভায় সংযুক্ত হন।
কিছু আনুষ্ঠানিকতার পর মজলিস আনসারুল্লাহ্‌র সদস্যগণ হুযূর আকদাসকে তাদের ধর্মবিশ্বাস এবং সমসাময়িক বিষয়াবলী সম্পর্কে বিভিন্ন প্রশ্ন করার সুযোগ লাভ করেন।

অংশগ্রহণকারীদের একজন, যিনি সম্প্রতি আহমদীয়া মুসলিম জামা’তে বয়আত (দীক্ষা) গ্রহণ করেছেন, হুযূর আকদাসকে প্রশ্ন করেন কীভাবে কোনো ব্যক্তি যুগ-খলীফার সঙ্গে বন্ধন গড়তে পারেন এবং ইসলামের শান্তিপূর্ণ প্রচারে খিলাফতের প্রয়োজনীয়তা কী?

হযরত মির্যা মসরূর আহমদ (আই.) বলেন:

“এটি মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ভবিষ্যদ্বাণী ছিল যে, মুসলমানদের মধ্যে বিরাজমান এক হাজার বছরের অন্ধকার যুগের পর প্রতিশ্রুত মসীহ্ (আ.) আগমন করবেন এবং তিনি মসীহ্ ও মাহ্দী হওয়ার দাবী করবেন। মহানবী (সা.) তাঁর জন্য এই শব্দ ব্যবহার করেছেন যে, তিনি মহানবী (সা.)-এর খিলাফতের মর্যাদা প্রাপ্ত হবেন। সুতরাং, মসীহ্ মওউদ (আ.) মহানবী (সা.) এর খলীফা এবং তাঁর (সা.)-এর এটিও ভবিষ্যদ্বাণী ছিল যে, ইসলামের প্রসারের জন্য খিলাফত ব্যবস্থা জারি থাকবে। কারণ, ইসলাম ও আহমদীয়াত প্রসারের জন্য সকল সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার এখনই সর্বোত্তম সময়। এখন আপনারা দেখতে পাচ্ছেন যে, যোগাযোগ মাধ্যম এবং অন্যান্য সকল সুবিধা ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।”

হুযূর আকদাস এ বিষয়টির ওপর আলোকপাত করেন যে, এটি নির্ধারিত ছিল যে, মসীহ্ মওউদ (আ.)-এর পদাঙ্ক অনুসরণ করে তাঁর খিলাফত ব্যবস্থার অধীনে পৃথিবীর সকল মানুষের নিকট সবচেয়ে কার্যকর পন্থায় ইসলামের বাণী পৌঁছানোর বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য এক সুসংগঠিত ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠিত হবে।

হযরত মির্যা মসরূর আহমদ (আই.) বলেন:

“অন্যান্য ফিরকার মাঝে আপনি এই (খিলাফত) ব্যবস্থা দেখতে পাবেন না। এখানে খিলাফতের পতাকাতলে আহমদীয়া মুসলিম জামা’ত পৃথিবীর সকল প্রান্তে ইসলামের বাণী প্রচারের কাজ করছে। সুতরাং, এজন্যই খিলাফত আবশ্যক। অন্যথায়, যদি আপনাদের মাঝে একক নেতৃত্ব না থাকে তাহলে আপনারা রাখালবিহীন পশুপালের মতো। এখন আহমদীয়া খিলাফত ব্যবস্থার অধীনে আপনারা এমন একজন ব্যক্তির দিকনির্দেশনায় পরিচালিত হচ্ছেন, আমাদের বিশ্বাস অনুসারে, যার ওপর আল্লাহ্ তা’লার অনুগ্রহ সর্বদা বিরাজমান এবং যাকে আল্লাহ্ তা’লা পরিচালনা করেন। যখনই তিনি কোনো পদক্ষেপ নেওয়া আবশ্যক মনে করেন তখনই তিনি আহমদীয়া মুসলিম জামা’তকে সে অনুসারে কাজ করতে বলেন। এ কারণে মহানবী (সা.) বলেছিলেন যে, তাঁর তিরোধানের পর সত্যিকার খিলাফত ‘খিলাফতে রাশেদা’ কায়েম হবে, এরপর রাজাদের যুগ হবে এবং এরপর অন্ধকার যুগ আসবে। এরপর, যেভাবে আমি পূর্বে বলেছি, মসীহ্ ও মাহ্দীরূপে এক ব্যক্তি আবির্ভূত হবেন। আর এরপর শেষ দিন পর্যন্ত সেই খিলাফত ব্যবস্থা কায়েম থাকবে। আমরা বিশ্বাস করি শেষ দিন পর্যন্ত আহমদীয়া খিলাফত ব্যবস্থা কায়েম থাকবে। আল্লাহ্ তা’লা খিলাফতকে পরিচালিত করবেন ও সাহায্য করবেন এবং ‍খলীফার নেতৃত্বে [আল্লাহ্ তা’লার সাহায্যপুষ্ট হয়ে] জামা’ত উত্তরোত্তর উন্নতি করতে থাকবে, যা এখন আমরা দেখতে পাচ্ছি।”

হযরত মির্যা মসরূর আহমদ (আই.) আরও বলেন:

“প্রতিবছর হাজার হাজার মানুষ আহমদীয়া মুসলিম জামা’তে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছেন। একজন ব্যক্তি, যিনি ছোট্ট একটি গ্রামে মসীহ্ মওউদ (আ.) হওয়ার দাবি করেছিলেন, এখন প্রায় পুরো পৃথিবী জুড়ে তিনি পরিচিত। সুতরাং, এটি এমন এক ব্যবস্থাপনা যার মাধ্যমে আল্লাহ্ তা’লা ইসলামের বাণী প্রচারে আমাদেরকে সাহায্য করছেন।”

একজন ব্যক্তি কীভাবে খিলাফতের সঙ্গে তার বন্ধন দৃঢ় করতে পারেন এ প্রশ্নের উত্তর প্রদান করতে গিয়ে হযরত মির্যা মসরূর আহমদ (আই.) বলেন:

“আপনি যদি নিজেকে খিলাফতের সঙ্গে যুক্ত করেন, যদি আপনি বিশ্বাস করেন যে, প্রতিশ্রুত মসীহ্ (আ.)-কে আল্লাহ্ তা’লা ইসলামের বাণী প্রচারেরর জন্য প্রেরণ করেছেন, যদি আপনি বিশ্বাস করেন যে, তাঁর তিরোধানের পর তার সত্য খিলাফত চলমান রয়েছে, তাহলে আপনার উচিত ইসলাম সম্পর্কে আরও জ্ঞানার্জন করা এবং ইসলামের বার্তা প্রচারের মাধ্যমে খলীফা ও আহমদীয়া মুসলিম জামা’তের ব্যবস্থাপনাকে সাহায্য করা। সুতরাং, ইসলামের বার্তার প্রচার প্রত্যেক আহমদী মুসলমানের দায়িত্ব; কারণ, তিনি বয়আত [প্রতিশ্রুত মসীহ্ মওউদ (আ.)-এর আনুগত্যের অঙ্গীকার] করেছেন। এমন মানুষেরা ঘোষণা করেছেন যে, তারা মসীহ্ মওউদ (আ.)-কে ইসলাম প্রচারে সাহায্য করবেন। সুতরাং, এর জন্য আপনাকে ইসলাম সম্পর্কে আরও জ্ঞান অর্জন করতে হবে। আপনাকে পবিত্র কুরআন তিলাওয়াত শিখতে হবে, পবিত্র কুরআনের অর্থ, এর ব্যাখ্যা এবং মহানবী (সা.) এর সহীহ্ হাদীস সম্পর্কে জানতে হবে, আর মসীহ্ মওউদ (আ.)-এর মাধ্যমে আমাদের হাতে যে [ধর্মীয়] সাহিত্য এসেছে, তাঁর বই পড়ার মাধ্যমে তা থেকে আরও জ্ঞান আহরণ করতে হবে … এভাবে আপনি আপনার জ্ঞানকে পরিশুদ্ধ করতে পারবেন, আর ইসলাম ও আহমদীয়াত সম্পর্কে আপনার শিক্ষাকে আরও সমৃদ্ধ করতে পারবেন। এরপর এর প্রচারে নিয়োজিত হয়ে এভাবে আপনি খলীফা, জামা’ত, মসীহ্ মওউদ (আ.) এবং সর্বোপরি মহানবী (সা.)-এর সাহায্যকারীতে পরিণত হতে পারবেন … যখন আপনি এগুলো করতে থাকবেন, তখন আপনি খিলাফতের নৈকট্য অর্জন করবেন।”

সভা চলাকালীন, সম্প্রতি বুরকিনা ফাসো-র আহমদী মুসলমানদের ওপর বর্বরোচিত হামলার দৃষ্টান্ত উল্লেখ করে, হুযূর আকদাসকে আরও জিজ্ঞেস করা হয় যে, আহমদীয়া মুসলিম জামা’তের ওপর পরিচালিত নিপীড়ন অন্যান্য দেশেও ছড়িয়ে পড়বে কিনা।

হযরত মির্যা মসরূর আহমদ (আই.) বলেন:

“আহমদীয়া মুসলিম জামা’ত যতই ছড়িয়ে পড়ছে, বিরুদ্ধবাদীদের ঈর্ষাও ততই বেড়ে চলেছে। আল্লাহ্ তা’লা পবিত্র কুরআনের শেষ তিন সূরায় আমাদেরকে হিংসুকের অনিষ্ট থেকে বাঁচার শিক্ষা প্রদান করেছেন, যেখানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী, দুষ্কৃতিকারী ও প্রতারকের অনিষ্ট থেকে বাঁচার দোয়া রয়েছে। তারা জানে, আহমদী মুসলমানরা এক খোদার সত্যিকার উপাসনাকারী। যদিও তারা আল্লাহ্ তা’লা ও মহানবী (সা.)-এর নামে আমাদেরকে হত্যা করতে উদ্যত হয়, কিন্তু প্রকৃত বিষয় হলো, তাদের হিংসা ও শত্রুতা তাদেরকে এমন আচরণে উদ্বুদ্ধ করে থাকে। তারাই সেই শ্রেণি যারা আল্লাহ্ তা’লার আদেশ অমান্য করছে এবং এটি প্রত্যেক নবীর জাতির সঙ্গেই হয়ে থাকে। তারা [নবীদের অনুসারীরা] যখনই সংখ্যায় বাড়তে থাকে, শত্রুতা পোষণকারী ও দুষ্কুতিকারীদের সংখ্যাও তখন বৃদ্ধি পায়। এমনকি তারা বর্বরোচিত আচরণ করা থেকেও নিবৃত্ত হয় না, আর আহমদীয়া মুসলিম জামা’তের সঙ্গেও এমনটিই হচ্ছে।”

হুযূর আকদাস ব্যাখ্যা করে বলেন যে, আহমদীয়া মুসলিম জামা’তের সূচনালগ্ন থেকেই নানা সময়ে তীব্র বিরোধিতার সময়কাল অতিবাহিত হয়েছে, যে সময়গুলোতে জামা’ত নিপীড়নের শিকার হয়েছে। হুযূর আকদাস উদাহরণস্বরূপ ভারত ও পাকিস্তান সৃষ্টির পূর্বে ইংরেজ সরকারের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আহমদীয়া মুসলিম জামা’তের বিরোধিতা ও দ্বিতীয় খলীফার বিরুদ্ধে মামলার বিষয়টি উল্লেখ করেন। আর ইতোপূর্বে, মসীহ্ মওউদ (আ.)-ও মিথ্যা মামলার শিকার হয়েছিলেন।

আহমদীয়া মুসলিম জামা’তের জন্য সামনে দিনগুলো কী অপেক্ষা করছে – এ সম্পর্কে বলতে গিয়ে হযরত মির্যা মসরূর আহমদ (আই.) বলেন:

“ধর্মের বিরুদ্ধবাদীরা, তারা নাস্তিক হোক কিংবা কোন ধর্মের অনুসারী, ভবিষ্যতে আহমদীয়া মুসলিম জামা’তের বিরোধিতায় একত্রিত হবে। এটি হতে পারে যে, যদি তারা আহমদীয়া মুসলিম জামা’তকে ইউরোপে বিকশিত হতে দেখে, এখানেও কিছু ইউরোপিয়ান দেশেও অন্যান্য দেশের মতো আমরা নিপীড়নের শিকার হতে পারি। তাই আমাদেরকে সর্বদা সচেতন থাকতে হবে। প্রথমত এবং সর্বাগ্রে, যেকোনো বিপদ এড়ানোর জন্য দোয়া ও সদকার মাধ্যমে আমাদেরকে আল্লাহ্ তা’লার আশ্রয়ে ঠাঁই পাওয়ার চেষ্টা করতে হবে।”

আহমদীয়া মুসলিম জামা’তের মসজিদগুলোতে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং সকল আহমদী মুসলমানের সর্বদা সচেতন থাকার প্রয়োজনীয়তার ওপর হুযূর আকদাস গুরুত্বারোপ করেন।

আনসারুল্লাহ্র একজন সদস্য হুযূর আকদাসকে প্রশ্ন করেন পিতা-মাতা বৃদ্ধ হলে এবং নিজেদের খেয়াল রাখতে না পারলে সন্তানদের কী করা উচিত।

হুযূর আকদাস বলেন যে, যখন পিতা-মাতা সুস্থ ও ভাল থাকেন, তাদের সন্তানদের উচিত বিয়ে করার পর পিতা-মাতার বাড়ি ছেড়ে তাদের স্ত্রীর সঙ্গে নিজস্ব বাড়িতে বসবাস করা; কেননা, এর মাধ্যমে যৌথ পরিবারে বসবাস করলে যে ধরনের বিশৃঙ্খলার উদয় হওয়ার সম্ভাবনা থাকে সেগুলো এড়ানো যায়।

কিন্তু, হুযূর আকদাস বলেন যে, যখন পিতা-মাতা বার্ধক্যে উপনীত হয়ে একাকী থাকার অবস্থায় থাকেন না, তখন সন্তানদের উচিত তাদের দেখাশোনা করা।

হযরত মির্যা মসরূর আহমদ (আই.) বলেন:

“পশ্চিমা দেশসমূহে মানুষজন তাদের পিতা-মাতাকে ‘বৃদ্ধাশ্রম’-এ রেখে আসে যেখানে সেবকরা তাদের দেখাশোনা করেন, আর সন্তানরা মাঝে মাঝে ছোটখাটো উপহারসামগ্রী নিয়ে দেখা করতে যায় এবং মনে করে তারা তাদের পিতামাতার দেখভালের দায়িত্ব পালন করেছে। কিন্তু, আমাদেরকে আমাদের পিতা-মাতার যথাযথ সেবাযত্ন করতে হবে। একবার মহানবী (সা.) তিনবার পুনরাবৃত্তি করেন যে, তোমার মায়ের তোমার ওপর অধিকার রয়েছে এবং চতুর্থবারে বলেন তোমার ওপর তোমার পিতার অধিকার রয়েছে। সুতরাং, এসকল অধিকার আমাদের আদায় করতে হবে এবং সমাজেরও এটাই দাবি। মা-বাবার উচিত তাদের সন্তানকে এই বলে তরবিয়ত প্রদান করা যে,‘[এখন তুমি বিয়ে করেছ,] আমরা তোমাকে তোমার যৌবনে তোমার নিজের খাতিরে পৃথক করছি বা তুমি নিজেই পৃথক বসবাস করছো, আর এতে কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু যখন আমরা বৃদ্ধ হবো, আমাদের প্রতি তোমার দায়িত্বসমূহ তোমাকে পালন করতে হবে এবং আমাদের প্রয়োজন হলে আমাদের কাছে আসতে হবে। প্রথমত, আমরা দোয়া করছি আমাদের বৃদ্ধ বয়সে আমাদের যেন তোমার সাহায্য প্রয়োজন না হয়, আল্লাহ্ তা’লা আমাদেরকে যেন তোমার ওপর নির্ভরশীল হওয়া থেকে রক্ষা করেন।’ এই কারণেই আল্লাহ্ তা’লা অতিশয় বৃদ্ধ বয়সে পুরোপুরি দুর্বল ও অন্যের উপর নির্ভরশীল হওয়া থেকে বাঁচতে দোয়া করার নির্দেশ দিয়েছেন। তাদের উচিত সন্তানকে বলা যে, ‘যদি আমরা অতিশয় বৃ্দ্ধ হয়ে পড়ি এবং আমাদের তোমার প্রয়োজন হয় তখন তোমার পিতা-মাতার দেখভাল করা তোমার নৈতিক ও ধর্মীয় দায়িত্ব হবে এবং তাদেরকে তোমার সাথে রাখতে হবে।’ এমন পরিস্থিতিতে, গৃহবধূকেও তার শ্বশুর-শাশুড়ির প্রতি সহনশীল হওয়া উচিত।”

হযরত মির্যা মসরূর আহমদ (আই.) আরও বলেন:

“বাসা যদি খুব ছোট হয়, তাহলে পিতা-মাতার জন্য আশেপাশেই কোনো বাসার বন্দোবস্ত করা যেতে পারে, যেন সন্তানেরা সকাল ও সন্ধ্যায় তাদেরকে দেখাশোনা করার জন্য যেতে পারে। যদি কারো বড় বাড়ি থাকে তাহলে পিতা-মাতার জন্য একটি রুম ছেড়ে দেওয়া যেতে পারে এবং তাদেরকে এভাবে দেখাশোনা করা যেতে পারে। এর মাধ্যমে আল্লাহ্ তা’লার অনুগ্রহরাজি লাভ হয়। যদি পরকালের বিষয়ে কারো প্রকৃত উদ্বেগ থাকে এবং তার কিছুটা ধর্মীয় জ্ঞানও থাকে তাহলে তার স্মরণ রাখতে হবে এমন কর্মের ফল পরকালেও সে লাভ করবে। আমাদেরকে অবশ্যই স্মরণ রাখতে হবে যে, একদিন আমরাও মৃত্যুবরণ করবো এবং এ পরিস্থিতির সম্মুখীন আমরাও হবো। তাই, আমাদের মাঝে যারা বৃদ্ধ তাদেরকে দেখাশোনা করে আল্লাহ্ তা’লার আশীর্বাদ অর্জনের জন্য প্রতিযোগিতা করুন।”