নেযামে খিলাফত একটি বরকতপূর্ণ ঐশী ব্যবস্থাপনা একই ইমামের ছায়ায় জামা’তবদ্ধ জীবন যাপন ইসলামের প্রকৃত উদ্দেশ্য

মাহমুদ আহমদ সুমন

একটি দৈনিক পত্রিকায় দেখলাম,

জাতিসংঘের পর্যবেক্ষণ সংক্রান্ত কমিটি ইন্টার গভর্ণমেন্টাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জ (আই পিসিসি) এক প্রতিবেদন পেশ করেছে। এতে বলা হয়েছে, বিশ্বের জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বিশ্বের দরিদ্র জনগোষ্ঠী সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এর ফলে এশিয়ার ১০০ কোটিরও বেশি লোক বড় ধরনের বিপর্যয়ের সম্মুখীন হতে পারে। প্রতিবেদনে বলা হয়, হিমালয়কে নিয়ে সবচেয়ে বড় সমস্যা দেখা দিবে। কারণ ৩০ বছরের মধ্যে হিমালয়ের যাবতীয় হিমবাহের শৈল খন্ডের পাঁচ ভাগের চার ভাগই গরমে গলে যাবে। পাঁচ লাখ বর্গ কিলোমিটার বরফের এলাকা কমে এক লাখ বর্গকিলোমিটার হয়ে যাবে। এমনকি বাংলাদেশেও বিপর্যয় নিয়ে আশঙ্কা করা হয়েছে। বিপর্যয়ের কারণে বাংলাদেশের মানুষ ভারতে আশ্রয় নিতে বাধ্য হবে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, গঙ্গা, পদ্মা ও ব্রহ্মপুত্র শুকিয়ে যাবে। বিশেষ করে গঙ্গার দুই তৃতীয়াংশ পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে যাবে। প্রায় ৪০ কোটি মানুষ পানি সঙ্কটে পড়বে। কৃষকেরা জমিতে পানি সেচ দিতে পারবে না। পানি বিদ্যুৎ প্রকল্পগুলোর বিদ্যুৎ উৎপাদন কমে যাবে। ( দৈনিক প্রথম আলো ৭/৪/০৭)

জলবায়ুর প্রতিবেদনটি এখানে এই জন্যই তুলে ধরেছি, কারণ আজ শুধু মুসলিম জাহানই নয় বরং সমগ্র বিশ্ব এক চরম বিপর্যয় ও ধ্বংসের সম্মুখীন। আর শ্রেষ্ঠ নবী হযরত মুহাম্মদ মুস্তাফা (সাঃ)-এর অনুসারীরাও আজ সর্বগ্রাসী অবক্ষয়ের শিকার হয়ে বিধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে উপনীত। বর্তমানে এবং অতীতে আর ভবিষ্যতে যে ধরনের বিপর্যয়ের আশঙ্কা করা হচ্ছে এবং যা অতীতে পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে ঘটেছে, তার একমাত্র কারণ যদি আমরা গবেষণা করি তাহলে নিঃসন্দেহে বলা যায় এই সব বিপর্যয় একমাত্র যুগ ইমামকে না মানার কারণেই ঘটছে এবং ঘটতে থাকবে। কারণ মাহ্‌দীর (আঃ) যুগে এসব আলামত ঘটবেই যা আমাদের প্রিয় নবী ও শ্রেষ্ঠ নবী (সাঃ)-এর ভবিষ্যদ্বাণী ছিলো। সমগ্র বিশ্ব যদি আজ এক ইমামের নেতৃত্বে অগ্রসর হতো তাহলে অবশ্যই আল্লাহ্ ‌তা’আলা এই ধরনের বিপর্যয়ের হাত থেকে জাতিকে নিরাপদ রাখতেন। আজ অনৈক্যের কারণেই দেশে-দেশে যুদ্ধ বিগ্রহ লেগেই আছে, এ শেষ হবার নয়, যতক্ষণ পর্যন্ত না সবাই এক ইমামের নেতৃত্বে চলবে। যে জাতির কোন আধ্যাত্মিক নেতা নেই, সেই জাতি জীবিত নয় বরং মৃত।

আজ সমগ্র বিশ্বে কোটি কোটি মুসলমান রয়েছে, কিন্তু তাদের কোন নেতা নেই, যিনি সবার জন্য দোয়া করবেন। আল্লাহ্‌র নিকট চাইবেন, জাতির দুঃখে পাশে এসে দাঁড়াবেন। কেউ কি আজ বলতে পারবে যে, তাদের এই ধরনের আধ্যাত্মিক নেতা রয়েছে? কোন সম্প্রদায় আজ এমন নেই যারা বলতে পারবে যে তাদের এমন এক নেতা রয়েছেন, ‘যিনি আমাদের জন্য দোয়া করেন, আমাদেরকে আলো দেখান’। একমাত্র আহ্‌মদীয়া মুসলিম জামাতের সদস্যরাই বলতে পারে, আমাদেরই একমাত্র আধ্যাত্মিক নেতা রয়েছে যার ওয়াদা স্বয়ং আল্লাহ্ নিজে করেছেন যে,

“তোমাদের মধ্যো যারা ঈমান আনে এবং সৎকর্ম করে আল্লাহ্ তাদের সাথে ওয়াদা করেছেন তিনি অবশ্যই তাদেরকে খলীফা নিযুক্ত করবেন যেভাবে তিনি তাদের পূর্ববর্তীগণকে নিযু্‌ক্ত করেছিলেন”। (সূরা নূরঃ ৫৬)

২৭শে মে। আহ্‌মদীয়া মুসলিম জামাতের সদস্যরা এ দিনটিকে খিলাফত দিবস হিসেবে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করে থাকেন। নেযামে খিলাফত একটি বরকতপূর্ণ ঐশী ব্যবস্থাপনা, আল্লাহ্‌ তা’আলার সেই রজ্জু, যার হাত ধরে মু’মিনদের জামা’ত ক্রমাগত উন্নতির দিকে ধাবমান হয়। খিলাফত নবুওয়তের কল্যাণকে জগতে প্রতিষ্ঠিত রাখে। হযরত রসূল করীম (সাঃ)-এর মুত্যুর পর খিলাফত প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল আর তাঁর ভবিষ্যদ্বাণী অনুযায়ী ৩০ বছর পর সে খিলাফত বিলুপ্ত হয়ে যায়। এ যুগে আবার রসূল (সাঃ)-এর ভবিষ্যদ্বাণী অনুযায়ী প্রতিশ্রুত মসীহ্ ও মাহ্‌দী (আঃ)-এর আগমনের মাধ্যমে এবং তাঁর মৃত্যুর পর ১৯০৮ সালের ২৭শে মে খিলাফত পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আর সেই খেলাফতে আহ্‌মদীয়ার শতবার্ষিকী জুবিলী পালিত হতে যাচ্ছে ২০০৮ সালে। তাই, এ কথা খুবই জোর গলায় বলতে পারি যে, আমরা আহ্‌মদীরা বড় সৌভাগ্যবান। আমরা রসূল করীম (সাঃ)-এর নির্দেশের ওপর আমল করে এমন এক খেলাফতের অধীন রয়েছি যা কিয়ামত পর্যন্ত জারি থাকবে। আর এ খেলাফতের নেতৃত্বেই আবার ইসলামের বিশ্ববিজয় হবে।

খিলাফত আধ্যাত্মিক উন্নতির মহান উপায়। এ সম্পর্কে হযরত খলীফাতুল মসীহ্ সানী (রাঃ) বলেন,

“আমার মতে ইসলামে এই বিষয়টি একাংশের প্রাণ স্বরূপ। ধর্মের ব্যবহারিক দিক নানাভাবে বিভক্ত। ধর্মের যে অংশের সাথে এই বিষয়টির সম্বন্ধ, তা হলো জাতির একতা। কোন জামা’ত, কোন জাতি, ঐ পর্যন্ত উন্নতি করতে পারে না, যে পর্যন্ত একাকার রূপে তাতে ঐক্য পাওয়া না যায়। মুসলমানদের, জাতি হিসেবে তখনই পতন ঘটেছে যখন তাদের মধ্যে খিলাফত থাকে নাই। যখন খিলাফত থাকল না, তখন উন্নতিও বন্ধ হয়ে গেল। একতা ছাড়া উন্নতি হতে পারে না। উন্নতি একতা দ্বারাই সম্ভবপর। দূর্ভাগ্যক্রমে এই যুগে কোন কোন ব্যক্তি খেলাফতের সাথে মতভেদ করে। তাদের ধারণা খেলাফতের সম্বন্ধ রাষ্ট্রের সাথে। অথচ এখানে (সূরা নূরঃ ৫৬) আল্লাহ্‌ তা’আলা যত জোর দিয়েছেন ধর্মের উপরই দিয়েছেন, “ওয়াদাল্লাহুল্লাযীনা আমানু মিনকুম” (যারা তোমাদের মধ্যে ঈমান আনে) প্রথম বিষয় এটি, দ্বিতীয় “ওয়া আমিলুস সালিহাতি” (এবং পুণ্য কাজ করে) তৃতীয়, “ওয়া লাইউমাক্কেনান্না লাহুম দীনাহুমুল্লাযীরতাযা লাহুম” (‘তাদের জন্য নিশ্চয়ই তাদের ধর্ম দৃঢ় প্রতিষ্ঠিত করবেন’)। চতুর্থ, “ইয়া’বুদুনানী লা ইয়ুশরিকুনা বি শাইয়া” (তারা আমার ইবাদত করবে এবং আমার সাথে কাউকেও শরীক করবে না)। পঞ্চম, “ওয়ামান কাফারা বা’দা যালিকা ফাউলাইকা হুমুল ফাসিকুন” (‘অতঃপর যারা অমর্যাদা করবে বা অকৃতজ্ঞ হবে তারাই সম্পর্কচ্যুত বিদ্রোহী’)। এই পাঁচটি বিষয়েরই পরিস্কার সম্বন্ধ রয়েছে ধর্মের সাথে। ধর্মীয় নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠার সাথে শান্তির আগমন। এটিই প্রকাশ করছে যে তদ্বারাও ধর্মীয় শান্তিই বুঝায়। এভাবে এই আয়াতের সর্বত্রই শুধু ধর্মের কথাই বর্ণিত হয়েছে। তারপর খোদা তাআলা বলেছেন, “ওয়া আকিমুসসালাতা ওয়াতুয্‌যাকাতা ওয়া আতিউর রাসুলা লাআল্লাকুম তুরহামুন” অর্থাৎ (সর্বাঙ্গীন সুন্দর জামা’ত) ‘নামায কায়েম করবে, যাকাত দিবে, এবং রসূলের অনুবর্তিতা করবে, যাতে তোমাদের প্রতি অনুগ্রহ করা হয়। এ গুলো ধর্ম সংক্রান্ত আদেশ। সুতরাং এখানে শুধু ধর্মের কথাই বলা হয়েছে। নচেৎ যদি মনে করা হয় যে, রাষ্ট্রের কথা বর্ণিত হয়েছে। তবে প্রশ্ন উঠে আধ্যাত্মিক উন্নতির উপায় বর্ণনা প্রসঙ্গে রাষ্ট্রের কথা বলার সম্পর্ক কী? কাফেররাও তো রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে।

প্রকৃত ও সত্য কথা এটিই যে, খিলাফত রূহানী উন্নতির একটি মহান উপায়। এরই কথা এখানে বর্ণিত হয়েছে, রাষ্ট্র সম্বন্ধে নয়। এই খেলাফতের অর্থ ‘মামুরিয়াত’ (প্রত্যাদিষ্ট ব্যক্তিদের খিলাফত) নেওয়া হউক বা প্রত্যাদিষ্ট ব্যক্তিদের প্রতিনিধিত্ব মূলক ‘খিলাফত’ নেওয়া হউক, যে কোন অবস্থায় এখানে রূহানী খেলাফতের কথাই বর্ণিত হয়েছে। এই উভয় প্রকার খিলাফতই ‘রূহানী তরক্কীর’ উপায়। এই প্রকারে ‘মামুরিয়াতের খিলাফত’ একজন মানুষ খোদা হতে আলো পেয়ে অন্যদের আলোকিত করেন এবং প্রত্যাদিষ্ট মামুরদের প্রতিনিধিত্বমূলক খেলাফতের তত্তাবধান ব্যবস্থার ফলে দুর্বলদেরও হেফাযত করা হয়। সুতরাং, এই উভয় প্রকারের খেলাফতে আশীষ (বরকত) আছে। উভয়ই আধ্যাত্মিক উন্নতির উপায়-এটি ছাড়া রূহানীয়াত লয় প্রপ্ত হয়। দৃষ্টান্তস্থলে দেখ, রসূল করীম (সাঃ)-এর পর যখন খেলাফতের ব্যবস্থা ভঙ্গ হল, তখন ইসলামের কোনই উন্নতি নাই। কিন্তু রসূল করীম (সাঃ)-এর পর যে খিলাফতগুলি ছিল, তাদের আমলে মহা পরিবর্তন সাধন হয়। জাতিসমূহ ইসলামে দাখেল হল। ইসলাম মহাতেজে সর্বত্র প্রসারিত হল। কিন্তু যখনই রূহানী খিলাফত থাকলো না, ইসলামের উন্নতিও বন্ধ হল। রূহানী খিলাফত ছাড়া ইসলামের কোন উন্নতি হয় নাই, অবনতি হয়েছে। খিলাফত ইসলামের মহাগুরুত্বপূর্ণ বিষয়াবলীর অন্তর্গত। খিলাফত ছাড়া ইসলাম কখনো উন্নতি করতে পারে না, সর্বদা খলীফাদের মাধ্যমেই ইসলাম উন্নতি করেছে এবং ভবিষ্যতেও এর দ্বারাই উন্নতি করবে। সর্বদা খোদাতাআলাই খলীফা নিযুক্ত করে এসেছেন এবং ভবিষ্যতেও খোদাতাআলাই খলীফা নিযুক্ত করবেন।”

আজ উম্মতে মুসলেমা শতধা বিভক্ত, যার ফলে মুসলমানদের মাঝেই লেগে আছে যুদ্ধ-বিগ্রহ। শতধা বিভক্ত হয়ে ইসলামের বারটা বাজিয়ে ছাড়ছে। প্রকৃত ইসলাম আজ খুঁজে পাওয়া খুব কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিভিন্ন দলের নেতারা যার যার ইচ্ছা মাফিক, ইসলামিক আইন-কানুন তৈরী করে নিয়েছে এবং ইসলাম সম্পর্কে ভুল ও অপব্যাখ্যা দিয়ে শান্তির ইসলামকে কালিমাযুক্ত করে অশান্তিতে পরিণত করছে। যার ফলে বিধর্মীদের মাঝে ইসলাম আজ সন্ত্রাসী ধর্ম হিসাবে চিহ্নিত হচ্ছে। কিন্তু এই দোষতো ইসলামের নয়, দোষী হচ্ছে তারা যারা শান্তির ধর্মকে সন্ত্রাসী ধর্ম হিসেবে চিহ্নিত করতে অনৈতিক কাজ করছে। তারা খেলাফতের অধীনে নেই বলেই এমনটা হচ্ছে। তাদের কোন আধ্যাত্মিক নেতা নেই, তাই আজ তারা অন্ধ হয়ে গেছে। ভালকে ভাল মনে করতে পারছে না। আজ আহ্‌মদীয়া জামাতেই একমাত্র খিলাফত রয়েছে বলে তারা দিনের পর দিন উন্নতি করে যাচ্ছে এবং বিশ্ব বিজয়ের পতাকা তাদের হাতেই পত্-পত্ করে উড়তে দেখা যাচ্ছে।

আজ আহ্‌মদীয়া জামা’ত ছাড়া অন্য কোন দলে খিলাফত নাই বলে তারা ইসলাম সম্পর্কে ভুল ব্যাখ্যা প্রদান করতে পারছে। কিন্তু খলীফা ধর্মীয় আইনকে ভুল ব্যাখ্যা থেকে রক্ষা করেন এবং ভ্রান্তদেরকে খোদা পর্যন্ত পৌঁছবার আহ্বান জানান। সকল প্রকার ধর্মীয় বেদাত দূর করে এক আল্লাহ্‌ তা’আলার বিধান অনুযায়ী সৎকর্মশীলদের পবিত্র দল গঠন করেন। খলীফার নেতৃত্বে যারা থাকেন, তারা খলীফার ডাকে, আল্লাহ্‌র রাস্তায় ধর্ম প্রচারে সর্বপ্রকার ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত থাকেন, যা খলীফাহীন দলে দেখা যায় না।

খলীফার মাধ্যমে মুসলমানরা এক আল্লাহ্‌র ইবাদত করে এবং এক ঐশী গ্রন্থের শিক্ষানুযায়ী, সমগ্র মানবগোষ্ঠীকে এক বিশ্ব-ভ্রাতৃত্ব বন্ধনে আবদ্ধ করবার জন্য এক মহান নেতার নেতৃত্বাধীনে সমবেত হয়ে চেষ্টিত থাকে। সমগ্র বিশ্বের ধনী-দরিদ্র, সবল-দুর্বল, শিক্ষিত-অশিক্ষিত জনগণকে এক সাধারণ যোগসূত্রে গ্রথিত করে প্রগতিশীল জাতিতে সংঘবদ্ধ করার জন্য ঐশী নেতৃত্বের অতি প্রয়োজন। যেহেতু, একতা, সংহতি ও শান্তি-শৃঙ্খলা জাতির উন্নতির প্রধান উপকরণ, আর এ সবের সমাধান একমাত্র আধ্যত্মিক নেতৃত্বের মাঝেই থাকে। আর সকল বালা মুসিবত থেকে জাতিকে উদ্ধার করার জন্যই আল্লাহ্ যাকে মনোনীত করেন তিনিই হলেন প্রকৃত খলীফা। এমন মহাপুরুষ সর্বদা আল্লাহ্ তা’আলার বিশেষ অনুগ্রহভাজন হয়ে থাকেন। তাঁর আদেশ-নিষেধ বিনা দ্বিধায় মানতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হওয়া প্রত্যেক মু’মিনের কর্তব্য। আজ আহ্‌মদীরা খলীফার নেতৃত্বে সারা বিশ্বে ইসলামের প্রচার ও প্রসারের কাজে আত্মনিয়োগ করে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। ফলে আজ আফ্রিকা, আমেরিকা, ইউরোপের ত্রিত্ববাদের দেশে-দেশে ইসলামের পতাকা উড়তে শুরু করেছে। সেদিন বেশি দূরে নয় যখন সারা বিশ্বে ইসলামের পতাকা উড়বে আর তারা একক নেতৃত্ব, এক খলীফার অধীনে চলবে। আল্লাহ্ তা’আলা আমাদেরকে খুব শীঘ্র সেই মহান প্রতিশ্রুত দিন দেখার তৌফিক দান করুন এবং নেযামে খেলাফতের অধীনে থেকে যেন জীবনের শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করতে পারি সেই সৌভাগ্যও যেন মহান খোদা তা’আলা আমাদেরকে দান করেন। আর আজও যারা এই ঐশী খেলাফতের অধীনে সামিল হতে পারেনি তারাও যেন অতি দ্রুত এতে সামিল হয়ে যায়। আল্লাহ্ যেন এমনই করেন, আমীন!

পাক্ষিক আহ্‌মদী - ৩১শে মে ২০০৭