সালনা জলসা ইউকে ২০২৩: একটি সফল সমাপ্তি

হযরত মির্যা মসরূর আহমদ - খলীফাতুল মসীহ্‌ আল্‌ খামেস (আই.)

০৪-আগস্ট, ২০২৩

মসজিদ বাইতুল ফুতুহ্, লন্ডন, যুক্তরাজ্য

জুমুআর খুতবার সারমর্ম


এই জুমু’আর খুতবার সারাংশটিতে কোনো প্রকার ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকলে তার দায়ভার আহ্‌মদীয়া বাংলা টীম গ্রহণ করছে।

নিখিলবিশ্ব আহমদীয়া মুসলিম জামাতের বর্তমান ইমাম ও আমীরুল মু’মিনীন হযরত মির্যা মসরূর আহমদ খলীফাতুল মসীহ্ আল্ খামেস (আই.) গত ৪ই আগস্ট, ২০২৩ইং তারিখে লন্ডনের বায়তুল ফুতুহ মসজিদে “সালানা জলসা যুক্তরাজ্য ২০২৩: একটি সফল সমাপ্তি” বিষয়ক জুমুআর খুতবা প্রদান করেন। প্রদত্ত জুমুআর খুতবায় ৫৭তম যুক্তরাজ্যের জলসা সফলভাবে উদযাপনের প্রেক্ষাপটে খোদা তা’লা এবং কর্মীদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন এবং বিভিন্ন দেশ থেকে আগত অ-আহমদী অতিথিদের কতিপয় ইতিবাচক অভিব্যক্তি তুলে ধরেন।
তাশাহ্‌হুদ, তা’উয ও সূরা ফাতিহা পাঠের পর হুযূর (আই.) বলেন, আল্লাহ্ তা’লার অশেষ কৃপায় গত সপ্তাহে যুক্তরাজ্য জামাতের বার্ষিক জলসা অত্যন্ত সফলতার সাথে সমাপ্ত হয়েছে, আলহামদুলিল্লাহ্। কখনো কখনো বিরূপ আবহাওয়া হওয়া সত্ত্বেও আল্লাহ্ তা’লার কৃপায় সমস্ত বিভাগের কাজ তেমন কোনো সমস্যা ছাড়াই সুচারুরূপে সম্পন্ন হয়েছে। এ বছর পূববর্তী বছরগুলোর চেয়ে অধিক উপস্থিতি ছিল। তাই আমরা আল্লাহ্ তা’লার প্রতি যতই কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করি না কেন তা কম হবে, কেননা তিনি আমাদের জলসায় সীমাহীন কৃপা বর্ষণ করেছেন আর উপস্থিত আহমদী-অ-আহমদী সবাই এর চাক্ষুস সাক্ষী হয়েছেন। আল্লাহ্ তা’লা বলেন, وَإِنْ تَعُدُّوا نِعْمَةَ اللَّهِ لَا تُحْصُوهَا অর্থাৎ যতই তোমরা আল্লাহ্ তা’লার নিয়ামতরাজিকে গণনা করতে চাও না কেন তা গণনা করে শেষ করতে পারবে না (সূরা আন্ নাহ্‌ল: ১৯)।
হুযূর (আই.) এরপর বলেন, আমাদের দুর্বলতা এত বেশি যে, আমরা সত্যিকার অর্থে তাঁর কৃতজ্ঞতাও জ্ঞাপন করতে পারব না। কিন্তু আমাদের জন্য নির্দেশ হলো, তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে যাওয়া আর এরূপভাবে তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করতে থাকলে আমাদের প্রতি তাঁর কৃপারাজি আরো অধিকহারে বর্ষিত হবে। কাজেই, আমাদের সর্বপ্রথম আল্লাহ্ তা’লার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করা উচিত। অনুরূপভাবে জলসায় অংশগ্রহণকারীদেরও আল্লাহ্ তা’লার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা উচিত, কেননা তিনি আমাদেরকে এ জলসায় অংশগ্রহণের সুযোগ করে দিয়ে আমাদের জ্ঞানগত এবং আধ্যাত্মিক তৃষ্ণা নিবারণের সুযোগ করে দিয়েছেন। এত বড় সমাবেশ সত্ত্বেও আল্লাহ্ তা’লা জলসার দিনগুলোতে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ থেকে আমাদের সুরক্ষা করেছেন। যদিও বর্তমানে এটি কিছুটা প্রভাব বিস্তার করছে বা কারো কারো করোনা হচ্ছে, কিন্তু এটি জলসার প্রভাব নয়। বরং সরকারের ঘোষণানুযায়ী স্বাভাবিকভাবেই অন্যান্য রোগের ন্যায় এখন এর সংক্রমণ বাড়ছে। যাহোক, আল্লাহ্ তা’লা প্রত্যেক রোগীকে আরোগ্য দান করুন।
হুযূর (আই.) এরপর কর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে বলেন, প্রত্যেকেই নিজ নিজ বিভাগের কাজ করার ক্ষেত্রে দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে এবং অসাধারণভাবে হাসিমুখে সমস্ত কাজ সম্পাদন করেছে। আল্লাহ্ তা’লা তাদের সবাইকে উত্তম প্রতিদান দিন। হুযূর (আই.) বলেন, এরপরও যদি কোনো ঘাটতি থেকে যায় ইনশাআল্লাহ্ আগামীতে তা দূর করার চেষ্টা করা হবে। সকল বিভাগে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে প্রত্যেকে অত্যন্ত পরিশ্রমের সাথে নিজেদের দায়িত্ব সম্পন্ন করেছে; অতিথিরা তাদের আচার-আচরণ দেখে মুগ্ধ হয়েছেন এবং তাদের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। আর এভাবে কর্মীদের নিরলস পরিশ্রম ও সকল কার্যক্রম নীরব তবলীগের ভূমিকা পালন করেছে। ট্রাফিক বিভাগের কর্মীরাও খুবই চমৎকারভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করেছেন।
এরপর হুযূর (আই.) বিভিন্ন দেশ থেকে আগত অতিথিদের ওপর জলসার কিরূপ ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে সে সম্পর্কে তাদের বিভিন্ন অভিব্যক্তি উল্লেখ করেছেন। বুরকিনা ফাসোর একজন চোখের ডাক্তার ও মেডিকেলের অধ্যাপক যিনি প্রথমবারের মতো সালানা জলসায় যোগদান করেছেন তিনি বলেন, সর্বপ্রথম যা দেখে আমি মুগ্ধ হয়েছি তা হলো, হাজার হাজার মানুষ এক ও অভিন্ন লক্ষ্যে এক নেতাকে কেন্দ্র করে একটি স্থানে সমবেত হয়েছে যাদের প্রত্যেকে ঐক্যবদ্ধ এবং সকলের উদ্দেশ্য এক। এছাড়া জলসার অসাধারণ ব্যবস্থাপনা এবং বিভিন্ন ভাষা, অঞ্চল ও বর্ণের মানুষজনের একসাথে এক জায়গায় অবস্থান করা আশ্চর্যজনক বিষয়। আমি তাদের মাঝে মিলেমিশে পর্যবেক্ষণ করেছি, কিন্তু কারো চেহারায় কোনোরূপ অসন্তুষ্টির ছাপ দেখতে পাই নি। তিনি আরো বলেন, বক্তৃতার মান ছিল অনেক উন্নত। যুগ খলীফার বক্তব্যগুলো আমি মনোযোগ দিয়ে শুনেছি। কুরআন ও হাদীসের শিক্ষার আদলে তিনি সেসব শিক্ষা বর্ণনা করেছেন। আমার মনে হয়েছে, বর্তমানে খোদা তা’লার বাণী অনুধাবন করা এবং অনুধাবন করানোর জন্য কোনো একজন এরূপ ব্যক্তি থাকা কতটা জরুরী। তাই আহমদীয়া জামাতে খিলাফত ব্যবস্থাপনা এমন এক ব্যবস্থাপনা যার কাছ থেকে বিশ্ববাসীর শিক্ষা নেয়া উচিত।
জলসা সালানায় যুক্তরাষ্ট্রের আইন বিভাগের বিশিষ্ট অধ্যাপক ডক্টর ব্র্যাড শও উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, “এত বড় সমাবেশ দেখে আমি খুবই অভিভূত। আমি বিভিন্ন সম্মেলন পরিচালনা করেছি, যেখানে রেজিষ্ট্রেশনের ব্যবস্থাপনা ছিল, তবে জলসায় কয়েক মিনিটের মধ্যে যেরূপ সুন্দর পদ্ধতিতে ও গোছানোভাবে রেজিষ্ট্রেশন করা হয়েছে তা অবাক করার মত বিষয় ছিল”। এছাড়া তিনি সমস্ত কর্মীদের নিরলস পরিশ্রমের ভুয়সী প্রশংসা করেছেন।
বেলিজের একজন মেয়রও জলসায় এসেছিলেন। তিনি বলেন, আমি আমার সমগ্র জীবনে কখনও এমন শান্তিপূর্ণ এবং সহানভুতিশীল মানুষ দেখিনি। তিনি বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, লোকেরা ইসলামকে সন্ত্রাসী ধর্ম আখ্যা দেয়। কিন্তু আমি যে আধ্যাত্মিক পরিবেশ এবং পারস্পরিক ভালোবাসা ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক দেখেছি তা সত্যিই প্রশংসনীয়। তিনি এতটাই অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন যে, তিনি মেয়র হিসেবে নয়, বরং একজন স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে আগামীতে জলসায় যোগদানের ইচ্ছা ব্যক্ত করেছেন। তিনি আরো বলেছেন, “আমি এমন মহান জলসা (সম্মেলন) কখনও দেখিনি। নিশ্চিতভাবে পৃথিবীর ভবিষ্যৎ হলো আহমদীয়াত”।
ঘানার পরিবেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের প্রধান প্রযুক্তিবিদ এবং জামা’তের বিশেষ অতিথি মাইকেল উইলসনও এ জলসায় উপস্থিত ছিলেন। তিনি জলসার পূর্বে সকল ব্যবস্থাপনার কার্যক্রম দেখে বিস্মিত হয়ে ব্যক্ত করেন যে, এটি খোদা তা’লার কৃপা ছাড়া সম্ভব নয়। এরপর জুমুআর দিন সম্পর্কে বলেন, “জলসার সমস্ত কর্মীর আন্তরিকতা আমাকে হতবাক করেছে। নিশ্চিতভাবে এটি খোদা তা’লার জামা’ত আর এসব কাজ খোদার সাহায্য ছাড়া সম্পাদন করা সম্ভব নয়”। বিভিন্ন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও শ্রেণী-পেশার মানুষজন এখানে কাঠ কাটা এবং পরিস্কার পরিচ্ছন্নের কাজ করছে। তিনি আন্তর্জাতিক বয়আত অনুষ্ঠান দেখেও অবাক হয়েছেন এবং ভবিষ্যতে পুনরায় তিনি জলসায় যোগদানের গভীর আগ্রহ ব্যক্ত করেছেন।
গাম্বিয়ার তথ্যমন্ত্রীও জলসায় উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, “আমি সমস্ত ব্যবস্থাপনা দেখে খুবই প্রভাবিত হয়েছি। তার চেয়েও আশ্চর্যের বিষয় হলো, এত বড় সমাবেশে কোথাও কোনো বিশৃঙ্খলা, অরাজকতা বা ঝগড়া-বিবাদের ঘটনা ঘটেনি!” তিনি আরো বলেন, “জামা’তের সদস্যদের তাদের খলীফার প্রতি ভালোবাসার দৃষ্টান্ত আর কোথাও পাওয়া যায় না। আমি একথা স্বীকার না করে থাকতে পারছি না যে, বর্তমানে পৃথিবীতে প্রকৃত ভাতৃত্ববোধের বাস্তব চিত্র একমাত্র আহমদিয়া মুসলিম জামা’তেই দৃশ্যমান, যেখানে সবাই হাসিমুখে বর্ণগোত্রভেদে পরস্পর এরূপভাবে মিশছে যেন তারা শত বছর ধরে একজন আরেকজনের পরিচিত”।
জলসা সালানায় প্রথমবার অংশগ্রহণকারী সেনেগালের একজন গভর্নর বলেন, “পরিপূর্ণ বিশ্বস্ততার সাথে আমি বলছি, যে ব্যবস্থাপনা আমি জলসায় দেখেছি তা আমি পূর্বে কখনো দেখিনি। খলীফার প্রতি আহমদীদের এরূপ ঐকান্তিক ভালোবাসা, যা ভাষায় বর্ণনা করা সম্ভব নয়। এই জলসায় আমি যে বিশেষ বিষয়টি লক্ষ্য করেছি তা হলো, মানুষের মধ্যে ত্যাগের স্পৃহা। এখানে প্রত্যেকে নিজের চেয়ে অন্যকে প্রাধান্য দিচ্ছিল। আমি ছাত্রজীবনে খিলাফত সম্পর্কে শুনেছিলাম কিন্তু সত্য ও প্রকৃত খিলাফত দর্শনের সৌভাগ্য কেবল আহমদীয়া জামা’তই লাভ করেছে। সমগ্র মুসলিম উম্মত যদি আহমদীয়া জামা’তের অনুসরণ করে তাহলে নিশ্চিতভাবে মুসলমানরা সফলকাম হবে”।
চিলি থেকে একজন খ্রিস্টান ধর্মযাজক এবং ধর্মতত্ত্ববিদ উপস্থিত ছিলেন। তিনি জামাতের ঐক্য ও ভ্রাতৃত্ব দেখে মুগ্ধ হয়েছেন। তিনি বলেন, তিনি বিশ্বব্যাপী খ্রিস্টানদের অনেক সম্মেলনে যোগদান করেছেন, কিন্তু স্বেচ্ছাসেবকদের দ্বারা সমন্বিত এত বিশাল সংগঠন তিনি আর কোথাও দেখেননি। তার মতে, জলসার সাফল্য তাদের খলীফাকে ঘিরে জামাতের ঐক্যের পরিচায়ক। তিনি বলেন, “জামাত একটি দেহ; খলীফা হলো মাথা এবং মস্তিষ্ক এবং সদস্যরা হলো অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ যা মস্তিষ্ক থেকে প্রেরিত নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করে”।
এরপর হুযূর (আই.) বলেন, সারা বিশ্বের আহমদী এবং অ-আহমদী যারা এমটিএ’র কল্যাণে নিজ নিজ স্থানে বসে জলসা শুনেছেন এবং দেখেছেন, তারাও নিজেদের অনুভূতি প্রকাশ করেছেন। কঙ্গো-ব্রাজভিলের একজন খ্রিস্টান অতিথি জলসার সমাপনী অধিবেশন দেখার জন্য সেখানকার জামা’তে যোগ দিয়েছিলেন। পরে তিনি বলেন, হুযূর (আই.) যা বলেছেন তা যদি বাস্তবায়িত হয়, তাহলে পৃথিবীতে একজন মানুষও ক্ষুধার্ত অবস্থায় ঘুমাতে যাবে না। তিনি বলেন, “‘আমাদের খলীফা’ যেভাবে ইসলামী শিক্ষাকে উপস্থাপন করেছেন তাতে আমার হৃদয় প্রশান্ত হয়েছে”। তিনি ব্যাখ্যাস্বরূপ বলেন, “‘আমাদের খলীফা’ বলার কারণ হলো, আজ থেকে আমিও আপনাদের সাথে আছি এবং তিনি এখন থেকে আমারও খলীফা”। এভাবে হুযূর (আই.) প্রায় ৩১জনের অভিব্যক্তি ও অনুভূতি উল্লেখ করেছেন। এরপর তিনি বলেন, অতিথিদের কাছ থেকে অনেক অনুভূতি এবং মন্তব্য পাওয়া গেছে, যার সবগুলি পড়া বা শোনানো সম্ভব নয়। আল্লাহ্ তা’লা করুন, জলসার এরূপ ইতিবাচক ফলাফল সৃষ্টি হোক যা প্রত্যেক আহমদীকে আল্লাহ্ তা’লার সাথে নিবিড় সম্পর্ক বন্ধনে আবদ্ধ করবে, সবাইকে ঈমান ও বিশ্বাসে সমৃদ্ধ করবে এবং প্রতিশ্রুত মসীহ্ (আ.)-এর আগমনের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য পূরণে সহায়ক হবে। এছাড়া অ-আহমদীদের ওপরও এই জলসার এমন স্থায়ী প্রভাব সৃষ্টি হোক যেন তা তাদের হিদায়াত লাভের কারণ হয় এবং তারা যেন ইসলামের শিক্ষাকে নিজেদের এবং সমগ্র পৃথিবীর মুক্তির উপায় মনে করে।
পরিশেষে হুযূর (আই.) বলেন, মিডিয়া বা প্রচার মাধ্যমেও জলসার কার্যক্রম ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয়েছে। আফ্রিকা মহাদেশের ২৪টি চ্যানেল জলসার অনুষ্ঠান সম্প্রচার করেছে যা ৪০মিলিয়নের অধিক মানুষের কাছে জামা’তের সংবাদ পৌঁছে দিয়েছে। এছাড়া ৭২টি নিউজ রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে যা ৫০ মিলিয়ন লোকের কাছে পৌঁছেছে। ৪১টি ওয়েবসাইটে জলসার সংবাদ প্রচারিত হয়েছে, যাদের পাঠক সংখ্যা প্রায় ১৯ মিলিয়ন। অধিকন্তু সংবাদপত্রের মাধ্যমে ১৫টি সংবাদ আনুমানিক ৫ মিলিয়ন পাঠকের কাছে পৌঁছেছে। অনুরূপভাবে বিবিসি সহ বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেল জলসার বরাতে ১৪টি সংবাদ প্রচার করেছে যাদের দর্শক সংখ্যা প্রায় ২০ মিলিয়ন এবং ৩৭টি রেডিও স্টেশনেও জলসার সংবাদ প্রচার করেছে যাদের শ্রোতাসংখ্যা প্রায় ৮ মিলিয়ন। যাহোক, আল্লাহ্ তা’লার কৃপায় জলসার সংবাদ বিশ্বব্যাপী প্রচারিত হয়েছে এবং সর্বত্র ইসলাম এবং আহমদীয়াতের পরিচিতি ছড়িয়ে পড়েছে। আল্লাহ্ তা’লা আমাদেরকে তাঁর বিনয়ী এবং কৃতজ্ঞ বান্দা হয়ে সর্বদা নিজেদের সংশোধনের প্রতি মনোযোগ দেওয়ার তৌফিক দান করুন এবং প্রতিশ্রুত মসীহ্ (আ.)-এর আগমনের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য পূর্ণ করার তৌফিক দান করুন, আমীন।