সালানা জলসা যুক্তরাজ্য ২০২৩: অতিথি ও কর্মীদের জন্য উপদেশ ও নির্দেশনা

হযরত মির্যা মসরূর আহমদ - খলীফাতুল মসীহ্‌ আল্‌ খামেস (আই.)

২৮-জুলাই, ২০২৩

হাদীকাতুল মাহ্‌দী, এলটন, যুক্তরাজ্য

জুমুআর খুতবার সারমর্ম


এই জুমু’আর খুতবার সারাংশটিতে কোনো প্রকার ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকলে তার দায়ভার আহ্‌মদীয়া বাংলা টীম গ্রহণ করছে।

নিখিলবিশ্ব আহমদীয়া মুসলিম জামাতের বর্তমান ইমাম ও আমীরুল মু’মিনীন হযরত মির্যা মসরূর আহমদ খলীফাতুল মসীহ্ আল্ খামেস (আই.) গত ২৮শে জুলাই, ২০২৩ইং তারিখে হাদীকাতুল মাহদীর জলসা গাহে “সালানা জলসা যুক্তরাজ্য ২০২৩: অতিথি ও কর্মীদের জন্য উপদেশ ও নির্দেশনা” বিষয়ক জুমুআর খুতবা প্রদান করেন। প্রদত্ত জুমুআর খুতবায় সালানা জলসায় অংশগ্রহণকারী অতিথি এবং কর্মীদের দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে বিস্তারিত আলোকপাত করেন।
তাশাহ্‌হুদ, তাআউয এবং সূরা ফাতিহা পাঠের পর হুযূর (আই.) বলেন, আজ আল্লাহ্ তা’লার অশেষ কৃপায় যুক্তরাজ্য জামাতের বার্ষিক সম্মেলন আরম্ভ হচ্ছে। আল্লাহ্ তা’লার ফযলে এখানে সালানা জলসা সূচনার প্রায় চার দশক হয়ে গেছে। প্রাথমিক যুগে এখানে যুক্তরাজ্য জামাতকে অনেক কিছু শেখাতে হয়েছে। সে সময় হযরত খলীফাতুল মসীহ্ রাবে (রাহে.) স্বাগ্রহে তাদেরকে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা প্রদান করেছেন। ১৯৮৫ সালে প্রথমবার খলীফার উপস্থিতিতে নিয়মিত যে জলসা শুরু হয়েছিল তাতে প্রায় ৫০০০ মানুষ অংশগ্রহণ করেছিল। তথাপি তখন অনেক চিন্তার কারণ ছিল যে, আয়োজকরা কীভাবে এত লোকের আয়োজন করবেন বা আতিথেয়তা করবেন! আল্লাহ্ তা’লার কৃপায় এখন তো বিভিন্ন সংগঠনের ইজতেমাতেও এর চেয়ে অধিক মানুষ অংশগ্রহণ করে আর তারা অত্যন্ত সুন্দরভাবে এগুলোর আয়োজন করে থাকেন। এ দৃষ্টিকোণ থেকে যুক্তরাজ্য জামাত অনেক অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে। কিন্তু এবার তিন চার বছর পর ব্যাপক পরিসরে জলসার আয়োজন করা হচ্ছে, তাই সার্বিকভাবে ব্যবস্থাপনা চিন্তিত যে, ৪০ হাজারের অধিক অংশগ্রহণকারীকে তারা কীভাবে সামলাবে? কিন্তু আল্লাহ্ তা’লার কৃপায় আমাদের কর্মীরা এখন যথেষ্ট দক্ষ। তারা ইনশাআল্লাহ্ এ কাজ খুব সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে পারবেন বলে আমার বিশ্বাস।
হুযূর (আই.) বলেন, যদি আমরা আল্লাহ্ তা’লার কৃপাসমূহকে আকৃষ্ট করার দিকে মনোযোগী হই তাহলে আল্লাহ্ তা’লা আমাদের সকল দুশ্চিন্তা দূর করে দিবেন, ইনশাআল্লাহ্। আমাদের কাজ, আমাদের কর্মদক্ষতা বা অভিজ্ঞতার কারণে সফল হয় না, বরং আল্লাহ্ তা’লার কৃপার কল্যাণে আমরা সফলতা লাভ করি। অতএব আমরা নিঃস্বার্থভাবে প্রতিশ্রুত মসীহ্ (আ.)-এর সেসব অতিথির সেবার জন্য নিজেদেরকে উপস্থাপন করেছি যারা খোদার খাতিরে এখানে উপস্থিত হয়েছেন। তাই খোদা তা’লার সন্তুষ্টির জন্য যতদিন দায়িত্ব আছে যথাযথভাবে পালন করুন। একইসাথে আল্লাহ্ তা’লার প্রাপ্য অধিকার প্রদান করুন, ঠিকভাবে সকল ইবাদত পালন করুন। কেবলমাত্র ডিউটি প্রদান করে এটি মনে করা উচিত নয় যে, আমাদের লক্ষ্য পূরণ হয়ে গেছে। বরং আল্লাহ্ তা’লার ইবাদত পালন ছাড়া আমাদের লক্ষ্য কখনো পূরণ হতে পারে না।
হুযূর (আই.) এরপর জলসায় অংশগ্রণকারীদের উদ্দেশ্যে বলেন, কারো এটি মনে করা উচিত নয় যে, “আমি যা বলছি তা কথার কথা বলছি আর আপনারা শুধু শুনেছেন, এতটুকুই যথেষ্ট। না! বরং এর ওপর আমল করা জরুরী। সর্বপ্রথম এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, এখানে আগত ব্যক্তিরা হযরত মসীহ্ মওউদ (আ.)-এর একথাকে সর্বদা স্মরণ রাখবেন যে, জলসা কোনো পার্থিব মেলা নয়। এ জলসায় অংশগ্রহণের একটি উদ্দেশ্য রয়েছে আর তা হলো, আমাদের জ্ঞানগত এবং আধ্যত্মিক মানকে উন্নত করা। অধিকন্তু আল্লাহ্ তা’লা ও তার রসূলের প্রতি ভালোবাসা হৃদয়ে সৃষ্টি করা। যদি এরূপ চিন্তা থাকে তাহলে পার্থিব বিষয়াদির দিকে দৃষ্টি যাবে না। আর যখন এমনটি হবে তখন জলসার ব্যবস্থাপনার মাঝে কোনো ত্রুটি থাকলেও সেদিকে আর আপনারা ভ্রুক্ষেপ করবেন না।
অতএব সর্বপ্রথম কথা হলো, জলসায় আগত সবাই জলসার অধিবেশন চলাকালীন এদিক সেদিকে ঘোরাঘুরি না করে জলসার অনুষ্ঠান শুনবেন এবং অধিবেশনের মাঝের ফাঁকা সময়গুলোকেও উত্তমভাবে কাজে লাগোবেন অর্থাৎ, বিভিন্ন বুক স্টল, প্রদর্শনী, আর্কাইভ এবং তবলীগি স্টলগুলোতে ঘুরে ঘুরে কল্যাণমণ্ডিত হওয়ার চেষ্টা করবেন”। হুযূর (আই.) বলেন, এমনটি করলে পারস্পরিক ভালোবাসা ও হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্কও সৃষ্টি হবে। এমন সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি হবে যা প্রকৃত মু’মিনদের পরিবেশ হয়ে থাকে।
হুযূর (আই.) আরো বলেন, “দুবর্লতা, ত্রুটি অন্বেষণ ও অভিযোগ-অনুযোগ করতে থাকলে হাজারো দুর্বলতা ও ত্রুটি চোখে পড়বে। এত বড় ব্যবস্থাপনায় ত্রুটি থাকাটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এসব বিষয়ে অভিযোগ-অনুযোগ না করে হাসিমুখে বরণ করে নেয়া উচিত। একবার হযরত মসীহ্ মওউদ (আ.) কোথাও সফরে গিয়েছিলেন। তিনি কোনো কারণে যথাসময়ে রাতের খাবার খেতে পারেন নি, পরবর্তীতে যে খাবার ছিল তা শেষ হয়ে গিয়েছিল। ক্ষুধা লাগলে তিনি যখন খাবার চান তখন সবাই উৎকণ্ঠিত হয়ে পড়েন যে, কীভাবে আর কোথা থেকে খাবার দেয়া হবে? এরপর গভীর রাতে খাবার রান্না করতে চাইলে হযরত মসীহ্ মওউদ (আ.) বলেন, চিন্তার কিছু নাই। দস্তরখানে রুটির যেসব টুকরো অবশিষ্ট আছে সেগুলোই দাও। এরপর তিনি হাসিমুখে সেসব রুটির টুকরো খেয়ে নেন। অনুরূপভাবে এখানেও রুটি সরবরাহকারীদের সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকে ভালো রুটি বানানোর, কিন্তু কখনো কখনো কমবেশি হয়ে যায়। তাই সামান্য কোনো ত্রুটি থাকলে সেটি উপেক্ষা করা উচিত”।
অতঃপর হুযূর (আই.) বলেন, “অতিথিদের এটি স্মরণ রাখা উচিত যে, এখানে যারা খাবার রান্না করছেন বা অন্য কোনো কাজ করছেন তারা এসব কাজের জন্য বিশেষভাবে পারদর্শী নয়; তারাও স্বেচ্ছাসেবী। তাই যে নিষ্ঠা ও আবেগের সাথে তারা কাজ করছেন তাদেরকে সাধুবাদ জানানো উচিত। উন্নত চরিত্র প্রদর্শন এবং হাস্যোজ্জল থাকা শুধুমাত্র কর্মীদের কাজ নয়, বরং অংশগ্রহণকারীদেরও এসব বৈশিষ্ট্য প্রদর্শন করা উচিত। হাস্যোজ্জল থাকা ঈমানের অংশ এবং সদকাস্বরূপ”।
প্রতিশ্রুত মসীহ্ (আ.) অতিথিদের উদ্দেশ্য করে এক স্থানে বলেন, নিজ সত্তার ওপর নিজের ভাইকে প্রাধান্য দেয়া কোনো সাধারণ বিষয় নয়। তাই বলা হয়েছে, এর সম্পর্ক ঈমানের সাথে। আত্মোৎসর্গতা এবং অন্যের অধিকার প্রদানের স্পৃহা না থাকলে তার ঈমানই ঠিক থাকে না। তিনি (আ.) বলেন, বান্দার প্রাপ্য অধিকার প্রদান করা অনেক কঠিন কাজ। অনেক সময় আল্লাহ্‌র অধিকার তো প্রদান করা হয়ে যায়, কিন্তু বান্দার অধিকার প্রদান করা কঠিন কাজ। উদাহরণস্বরূপ, কেউ কোন কঠোর বা কটু কথা বললে আমিও তাকে এর জবাবে কটুক্তি করে দিলাম তাহলে আমার প্রতি পরিতাপ! কেননা আমার উচিত ছিল তার জন্য দোয়া করা।
হুযূর (আই.) বলেন, এটি সেই সমাজব্যবস্থা যা ইসলাম প্রতিষ্ঠা করতে চায় আর হযরত মসীহ্ মওউদ (আ.) তার অনুসারীদের কাছে এটিই দেখতে চান। যাদের মাঝে দুর্বলতা আছে তাদের জন্য দোয়া করা উচিত। অতএব এ শিক্ষা কেবল অ-আহমদীদের জন্যই সীমাবদ্ধ নয়, বরং আমাদের কাছেও এরূপ উন্নত মানের আচরণের দাবি রাখে। আমাদের নিজেদের হৃদয়কে অন্যদের জন্য সহানুভূতিশীল করা উচিত। হুযূর (আই.) বলেন, যদি একে অপরের দোষত্রুটি উপেক্ষার এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা করেন তাহলে আপনারা সেই উদ্দেশ্য পূর্ণকারী হবেন যে উদ্দেশ্যে আমরা এখানে উপস্থিত হয়েছি। অনেক সময় কেউ কেউ নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গালমন্দ করতে আরম্ভ করে, এমনকি হাতাহাতি পর্যন্ত করে ফেলে। যদি অবস্থা এমন হয় যে, কেউ নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারছেন না তাহলে তার জন্য জলসায় অংশগ্রহণ না করাই উত্তম।
গাড়ি পার্কিং এর বিষয়ে প্রায়শই ঝামেলা দেখা দেয়। গাড়ির সংখ্যানুযায়ী পার্কিংয়ের স্থান ঠিক করা হয়েছে, কিন্তু তারপরও স্থান সংকীর্ণ। তাই স্থান সংকুলান না হওয়ার কারণে যদি অন্য কোথাও আপনাদের গাড়ি পার্কিংয়ের নির্দেশ দেয়া হয় তাহলে সেটি হাসি মুখে মেনে নেয়া উচিত, ব্যবস্থাপনার সীমাবদ্ধতা বুঝা উচিত। আল্লাহ্ তা’লা করুন পারস্পরিক দ্বন্দ্বের একটি ঘটনাও যেন এবার পরিলক্ষিত না হয়। আল্লাহ্ তা’লা অতিথিদেরও তৌফিক দিন তারা যেন কর্মীদের কোনো সমস্যায় না ফেলেন।
হযরত মসীহ্ মওউদ (আ.) অন্যত্র বলেন, “পুণ্য কেবল এ কারণে করা উচিত যে, খোদা তা’লা সন্তুষ্ট হবেন এবং তাঁর নির্দেশ পালন করা হবে। একারণে নয় যে, এর প্রতিদান পাবো”। যদিও একথা সত্য যে, খোদা তা’লা কারো পুণ্যকে নষ্ট করেন না তথাপি ঈমান তখনই পরিপূর্ণতা লাভ করে যখন এই ধারণা হৃদয় থেকে সরে যায় অর্থাৎ, পুণ্যকারীর প্রতিদানের আকাঙ্খা থাকা উচিত নয়। এরপর হুযূর (আই.) বলেন, কোনো কোনো অতিথির আরামের প্রতি মনোযোগ থাকে, তাদেরকে যথাসম্ভব আপ্যায়ন করুন। যতটুকু সামর্থ্য আছে তাদেরকে সরবরাহ করুন, কিন্তু অতিথিদের এ বিষয়টি মাথায় রাখা উচিত যে, সবকিছু সরবরাহ করা সম্ভব হয় না। তাই সর্বাবস্থায় ধৈর্য অবলম্বন ও সন্তুষ্ট থাকা উচিত। অনেক এমন অতিথি রয়েছে যারা যে কোনো ধরণের পরিস্থিতি মেনে নেয়, যদিও সেই পরিস্থিতিতে থাকতে তাদের কষ্ট হয়। এর বিপরীতে কিছু এমন মানুষও রয়েছে যাদের অনেক অভিযোগ থাকে। যারা খুশি মনে যে ব্যবস্থা করা হয় তা-ই মেনে নেয়, তারা আল্লাহ্‌র সন্তুষ্টি অর্জনকারী হবে। যাহোক, অতিথিসেবকের জন্য আবশ্যক হলো, অতিথিদের আরামের ব্যবস্থা করা আর অতিথির উচিত সর্বাবস্থায় ধৈর্য ধারণ করা।
একবার এক ব্যক্তি মহানবী (সা.)-কে নিবেদন করেন, কোন্ ইসলাম সবচেয়ে উত্তম? তিনি (সা.) বলেন, অভাবীকে খাবার খাওয়াও এবং পরিচিত বা অপরিচিত সবাইকে সালাম প্রদান করো। সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য সালাম অনেক গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমানে অনেকে ঠিকভাবে দু’বেলা খেতে পারে না, তাদের সাহায্যের প্রতি দৃষ্টি দেয়া উচিত। অনুরূপভাবে সালাম শুধু মুখে বলে দেয়াই যথেষ্ট নয়, বরং আন্তরিকভাবে তার শুভাকাঙ্ক্ষী হওয়া উচিত। অতএব এ কয়েকদিনে প্রত্যেক আহমদীকে শ্রেণীভেদে আন্তরিক সালাম প্রদানের চেষ্টা করে যাওয়া উচিত, যেন জলসার পরিবেশ শান্তি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ হয়।
এরপর জলসার ব্যবস্থাপনার পক্ষ থেকে হুযূর (আই.) সবাইকে উদ্দেশ্য করে বলেন, জলসার সকল বক্তৃতা মনোযোগ দিয়ে শুনুন। এমন নয় যে, পছন্দের বক্তার বক্তৃতা শুনবেন আর অন্যদের বক্তৃতা শুনবেন না। হযরত মসীহ্ মওউদ (আ.) এ বিষয়টি খুবই অপছন্দ করেছেন। জলসার দিনগুলোতে যিকরে এলাহী এবং দরূদ পাঠের প্রতি বিশেষ মনোযোগ দিন। আজ ১০ই মহররম, আজকের দিনেও অধিক হারে দরূদ শরীফ পাঠ করা উচিত। মহানবী (সা.)-এর বিজয় এবং তাঁর আনীত শরীয়ত সর্বত্র প্রতিষ্ঠার জন্য বেশি বেশি দোয়া করুন। নামমাত্র যেসব মুসলমান ইসলামের দুর্নাম করছে আল্লাহ্ তা’লা তাদেরকেও বিবেক দিন এবং তাদেরকে যুগ ইমামকে মান্য করার তৌফিক দিন। এ দিনে মহানবী (সা.)-এর জাগতিক বংশধরের ওপর অত্যাচার করা হয়েছিল আর দুস্কৃতকারীরা বর্তমান যুগে তাঁর আধ্যাত্মিক বংশধরদের ওপর নির্যাতন করে যাচ্ছে। তাদের দাবি হলো, আমরা মুহাম্মদ (সা.)-কে মানি না। অথচ প্রকৃতপক্ষে আমরা মুহাম্মদ (সা.)-কে মান্য করি বলেই প্রতিশ্রুত মসীহ্ (আ.)-কে মেনেছি। হযরত মসীহ্ মওউদ (আ.) বহু স্থানে একথা বলেছেন যে, “আমি যা কিছু পেয়েছি তা মুহাম্মদ (সা.)-এর ভালোবাসা ও তাঁর প্রতি দরূদ প্রেরণের কারণেই পেয়েছি”। অতএব তোমরা আমাকে কীভাবে মুহাম্মদ (সা.)-এর চেয়ে পৃথক মনে করতে পারো। এমনকি ফিরিশ্তারা তার দরূদ প্রেরণের বিষয়টিকে সত্যায়ন করেছেন। যাহোক, এ দিনগুলোতে অনেক বেশি দরূদ পাঠ করুন।
পরিশেষে হুযূর (আই.) বলেন, বিশেষভাবে নারীরা এদিকে খেয়াল রাখুন আপনাদের ছোট সন্তানরাও যেন জলসার অধিবেশন শুনে। তাদেরকে পাশে নিয়ে বসুন। বাচ্চাদেরকে নিয়ে যেসব নারীরা এক তাঁবু বসেন তাদের নিজেদের মাঝে অধিক কথা বলা থেকে বিরত থেকে জলসার বক্তৃতা শ্রবণের প্রতি মনোযোগ দেয়া উচিত। অনুরূপভাবে নিরাপত্তার বিষয়ে পুরুষ ও নারীদের অংশে দায়িত্বপ্রাপ্তরা অনেক বেশি সতর্ক থাকুন। আল্লাহ্ তা’লা সবাইকে এ জলসা থেকে উত্তমভাবে উপকৃত হওয়ার তৌফিক দিন, সর্বপ্রকার মন্দ থেকে রক্ষা করুন এবং স্বীয় কৃপাবারী আমাদের প্রতি অবতীর্ণ করতে থাকুন। (আমীন)