মহানবী (সা.)-এর জীবনী: বদর যুদ্ধের আগের ঘটনাবলী
হযরত মির্যা মসরূর আহমদ - খলীফাতুল মসীহ্ আল্ খামেস (আই.)
১৬-জুন, ২০২৩
মসজিদ মুবারক, ইসলামাবাদ, টিলফোর্ড, যুক্তরাজ্য
ডাউনলোড
জুমুআর খুতবার সারমর্ম
এই জুমু’আর খুতবার সারাংশটিতে কোনো প্রকার ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকলে তার দায়ভার আহ্মদীয়া বাংলা টীম গ্রহণ করছে।
নিখিলবিশ্ব আহমদীয়া মুসলিম জামাতের বর্তমান ইমাম ও আমীরুল মু’মিনীন হযরত মির্যা মসরূর আহমদ খলীফাতুল মসীহ্ আল্ খামেস (আই.) গত ১৬ই জুন, ২০২৩ইং ইসলামাবাদের মসজিদে মুবারকে “মহানবী (সা.)-এর জীবনী: বদর যুদ্ধের আগের ঘটনাবলী” বিষয়ক জুমুআর খুতবা প্রদান করেন। প্রদত্ত জুমুআর খুতবায় বদরের যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে কাফির ও মুসলমানদের রণপ্রস্তুতি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন। খুতবার শেষাংশে হুযূর (আই.) সম্প্রতি প্রয়াত কতিপয় নিষ্ঠাবান আহমদীর স্মৃতিচারণ করেন ও নামাযান্তে তাদের গায়েবানা জানাযা পড়ান।
তাশাহ্হুদ, তা’আউয ও সূরা ফাতিহা পাঠের পর হুযূর (আই.) বলেন, মক্কার কাফিরদের যুদ্ধের প্রস্তুতি সম্পর্কে আলোচনা হচ্ছিল। এর বিস্তারিত বিবরণ হলো, কাফির নেতা উমাইয়্যা বিন খাল্ফ এবং আবু লাহাব যুদ্ধে যেতে ইতস্তত করছিল। উমাইয়্যার যুদ্ধে যেতে অনীহার কারণ ছিল, মহানবী (সা.) উমাইয়্যা সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন যে, সে নিহত হবে। হযরত সা’দ (রা.) কাবাগৃহ তওয়াফ করতে গিয়ে উমাইয়্যাকে এ ভবিষ্যদ্বাণী শুনিয়েছিলেন। একথা শুনে উমাইয়্যা ও তার স্ত্রী উভয়ে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে অকপটে স্বীকার করেছিল যে, খোদার কসম! মুহাম্মদ (সা.) কখনো মিথ্যা বলেন না। অনুরূপভাবে আবু লাহাবের যুদ্ধে যেতে অনীহার কারণ ছিল আতেকা বিনতে আব্দুল মুত্তালিবের একটি স্বপ্ন, যা তিনি যমযমের মক্কায় পৌঁছানোর তিন দিন পূর্বে কুরাইশদের ধ্বংসের ব্যাপারে দেখেছিলেন। তবে তারা যুদ্ধে না গেলে সাধারণ কুরাইশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে এ আশঙ্কায় আবু জাহ্ল ও অন্যান্য কুরাইশ নেতারা তাদেরকে ধিক্কার প্রদানপূর্বক যুদ্ধে যেতে উদ্বুদ্ধ করে এবং রণক্ষেত্র পর্যন্ত না হলেও নিদেনপক্ষে মক্কা থেকে দু’তিন মাইল পর্যন্ত যাওয়ার অনুরোধ করে। তখন উমাইয়্যা যেতে সম্মত হলেও আবু লাহাব মোটা অঙ্কের অর্থ দিয়ে তার পরিবর্তে আরেকজনকে যুদ্ধে প্রেরণ করে। পরবর্তীতে মহানবী (সা.)-এর ভবিষ্যদ্বাণী অনুযায়ী বদরের প্রান্তরে উমাইয়্যা এবং বড় বড় কুরাইশ নেতারা নিহত হয়েছিল।
হুযূর (আই.) বলেন, কাফিররা মক্কা থেকে যাত্রার প্রাক্কালে এ ভেবে শঙ্কিত হয় যে, বনু কেনানার শাখাগোত্র বনু বকর আমাদের অনুপুস্থিতিতে আবার মক্কায় আক্রমণ করে বসবে না তো? সে সময় বনু কেনানার এক নেতা সুরাকা বিন মালেক, যে মক্কায় অবস্থান করত সে তাদের পক্ষ থেকে মক্কায় কোনো প্রকার আক্রমণ হতে দিবে না মর্মে তাদেরকে আশ্বস্ত করে। বলাবাহুল্য, মুসলমানদের বিরোধিতায় সুরাকা বিন মালেক এতটাই উৎসাহী ছিল যে, সে কুরাইশদের সাথে বদরের প্রান্তর পর্যন্ত গিয়েছিল, কিন্তু যুদ্ধের পূর্বেই মুসলমানদের ঈমানী অবস্থা দেখে সে ভীতত্রস্ত হয়ে মক্কায় ফিরে আসে। মক্কা থেকে যাত্রার পূর্বে কুরাইশরা কাবাগৃহে গিয়ে দোয়া করে, “হে খোদা! আমাদের উভয় দলের মাঝে যে দল সত্যের ওপর প্রতিষ্ঠিত এবং তোমার দৃষ্টিতে অধিক সম্ভ্রান্ত ও অধিক উত্তম তুমি তাদের সাহায্য করো আর অপর দলকে লাঞ্ছিত ও অপদস্থ করো”। এরপর কাফির সেনাদল চরম দাম্ভিকতার সাথে মক্কা থেকে যাত্রা আরম্ভ করে। প্রকারান্তরে এভাবে যুদ্ধের পূর্বে তারা নিজেরাই নিজেদের ধ্বংসের জন্য দোয়া করেছিল।
লিপিবদ্ধ আছে, মক্কার কাফিরদের সৈন্য সংখ্যা প্রথমদিকে ছিল ১৩০০জন। কিন্তু বনু যোহরা এবং বনু আদী বিন কাব’ গোত্রের লোকেরা তাদের সঙ্গ ত্যাগ করে চলে যাওয়াতে কাফিরদের সংখ্যা ৯৫০ থেকে ১০০০-এ এসে দাঁড়ায়। তাদের কাছে ১০০ বা ২০০টি ঘোড়া, ৭০০ উট, ৬০০ লৌহবর্ম এবং অন্যান্য যুদ্ধাস্ত্র যেমন বর্শা, তরবারী, তীর প্রভৃতি যথেষ্ট সংখ্যায় ছিল। কুরাইশ বাহিনীর মক্কা থেকে যাত্রা করার পর যুহাইম বিন সালাত স্বপ্নে দেখে যে, এক ব্যক্তি ঘোড়ায় চড়ে এসে বলছে, উতবা বিন রবীয়া নিহত হয়েছে, শায়বা বিন রবীয়া নিহত হয়েছে, আবু জাহ্ল নিহত হয়েছে। এভাবে সে বলতে থাকে যে, অমুক অমুক নেতা নিহত হয়েছে। এরপর সে তার উটের গৃবায় বর্শাদ্বারা আঘাত করে আমাদের শিবিরের দিকে ছেড়ে দেয় যেটি আমাদের শিবিরে এমনভাবে ঘুরে বেড়াতে থাকে যার ফলে প্রতিটি তাঁবু উটের রক্তে রঞ্জিত হয়ে যায়।
হুযূর (আই.) বলেন, পূর্বেই উল্লেখ করা হয়েছে যে, আবু সুফিয়ান বদরের প্রান্তরকে ডানে রেখে সমুদ্র তীরবর্তী এলাকা দিয়ে মক্কাভিমুখে অগ্রসর হয়েছিল। সে নিরাপদ স্থানে পৌঁছে যখন জানতে পারে যে, মক্কার কুরাইশ সেনাদল তাদের সাহায্যার্থে যাত্রা করেছে তখন আবু জাহ্লকে সংবাদ পাঠায় যে, যুদ্ধ করার প্রয়োজন নেই, তোমরা ফিরে চলে আস। কেননা তোমরা যে কাফেলা ও বাণিজ্যিক পণ্য রক্ষার উদ্দেশ্যে বের হয়েছিলে, তা এখন নিরাপদে আছে। আবু জাহ্ল একথা শুনে বলে, “খোদার কসম! আমরা ফিরে যাবো না বরং আমরা বদরের প্রান্তরে পৌঁছে তিনদিন অবস্থান করব। উট জবাই করে পানাহারের আয়োজন করব, মদ্যপান ও গানবাজনার ব্যবস্থা করব যেন সমগ্র আরব আমাদের আগমনের ব্যাপারে জানতে পারে”। তাদের ধারণা ছিল এমনটি করলে তাদের ব্যাপারে আরববাসীর হৃদয়ে একপ্রকার ত্রাস সৃষ্টি হবে। যাহোক, এরপর কাফিরদের সৈন্যদল অগ্রসর হতে থাকে এবং বদরের পেছনে একটি টিলার ওপর শিবির স্থাপন করে।
অন্যদিকে মহানবী (সা.) ২য় হিজরীর ১২ই রমযান, মুহাজির ও আনসার উভয় দলের প্রায় তিন শতাধিক মুসলমান সদস্যকে নিয়ে বদরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। কোনো কোনো বর্ণনানুযায়ী মুসলমানদের সংখ্যা ছিল ৩১৩। লিখিত আছে, বাইবেলে উল্লিখিত জাদউনের ঘটনার সাথে এ ঘটনার সাদৃশ্য রয়েছে। তালূতের সৈন্যবাহিনীর ন্যায় খোদা তা’লা যদিও মুহাম্মদ (সা.)-কে পূর্বেই এ যুদ্ধ সম্পর্কে অবহিত করেছিলেন, কিন্তু প্রথমে সাহাবীদেরকে একথা বলতে বারণ করেছিলেন। পরবর্তীতে রণাঙ্গনে পৌঁছে তাদেরকে যুদ্ধের কথা জানানো হয়। এর নেপথ্যে হয়ত প্রজ্ঞা এটিই হবে যে, তাদের সংখ্যাও যেন ৩১০ জনের অধিক না হয়। এ অভিযানে মুসলমানদের কাছে ৫টি; মতান্তরে কেবলমাত্র ২টি ঘোড়া, ৬০টি লৌহবর্ম এবং ৭০-৮০টি উট ছিল। সাহাবীগণ পালাক্রমে উটগুলোতে চড়তেন। মহানবী (সা.), হযরত আলী (রা.) এবং হযরত আবু মারসাদ বিন মারসাদ (রা.) পালাক্রমে একটি উটে আরোহণ করতেন। যখন মহানবী (সা.)-এর পায়ে হাঁটার পালা আসল তখন আবু মারসাদ বলেন, “হে আল্লাহ্র রসূল! আপনি উটের ওপরেই আরোহণ করে থাকুন। আপনার পরিবর্তে আমরা হাঁটছি”। কিন্তু মহানবী (সা.) বলেন, “তোমরা আমার ন্যায় শক্তিশালী নও আর আমিও তোমাদের ন্যায় পুণ্য লাভের ক্ষেত্রে অমুখাপেক্ষী নই”।
হুযূর (আই.) যুদ্ধে যেতে আগ্রহী কতিপয় নিষ্ঠাবান সাহাবীর ঘটনা তুলে ধরেন যাদের অনেকে যুদ্ধে যেতে চাওয়া সত্ত্বেও মহানবী (সা.) বিশেষ কারণে তাদেরকে মদীনায় থেকে যাওয়ার নির্দেশ দেন। হযরত উসমান (রা.)-কে মদীনায় থেকে যাওয়ার নির্দেশ দেন কেননা তাঁর স্ত্রী হযরত রুকাইয়া বিনতে রসূলুল্লাহ্ (সা.) অসুস্থ ছিলেন। উম্মে ওরাকা বিনতে নওফেল মহানবী (সা.)-কে বলেন, “আমিও যুদ্ধে যেতে চাই। আমি আহতদের সেবা-শুশ্রূষা করব যাতে আল্লাহ্ তা’লা আমাকে শাহাদতের মর্যাদা দান করেন”। মহানবী (সা.) বলেন, “তুমি মদীনায়ই অবস্থান করো; শাহাদতের মর্যাদা লাভ করবে”। পরবর্তীতে মহানবী (সা.) এবং তাঁর সাহাবীরা তাকে শাহীদা বলে ডাকতেন। হযরত উমর (রা.)-এর খিলাফতের যুগে তাকে এক দাস ও দাসী মিলে একটি চাদরে পেঁচিয়ে অজ্ঞান করে শহীদ করেছিল। কারণ, তিনি ওসীয়্যত করেছিলেন যে, “আমার মৃত্যুর পর তারা স্বাধীন বা মুক্ত হয়ে যাবে”। এরপর হযরত উমর (রা.)’র নির্দেশ হন্তারকদের ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল। হযরত আবু উমামা বিন সালাবা (রা.)’র মা অসুস্থ থাকার কারণে তিনি (সা.) তাকে মদীনায় অবস্থানের নির্দেশ দেন। হযরত সা’দ বিন উবাদাহ্ (রা.)’কে সাপে ছোবল দেয়ার কারণে তাকেও মদীনায় থেকে যেতে হয়। অনুরূপভাবে তিনি (সা.) পথিমধ্যে একস্থানে থেমে স্বল্প বয়স্কদের ফেরত চলে আসতে বলেন। তাদের মাঝে একজন ছিল উমায়ের বিন আবী ওয়াক্কাস। হযরত মুসলেহ্ মওউদ (রা.) বলেন, বর্তমান যুগে মানুষ ইসলামের জন্য কুরবানী করার প্রশ্ন আসলে পেছনে সরে যেতে চায় কিন্তু মহানবী (সা.)-এর সংস্পর্শে সাহাবীদের অবস্থা এমন হয়েছিলে যে, এক কিশোর যুদ্ধে যেতে প্রস্তুত হয়ে যায় এবং মহানবী (সা.) ছোটদের ফেরত পাঠানোর নির্দেশ প্রদান করলে সে পায়ের আঙ্গুলের ওপর ভর করে দাঁড়িয়ে দীর্ঘকায় হওয়ার ভান করছিল। এছাড়া যুদ্ধে যেতে পারবে না দেখে সে এতটাই কাঁদতে থাকে যে, মহানবী (সা.) শেষ পর্যন্ত তাকে অনুমতি প্রদান করেন এবং সে যুদ্ধে অংশগ্রহণের মাধ্যমে শাহাদতও বরণ করে।
মহানবী (সা.) সাহাবীদের জন্য এ দোয়া করেছিলেন, “হে আল্লাহ্! এরা নগ্ন পায়ে পথচারী, তাদেরকে বাহন দান করো। এরা নগ্ন দেহবিশিষ্ট, তাদেরকে পোশাক প্রদান করো। এরা ক্ষুধার্ত, এদের ক্ষুধা মিটিয়ে দাও। এরা দরিদ্র-অসহায়, এদেরকে সম্পদশালী বানিয়ে দাও”। পরবর্তীতে এ দোয়া গৃহীত হয়েছে এবং বদরের যুদ্ধের পর যাদের কাছে বাহন ছিল না তারা বাহন পেয়েছে, যাদের পোশাক ছিল না তারা পোশাক পেয়েছে, যারা ক্ষুধার্ত ছিল তারা এতো মালে গণিমত পেয়েছে যে, খাবারের কোনো অভাব ছিল না আর বন্দীদের মুক্ত করার প্রতিদানস্বরূপ তারা এতো সম্পদ পেয়েছে যে, প্রতিটি পরিবারই সম্পদশালী হয়ে যায়।
এরপর হুযূর (আই.) বলেন, মহানবী (সা.) যুদ্ধে যাত্রার সময় প্রথমে হযরত আব্দুল্লাহ্ বিন উম্মে মাকতুম (রা.)-কে মদীনার আমীর নিযুক্ত করেন। পরে রওহা নামক স্থানে গিয়ে সম্ভবত হযরত আব্দুল্লাহ্ (রা.)’র অন্ধত্বের কথা চিন্তা করে তিনি (সা.) হযরত আবু লুবাবা বিন মুনযের (রা.)-কে আমীর নিযুক্ত করে মদীনায় ফেরত পাঠিয়ে দেন। একইসাথে বলে দেন যে, হযরত আব্দুল্লাহ্ (রা.) নামাযে ইমামতি করবে আর হযরত আবু লুবাবা (রা.) ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত কাজ করবে। এছাড়া মদীনার উঁচু স্থান অর্থাৎ কুবা’র জন্য পৃথকভাবে তিনি (সা.) হযরত আসেম বিন আদী (রা.)-কে আমীর নিযুক্ত করেন। যাত্রাপথে মহানবী (সা.) মুসলমান সেনাদলের সাদা পতাকাটি হযরত মুসআব বিন উমায়ের (রা.)’র হাতে তুলে দিয়েছিলেন। এছাড়া কালো রংয়ের দু’টি পতাকা ছিল যার একটি হযরত আলী (রা.)-কে এবং আরেকটি একজন আনসারী সাহাবীকে প্রদান করেছিলেন। এ বিষয়ে ভিন্ন বর্ণনাও পাওয়া যায়। এদিকে খাযরাজ গোত্রের হাবীব বিন ইয়াসাফ যুদ্ধে যেতে রওয়ানা হয়েছিলেন কিন্তু তিনি তখনও মুসলমান হননি। মহানবী (সা.) তাকে বলেন, এ যুদ্ধে তারাই যাবে যারা আমাদের ধর্মের অনুসারী। এ কথা বলে তাকে ফেরত পাঠানো হয়। এভাবে দু’বার ফেরত পাঠাবার পর তৃতীয়বার মুসলমান হওয়ার স্বীকারোক্তি দেয়ায় মহানবী (সা.) তাকেও সাথে নিয়ে নেন।
কয়েক দিন পথ পাড়ি দেওয়ার পর মুসলমান সেনাদল সাফরা উপত্যকার নিকটবর্তী জাফরান উপত্যকায় শিবির স্থাপন করেন। সেখান থেকে আবু সুফিয়ানের গতিবিধি জানার জন্য তিনি (সা.) দু’জনকে প্রেরণ করেন। তারা উভয়ে হাঁটতে হাঁটতে বদরের প্রান্তরে পৌঁছে যায়। সেখানে পানি সংগ্রহ করা অবস্থায় তারা দু’জন মহিলার কথোপকথন শুনতে পায় যাদের একজন বলছিল, আগামীকাল বা পরশু সৈন্যদল আসছে, আমি তাদের কাছে দিনমজুরির কাজ করে তোর ঋণ পরিশোধ করে দিব। এই সংবাদ জানার পর মহানবী (সা.) পূর্বের চেয়ে আরো অধিক সতর্ক হয়ে যান। এই আলোচনা আগামীতেও চলবে, ইনশাআল্লাহ্।
পরিশেষে হুযূর (আই.) পাঁচজন মরহুমের স্মৃতিচারণ করেন এবং শেখ গোলাম রহমানী সাহেবের জানাযা হাযের এবং বাকী চারজনের গায়েবানা জানাযা পড়ান তারা হলেন, যথাক্রমে তাহের আগ মুহাম্মদ সাহেব, খাজা দাউদ আহমদ সাহেব, সৈয়দ তানভীর শাহ্ সাহেব এবং রানা মুহাম্মদ জাফরুল্লাহ খান সাহেব।