আর্থিক কুরবানীর গুরুত্ব ও তাৎপর্য – ওয়াক্‌ফে জাদীদের ৬৬তম বর্ষের ঘোষণা

হযরত মির্যা মসরূর আহমদ - খলীফাতুল মসীহ্‌ আল্‌ খামেস (আই.)

০৬-জানুয়ারি, ২০২৩

মসজিদ মুবারক, ইসলামাবাদ, টিলফোর্ড, যুক্তরাজ্য

জুমুআর খুতবার সারমর্ম


এই জুমু’আর খুতবার সারাংশটিতে কোনো প্রকার ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকলে তার দায়ভার আহ্‌মদীয়া বাংলা টীম গ্রহণ করছে।

আহ্‌মদীয়া মুসলিম জামা’তের বিশ্ব-প্রধান ও পঞ্চম খলীফাতুল মসীহ্‌ হযরত মির্যা মসরূর আহমদ (আই.) গত ৬ই জানুয়ারি, ২০২৩ইং ইসলামাবাদের মসজিদে মুবারকে প্রদত্ত জুমুআর খুতবায় ওয়াক্‌ফে জাদীদের নববর্ষের (৬৬তম বর্ষ) ঘোষণা ও সদ্যসমাপ্ত বর্ষের বিভিন্ন ঈমানোদ্দীপক ঘটনার আলোকে আর্থিক কুরবানীর গুরুত্ব ও কল্যাণ তুলে ধরেন।
তাশাহ্‌হুদ, তা’ঊয এবং সূরা ফাতিহা পাঠের পর হুযূর (আই.) সূরা আলে ইমরানের ৯৩ নং আয়াত পাঠ করেন, لَنْ تَنَالُوا الْبِرَّ حَتَّى تُنْفِقُوا مِمَّا تُحِبُّونَ وَمَا تُنْفِقُوا مِنْ شَيْءٍ فَإِنَّ اللَّهَ بِهِ عَلِيمٌ-এর অনুবাদ হলো, ‘তোমরা কখনোই পুণ্য অর্জন করতে পারবে না যতক্ষণ না তোমরা সেসব বস্তু থেকে ব্যয় করবে যা তোমরা ভালোবাস; আর তোমরা যা-ই ব্যয় করো আল্লাহ্ তা খুব ভালোভাবেই জানেন।’ হযরত মসীহ্ মওউদ (আ.) এই আয়াতের যে ব্যাখ্যামূলক অনুবাদ করেছেন; তন্মধ্যে একটি হলো, প্রকৃত পুণ্য যা পরিত্রাণ বা নাজাত লাভের মাধ্যম তা তোমরা কখনোই অর্জন করতে পারবে না, যতক্ষণ না খোদা তা’লার পথে সেই সম্পদ এবং বস্তু উৎসর্গ করবে যা তোমাদের সবচেয়ে প্রিয়। আরেকটি হলো, মানবজাতির সেবায় নিজেদের প্রিয় সম্পদ ব্যয় না করা পর্যন্ত তোমরা কখনোই প্রকৃত পুণ্য অর্জন করতে পারবে না। হুযূর (আই.) বলেন, আল্লাহ্ তা’লা আর্থিক কুরবানীকে এতটা গুরুত্ব দিয়েছেন যে বলে দিয়েছেন, প্রকৃত পুণ্য যা খোদার সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্য করা হয়- তা তখনই পুণ্য বলে গণ্য হবে যখন নিজের সবচেয়ে প্রিয় বস্তু খোদার খাতিরে সৃষ্টির সেবায় ব্যয় করা হবে, আর তা-ই নাজাত লাভের মাধ্যম হয়। কারো গরু অসুস্থ হয়ে মরণাপন্ন হলে তা আল্লাহ্র পথে দান করা বা ভিক্ষুক এলে তাকে বাসি রুটি দিয়ে দেয়া- এগুলো প্রকৃত পুণ্য নয়। যে সম্পদ মানুষের সবচেয়ে প্রিয় এবং সে যদি আল্লাহ্‌র সন্তুষ্টির নিমিত্তে তা কুরবানী করে – সেটিই প্রকৃত পুণ্য; এর দ্বারাই বুঝা যায় যে, অন্যদের প্রতি আমাদের কতটা সহানুভূতি রয়েছে, আমাদের ভেতর ধর্মসেবার কতটুকু আগ্রহ এবং স্পৃহা রয়েছে। হযরত মসীহ্ মওউদ (আ.)-এর মতে সৃষ্টজীবের প্রতি সহানুভূতি ও সদাচরণ প্রদর্শনের জন্য সম্পদ ব্যয় করা আবশ্যক, আর সৃষ্টজীবের প্রতি সহানুভূতি প্রদর্শন ঈমানের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গও বটে। মানুষ যতক্ষণ পর্যন্ত নিজে আত্মত্যাগ না করে, ততক্ষণ অন্যের উপকার করতে পারে না। তাই আল্লাহ্‌র পথে সম্পদ ব্যয় করাও মানুষের সৌভাগ্য ও তাকওয়ার অন্যতম মানদ-। আর্থিক কুরবানীর ক্ষেত্রে হযরত আবু বকর সিদ্দীক (রা.)’র অনুপম আদর্শ এবং অন্যান্য সাহাবীর ত্যাগের কথাও তিনি (আ.) উল্লেখ করেছেন; হুযূর (আই.) ইসলাম আহমদীয়াতের প্রচারে খলীফাতুল মসীহ্ আউয়াল (রা.) এবং অন্য সাহাবীদের কুরবানীর অনুপম স্পৃহার কথাও মসীহ্ মওউদ (আ.)-এর ভাষায় তুলে ধরেন এবং বলেন, কুরবানীর এই চেতনা জামা’তের মাঝে এত সুদৃঢ় হয়ে গিয়েছে যে; তাঁর (আ.) তিরোধানের পরও প্রত্যেক খিলাফতের যুগেই আল্লাহ্ তা’লা এমন কুরবানীকারী জামা’তকে দান করে যাচ্ছেন যারা নিজেদেরকে কষ্টে নিপতিত করে হলেও বড় বড় ত্যাগ স্বীকার করতে সদা প্রস্তুত থাকেন।
হুযূর (আই.) ওয়াক্‌ফে জাদীদের সংক্ষিপ্ত ইতিহাসও তুলে ধরেন যে, হযরত মুসলেহ্ মওউদ (রা.) ১৯৫৭ সালে গ্রামাঞ্চলে তবলীগ ও তরবীয়তের উদ্দেশ্যে এই স্কীম ঘোষণা করেছিলেন যা প্রথমে শুধু পাকিস্তানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল; পরবর্তীতে খলীফাতুল মসীহ্ রাবে (রাহে.) এটিকে বৈশি^ক রূপ দান করেন। উন্নত বিশ্ব থেকে সংগৃহীত চাঁদার অর্থ মূলত আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে তরবীয়ত ও তবলীগের পেছনে ব্যয় করা হয়। আফ্রিকার আহমদীরাও তাদের সামর্থ্য অনুপাতে এক্ষেত্রে অসাধারণ কুরবানী করে থাকেন, কিন্তু চাহিদার ব্যাপকতার কারণে সেখানে অধিক ব্যয়ের প্রয়োজন পড়ে। আহমদীরা মহানবী (সা.) বর্ণিত এই হাদীসে কুদসীর মর্ম বোঝেন যাতে আল্লাহ্ তা’লা বলেছেন, ‘হে আদম সন্তান! নিজের ধনসম্পদ আমার কাছে জমা রেখে পুরোপুরি নিশ্চিন্ত থাকো।’ হুযূর (আই.) বলেন, আল্লাহ্‌র পথে কুরবানী করা ইহকাল ও পরকাল- দু’টোর জন্যই মহা লাভজনক হয়ে থাকে। অন্যদিকে জাগতিক বিভিন্ন স্কীম বা বাণিজ্যে লগ্নি করে মানুষ অধিকাংশ সময়ই ক্ষতিগ্রস্ত হয়, ঠগবাজির শিকার হয়; আর ক্ষেত্রবিশেষে লাভ হলেও তা ইহকাল পর্যন্তই সীমিত থাকে, পরকালের কোনো উপকার হয় না। এক্ষেত্রে হুযূর বিট কয়েন বা ক্রিপ্টো কারেন্সির উদাহরণ টেনে বলেন যে, আমার দৃষ্টিতে এগুলো এক প্রকার জুয়া-এক্ষেত্রে যারা লগ্নি করেছিল তাদের চরম ভরাডুবি হয়েছে। অতঃপর হুযূর বিগত বছরের ওয়াক্ফে জাদীদ খাতে চাঁদা প্রদান সংক্রান্ত অসংখ্য ঈমানোদ্দীপক ঘটনার মধ্য হতে গুটিকতক তুলে ধরেন যে, কীভাবে আর্থিক কুরবানীর ফলে জাগতিক উপকারের পাশাপাশি আহমদীরা ঈমানেও উন্নতি লাভ করছেন।
হুযূর (আই.) যেসব ঘটনা উল্লেখ করেন তার মধ্যে একাধিক এরূপ ঘটনা রয়েছে যে, কীভাবে আহমদীরা হতদরিদ্র ও রিক্তহস্ত হওয়া সত্ত্বেও যখন ওয়াক্‌ফে জাদীদের চাঁদার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে, তখন সাথে থাকা যৎসামান্য অর্থ চাঁদা হিসেবে প্রদান করেছেন আবার কখনো নিজের জন্য ক্ষুধা বরণ করতে প্রস্তুত হয়ে গিয়েছেন বা অন্য কোনো একান্ত আবশ্যক চাহিদা অপূর্ণ রেখেছেন, আর আল্লাহ্ তা’লা প্রায় সাথে সাথেই বহুগুণ বর্ধিত হারে তা ফিরিয়ে দিয়েছেন এবং সেই চাহিদাসহ অন্যান্য চাহিদাও পূরণের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। গিনি-কোনাকরির একজন নবাগত আহমদী ইমাম আবু বকর কামারা সাহেব নিজের দারিদ্রতা সত্ত্বেও এ খাতে সবার আগে চাঁদা প্রদান করেছেন, কারণ তার মতে তিনি ইমাম এবং অন্যদের সামনে তাকে নিজের আদর্শ প্রতিষ্ঠা করতে হবে; তিনি যা দিয়েছিলেন আল্লাহ্ তার এক বন্ধুর মাধ্যমে উপহারস্বরূপ তার ১৫০গুণ বেশি অর্থ তাকে ফিরিয়ে দিয়েছেন। লাইবেরিয়ার আয়েশা সাহেবা সম্পূর্ণ রিক্তহস্ত ছিলেন, কিন্তু যখন মুয়াল্লিম সাহেব চাঁদা সংগ্রহের জন্য গিয়েছেন তখন তাকে খালি হাতে ফিরতে দেন নি, বরং অন্য কারো কাছ থেকে ধার করে কিছু টাকা এনে চাঁদা দিয়েছেন। এটি হলো আহমদীদের স্পৃহা! আর আল্লাহ্‌র কৃপা হলো, মুয়াল্লিম সাহেব উপস্থিত থাকতেই তার মোবাইলে সমপরিমাণ অর্থ পেয়ে যাবার ক্ষুদেবার্তা চলে আসে। ক্যামেরুন, নাইজেরিয়া, গিনি-কোনাকরিসহ বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে এমন ঘটনা ঘটেছে যে, দীর্ঘদিন ধরে চাকরি নেই, চরম আর্থিক সংকটের মাঝেও আহমদীরা ওয়াক্‌ফে জাদীদের চাঁদা দিয়েছেন আর কয়েকদিনের মধ্যেই তাদের ভালো চাকরির ব্যবস্থা হয়ে গিয়েছে যার মাসিক বেতন ছিল প্রদত্ত চাঁদার চেয়ে বহুগুণ বেশি। সবচেয়ে বড় কথা হলো, তারা স্বয়ং অনুভব করতে পেরেছেন যে, চাঁদা প্রদানের কল্যাণেই আল্লাহ্ তাদের প্রতি কৃপা করেছেন আর তাদের প্রতি মুখ তুলে তাকিয়েছেন। কারো যেমন চাকরি হয়েছে, কারো আবার ব্যবসায় প্রভূত উন্নতি হয়েছে। দরিদ্র অথচ নিষ্ঠা ও বিশ্বস্ততায় পূর্ণ আহমদীদের কুরবানীর অত্যন্ত চমকপ্রদ কিছু ঘটনাও হুযূর তুলে ধরেছেন যে, কীভাবে তারা চাঁদা দেয়ার জন্য সামান্য সম্বলটুকুও বিক্রি করে দিয়েছেন। নবদীক্ষিত আহমদীদের কুরবানীর উন্নত মানের বিভিন্ন ঘটনাও হুযূর তুলে ধরেছেন। সেনেগালের একটি ঘটনাও হুযূর উল্লেখ করেন যে, জনৈক নবাগত আহমদী কীভাবে চাঁদার কল্যাণে চরম বিরোধিতার মাঝেও ক্রমশ উন্নতি করেছেন এবং যারা বিরোধিতা করতো তারা সবাই হয় মৃত্যুমুখে পতিত হয়েছে, নতুবা নিজেরাই এখন চরম দুর্দশার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। সরকারি কিছু জটিলতার কারণে সিয়েরা লিওনে জনৈক আহমদী শিক্ষক ও গবেষক বেতন-ভাতা ইত্যাদি ঠিকভাবে পাচ্ছিলেন না; চরম আর্থিক সংকটের মাঝেও ওসীয়্যত এবং অন্যান্য খাতের চাঁদা প্রদান করেন। এর কিছুদিন পরই চালের ওপর গবেষণার জন্য তাকে গিনি-কোনাকরি পাঠানো হয়, সেখানে উন্নতমানের বাসস্থানও তিনি পেয়ে যান। এরই মাঝে তিনি জাপানের কাগোশিমা বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি করার জন্য স্কলারশিপও পেয়ে যান। নতুন আহমদীদের অসাধারণ স্পৃহারও বিভিন্ন ঘটনা হুযূর (আই.) উল্লেখ করেছেন। তানজানিয়ায় গত ডিসেম্বর মাসেই নতুন প্রতিষ্ঠিত একটি জামা’তের সদস্যরা পরম নিষ্ঠার সাথে ওয়াক্‌ফে জাদীদের চাঁদায় অংশ নেন। যেখানে মুয়াল্লিম সাহেব ভেবেছিলেন- পরের বছর তাদেরকে চাঁদার বিষয়ে বলবেন, সেখানে তারা বলেন, এই বছর হুযূরের কাছে আমাদের নাম যাবে না- তা হতেই পারে না! এরপর তারা আগামী বছরের জন্যও ওয়াদা লিখিয়ে দিয়েছেন। গাম্বিয়ায় একটি ইসলামী এনজিও এক গ্রামে এসে জনৈক আহমদীকে জামা’ত ছাড়ার শর্তে বড় অংকের অর্থের প্রলোভন দেয়। সেই নিষ্ঠাবান আহমদী তাদের উত্তর দেন, আমার টাকার দরকার নেই, কারণ আহমদীয়াত আমাকে শিখিয়েছে- আল্লাহ্ই তাঁর বান্দার জন্য যথেষ্ট; আর তোমরা যে পরিমাণ অর্থ দিতে চাও তার চেয়ে বেশি অর্থ আমি নিজেই প্রতিবছর জামা’তে চাঁদা দিই- একথা শুনে তারা যারপরনাই বিষ্মিত হয়েছে।
হযরত মসীহ্ মওউদ (আ.) বলেছেন, তোমাদের জন্য সম্পদ ও খোদা তা’লা উভয়কেই একসাথে ভালোবাসা সম্ভব নয়; সৌভাগ্যবান সে যে খোদাকে ভালোবাসে। তিনি (আ.) বলেন, যদি কেউ খোদার ভালোবাসায় এই পথে সম্পদ ব্যয় করে, তবে তিনি দৃঢ় বিশ্বাস রাখেন- তার সম্পদে অন্যদের তুলনায় অধিক সমৃদ্ধি দেয়া হবে, কারণ সম্পদ নিজে থেকে আসে না, আল্লাহ্‌র নির্দেশেই আসে। হুযূর (আই.) দোয়া করেন, আল্লাহ্ তা’লা সকল আর্থিক কুরবানীকারীকে তাদের কুরবানীর মান আরো উন্নত করার তৌফিক দিন; আর স্বচ্ছল হওয়া সত্ত্বেও যাদের কুরবানীর মান উন্নত নয়- তারা মসীহ্ মওউদ (আ.)-এর এই কথার গুরুত্ব অনুধাবনে সমর্থ হোক- ‘আমি বারংবার তোমাদের বলছি, খোদা তোমাদের বিন্দুমাত্র মুখাপেক্ষী নন! তোমাদের প্রতি এটি তাঁর অনুগ্রহ যে, তিনি তোমাদেরকে সেবার সুযোগ দান করেন।’ সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও যারা কার্পণ্য করে, একথাগুলো তাদের গভীরভাবে চিন্তা করা উচিত; আল্লাহ্ তা’লা ধনীদেরও এটি অনুধাবন করার সামর্থ্য দিন।
এরপর হুযূর (আই.) ওয়াক্‌ফে জাদীদের ৬৬তম নববর্ষের ঘোষণা দেন এবং সদ্যসমাপ্ত ৬৫তম বছরের বিভিন্ন পরিসংখ্যান ও তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরেন। আল্লাহ্ তা’লার কৃপায় নিখিলবিশ্ব আহমদীয়া জামা’ত গত বছর ওয়াক্ফে জাদীদ খাতে মোট ১ কোটি ২২ লক্ষ ১৫ হাজার পাউন্ড কুরবানী করতে সমর্থ হয়, যা গত বছরের তুলনায় ৯ লক্ষ ২৮ হাজার পাউন্ড বেশি। সার্বিকভাবে চাঁদা প্রদানের দিক দিয়ে এবছরও প্রথম স্থানে রয়েছে যুক্তরাজ্য, ২য় কানাডা ও ৩য় জার্মানি, ৪র্থ আমেরিকা, ৫ম ভারত, ৬ষ্ঠ অস্ট্রেলিয়া, ৭ম ও ৯ম স্থানে রয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দু’টি দেশ, ৮ম ইন্দোনেশিয়া ও দশম স্থানে হয়েছে বেলজিয়াম। মাথাপিছু চাঁদা প্রদানের দিক দিয়ে আমেরিকা ১ম, সুইজারল্যান্ড ২য় এবং যুক্তরাজ্য ৩য়। গত বছর এ খাতে মোট চাঁদাদাতার সংখ্যা ছিল ১৫ লক্ষ ৬ হাজার এবং এ বছর সংখ্যা বেড়েছে ৬১ হাজার; সংখ্যাবৃদ্ধির ক্ষেত্রে যারা শীর্ষে আছে তাদের অনুক্রম হলো উগান্ডা, গিনি-বিসাও, ক্যামেরুন, কঙ্গো-ব্রাজভিল, নাইজার, কঙ্গো-কিনশাসা ও বাংলাদেশ। হুযূর (আই.) প্রত্যেক আর্থিক কুরবানীকারীর ধনসম্পদ ও জনবলে প্রভূত সমৃদ্ধির জন্যও দোয়া করেন। (আমীন)