আমেরিকা সফরে আল্লাহ্ তা’লা কর্তৃক বর্ষিত আশিস ও কৃপারাজি

হযরত মির্যা মসরূর আহমদ - খলীফাতুল মসীহ্‌ আল্‌ খামেস (আই.)

২১-অক্টোবর, ২০২২

মসজিদ মুবারক, ইসলামাবাদ, টিলফোর্ড, যুক্তরাজ্য

জুমুআর খুতবার সারমর্ম


এই জুমু’আর খুতবার সারাংশটিতে কোনো প্রকার ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকলে তার দায়ভার আহ্‌মদীয়া বাংলা টীম গ্রহণ করছে।

আহ্‌মদীয়া মুসলিম জামা’তের বিশ্ব-প্রধান ও পঞ্চম খলীফাতুল মসীহ্‌, আমীরুল মু’মিনীন হযরত মির্যা মসরূর আহমদ খলীফাতুল মসীহ্ আল্ খামেস (আই.) গত ২১শে অক্টোবর, ২০২২ইং ইসলামাবাদের মসজিদে মুবারকে প্রদত্ত জুমুআর খুতবায় সাম্প্রতিক উত্তর আমেরিকা সফরে আল্লাহ্ তা’লা কর্তৃক বর্ষিত আশিস ও কৃপারাজি এবং অ-আহমদী বিভিন্ন বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের ইতিবাচক অভিমত তুলে ধরেন।
তাশাহ্‌হুদ, তা’ঊয এবং সূরা ফাতিহা পাঠের পর হুযূর (আই.) বলেন, সম্প্রতি আমি আমেরিকার কয়েকটি জামাত সফর করার সুযোগ পেয়েছি। যেমনটি আপনারা এমটিএ এবং জামাতের বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার মাধ্যমে এ সংক্রান্ত বিভিন্ন সংবাদ থেকে জানতে পেরেছেন যে, এই সফর আল্লাহ্ তা’লার কৃপায় অত্যন্ত সফল এবং কল্যাণমণ্ডিত হয়েছে। এছাড়া জাগতিক বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা এবং চ্যানেলও ফলাও করে এই সফরের সংবাদ প্রচার করেছে। সবদিক থেকেই আল্লাহ্ তা’লার কৃপারাজির দৃশ্য পরিলক্ষিত হয়েছে। জামাতের সদস্যদের ওপরও এবং অ-আহমদীদের ওপরও এই সফরের অত্যন্ত সুপ্রভাব পড়েছে। জনৈক খাদেম তার বন্ধুকে বলেন, তার মনে জামাত এবং খিলাফত সম্পর্কে কিছু সংশয় সৃষ্টি হচ্ছিল, কিন্তু এই সফরের ফলে এখন সেগুলো একদম দূর হয়ে গিয়েছে। এধরনের অনেক ইতিবাচক অভিব্যক্তি রয়েছে। এছাড়া হুযূর (আই.)-এর সাথে বিভিন্ন জনের সাক্ষাৎ পরবর্তী যেসব আবেগপূর্ণ অভিব্যক্তি রয়েছে তার তালিকাও অনেক দীর্ঘ। যায়ন, ডালাস এবং মেরিল্যান্ডের বায়তুর রহমান মসজিদে নামাযে নারী-পুরুষ-শিশুদের উপস্থিতিও ছিল লক্ষ্যণীয়। যেভাবে ব্যাপক সংখ্যায় তারা উপস্থিত হন এবং হুযূরের নামাযে আসা-যাওয়ার সময় যেভাবে তারা নিজেদের আবেগ প্রদর্শন করেন, তাত্থেকে সুস্পষ্ট প্রতীয়মান হয় যে; তাদের হৃদয় খিলাফতের প্রতি ঐকান্তিক ভালোবাসা, নিষ্ঠা ও বিশ্বস্ততায় পরিপূর্ণ। জাগতিক চরম ব্যস্ততা সত্ত্বেও যেভাবে ঘন্টার পর ঘন্টা মানুষ নামাযের জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করেছে; তাদের এরূপ কর্মকাণ্ড প্রমাণ করে যে, আল্লাহ্‌র কৃপায় তাদের হৃদয়ে ধর্মের প্রতি, আহমদীয়াত এবং খিলাফতের প্রতি গভীর ভালোবাসা রয়েছে। ১১/১২ বছরের কিশোররাও ৫/৬ ঘন্টা ধরে নামাযের জন্য সানন্দে লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করেছে। যায়নে একজন অতিথি এরূপ দৃশ্য দেখে খুবই অভিভূত হন। আল্লাহ্ তা’লার কৃপায় সবখানেই নামাযের উপস্থিতি ব্যবস্থাপনার ধারণার চেয়ে অনেক বেশি ছিল। হুযূর (আই.) দোয়া করেন, আল্লাহ্ করুন- মসজিদের সাথে এই বন্ধন এবং ইবাদতের বিষয়ে সচেতনতা তাদের মাঝে যেন চিরস্থায়ী হয় আর মসজিদ সর্বদা মুসল্লীতে ভরপুর থাকে; আমেরিকা জামাতের সদস্যদের খিলাফতের প্রতি এই নিষ্ঠা এবং বিশ্বস্ততা সদা অবিচল থাকুক আর এই মান উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাক। (আমীন)
অতঃপর হুযূর (আই.) কতিপয় অ-আহমদী অতিথির কিছু ইতিবাচক অভিমত তুলে ধরেন; এর পূর্বে হুযূর (আই.) তাদের জন্য দোয়া করেন যেন আল্লাহ্ তা’লা তাদের হৃদয় আরো উন্মুক্ত করেন এবং তাদেরকে সত্য উপলদ্ধি করার সামর্থ্য দান করেন।
যায়নে ফাতহে আযীম মসজিদের উদ্বোধন উপলক্ষ্যে যে অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল তাতে ১৬১জন অমুসলমান এবং অ-আহমদী অতিথি অংশ নেন। তাদের মধ্যে সাংসদ, মেয়র, শিক্ষক, ডাক্তার, প্রকৌশলী, উকিল, প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার লোকজন ছিলেন। যায়নের মেয়র বিলি ম্যাকেনি মন্তব্য করেন, শহরের ঠিক কেন্দ্রে নির্মিত ফাতহে আযীম মসজিদ যায়ন শহরের স্লোগান ‘ঐতিহাসিক অতীত ও প্রগতিশীল ভবিষ্যত’-এর সার্থকতার প্রকৃষ্ট উদাহরণ। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, এই মসজিদ যেন তাদের অতীত ও ভবিষ্যতের মাঝে এক সেতুবন্ধন হয়। তিনি শহরের কল্যাণার্থে জামাতের ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং হুযূরের হাতে যায়ন শহরের চাবিও তুলে দেন। ইলিনয় জেনারেল অ্যাসেম্বলীর সদস্য জয়েস মেসন বলেন, যায়নের প্রতিষ্ঠাতা আলেকজান্ডার ডুই চেয়েছিল যেন তার অনুসারী ছাড়া অন্য কেউ এই শহরে প্রবেশ করতে না পারে, কিন্তু আজ এই শহরেই বিভিন্ন ধর্ম ও মতের মানুষ বসবাস করে; এই মসজিদটি বিরোধীদের মোকাবিলায় মু’মিনদের দোয়ার বিজয়ের এক জ্বলন্ত নিদর্শন। তিনি হুযূরের বিশ্বব্যাপী শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে অনবদ্য ভূমিকা এবং আন্তরিক চেষ্টা-প্রচেষ্টার ভূয়সী প্রশংসা করেন। ল্যান্টোস ফাউন্ডেশন ফর হিউম্যান রাইটসের সভানেত্রী ড. ক্যাটরিনা ল্যান্টোস বলেন, আহমদীদের সাথে সাক্ষাৎ হলেই তিনি আধ্যাত্মিকতার ছোঁয়া অনুভব করেন; মুবাহালার ইতিহাস তাকে বিস্ময়াভিভূত করেছে। তার মতে, মুবাহালার ঐতিহাসিক জয় কেবল হযরত মসীহ্ মওউদ (আ.) এবং আহমদীয়াতেরই বিজয় ছিল না, বরং তা মানবতারও বিজয় ছিল। তিনি পাকিস্তানের নির্যাতিত-নিপীড়িত আহমদীদের কথাও দুঃখের সাথে স্মরণ করেন। অধ্যাপক ক্রেইগ কনসিডিয়ান, যিনি মহানবী (সা.)-এর জীবনচরিত সম্পর্কে একটি পুস্তকও রচনা করেছেন, তিনি হুযূরের আন্তরিক ব্যবহার এবং বক্তব্যের ভূয়সী প্রশংসা করেন; তিনি হুযূরের জুমুআর খুতবাও সম্পূর্ণ শোনেন এবং বলেন, এত সুন্দর খুতবা তিনি কখনো শোনেন নি। মেলোডি হল নামক জনৈক অতিথি বলেন, আহমদীয়া জামাতের ইমামের এই কথাটি আমার খুব ভালো লেগেছে যে, ‘আমাদের হাতে যে অস্ত্র রয়েছে তা হলো দোয়ার অস্ত্র’। স্থানীয় একটি হাইস্কুলের প্রিন্সিপাল জেক লিভিংস্টোন বলেন, আহমদীয়া জামাতের কর্মকা-, বিশেষত মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা এবং মানবসেবার ক্ষেত্রে ভূমিকা অতুলনীয়; জামাতের স্লোগান ‘ভালোবাসা সবার তরে, ঘৃণা নয়কো কারো পরে’ কোভিড পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলায় যায়নের খুবই প্রয়োজন। যায়ন পুলিশের চীফ এরিক সাহেবও জামাতের কর্মকাণ্ডের ভূয়সী প্রংশসা করেন। গ্লোরিয়া নামক এক অতিথি বলেন, পবিত্র কুরআন যে সব ধর্মের অনুসারীদের সুরক্ষার শিক্ষা দিয়েছে- একথা তিনি আজই প্রথম জানতে পেরেছেন। ভারতীয় একজন অধ্যাপক শুবানা শংকর হুযূরের সাথে সাক্ষাৎ করে পশ্চিম আফ্রিকার আহমদীদের নিয়ে একটি বই রচনায় সহযোগিতা কামনা করেন, হুযূর তাকে সম্ভাব্য সকল প্রকার সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।
ডালাসে বায়তুল ইকরাম মসজিদের অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানেও ১৪০জন অতিথি এসেছিলেন। অ্যালেন শহরের মেয়র বিদেশ সফরে যাওয়ার পূর্বেই হুযূরের সাথে সাক্ষাৎ করে যান; তার পক্ষ থেকে তার প্রতিনিধি অনুষ্ঠানে অংশ নেন এবং হুযূরকে শহরের চাবি উপহার দেন। জামাতের জনসেবামূলক কর্মকাণ্ডকে তিনি সাধুবাদ জানান। সাউদার্ন মেথোডিস্ট ইউনিভার্সিটির বিশ্বধর্মতত্ত্ব বিভাগের প্রধান ড. রবার্ট হান্ট অনুষ্ঠানে তাদেরকে আমন্ত্রণ জানানোয় কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন এবং বলেন, জামাতের ইমাম দু’টি বিষয় প্রতিষ্ঠার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন- ধর্মীয় স্বাধীনতা এবং আন্তঃধর্মীয় সংলাপ ও আলোচনা; এই দু’টির অভাবেই ধর্মীয় বিভেদ সৃষ্টি হয়। মার্কিন কংগ্রেসের রিপাবলিকান দলের সাংসদ মাইকেল ম্যাকলও নিজের অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন; তিনি হযরত মসীহ্ মওউদ (আ.)-এর ‘মসীহ্ হিন্দুস্তান মেঁ’ পুস্তকটি সাগ্রহে পড়ছেন এবং এটি নিয়ে আরো গবেষণা করবেন বলে জানান। প্রেসবাইটেরিয়ান চার্চের পক্ষ থেকে আগত প্রতিনিধি জামাত কর্তৃক প্রচারিত ইসলামের শান্তিপূর্ণ শিক্ষার ভূয়সী প্রশংসা করেন। ড. হালীমুর রহমান নামক একজন অধ্যাপক জামাতের আতিথেয়তার প্রশংসা করে বলেন, এখানে এসে তিনি সর্বোত্তম মানুষদের মাঝে সময় কাটানোর সুযোগ পেয়েছেন; যারা প্রকৃত ইসলামী শিক্ষা পালনকারী। হুযূর (আই.) বলেন, এখানে এই মন্তব্য করতে পারলেও পাকিস্তানে গেলে মৌলভীদের জ্বালায় তার বেঁচে থাকাই দুষ্কর হয়ে পড়বে। জনৈক খ্রিস্টান অতিথি বলেন, আহমদীয়া জামাতের ধর্মীয় সম্প্রীতির শিক্ষা সকল ধর্মেরই আত্মস্থ করা উচিত। জোশুয়া নামক জনৈক অতিথি তাকে এবং অন্যান্য জ্যেষ্ঠ পাদ্রীদের এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানোয় কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন এবং শান্তি, ঐক্য ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা সম্পর্কে প্রদত্ত হুযূরের প্রজ্ঞাপূর্ণ ভাষণের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
ফোর্ট ওয়ার্থে মসজিদের জন্য পৌনে ৫ একর জমিসহ ১৩ হাজার বর্গফুটের একটি ভবন ক্রয় করা হয়েছে; তাতে গম্বুজ, মিনার ইত্যাদিও নির্মাণ করা হবে। সেখানেও হুযূর (আই.) মাগরিব ও এশার নামায পড়াতে গিয়েছিলেন। সেখানেও বিভিন্ন অতিথি তাদের অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন। জনৈক অতিথি হুযূরের এই মন্তব্য- ‘যারাই সম্ভাব্য পারমাণবিক যুদ্ধে অংশ নেবে তারা সবাই ধ্বংস হয়ে যাবে’- এটি শুনে খুবই প্রভাবিত হন। অপর এক অতিথিও হুযূরের পারমাণবিক যুদ্ধের ধ্বংসলীলা সম্পর্কে সতর্কীকরণের ভূয়সী প্রশংসা করেন। এসব অভিব্যক্তি ছাড়াও হুযূর (আই.) যায়নে আয়োজিত প্রদর্শনী সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করেন। মজমুয়া ইশতেহারাতের ৩য় খণ্ডে হযরত মসীহ্ মওউদ (আ.) কর্তৃক ৩২টি পত্রিকার নামের উল্লেখ দেখা যায়; আমেরিকা জামাত গবেষণা করে আরো ১২৮টি পত্রিকার সন্ধান পেয়েছে যেগুলোতে সেই যুগেই মুবাহালার ঘটনার উল্লেখ হয়েছিল। আমেরিকার অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস হুযূরের যায়ন সফরের ওপর প্রবন্ধ প্রকাশ করে, যা ১৩টি দেশের ৪১২টি মিডিয়া আউটলেটে প্রকাশিত হয়েছে এবং তাদের হিসেব মতে পৃথিবীর অর্ধেক মানুষ এর পাঠক; প্রবন্ধটি তাদের শীর্ষ দশটি প্রবন্ধের মধ্যে স্থান পেয়েছে। কানাডায় প্রচার মাধ্যমের কল্যাণে ৮ লাখ ৫৭ হাজার মানুষ পর্যন্ত জামাতের বাণী পৌঁছেছে। এছাড়াও বিভিন্ন দেশের সংবাদমাধ্যমে হুযূরের এই ঐতিহাসিক সফরের সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে; এমটিএ আফ্রিকার মাধ্যমেও লক্ষ লক্ষ মানুষ সফর সম্পর্কে জানতে পেরেছে। আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের জাতীয় টেলিভিশন চ্যানেল এসব সম্বর্ধনা অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচার করেছে বলেও হুযূর উল্লেখ করেন।
আমেরিকায় নবাগত আহমদীদের নিয়ে একটি বিশেষ সভা হয়েছিল; বাংলাদেশের জনৈক নবদীক্ষিত আহমদীর কথা হুযূর উল্লেখ করেন যিনি বলেন, মুরব্বী সাহেব তাকে অনেক ধৈর্য ও সময় নিয়ে সত্য বুঝিয়েছেন; তিনি খুব আবেগের সাথে উপস্থিত অন্যদের বলেন, ‘আমি নিশ্চিত হয়ে বলছি, এটিই প্রকৃত ইসলাম, তাই কখনো একে হাতছাড়া হতে দেবেন না!’ ক্রিস্টোফার সাহেব হুযূরের হাতে বয়’আতের সুযোগলাভের অনুরোধ করায় বয়’আতের একটি অনুষ্ঠানও আয়োজন করা হয়, যার অত্যন্ত সুগভীর ও ইতিবাচক প্রভাব পুরনো-নতুন সব আহমদীর ওপরই পড়েছে। বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতরাও এ সময় হুযূরের সাথে সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় করার সুযোগ লাভে করেন। হুযূর (আই.) খুতবার শেষাংশে বলেন, সার্বিকভাবে আল্লাহ্ তা’লা এই সফরকে সবদিক থেকে আশিসমণ্ডিত করেছেন; আল্লাহ্ তা’লা ভবিষ্যতেও সর্বদা এভাবে আশিসমণ্ডিত করতে থাকুন। (আমীন)