শ্রেষ্ঠ মহাপুরুষ – নিষ্ঠাবান বদরী সাহাবীগণ: হযরত আবু বকর (রা.)

হযরত মির্যা মসরূর আহমদ - খলীফাতুল মসীহ্‌ আল্‌ খামেস (আই.)

০১-জুলাই, ২০২২

মসজিদ মুবারক, ইসলামাবাদ, টিলফোর্ড, যুক্তরাজ্য

জুমুআর খুতবার সারমর্ম


এই জুমু’আর খুতবার সারাংশটিতে কোনো প্রকার ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকলে তার দায়ভার আহ্‌মদীয়া বাংলা টীম গ্রহণ করছে।

আহ্‌মদীয়া মুসলিম জামা’তের বিশ্ব-প্রধান ও পঞ্চম খলীফাতুল মসীহ্‌, আমীরুল মু’মিনীন হযরত মির্যা মসরূর আহমদ (আই.) গত ১লা জুলাই, ২০২২ইং ইসলামাবাদের মসজিদে মুবারকে প্রদত্ত জুমুআর খুতবায় সাম্প্রতিক ধারা অনুসরণে নিষ্ঠাবান বদরী সাহাবীদের বর্ণাঢ্য জীবনের স্মৃতিচারণ করেন। এ খুতবায় হযরত আবু বকর (রা.)’র ধারাবাহিক স্মৃতিচারণের ধারা অব্যাহত রাখেন রাখেন এবং তাঁর খিলাফতকালে সশস্ত্র বিদ্রোহীদের দমনের লক্ষ্যে প্রেরিত বিভিন্ন যুদ্ধাভিযান সম্পর্কে আলোচনা করেন। খুতবার শেষাংশে হুযূর (আই.) সম্প্রতি প্রয়াত কতিপয় নিষ্ঠাবান আহমদীর স্মৃতিচারণ করেন ও নামাযান্তে তাদের গায়েবানা জানাযা পড়ান।
তাশাহ্‌হুদ, তা’ঊয ও সূরা ফাতিহা পাঠের পর হুযূর (আই.) বলেন, হযরত আবু বকর সিদ্দীক (রা.)’র যুগের মুরতাদ ও সশস্ত্র বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে পরিচালিত বিভিন্ন অভিযান সম্পর্কে আলোচনা হচ্ছিল; বাহরাইনে পরিচালিত ৯ম অভিযানের বর্ণনা চলছিল। হযরত আলা (রা.), হযরত জারূদকে নির্দেশ দেন তিনি যেন আব্দুল কায়েস গোত্রকে সাথে নিয়ে হুতুমের সাথে লড়াইয়ের জন্য হাযর-সংলগ্ন অঞ্চলে গিয়ে শিবির স্থাপন করেন। হযরত আলা (রা.) নিজেও তার বাহিনী নিয়ে সেখানে আসেন। দারীনের অধিবাসীরা ছাড়া অন্যান্য স্থানের মুশরিকরাও সবাই হুতুমের নেতৃত্বে সেখানে জড়ো হয়, মুসলমানরাও সবাই হযরত আলা বিন হাযরামী (রা.)’র নেতৃত্বে একত্রিত হয়। উভয় পক্ষই নিজেদের সামনে পরিখা বা খন্দক খনন করে; প্রতিদিন তারা তা অতিক্রম করে এসে প্রতিপক্ষের ওপর আক্রমণ করতো এবং যুদ্ধ শেষে পরিখার পেছনে নিরাপদ আশ্রয়ে ফিরে যেতো। একমাস পর্যন্ত এভাবেই যুদ্ধ চলতে থাকে। এক রাতে মুসলমানরা শত্রুশিবির থেকে হৈচৈ এর শব্দ শুনতে পান; হযরত আব্দুল্লাহ্ বিন হাযাফ ঘটনার কারণ জানতে গোপনে শত্রুদের ঘাঁটিতে যান, ফিরে এসে জানান যে, শত্রুরা মদের নেশায় মত্ত হয়ে হৈচৈ করছে। এই সুবর্ণ সুযোগ লুফে নিয়ে মুসলিম বাহিনী তাদের ওপর প্রবল আক্রমণ করে এবং তাদেরকে সম্পূর্ণরূপে পরাস্ত করে। তাদের অনেকেই নিজেদের পরিখার দিকে পালাতে গিয়ে তাতে পড়ে মারা যায়, মাত্র অল্প কিছু লোক পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়; পলাতকদের মধ্যে অন্যতম নেতা আবজার-ও ছিল। হুতুমও ভয়ে পালানোর চেষ্টা করে, কিন্তু সে সফল হয় নি; কায়েস বিন আসেম হুতুমকে হত্যা করেন। সকালে হযরত আলা (রা.) যুদ্ধলদ্ধ সম্পদ সৈন্যদের মধ্যে বন্টন করেন এবং এই যুদ্ধে যারা বিশেষ বীরত্ব প্রদর্শন করেছিলেন তাদেরকে শত্রুপক্ষের নিহত নেতাদের পোশাক প্রদান করেন; সুমামা বিন উসালকে দেয়া পোশাকগুলোর মধ্যে হুতুমের দামী একটি আলখাল্লাও ছিল। হযরত আলা (রা.) যুদ্ধের সকল বৃত্তান্ত খলীফাকে পত্র লিখে জানিয়ে দেন। এভাবে হাযর ও তৎসংলগ্ন অঞ্চলে মুসলমানদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়, তবে স্থানীয় অনেক পারসীক নতুন সরকারের বিরোধী ছিল। তারা প্রায়ই গুজব ছড়িয়ে সেখানে আতংক সৃষ্টি করতো যে, তাগলেব ও নামে’র গোত্রের যৌথ বাহিনী নিয়ে মাফরূক শায়বানী আক্রমণ করতে ধেয়ে আসছে। হযরত আবু বকর (রা.) যখন এ বিষয়ে অবগত হন তখন হযরত আলা (রা.)-কে নির্দেশ দেন, যদি জানা যায় যে, এটি গুজব নয় বরং সত্যিই মাফরূকের নেতৃত্বে শত্রুরা আক্রমণোদ্যত, তবে তিনি যেন এগিয়ে গিয়ে তাদের প্রতিহত করেন; যেন তাদের পরিণতি দেখে অন্যরাও এরূপ করার সাহস না পায়।
মুরতাদরা দারীনে জড়ো হয়। দারীনের যুদ্ধ হযরত আবু বকর (রা.)’র যুগে সংঘটিত হয়েছিল না হযরত উমর (রা.)’র যুগে- তা নিয়ে ঐতিহাসিকদের মধ্যে দ্বিমত আছে। সে যা-ই হোক, শত্রুরা সেখানে জড়ো হয়। দারীন পারস্য উপসাগরে অবস্থিত একটি দ্বীপ ছিল, সেখানে আগে থেকেই খ্রিস্টানদের বসবাস ছিল। হাযরে পরাজিত অনেক বিদ্রোহীও এখানে এসে জড়ো হয়েছিল। বকর বিন ওয়ায়েল গোত্রের মুসলমানদেকে হযরত আলা (রা.) পত্র লিখে দারীনের শত্রুদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে বলেন; এছাড়া হযরত উতায়বা ও আমেরকে স্ব-স্ব স্থানে থেকে বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে প্রহরা বসানোর নির্দেশ দেন, হযরত মিসমাহ্, খাসাফা ও মুসান্না বিন হারসাকে এগিয়ে গিয়ে শত্রুদের সাথে লড়াই করতে বলেন। বাহরাইনে বিদ্রোহ দমনে হযরত মুসান্না অনেক বড় ভূমিকা পালন করেছিলেন। বকর বিন ওয়ায়েলের চিঠি পেয়ে হযরত আলা (রা.) নিশ্চিত হন যে, তারা ইসলামের ওপর প্রতিষ্ঠিত আছে আর বিদ্রোহ করে বসবে না; যখন তিনি পুরোপুরি নিশ্চিত হন যে, বাহরাইনে এখন আর মুসলমানদের ওপর কোন আক্রমণ হচ্ছে না- তখন তিনি পুরো মুসলিম বাহিনী নিয়ে দারীন অভিমুখে অগ্রসর হন। হযরত আলা (রা.)’র মুসলিম বাহিনী নিয়ে সমুদ্র অতিক্রম করে দারীন পৌঁছানোর ঘটনা বর্ণনার পূর্বে হুযূর বলেন, এই ঘটনায় হয়তো অনেকটা অতিরঞ্জনের আশ্রয় নেওয়া হয়েছে, তবে তা আংশিক সত্যও হতে পারে। বর্ণনা থেকে জানা যায়, মুসলমানদের কাছে কোন নৌযান ছিল না, হযরত আলা (রা.) তখন সবার সামনে ঈমানোদ্দীপক ভাষণ দেন এবং তাদেরকে নিজ নিজ বাহনসহ সমুদ্রে নেমে পড়তে বলেন আর বলেন, আল্লাহ্ তা’লা মু’জিযা দেখিয়ে তাদের সমুদ্র পার করাবেন। অতঃপর তিনি দোয়া করে নিজে ঘোড়া নিয়ে সমুদ্রে নেমে পড়েন, মুসলমানরাও তাকে অনুসরণ করেন। এভাবে তারা কোন সমস্যা ছাড়াই সমুদ্র অতিক্রম করেন। তাবারীর ইতিহাসগ্রন্থে এরূপ বর্ণনাই রয়েছে, অবশ্য বর্তমান যুগের অনেক গবেষক ঘটনাটি ব্যাখ্যা করেন যে, হয়তো তখন ভাটা চলছিল কিংবা তারা জাহাজ বা কিছু পেয়ে গিয়েছিলেন। প্রসঙ্গতঃ হুযূর (আই.) হযরত মুসলেহ্ মওউদ (রা.) তফসীরে কবীরে হযরত মূসা (আ.)-এর সমুদ্র অতিক্রম করার ঘটনার যে ব্যাখ্যা প্রদান করেছেন তা-ও তুলে ধরেন এবং এক্ষেত্রেও অনুরূপ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে মন্তব্য করেন। মুসলমানরা দারীনে পৌঁছলে মুরতাদ-বিদ্রোহীদের সাথে তাদের প্রচণ্ড যুদ্ধ হয় এবং বিদ্রোহীরা সবাই নিহত হয়। মুসলমানরা বিপুল পরিমাণ যুদ্ধলদ্ধ সম্পদ নিয়ে ফিরে আসেন। এই যুদ্ধ থেকে ফেরার পথে হযরত সুমামা বিন উসাল (রা.) শহীদ হন, হুযূর (আই.) সেই ঘটনাও প্রাসঙ্গিকভাবে উল্লেখ করেন। হযরত আলা (রা.) মুসলিম বাহিনীকে নিয়ে ফেরার পথে বনু কায়েস বিন সা’লাবা গোত্রের একটি ঝরনার পাশে যাত্রাবিরতি করেছিলেন। সেখানকার লোকজন হযরত সুমামাকে হুতুমের সেই দামী আলখাল্লা পরিহিত অবস্থায় দেখে। তাদের পাঠানো এক দূত এসে হযরত সুমামাকে জিজ্ঞেস করে, তিনি এই আলখাল্লা কোথায় পেলেন? তিনিই হুতুমকে হত্যা করেছেন কি-না ইত্যাদি ইত্যাদি। সুমামা সব খুলে বলেন যে, এটি হুতুমের আলখাল্লা যা তিনি মালে গণিমতের অংশ হিসেবে পেয়েছেন, তবে তিনি তাকে হত্যা করেন নি। সেই ব্যক্তি একথা বিশ্বাস করে নি; কিছুক্ষণ পর ঐ গোত্রের লোকেরা সবাই দলবেঁধে তার কাছে আসে এবং বলতে থাকে, তুমিই হুতুমকে হত্যা করেছ। হযরত সুমামা তাদেরকে সত্য কথা বললেও তারা তা অবিশ্বাস করে এবং তাঁকে শহীদ করে দেয়।
দশম অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন হযরত সুওয়াইদ বিন মুকাররিন, হযরত আবু বকর (রা.) ইয়েমেনের তিহামা অঞ্চলের মুরতাদ বিদ্রোহীদের দমনের লক্ষ্যে তাকে পাঠিয়েছিলেন। ইয়েমেনের পশ্চিম ও দক্ষিণাংশে লোহিত সাগরের তীর ঘেঁষে যে নিম্ন-সমতল অঞ্চল রয়েছে সেটিই তিহামা নামে সুপরিচিত; এর উত্তর প্রান্ত মক্কার সাথে গিয়ে যুক্ত হয়। হযরত সুওয়াইদের পিতার নাম ছিল মুকাররিন বিন আয়েয; তিনি মুযায়না গোত্রের সদস্য ছিলেন, তার ডাকনাম আবু আদী। তিনি ৫ম হিজরীতে ইসলাম গ্রহণ করেন, পরিখার যুদ্ধসহ পরবর্তী সকল যুদ্ধে তিনি মহানবী (সা.)-এর সহযোদ্ধা ছিলেন। তিনি হযরত নু’মান বিন মুকাররিনের ভাই ছিলেন যিনি ইরানের সাথে যুদ্ধে অসাধারণ বীরত্ব প্রদর্শন করেছিলেন। ইতিহাসের গ্রন্থাবলীতে হযরত সুওয়াইদের তিহামা অভিযানের বিবরণ খুব একটা পাওয়া যায় না। তবে, সেখানকার বিদ্রোহ সম্পর্কে জানা যায়; মহানবী (সা.) ১০ম হিজরীতে বিদায় হজ্জের পর ইয়েমেনে যাকাত সংগ্রহের জন্য কর্মকর্তা নিযুক্ত করেছিলেন। তিনি (সা.) ইয়েমেনকে সাতটি অঞ্চলে বিভক্ত করেন, তিহামায় নিযুক্ত করেন তাহের বিন আবু হালা’কে। তিহামায় নগণ্য আরবরা ছাড়াও দু’টি বড় গোত্র বাস করতো- আক্ ও আশআর। তাবারীর ইতিহাস থেকে জানা যায়, সর্বপ্রথম হযরত আতাব বিন আসীদ ও উসমান বিন আবুল আ’স হযরত আবু বকর (রা.)-কে চিঠি লিখে জানান যে, তাদের এলাকায় মুরতাদরা মুসলমানদের ওপর আক্রমণ করে বসেছে। আতাব নিজের ভাই খালিদ বিন আসীদকে তিহামায় পাঠান যেখানে জুনদুবের নেতৃত্বে বনু মুদলিজের বড় একটি দলসহ খুযাআ, কিনানা প্রভৃতি গোত্রের বিভিন্ন দল আক্রমণ করার জন্য জড়ো হয়েছিল। উভয় পক্ষের মাঝে তুমুল লড়াই হয় এবং খালিদ তাদের পরাজিত করে ছত্রভঙ্গ করে দেন আর অনেক বিদ্রোহী যুদ্ধে নিহত হয়। জুনদুব পালিয়ে যায়, পরে সে পুনরায় ইসলাম গ্রহণ করেছিল বলেও জানা যায়। আরেক বর্ণনামতে মহানবী (সা.)-এর মৃত্যুর পর আক্ ও আশআর গোত্রের অধিকাংশ লোক বিদ্রোহ করে বসে এবং হযরত তাহের তাদের কঠোরভাবে দমন করেন। হুযূর (আই.) এসব অভিযানের আরও কিছু বিবরণ তুলে ধরে বলেন, আগামীতে একাদশ অভিযান সম্পর্কে আলোচনা হবে, ইনশাআল্লাহ্।
এরপর হুযূর (আই.) সম্প্রতি প্রয়াত কয়েকজন নিষ্ঠাবান আহমদীর গায়েবানা জানাযা পড়ানোর ঘোষনা দেন এবং তাদের সংক্ষিপ্ত স্মৃতিচারণ করেন; প্রথমে উল্লেখ করেন বুর্কিনাফাসোর দু’জন তরুণ শহীদের যারা গত ১১ই জুন সন্ধ্যায় ডোরি রিজিয়নের একটি গ্রামে জঙ্গীদের আক্রমণে নিজেদের দোকানে কর্মরত অবস্থায় শাহাদতবরণ করেন, إِنَّا لِلَّهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُونَ । একজন হলেন, ডিকো যাকারিয়া সাহেব (৩২) ও অন্যজন হলেন ডিকো মূসা সাহেব (৩৪)। তারা দু’ভাই অত্যন্ত একনিষ্ঠ খাদেম ছিলেন, জামা’ত ও খিলাফতের প্রতি ঐকান্তিক ভালোবাসা রাখতেন। আর নিয়মিত নামায-রোযায় অভ্যস্ত হওয়ার ছাড়াও সর্বদা জামাতের সেবায় অগ্রগামী ছিলেন। হুযূর (আই.) আরও যাদের স্মৃতিচারণ করেন তারা হলেন, যথাক্রমে উমরপুর নিবাসী মোকাররম মুহাম্মদ ইউসুফ বালুচ সাহেব, রাবওয়া নিবাসী মুবারিযা ফারুক সাহেবা ও আইভরি কোস্টের মোকাররম আনযুমানা বুতারা সাহেব। ইউসুফ সাহেবের সুযোগ্য পুত্র জামাতের মুরব্বী শাব্বীর আহমদ সাহেব বলেন, তার পিতা সর্বদা তাকে দু’টি বিষয় স্মরণ রাখতে বলতেন- খিলাফতের প্রতি সর্বদা বিশ্বস্ত থাকা ও নিজের ওয়াক্‌ফের দায়িত্ব পূর্ণ করা। মোকাররম আনযুমানা সাহেব জামা’তের মুয়াল্লিম ছিলেন এবং অত্যন্ত পরহেযগার, ধার্মিক ও সহজ-সরল একজন মানুষ ছিলেন। তার দোয়া কবুল হবার অনেক ঘটনা সুবিদীত। তিনি স্বপ্নে আল্লাহ্ তা’লার পক্ষ থেকে দিকনির্দেশনা পেয়ে ১৯৯৭ সালে আহমদীয়াত গ্রহণ করেছিলেন; খিলাফতের প্রতি তার অগাধ ভালোবাসার কিছু ঘটনাও হুযূর (আই.) উল্লেখ করেন। খলীফাতুল মসীহ্ রাবে (রা.) এবং বর্তমান হুযূর (আই.)-এর সাথে তিনি সাক্ষাতের সৌভাগ্য লাভ করেন। মৃত্যুর ঠিক এক সপ্তাহ পূর্বে তিনি তার পরিবারের সদস্যদের বলেছিলেন, আল্লাহ্ তা’লার সাথে তার চুক্তি আর এক সপ্তাহ অবশিষ্ট আছে, আর ঠিক সে অনুযায়ী পরবর্তী শুক্রবার ওযুরত অবস্থায় তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। হুযূর (আই.) মরহুমদের রূহের মাগফিরাতের জন্য ও জান্নাতের উচ্চ মর্যাদায় তাদের অধিষ্ঠিত হবার জন্য এবং তাদের পুণ্য তাদের বংশধরদের মাধ্যমে অব্যাহত থাকার জন্যও দোয়া করেন।