শ্রেষ্ঠ মহাপুরুষ – নিষ্ঠাবান বদরী সাহাবীগণ: হযরত আবু বকর (রা.)

হযরত মির্যা মসরূর আহমদ - খলীফাতুল মসীহ্‌ আল্‌ খামেস (আই.)

১৭-ডিসেম্বর, ২০২১

মসজিদ মুবারক, ইসলামাবাদ, টিলফোর্ড, লন্ডন

জুমুআর খুতবার সারমর্ম


এই জুমু’আর খুতবার সারাংশটিতে কোনো প্রকার ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকলে তার দায়ভার আহ্‌মদীয়া বাংলা টীম গ্রহণ করছে।

আহ্‌মদীয়া মুসলিম জামা’তের বিশ্ব-প্রধান ও পঞ্চম খলীফাতুল মসীহ্‌, আমীরুল মু’মিনীন হযরত মির্যা মসরূর আহমদ (আই.) গত ১৭ই ডিসেম্বর, ২০২১ইং ইসলামাবাদের মসজিদে মুবারকে প্রদত্ত জুমুআর খুতবায় সাম্প্রতিক ধারা অনুসরণে নিষ্ঠাবান বদরী সাহাবীদের বর্ণাঢ্য জীবনের স্মৃতিচারণ করেন। এ খুতবায় হযরত আবু বকর (রা.)’র ধারাবাহিক স্মৃতিচারণের ধারা অব্যাহত রাখেন। খুতবার শেষাংশে হুযূর (আই.) সম্প্রতি প্রয়াত কতিপয় নিষ্ঠাবান আহমদীর স্মৃতিচারণ করেন ও নামাযান্তে তাদের গায়েবানা জানাযা পড়ান।

তাশাহ্‌হুদ, তাআ’ঊয ও সূরা ফাতিহা পাঠের পর হুযূর (আই.) বলেন, হযরত আবু বকর (রা.)’র স্মৃতিচারণে তাঁর দাসমুক্তি সম্পর্কে আলোচনা করা হচ্ছিল; এ বিষয়ে আরও কিছু ঘটনা রয়েছে। হযরত আবু বকর (রা.) নাহদীয়া ও তার কন্যা উভয়কেই মুক্ত করেন। তারা দু’জনই বনু আব্দুদ্ দ্বার গোত্রের এক নারীর দাসী ছিলেন। একদিন তাদের গৃহকত্রী তাদেরকে আটা ভাঙ্গাতে পাঠানোর সময় শপথ করে বলছিল, সে কখনোই তাদেরকে মুক্তি দেবে না। ঘটনাচক্রে আবু বকর (রা.) সেখানে উপস্থিত হন, তিনি (রা.) সেই নারীকে এরূপ শপথ করতে বারণ করেন এবং তাকে জিজ্ঞেস করেন, তাদেরকে মুক্ত করতে সে কী মূল্য চায়? সেই নারী অস্বাভাবিক উচ্চমূল্য দাবি করে, কিন্তু আবু বকর (রা.) সেই মূল্যেই তাদের কিনে নিয়ে মুক্ত করে দেন। একবার তিনি (রা.) বনু মুআম্মাল গোত্রের একজন মুসলিম দাসীর নিকট দিয়ে অতিক্রম করছিলেন যাকে উমর বিন খাত্তাব মারধোর করছিলেন। উমর (রা.) তখনও মুসলমান হননি; হযরত আবু বকর (রা.) তাকেও ক্রয় করে মুক্ত করে দেন। তাঁর এরূপ কর্মকাণ্ড দেখে একবার তাঁর পিতা আবু কোহাফা তাঁকে বলেন, আমি দেখতে পাচ্ছি তুমি দুর্বল মানুষদের মুক্ত করছ; যদি একাজ করতেই চাও তবে অন্ততঃ শক্তিশালী পুরুষদের মুক্ত করাও যেন তারা তোমার নিরাপত্তা বিধান করতে পারে ও তোমার সাহায্যে দণ্ডায়মান হতে পারে! উত্তরে আবু বকর (রা.) বলেন, আমি তো কেবল মহান আল্লাহ্‌র সন্তুষ্টি কামনা করি। আল্লামা কুরতুবী, আল্লামা আলুসী প্রমুখ প্রসিদ্ধ মুফাসসিরদের মতে আবু বকর (রা.)’র এই পুণ্যকর্মের প্রেক্ষিতেই তাঁর সম্মানে আল্লাহ্ তা’লা সূরা লায়লের ৬-২২নং আয়াতগুলো অবতীর্ণ করেন। হযরত আবু বকর (রা.)’র মুক্তকৃত দাসদের মধ্যে হযরত খাব্বাব বিন আর্‌ত (রা.) অন্যতম। তিনি যখন ইসলাম গ্রহণ করেন তখন তার মনীব তাকে কঠিন শাস্তি দিতে আরম্ভ করে। তাকে প্রখর রোদের মাঝে তপ্ত বালুর ওপর শুইয়ে পেটানো হতো ও মুহাম্মদ (সা.)-কে অস্বীকার করতে বলা হতো; জবাবে তিনি (রা.) কলেমা পাঠ করতেন যা শুনে তার মনীব ক্ষিপ্ত হয়ে আরও বেশি মারধোর শুরু করতো। আর অনেক মারার পরও যখন রাগ প্রশমিত হতো না তখন তাকে পায়ে দড়ি বেঁধে কংকরময় পথ দিয়ে টেনে-হেঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হতো। বছরের পর বছর এভাবে ধারালো পাথরের ওপর দিয়ে হেঁচড়ানোর ফলে তার পিঠের চামড়া খুবই পুরু, বিকৃত ও অমসৃণ হয়ে গিয়েছিল, অনেকটা মহিষ বা গণ্ডারের চামড়ার মত। অবশেষে হযরত আবু বকর (রা.) আর সহ্য করতে না পেরে নিজের অনেক সম্পত্তি বিক্রি করে তাকে মুক্ত করেন।

হযরত মুসলেহ্ মওউদ (রা.) একস্থানে লিখেন, মহানবী (সা.)-কে মান্যকারী দাসগণ বিভিন্ন জাতি ও ধর্মের অনুসারী ছিলেন; বেলাল (রা.) ছিলেন আবিসিনিয়ান ও সোহায়েব (রা.) ছিলেন রোমান, আবার সোহায়েব-জুবায়ের (রা.) তারা খ্রিস্টান ছিলেন, বেলাল-আম্মার (রা.) প্রমুখ পৌত্তলিক ছিলেন। ইসলাম গ্রহণ করার ফলে তাদের সকলকেই ভয়াবহ অত্যাচারের সম্মুখীন হতে হয়। হযরত আবু বকর (রা.) তাদের এই অবস্থা দেখে তাদের মনীবদের কাছ থেকে কিনে নিয়ে তাদের মুক্ত করে দেন।

হযরত আবু বকর (রা.) একবার আবিসিনিয়া বা ইথিওপিয়ায় হিজরত করার সংকল্পও করেছিলেন। মক্কার কুরাইশদের অত্যাচার যখন সীমা ছাড়িয়ে যায় তখন মহানবী (সা.) দুর্বল মুসলমানদেরকে বলেন, তোমরা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়, নিশ্চয়ই আল্লাহ্ পুনরায় তোমাদের একত্রিত করে দেবেন। সাহাবীরা কোথায় হিজরত করবেন তা জানতে চাইলে মহানবী (সা.) তাদের ইথিওপিয়া অভিমুখে যেতে পরামর্শ দেন। এটি নবুয়্যতের ৫ম বছরের রজব মাসের ঘটনা। বেশ কিছু মুসলমান হিজরত করার পর হযরত আবু বকর (রা.)’র ওপরও চরম অত্যাচার আরম্ভ হয়, যেজন্য তিনি-ও হিজরত করতে মনস্থ করেন। বুখারী শরীফে এ সংক্রান্ত একটি হাদীস বর্ণিত হয়েছে। যখন আবু বকর (রা.) মক্কা থেকে ৫দিনের দূরত্বে অবস্থিত ইয়েমেনের শহর বারকুল গিমাদ পৌঁছেন তখন কারা গোত্রের নেতা ইবনে দাগেনা’র সাথে তাঁর দেখা হয়। ইবনে দাগেনা যখন হযরত আবু বকর (রা.)’র হিজরতের সংকল্পের কথা জানতে পারে তখন বলে, আবু বকর (রা.)’র মত পুণ্যবান ব্যক্তির নিজ শহর ছেড়ে চলে যাওয়া নিতান্ত অসমীচীন। সে তাঁকে সাথে নিয়ে মক্কায় ফিরে যায় ও কুরাইশ নেতাদের বলে, সে আবু বকর (রা.)-কে নিরাপত্তা দিচ্ছে, তাই কুরাইশরা যেন তাঁকে কষ্ট না দেয়। কুরাইশ নেতারা এক শর্তে একথা মেনে নেয়, তা হল- আবু বকর (রা.) প্রকাশ্যে ইসলাম চর্চা করতে পারবেন না, নামায-কুরআন তিলাওয়াত ইত্যাদি বাড়ির ভেতরে করবেন। হযরত আবু বকর (রা.) সাময়িকভাবে এটি মেনে নেন। কিন্তু তিনি এভাবে নীরবে ইসলাম পালন করতে প্রস্তুত ছিলেন না, তাই ক’দিন পরই তিনি বাড়ির উঠোনে নামায ও কুরআন পড়ার জন্য একটি স্থান নির্ধারণ করেন; বস্তুতঃ এটিই ইসলামের ইতিহাসের প্রথম মসজিদ ছিল। মক্কার নারী ও ছেলে-মেয়েরা আবু বকর (রা.)’র হৃদয়-নিংড়ানো দোয়াসহ নামায পড়া ও কুরআন তিলাওয়াত শুনতে আসতো ও গভীরভাবে প্রভাবিত হতো। কুরাইশরা তখন ইবনে দাগেনাকে ডেকে পাঠায় ও বলে, আবু বকর (রা.)’র এমন কাজের ফলে তাদের পৈতৃক ধর্ম নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ইবনে দাগেনা আবু বকর (রা.)-কে গিয়ে বলে, তিনি যেন এমনটি না করেন, নতুবা তার নিরাপত্তার দায়িত্ব যেন তাকে ফিরিয়ে দেন; তিনি সানন্দে তার নিরাপত্তা তাকে ফিরিয়ে দিয়ে বলেন, আমি আল্লাহ্‌র নিরাপত্তার আশ্রয় নিচ্ছি। হুযূর (আই.) বলেন, একই অবস্থা আজ আহমদীদের সাথেও হয়ে থাকে; বলা হয় আমাদেরকে নামায ও কুরআন পড়তে দেখলে নাকি সবাই ধর্মহীন হয়ে যাবে! এটিও আসলে সাহাবীদের সাথে জামাতের একটি সাদৃশ্য।

শে’বে আবি তালিব নামক সংকীর্ণ গিরিপথে অবরুদ্ধ থাকাকালেও হযরত আবু বকর (রা.) মহানবী (সা.)-এর সাথে ছিলেন। মক্কার কুরাইশরা যখন পূর্ণ প্রচেষ্টার পরও কোনভাবেই ইসলামের প্রচারকে প্রতিহত করতে পারছিল না, তখন তারা এক জঘন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করে। সবগুলো গোত্র একত্রিত হয়ে মহানবী (সা.)-এর গোত্র বনু হাশেম ও বনু মুত্তালিবকে বয়কট বা একঘরে করে রাখার সিদ্ধান্ত নেয় এবং সীমিত একটি স্থানে কোনরকম খাদ্য-পানীয় ছাড়া তাদেরকে অবরুদ্ধ রেখে ধ্বংস করার চুক্তি স্বাক্ষর করে এবং তা কা’বাগৃহে ঝুলিয়ে দেয়। একমাত্র আবু লাহাব ছাড়া মুসলিম-অমুসলিম নির্বিশেষে বনু হাশেম ও বনু মুত্তালিবের সকল সদস্য সেখানে কয়েদীর মত অবরুদ্ধ থাকেন; মক্কার অবশিষ্ট মুষ্টিমেয় মুসলমানগণও সেখানে চলে যান। এরূপ করুণ ও কষ্টকর পরিস্থিতির মাঝেও হযরত আবু বকর (রা.) মহানবী (সা.)-এর সাথেই ছিলেন। হুযূর (আই.) বলেন, বর্তমানে কিছু স্থানে আহমদীদেরও এরূপ বয়কট বা একঘরে করে রাখা হয়। বস্তুতঃ এটিও সাহাবীদের সাথে জামাতের একটি সাদৃশ্য।

সূরা রূমে রোমানদের আসন্ন জয়ের ভবিষ্যদ্বাণীর প্রেক্ষিতে হযরত আবু বকর (রা.) মক্কার মুশরিকদের সাথে বাজিও ধরেছিলেন। পারস্যবাসীরা মূলত মক্কার কুরাইশদের মত পৌত্তলিক ছিল, অপরদিকে রোমানরা আহলে কিতাব হওয়ায় মুসলমানদের সাথে তাদের সাদৃশ্য ছিল। এমতাবস্থায় কুরাইশরা পারস্যবাসীদের এবং মুসলমানগণ রোমানদের বিজয় কামনা করতো। তখন আল্লাহ্ তা’লা এই আয়াতগুলো অবতীর্ণ করেন,

الٓمٓ – غُلِبَتِ ٱلرُّومُ – فِىٓ أَدۡنَى ٱلۡأَرۡضِ وَهُم مِّنۢ بَعۡدِ غَلَبِهِمۡ سَيَغۡلِبُونَ – فِى بِضۡعِ سِنِينَ‌ۗ

অর্থাৎ ‘আলিফ-লাম-মিম। রোমানগণ পরাজিত হয়েছে নিকটবর্তী দেশে, এবং তারা তাদের পরাজয়ের পর অচিরেই জয়ী হবে; মাত্র কয়েক বছরের মধ্যেই।’ (সূরা র্আ রূম: ২-৫)

এই ভবিষ্যদ্বাণী শুনে কুরাইশরা হেসেই খুন, কারণ একের পর এক পরাজয়ে রোমানদের অবস্থা তখন এমন শোচনীয় ছিল যে, তাদের জয় বাহ্যত অসম্ভব ছিল। তখন আবু বকর (রা.) এই ভবিষ্যদ্বাণীর পূর্ণতা নিয়ে মুশরিকদের সাথে বাজি ধরেন; সময়সীমা নির্ধারণ করা হয় ৬ বছর। মহানবী (সা.) যখন একথা জানতে পারেন তখন তিনি (সা.) আবু বকর (রা.)-কে সময়সীমা বাড়াতে বলেন, কারণ আল্লাহ্ তা’লা ‘বিযই’ সিনীন’ শব্দ ব্যবহার করেছেন, যা ৩ থেকে ৯ পর্যন্ত সংখ্যার প্রতি ইঙ্গিত বহন করে। আবু বকর (রা.) সময়সীমা বাড়িয়ে নেন এবং রোমানরা আশ্চর্যজনকভাবে যুদ্ধে চূড়ান্তভাবে পরাজিত হওয়ার বদলে অসাধারণ জয়লাভ করে ও তাদের হারানো সকল সাম্রাজ্য পুনরুদ্ধার করে। উল্লেখ্য, ইসলামে তখন পর্যন্ত বাজি ধরা নিষিদ্ধ হয়নি। এই ঘটনা আল্লাহ্‌র বাণীর প্রতি হযরত আবু বকর (রা.)’র অগাধ বিশ্বাস ও আস্থার পরিচায়ক।

মহানবী (সা.) যখন বিভিন্ন গোত্রে গিয়ে তবলীগ করতেন তখনও হযরত আবু বকর (রা.) তাঁর (সা.) সঙ্গে থাকতেন। আল্লাহ্ তা’লার নির্দেশে মহানবী (সা.) হজ্জের সময় হযরত আবু বকর (রা.) ও হযরত আলী (রা.)-কে সাথে নিয়ে মিনা অভিমুখে অগ্রসর হন। সেখানে একদল আরবকে বসে থাকতে দেখে আবু বকর (রা.) তাদের সাথে আলাপ করে জানতে পারেন, তারা অওস ও খাযরাজ গোত্রের লোক। মহানবী (সা.) তাদেরকে তবলীগ করেন ও কুরআনের বিভিন্ন আয়াত পড়ে শোনান। এতে তারা গভীরভাবে প্রভাবিত হন ও ইসলাম গ্রহণ করেন; এঁরাই পরবর্তীতে মদীনার আনসার আখ্যায়িত হন। তাদের মধ্যে মাফরূক বিন আমর, মুসান্না বিন হারেসা, হানী বিন কাবিসা, নু’মান বিন শারীক প্রমুখ উল্লেখ্য। হুযূর (আই.) একাধিক সূত্রে এই ঘটনাটি বর্ণনা করেন এবং বলেন, এই বর্ণনা আগামীতেও অব্যাহত থাকবে।

খুতবার শেষদিকে হুযূর (আই.) বিশেষভাবে আফগানিস্তানের আহমদীদের জন্য দোয়ার অনুরোধ করেন। তারা অনেক কষ্টে দিনাতিপাত করছেন; আহমদীদের অনেককেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে, বাড়িতে তাদের পরিবার-পরিজনরা চরম দুশ্চিন্তা ও অনিশ্চয়তার মধ্যে দিনাতিপাত করছেন। যারা গ্রেপ্তার হননি তারাও গ্রেপ্তার হওয়ার শংকায় বাড়িছাড়া। হুযূর (আই.) দোয়া করেন, আল্লাহ্ তা’লা তাদের জন্য সহজসাধ্যতা সৃষ্টি করুন ও এই বিপদ থেকে উদ্ধার করুন। হুযূর (আই.) পাকিস্তানের আহমদীদের জন্যও দোয়ার আহ্বান করেন, সেখানে নিত্যদিনই কোন না কোন ঘটনা ঘটছে এবং সার্বিক পরিস্থিতি ক্রমশ অবনতির দিকেই যাচ্ছে। এছাড়া হুযূর (আই.) সার্বিকভাবে সমগ্র পৃথিবীর জন্যই দোয়া করতে বলেন যেন আল্লাহ্ সবাইকে হযরত মসীহ্ মওউদ (আ.)-কে মান্য করার সৌভাগ্য দান করেন এবং সবরকম অমঙ্গল দূরীভূত করেন; পৃথিবী যেন তাদের প্রকৃত স্রষ্টাকে চেনার সৌভাগ্য লাভ করে। (আমীন)।

এরপর হুযূর (আই.) সম্প্রতি প্রয়াত কয়েকজন নিষ্ঠাবান আহমদীর গায়েবানা জানাযা পড়ানোরও ঘোষণা দেন এবং তাদের সংক্ষিপ্ত স্মৃতিচারণ করেন। তারা হলেন যথাক্রমে, ঘানার মোকাররম আলহাজ্ব আব্দুর রহমান আনীন সাহেব, জর্ডানের মোকাররম আযইয়াব আলী মুহাম্মদ আল্ জাবালী সাহেব, কানাডা-প্রবাসী অবসরপ্রাপ্ত মুবাল্লিগ মোকাররম দ্বীন মুহাম্মদ শাহেদ সাহেব, রাবওয়ার জলসা সালানা দপ্তরের কর্মী মোকাররম মিয়াঁ রফিক আহমদ সাহেব এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন আমীর এহসানুল্লাহ্ জাফর সাহেবের সহধর্মিণী মোকাররমা কানেতা জাফর সাহেবা। হুযূর (আই.) তাদের সবার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত ও শান্তি কামনা করেন এবং তাদের পুণ্য তাদের বংশধরদের মাঝেও বহমান থাকার জন্য দোয়া করেন।