শ্রেষ্ঠ মহাপুরুষ – নিষ্ঠাবান বদরী সাহাবীগণ: হযরত আবু বকর (রা.)

হযরত মির্যা মসরূর আহমদ - খলীফাতুল মসীহ্‌ আল্‌ খামেস (আই.)

১০-ডিসেম্বর, ২০২১

মসজিদ মুবারক, ইসলামাবাদ, টিলফোর্ড, লন্ডন

জুমুআর খুতবার সারমর্ম


এই জুমু’আর খুতবার সারাংশটিতে কোনো প্রকার ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকলে তার দায়ভার আহ্‌মদীয়া বাংলা টীম গ্রহণ করছে।

আহ্‌মদীয়া মুসলিম জামা’তের বিশ্ব-প্রধান ও পঞ্চম খলীফাতুল মসীহ্‌, আমীরুল মু’মিনীন হযরত মির্যা মসরূর আহমদ (আই.) গত ১০ই ডিসেম্বর, ২০২১ইং ইসলামাবাদের মসজিদে মুবারকে প্রদত্ত জুমুআর খুতবায় সাম্প্রতিক ধারা অনুসরণে নিষ্ঠাবান বদরী সাহাবীদের বর্ণাঢ্য জীবনের স্মৃতিচারণ করেন। এ খুতবায় হযরত আবু বকর (রা.)’র ধারাবাহিক স্মৃতিচারণের ধারা অব্যাহত রাখেন।

তাশাহ্‌হুদ, তাআ’ঊয ও সূরা ফাতিহা পাঠের পর হুযূর (আই.) বলেন, হযরত আবু বকর (রা.)’র ইসলাম গ্রহণ সম্পর্কে আলোচনা চলছিল, এ সংক্রান্ত আরও কিছু তথ্য রয়েছে। বিভিন্ন আঙ্গিকে বর্ণিত ঘটনাগুলো মূলতঃ একই ঘটনার প্রতি ইঙ্গিত করে। হুযূর (আই.) উসদুল গাবাহ্’র একটি বিবরণ উদ্ধৃত করেন। মহানবী (সা.)-এর নবুয়্যতপ্রাপ্তির পূর্বে একবার হযরত আবু বকর (রা.) বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে ইয়েমেন যান এবং আযদ গোত্রের একজন বৃদ্ধের বাড়িতে আতিথ্য গ্রহণ করেন, যিনি ঐশী গ্রন্থাবলীর বিশেষ জ্ঞান রাখতেন। তিনি আবু বকর (রা.)-কে দেখেই তাঁর নিবাস, জ্ঞাতি-গোষ্ঠী প্রভৃতি অনুমান করে ফেলেন। হযরত আবু বকর (রা.)’র সাথে বাক্যালাপে তিনি বলেন, তার গবেষণা অনুসারে মক্কায় একজন নবী আবির্ভূত হতে যাচ্ছেন; এক যুবক ও একজন বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তি তাঁকে সহযোগিতা করবেন। সেই আলেমের অনুমান অনুসারে হযরত আবু বকর (রা.) ছিলেন সেই বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তি; বৃদ্ধ আলেম দু’টি শারীরিক চিহ্নও উল্লেখ করেন যার একটি ছিল ঐ ব্যক্তির পেটে তিল থাকবে। অতঃপর হযরত আবু বকর (রা.) নিজের জামা সরিয়ে তাকে দেখান এবং তিনি তাঁর নাভির ওপর কালো রঙের তিল দেখে কসম খেয়ে বলেন, নিঃসন্দেহে আবু বকর-ই সেই ব্যক্তি। সেই আলেম তাঁকে সতর্কও করেন, তিনি যেন সত্যপথকে অস্বীকার না করেন। তিনি আবু বকর (রা.)-কে মহানবী (সা.)-এর সম্মানে রচিত কিছু পঙক্তিও শোনান। আবু বকর (রা.)’র মক্কায় ফেরার পূর্বেই মহানবী (সা.) নবুয়্যতের দাবি করেছিলেন। উকবা, আবু জাহল, আবু বাখতারিসহ মক্কার নেতৃবৃন্দ দলবেঁধে আবু বকর (রা.)’র সাথে দেখা করতে আসে এবং মহানবী (সা.)-এর দাবির কথা তোলে; আবু বকর (রা.) মহানবী (সা.)-এর বাল্যবন্ধু হওয়ায় তারা সিদ্ধান্ত আবু বকর (রা.)’র ওপর ছেড়ে দেয়। তখনকার মতো তিনি তাদের বুঝিয়ে-শুনিয়ে ক্ষান্ত করেন এবং মহানবী (সা.)-এর সাথে গিয়ে দেখা করেন। মহানবী (সা.) নিজের দাবির উল্লেখ করে আবু বকর (রা.)-কে ইসলামগ্রহণের আহ্বান জানান; আবু বকর (রা.) তাঁর সত্যতার প্রমাণ চাইলে মহানবী (সা.) ইয়েমেনের সেই বৃদ্ধ আলেমের উল্লেখ করেন। আবু বকর (রা.) আশ্চর্য হয়ে প্রশ্ন করেন, হে আমার প্রিয়! আপনাকে এ কথা কে জানিয়েছে? মহানবী (সা.) বলেন, সেই মহান ফিরিশ্তা একথা জানিয়েছেন যিনি পূর্ববর্তী নবীদের প্রতিও অবতীর্ণ হতেন। অতঃপর আবু বকর (রা.) ইসলাম গ্রহণ করেন। হুযূর (আই.) বলেন, হয়তো এই বর্ণনায় কিছু কথা অতিরঞ্জিত রয়েছে, তবে বেশ কিছু কথা সঠিকও হতে পারে।

আরেক ইতিহাসগ্রন্থ রিয়াযুন্নাযরা’য় বর্ণিত হয়েছে, হযরত আবু বকর (রা.) মহানবী (সা.)-এর ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন। তাঁর (সা.) নবুয়্যতলাভের পর মক্কার নেতারা আবু বকর (রা.)-কে গিয়ে বলে, তোমার বন্ধু উন্মাদ হয়ে গিয়েছে। আবু বকর (রা.) জানতে চান, কী হয়েছে? তারা বলে, মুহাম্মদ (সা.) কা’বাগৃহে গিয়ে লোকজনকে এক-অদ্বিতীয় আল্লাহ্র প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে আর বলছে যে, সে নাকি নবী! একথা শুনে আবু বকর (রা.) রসূল (সা.)-এর কাছে গিয়ে এ বিষয়ে জানতে চান। তিনি (সা.) স্বীকার করেন যে, তিনি এই দাবি করেছেন। আবু বকর (রা.) বলেন, আল্লাহ্র কসম! আমি কখনও আপনাকে মিথ্যা বলতে শুনিনি, আপনি নিশ্চয়ই আপনার সততা, আত্মীয়তার বন্ধনরক্ষা ও পুণ্যকর্মের কারণে নবুয়্যতলাভের যোগ্য। অতঃপর তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন। মহানবী (সা.) স্বয়ং বলেন, আমি যাকেই ইসলামের প্রতি আহ্বান করেছি, সে হোঁচট খেয়েছে, সংকোচ করেছে ও বিলম্ব করেছে, একমাত্র ব্যতিক্রম হল আবু বকর; তাঁকে যখন ইসলামের কথা বলেছি তখন সে পিছুও হটেনি বা সংকোচও করেনি।

হযরত মুসলেহ্ মওউদ (রা.) হযরত আবু বকর (রা.)’র ইসলামগ্রহণের ঘটনা বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, মহানবী (সা.) যখন নবুয়্যতের দাবি করেন তখন আবু বকর (রা.) মক্কায় ছিলেন না। তিনি ফিরে এলে তাঁর এক দাসী বিষয়টি তাঁকে অবহিত করে। আবু বকর (রা.) শোনামাত্রই মহানবী (সা.)-এর কাছে ছুটে যান ও বলেন, আমি আপনার কাছে শুধু এটি জানতে চাই; আপনি কি দাবি করেন যে, আপনার কাছে আল্লাহ্র ফিরিশ্তা অবতীর্ণ হয়? মহানবী (সা.) বিষয়টি একটু ব্যাখ্যা করে বলতে চান, কারণ তাঁর আশংকা হয় পাছে আবু বকর সত্যকে অস্বীকার করে না বসেন। কিন্তু আবু বকর (রা.) তাঁকে থামিয়ে দিয়ে পুনরায় একই প্রশ্ন করেন। এরূপ কয়েকবার প্রশ্নের পর মহানবী (সা.) এককথায় উত্তর দেন যে, তিনি এই দাবি করেছেন। আবু বকর (রা.) তখন বলেন, আমি আপনার প্রতি ঈমান আনছি! তিনি আরও বলেন, প্রমাণ উপস্থাপনে আমি আপনাকে এজন্য বাধা দিচ্ছিলাম কারণ আমি চাইছিলাম, আমার ঈমান আনা যেন প্রমাণভিত্তিক না হয়ে অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে হয়। কারণ আপনার সত্যবাদিতা ও সততার চেয়ে বড় কোন প্রমাণ হয় না! যে ব্যক্তি সারাজীবন মানুষের সম্পর্কে কখনও মিথ্যা বলেন নি, তিনি কীভাবে এখন আল্লাহ্ সম্পর্কে মিথ্যা বলতে পারেন? হুযূর (আই.) বলেন, হযরত আবু বকর (রা.)’র ঈমান আনার ক্ষেত্রে এই ঘটনাটিই আমরা সচরাচর শুনে থাকি। অনুরূপ আরও কিছু বর্ণনাও হুযূর তুলে ধরেন। হযরত মসীহ্ মওউদ (আ.)-ও হযরত আবু বকর (রা.)’র ইসলামগ্রহণের ঘটনা কোন কোন স্থানে বর্ণনা করেছেন; সে বর্ণনাগুলোও এই বর্ণনার প্রায় অনুরূপ। হযরত মুসলেহ্ মওউদ (রা.) সূরা ইউনুসের ১৭নং আয়াত, فَقَدۡ لَبِثۡتُ فِيڪُمۡ عُمُرً۬ا مِّن قَبۡلِهِۦۤ‌ۚ أَفَلَا تَعۡقِلُونَ আর হযরত মসীহ্ মওউদ (আ.) সূরা রহমানের ৪৭নং আয়াত, وَلِمَنۡ خَافَ مَقَامَ رَبِّهِۦ جَنَّتَانِ এর ব্যাখ্যা করতে গিয়ে প্রসঙ্গতঃ হযরত আবু বকর (রা.)’র ইসলাম গ্রহণের ঘটনার উল্লেখ করেছেন। মসীহ্ মওউদ (আ.) আরও বলেন, প্রত্যেক যুগে যে ব্যক্তি সিদ্দীক হওয়ার মর্যাদা অর্জন করতে চায় তার জন্য আবু বকর (রা.)’র মত বৈশিষ্ট্য নিজের মাঝে সৃষ্টির যথাসাধ্য চেষ্টা করা এবং সাধ্যমত দোয়া করাও আবশ্যক। তিনি (আ.) আরেক স্থানে বলেন, মানুষ দু’ধরনের হয়ে থাকে। একদল সেসব সৌভাগ্যবান যারা প্রথমেই ঈমান আনে; এরা খুবই দূর-দৃষ্টিসম্পন্ন ও সূক্ষ্মদর্শী হয়ে থাকেন, যেমন হযরত আবু বকর সিদ্দীক (রা.)। আরেকটি দল বোকাদের হয়ে থাকে; যখন বিপদ মাথায় এসে পড়ে তখন সম্বিৎ ফিরে পায়; অর্থাৎ ঐশী শাস্তি ইত্যাদি দেখার পর ঈমান আনার কথা ভাবে।

ঐতিহাসিকদের মাঝে এ নিয়েও বিতর্ক হয়ে থাকে যে, মহানবী (সা.)-এর প্রতি সর্বপ্রথম কে ঈমান এনেছিলেন? সর্বপ্রথম তো ঈমান আনেন মহানবী (সা.)-এর সহধর্মিণী হযরত খাদীজা বিনতে খুওয়াইলিদ (রা.), কিন্তু পুরুষদের মধ্যে প্রথম কে ছিলেন- হযরত আলী (রা.), আবু বকর (রা.) নাকি হযরত যায়েদ বিন হারসা (রা.)- এ নিয়েও বিতর্ক হয়। কেউ কেউ এর সমাধান এভাবে করেন- বালকদের মধ্যে হযরত আলী (রা.), বয়স্কদের মধ্যে আবু বকর (রা.) ও দাসদের মধ্যে যায়েদ (রা.) প্রথম ছিলেন। হযরত মির্যা বশীর আহমদ সাহেবের মতে এটি এক অর্থহীন বিতর্ক; কারণ হযরত আলী (রা.) ও যায়েদ (রা.) মহানবী (সা.)-এর পরিবারেরই সদস্য ছিলেন এবং তাঁর সন্তানের মতই তাঁর সাথে থাকতেন; তারা যে শোনামাত্রই তাঁকে (সা.) গ্রহণ করবেন- এটাই স্বাভাবিক। এ দু’জনকে বাদ দিলে হযরত আবু বকর (রা.)ই প্রথম ইসলমাগ্রহণকারী ছিলেন- একথা সর্বজনবিদিত। হযরত হাসসান বিন সাবেতের কবিতা থেকেও আবু বকর (রা.)’র অগ্রগামীতা প্রতীয়মান হয়। বিখ্যাত প্রাচ্যবিদ স্প্রিঙ্গার, উইলিয়াম ম্যূর প্রমুখও আবু বকর (রা.)’র অগ্রগণ্য হওয়ার বিষয়ে একমত পোষণ করেন।

হযরত আবু বকর (রা.) তবলীগের ক্ষেত্রেও ছিলেন অত্যন্ত অগ্রগামী। তার তবলীগে একদম প্রথমদিকেই সাতজন মহান সাহাবী ইসলাম গ্রহণ করেন, যাদের মধ্যে পাঁচজন আশারায়ে মুবাশ্‌শারার সদস্যও ছিলেন, অর্থাৎ যারা পৃথিবীতেই জান্নাতের সুসংবাদ লাভ করেছিলেন। তাঁরা হলেন যথাক্রমে, হযরত উসমান বিন আফফান (রা.), ইসলাম গ্রহণকালে তাঁর বয়স ছিল ৩০ বছর; হযরত আব্দুর রহমান বিন অওফ (রা.), তাঁর বয়স ছিল প্রায় ৩০ বছর; হযরত সা’দ বিন আবী ওয়াক্কাস (রা.), তাঁর বয়স ছিল প্রায় ১৯ বছর; হযরত যুবায়ের বিন আওয়াম (রা.), তাঁর বয়স ছিল ১৫ বছর; হযরত তালহা বিন উবায়দুল্লাহ্ (রা.), ইসলাম গ্রহণের সময় তিনিও একেবারেই তরুণ ছিলেন।

মক্কার কাফিররা ইসলামগ্রহণকারীদের ওপর চরম অত্যাচার চালায়। কেবলমাত্র দুর্বল ও ক্রীতদাস মুসলমানরাই নয়, বরং স্বয়ং মহানবী (সা.) এবং হযরত আবু বকর (রা.)ও তাদের চরম নির্যাতনের শিকার হন; হুযূর (আই.) এ সংক্রান্ত ঘটনাও উল্লেখ করেন। একবার মহানবী (সা.) কা’বা গৃহের হাতিম অংশে নামায পড়ছিলেন, তখন উকবা নামক এক কাফির এসে নিজের চাদর দিয়ে মহানবী (সা.)-এর গলায় ফাঁস লাগিয়ে শ্বাসরোধ করে তাঁকে হত্যার চেষ্টা করে। হযরত আবু বকর (রা.) তখন ছুটে এসে তাঁকে উদ্ধার করেন ও বলেন, তোমরা কি একজন মানুষকে কেবল একারণে হত্যা করতে চাইছ যে, তিনি বলেন- আল্লাহ্ আমার প্রভু-প্রতিপালক? কতক বর্ণনা থেকে জানা যায়, এর ফলে হযরত আবু বকর (রা.)-কেও কাফিররা প্রচণ্ড মারধোর করে, এমনকি তাঁর মাথার প্রায় সব চুলও তারা টেনে ছিঁড়ে ফেলেছিল। হযরত আলী (রা.) তাঁর খিলাফতকালে একবার লোকজনদের প্রশ্ন করেন, বল তো, সবচেয়ে সাহসী ব্যক্তি কে? সবাই একবাক্যে বলে, নিঃসন্দেহে আপনি! কিন্তু হযরত আলী (রা.) বলেন, সবচেয়ে সাহসী ব্যক্তি ছিলেন হযরত আবু বকর (রা.); আর এর প্রমাণস্বরূপ তিনি বদরের যুদ্ধের দিনের ঘটনার উল্লেখ করেন যে, সেদিন যখন প্রশ্ন করা হয়- মহানবী (সা.)-এর প্রহরায় কে থাকবে, কুরাইশদের আক্রমণের প্রধান লক্ষ্যই ছিলেন মহানবী (সা.), তখন কেউ এগিয়ে আসতে সাহস পাচ্ছিল না। তখন আবু বকর (রা.) তরবারি-হাতে বীরদর্পে এগিয়ে আসেন এবং এমনভাবে দাঁড়ান যেন মহানবী (সা.)-এর কাছে কাউকে যেতে হলে তাঁর লাশ ডিঙিয়ে যেতে হবে। হযরত আলী (রা.) আবু বকর (রা.)’র বীরত্বের কথা বলতে গিয়ে অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়েন, এমনকি কাঁদতে কাঁদতে তাঁর দাড়ি পর্যন্ত ভিজে যায়।

ক্রীতদাসদের মুক্ত করার ক্ষেত্রেও হযরত আবু বকর (রা.)’র বিশেষ ভূমিকা ছিল। যখন তিনি ইসলামগ্রহণ করেন তখন তাঁর কাছে চল্লিশ হাজার দিরহাম ছিল, তিনি এই সম্পদ বিশেষভাবে মুসলমান দাসদের মুক্ত করতে ব্যয় করেন। হযরত বেলাল (রা.), হযরত আমের বিন ফুহায়রা (রা.), হযরত যিন্নিরা রুমী প্রমুখ সাহাবী ও সাহাবীয়াদের তিনি-ই মুশরিক মনীবদের অত্যাচার থেকে নিষ্কৃতি দেয়ার জন্য উচ্চমূল্যে ক্রয় করে নিয়ে মুক্ত করে দেন। হুযূর (আই.) বলেন, দাসমুক্ত করার এই তালিকায় আরও নাম রয়েছে, এই স্মৃতিচারণ আগামীতেও অব্যাহত থাকবে। (ইনশাআল্লাহ্)