শ্রেষ্ঠ মহাপুরুষ – নিষ্ঠাবান বদরী সাহাবীগণ: হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব (রা.)

হযরত মির্যা মসরূর আহমদ - খলীফাতুল মসীহ্‌ আল্‌ খামেস (আই.)

১০-সেপ্টেম্বর, ২০২১

মসজিদ মুবারক, ইসলামাবাদ, টিলফোর্ড, লন্ডন

জুমুআর খুতবার সারমর্ম


এই জুমু’আর খুতবার সারাংশটিতে কোনো প্রকার ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকলে তার দায়ভার আহ্‌মদীয়া বাংলা টীম গ্রহণ করছে।

আহ্‌মদীয়া মুসলিম জামা’তের বিশ্ব-প্রধান ও পঞ্চম খলীফাতুল মসীহ্, আমীরুল মু’মিনীন হযরত মির্যা মসরূর আহমদ (আই.) গত ১০ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ইং ইসলামাবাদের মসজিদে মুবারকে প্রদত্ত জুমুআর খুতবায় সাম্প্রতিক ধারা অনুসরণে নিষ্ঠাবান বদরী সাহাবীদের বর্ণাঢ্য জীবনের স্মৃতিচারণ করেন। এ খুতবায় হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব (রা.)’র খিলাফতকালে অর্জিত বিভিন্ন দেশ জয়ের উল্লেখ করেন। খুতবার শেষদিকে হুযূর (আই.) সম্প্রতি প্রয়াত কতিপয় নিষ্ঠাবান আহমদীর স্মৃতিচারণ করেন ও নামাযান্তে তাদের গায়েবানা জানাযা পড়ান।

তাশাহ্‌হুদ, তাআ’ব্বুয ও সূরা ফাতিহা পাঠের পর হুযূর (আই.) বলেন, হযরত উমর (রা.)’র খিলাফতকালের স্মৃতিচারণ করা হচ্ছিল এবং সেই যুগের বিভিন্ন যুদ্ধাভিযানের বর্ণনা চলছিল। হুযূর (আই.) প্রথমে দামেস্ক জয় প্রসঙ্গে বলেন, ইতিহাসগ্রন্থ থেকে জানা যায় যে, হযরত আবু বকর (রা.)’র যুগেই দামেস্ক কয়েক মাস পর্যন্ত অবরোধ করে রাখা হয় এবং তাঁর মৃত্যুর কিছুদিন পর মুসলমানরা এই যুদ্ধে জয় লাভ করেন। তাই দামেস্ক জয়ের ঘটনাবলী হযরত আবু বকর (রা.)’র স্মৃতিচারণের সময় করা হবে। এরপর হুযূর (আই.) দামেস্ক জয়ের পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহ তুলে ধরেন। দামেস্ক জয় হওয়ার পর হযরত আবু উবায়দাহ্ (রা.) বিকা’র অভিযানে খালেদ বিন ওয়ালীদ (রা.)-কে প্রেরণ করেন যা তিনি জয় করেন এবং একটি দল অগ্রে প্রেরণ করেন। মেসানুন-নামক ঝর্ণার নিকটে এই অভিযাত্রী দল ও রোমানদের মাঝে প্রচণ্ড যুদ্ধ হয় এবং ঘটনাচক্রে অনেক মুসলমান শহীদও হন। ওদিকে আবু যাহরা, শারাহবিল বিন হাসানা ও খালিদ বিন ওয়ালীদ বিভিন্ন অঞ্চল জয় করেন কিংবা স্থানীয় অধিবাসীদের সাথে সন্ধিচুক্তি করে সম্মুখে অগ্রসর হতে থাকেন।

১৪শ হিজরীতে ফেহেল বিজিত হয় যা সিরিয়ার একটি প্রসিদ্ধ স্থান ছিল। আবু উবায়দাহ্ (রা.) হযরত উমর (রা.)’র কাছে পত্র মারফৎ ফেহেল-এ অভিযান পরিচালনার গুরুত্ব উল্লেখ করেন এবং একইসাথে দিক-নির্দেশনাও কামনা করেন যে, প্রথমে দামেস্কে অভিযান পরিচালনা করবেন নাকি ফেহেল অভিমুখে অগ্রসর হবেন। হযরত উমর (রা.) তাঁকে প্রথমে দামেস্ক জয় করার নির্দেশ দেন, কেননা তা সিরিয়ার মূল কেন্দ্র ও দুর্গস্বরূপ; সেইসাথে ফেহেল-এ একটি অশ্বারোহী বাহিনীও প্রেরণের নির্দেশ দেন। যদি ইতোমধ্যে ফেহেল বিজিত না হয় তাহলে দামেস্ক জয়ের পর সেখানে অভিযান চালাতে হবে। নির্দেশনা অনুসারে হযরত আবু উবায়দাহ্ (রা.) দশজন দক্ষ যোদ্ধার নেতৃত্বে একটি দল ফেহেল-এ প্রেরণ করেন এবং স্বয়ং খালেদ বিন ওয়ালীদ (রা.)-কে সাথে নিয়ে দামেস্ক অভিমুখে অগ্রসর হন। অতঃপর মুসলমানরা এই স্থানগুলো খলীফার নির্দেশনা অনুসারে একে একে জয় করেন। দামেস্ক অভিযানের এক পর্যায়ে রোমানরা মুসলমানদের সাথে আলোচনার প্রস্তাব দেয়। আবু উবায়দাহ্ (রা.) তখন হযরত মুআয বিন জাবাল (রা.)-কে তাদের কাছে দূতরূপে প্রেরণ করেন, কিন্তু রোমানদের উদ্ধত আচরণ ও অনমনীয় মনোভাবের কারণে আলোচনা ফলপ্রসূ হয় নি। এরপর তারা সরাসরি আবু উবায়দাহ্ (রা.)’র সাথে সংলাপের জন্য একজন দূত পাঠায় এবং তার মাধ্যমে পুনরায় তুচ্ছ একটি প্রস্তাব দেয় ও সামান্য অর্থের বিনিময়ে তাদেরকে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে চলে যেতে বলে। স্বাভাবিকভাবেই হযরত আবু উবায়দাহ্ (রা.) তা প্রত্যাখ্যান করেন। এরপর হযরত আবু উবায়দাহ্ (রা.)’র নির্দেশে মুসলমানরা যুদ্ধের পূর্ণ প্রস্তুতি গ্রহণ করেন এবং হযরত উমর (রা.)’র অনুমতিক্রমে তারা আক্রমণ করেন। অতঃপর হযরত খালেদ (রা.)-এর বীরত্বপূর্ণ নেতৃত্বে মুসলমানরা যুদ্ধ জয় করেন। এ সময় হযরত উমর (রা.) নির্দেশ দেন, স্থানীয় অধিবাসীদের প্রাণ, জমি-জমা, সহায়-সম্পত্তি, উপাসনালয় ইত্যাদি সব নিরাপদ থাকবে, তাদের কাছ থেকে কিছুই কেড়ে নেয়া হবে না; কেবলমাত্র মসজিদ নির্মাণের জন্য কিছু জমি নেয়া হবে। এভাবে তিনি উদারতার এক মহান আদর্শ ও দৃষ্টান্ত প্রতিষ্ঠা করেন। পরবর্তীতে বিসান-এও অভিযান পরিচালিত হয় এবং মুসলমানরা তা জয় করেন।

তাবারিয়া-ও হযরত উমর (রা.)’র যুগের বিজিত স্থানগুলোর অন্যতম। তাবারিয়ার অধিবাসীরা মুসলমানদের বিসান জয়ের সংবাদ জানতে পেরে মুসলমানদের সাথে সন্ধিচুক্তি করে নেয়; তাবারিয়া ও বিসানের অধিবাসীদের সাথে দামেস্ক সন্ধির শর্তাবলীর আলোকেই সন্ধি করা হয়। আর এ-ও সিদ্ধান্ত হয় যে, শহর ও শহরতলি অঞ্চলের অর্ধেক ঘরবাড়ি মুসলমানদের জন্য ছেড়ে দেয়া হবে। ১৪শ হিজরীতে মুসলমানরা হিমস-ও জয় করেন যা সিরিয়ার একটি প্রসিদ্ধ ও খুবই গুরুত্বপূর্ণ শহর ছিল। হযরত আবু উবায়দাহ্ (রা.) হিমস অভিমুখে অগ্রসর হলে হিমসবাসীরা আগ বাড়িয়ে যুদ্ধ করতে আসে, যার পরিণতিতে তারা পরাজিত হয়। এই অভিযানটি প্রচণ্ড শীতের সময় হয়েছিল। রোমানরা ভেবেছিল, মুসলমানরা দীর্ঘ সময় ঠাণ্ডার মাঝে উন্মুক্ত স্থানে যুদ্ধ করতে পারবে না। ইতিহাস থেকে জানা যায়, রোমানদের পায়ে চামড়ার মোজা থাকা সত্ত্বেও তাদের পা ঠাণ্ডায় জমে যেত, কিন্তু মুসলমানদের পায়ে কেবলমাত্র জুতো থাকা সত্ত্বেও তারা শীতে কাবু না হয়ে যুদ্ধক্ষেত্রে অবিচল ও অনঢ় থাকেন। অপরদিকে হিরাক্লিয়াসের পক্ষ থেকেও প্রতিশ্রুত সাহায্য এসে পৌঁছে নি, আর শীতকালও শেষ হয়ে যায়। অবশেষে রোমানরা বুঝতে পারে যে, তাদের পরাজয় নিশ্চিত; তাই তারা সন্ধি করার প্রস্তাব দেয় এবং তা মুসলমানদের পক্ষ থেকে গ্রহণ করা হয়।

মার্জ-এ-রোম-ও হযরত উমর (রা.)’র যুগে বিজিত হয়। মুসলমান সেনারা তীব্র শীতের মাঝে এবং নিজেদের দেহে অজস্র আঘাত ও গুরুতর ক্ষত নিয়েও রোমানদের সাথে লড়াই অব্যাহত রাখেন, যার পরিণতিতে এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর মুসলমানরা জয়ী হন। শত্রুসেনাদের মধ্যে কেবল তারাই বেঁচে ছিল, যারা পালিয়ে গিয়েছিল। মুসলমানরা বিপুল পরিমাণ যুদ্ধলদ্ধ সম্পদ অর্জন করেন। এরই ধারাবাহিকতায় মুসলমানরা কোন প্রতিরোধ ছাড়াই সন্ধিচুক্তির মাধ্যমে হামাত-ও জয় করেন এবং সালামিয়া অভিমুখে অগ্রসর হন।

১৪শ হিজরীতে মুসলমানরা লাযেকিয়া-ও জয় করেন। মুসলিম বাহিনী লাযেকিয়া অভিমুখে অগ্রসর হলে সেখানকার অধিবাসীরা দুর্গে আশ্রয় নেয়। তাদের বিশ্বাস ছিল, তারা মুসলমানদের প্রতিরোধ করতে পারবে, আর ইতোমধ্যে রোমান সম্রাট হিরাক্লিয়াসের পক্ষ থেকেও সাহায্যকারী বাহিনী চলে আসবে। হযরত আবু উবায়দাহ্ (রা.) তখন অসাধারণ এক রণকৌশল অবলম্বন করেন। শত্রুরা যেহেতু দুর্গ থেকে বেরোচ্ছিল না এবং শহরের ফটকও বন্ধ করে রেখেছিল, তাই হযরত আবু উবায়দাহ্ (রা.) যুদ্ধক্ষেত্রে এমন অনেকগুলো গর্ত খোঁড়েন যার প্রতিটিতে একজন যোদ্ধা তার ঘোড়াসহ লুকোতে পারে। ওপর থেকে ঘাস ইত্যাদি দিয়ে গর্তগুলো ঢেকে দেয়া হয়। পরদিন শহরবাসীরা মাঠ খালি দেখে ভাবে যে, মুসলমানরা রণে ভঙ্গ দিয়ে চলে গিয়েছে তাই তারা বাইরে বেরিয়ে আসে। এরপর মুসলমানরা অকষ্মাৎ গর্ত থেকে বেরিয়ে এসে আক্রমণ করেন এবং শহরের ফটকের দখল নিয়ে নেন। শত্রু ঘটনার আকস্মিকতায় হতচকিত হয়ে আত্মসমর্পণ করে এবং তাদের সাথে সন্ধিচুক্তি করা হয়। তাদের ঘরবাড়ি, গির্জা ইত্যাদি তাদেরকেই অর্পণ করা হয়, তবে পাশেই মুসলমানদের জন্য মসজিদও নির্মাণ করা হয়।

১৫শ হিজরীতে মুসলমানরা কিনেসরিন জয় করেন। হযরত আবু উবায়দাহ্ (রা.) কিনেসরিন অভিমুখে খালেদ বিন ওয়ালীদকে প্রেরণ করেন যা আলেপ্পো প্রদেশের একটি জনবহুল শহর ছিল। রোমানরা হাযের নামক স্থানে তাদের দ্বিতীয় শীর্ষ সেনাপতি মিনাস-এর নেতৃত্বে লড়াই করতে আসে। প্রচণ্ড যুদ্ধের পর হযরত খালেদ (রা.) মিনাসসহ অনেক রোমান সৈন্যকে হত্যা করেন। স্থানীয় অধিবাসীরা হযরত খালেদ (রা.)’র কাছে সংবাদ পাঠায় যে, যুদ্ধে তাদের কোন সম্মতিই ছিল না, তাদেরকে যুদ্ধ করতে রোমানরা বাধ্য করেছিল; তাই তাদেরকে যেন ক্ষমা করে দেয়া হয়। অতঃপর খালেদ (রা.) তাদেরকে ক্ষমা করে দেন। কিছু রোমানসেনা কিনেসরিন গিয়ে দুর্গে আশ্রয় নেয় ও শহরের দরজা বন্ধ করে দেয়। হযরত খালেদ (রা.) তাদের সংবাদ পাঠান যে, তারা যদি মেঘের মাঝেও গিয়ে লুকায় তবুও মুসলমানরা তাদের বাগে পাবে। কিছুদিন দুর্গে অবস্থানের পর তারা বুঝতে পারে, তাদের পালানোর আর কোন পথ নেই। তাই তারা হিমস-এর সন্ধিচুক্তির আদলে সন্ধিচুক্তির প্রস্তাব দেয়। কিন্তু হযরত খালিদ (রা.) তাদেরকে ইতিপূর্বে কৃত অবাধ্যতার জন্য শাস্তি দিতে মনস্থ করেন এবং শহরটিকে গুঁড়িয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন, তাই সেখানকার অধিবাসীরা এন্তাকিয়া চলে যায়। হযরত আবু উবায়দাহ্ (রা.) কিনেসরিন পৌঁছে বুঝতে পারেন যে, হযরত খালেদের বিচার সম্পূর্ণ সঠিক ও ন্যায্য হয়েছে, তাই তিনিও শহরের দুর্গ ও প্রাচীর গুঁড়িয়ে দেন। এরপর তিনি অনুভব করেন, ন্যায্য বিচারের পাশাপাশি দয়া ও স্নেহ প্রদর্শন করাও প্রয়োজন। তাই তিনি শহরের অধিবাসীদের নিরাপত্তা দান করেন, এমনকি তাদের গির্জা ও অর্ধেক ঘরবাড়িও তাদেরকে ফিরিয়ে দেন।

১৫শ হিজরীতেই মুসলমানরা কায়সারিয়া-ও জয় করেন, যা সিরিয়ার একটি সমুদ্র তীরবর্তী স্থান ছিল। হযরত উমর (রা.)’র নির্দেশে আমীর মুয়াবিয়া তার ভাই ইয়াযিদ বিন আবু সুফিয়ানের নেতৃত্বে ১৭ হাজার সেনা কায়সারিয়া অভিমুখে প্রেরণ করেন; তারা গিয়ে সেটি অবরোধ করেন। এটি সেই যুগে অনেক বড় একটি শহর ছিল এবং বিরাট এক রোমান বাহিনী এটির নিরাপত্তায় নিয়োজিত ছিল। রোমানরা মুসলমানদের ওপর আক্রমণ করে, কিন্তু পরাজিত হয় এবং তাদের ৮০ হাজার সৈন্য নিহত হয়। এই যুদ্ধে একজন প্রসিদ্ধ বদরী সাহাবী হযরত উবাদাহ্ বিন সামেত (রা.)ও অংশ নিয়েছিলেন এবং বাহিনীর মধ্যভাগের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তিনি অসাধারণ বীরত্ব প্রদর্শন করেন এবং মুসলমানদের অত্যন্ত উদ্বুদ্ধ ও অনুপ্রাণিত করেন। প্রথমবার আক্রমণে তারা যখন জয়লাভ করতে পারেন নি, তখন তিনি ফিরে এসে মুসলমানদের বলেন, ইতিপূর্বে যতবার তিনি মু’মিনদের সাথে নিয়ে মুশরিকদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন, সবসময় মুশরিকরা পালিয়েছে। কিন্তু সেদিন এর ব্যতিক্রম দেখে তাঁর শঙ্কা হয় যে, হয় মুসলমানদের মাঝে কোন অবিশ্বস্ত ব্যক্তি ছিল, নতুবা আক্রমণ করার সময় তারা পূর্ণ নিষ্ঠার পরিচয় দেয় নি। তিনি পুনর্বার আক্রমণের জন্য সবাইকে উদ্বুদ্ধ করে বলেন, এবার আক্রমণের সময় তিনি জয় না হওয়া পর্যন্ত যুদ্ধক্ষেত্রে অবিচল থাকবেন, প্রয়োজনে হাসিমুখে শাহাদতের পেয়ালা পান করবেন; তিনি সহযোদ্ধা মুসলমানদেরও এরূপ করতে অনুপ্রাণিত করেন। অতঃপর যুদ্ধক্ষেত্রে গিয়ে তিনি প্রবল বিক্রমে যুদ্ধ করতে থাকেন, তাঁর সাথে বাকি সেনারাও প্রাণপণে যুদ্ধ করেন এবং জয়ী হন। হুযূর (আই.) বলেন, এই স্মৃতিচারণ আগামীতেও অব্যাহত থাকবে, ইনশাআল্লাহ্।

খুতবার শেষাংশে হুযূর (আই.) সম্প্রতি প্রয়াত কয়েকজন নিষ্ঠাবান আহমদীর গায়েবানা জানাযা পড়ানোর ঘোষণা দেন ও তাদের সংক্ষিপ্ত স্মৃতিচারণ করেন। তারা হলেন, কেরালার প্রাক্তন মুবাল্লিগ মওলানা কে, এম আলভী সাহেবের সহধর্মিণী খাদিজা সাহেবা, আটক জেলার প্রাক্তন জেলা আমীর মালেক সুলতান রশীদ খান সাহেব, ইন্দোনেশিয়ার মোকাররম আব্দুল কাইয়্যূম সাহেব ও বেনীনের প্রথমদিকের আহমদী মোকাররম দাউদা রায্যাকী ইউনুস সাহেব। হুযূর (আই.) প্রয়াতদের অসাধারণ গুণাবলী ও সৎকর্মের ওপর সংক্ষিপ্ত আলোকপাত করেন এবং তাদের রূহের মাগফিরাত ও শান্তি কামনা করে দোয়া করেন।