শ্রেষ্ঠ মহাপুরুষ – নিষ্ঠাবান বদরী সাহাবীগণ: হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব (রা.)

হযরত মির্যা মসরূর আহমদ - খলীফাতুল মসীহ্‌ আল্‌ খামেস (আই.)

৩০-জুলাই, ২০২১

মসজিদ মুবারক, ইসলামাবাদ, টিলফোর্ড, লন্ডন

জুমুআর খুতবার সারমর্ম


এই জুমু’আর খুতবার সারাংশটিতে কোনো প্রকার ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকলে তার দায়ভার আহ্‌মদীয়া বাংলা টীম গ্রহণ করছে।

আহমদীয়া মুসলিম জামা’তের বিশ্ব-প্রধান ও পঞ্চম খলীফাতুল মসীহ্‌ হযরত মির্যা মসরূর আহমদ (আই.) গত ৩০শে জুলাই, ২০২১ইং ইসলামাবাদের মসজিদে মুবারকে প্রদত্ত জুমুআর খুতবায় পূর্বের ধারা অনুসরণে নিষ্ঠাবান বদরী সাহাবীদের বর্ণাঢ্য জীবনের স্মৃতিচারণ করেন। এ খুতবায় হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব (রা.)’র স্মৃতিচারণ করেন। খুতবার শেষাংশে হুযূর (আই.) সম্প্রতি প্রয়াত কতিপয় নিষ্ঠাবান আহমদীর স্মৃতিচারণ করেন ও নামাযান্তে তাদের গায়েবানা জানাযা পড়ান।

তাশাহহুদ, তাআ’ব্বুয ও সূরা ফাতিহা পাঠের পর হুযূর (আই.) বলেন, হযরত উমর (রা.)’র স্মৃতিচারণ করা হচ্ছিল এবং তাঁর যুগে সংঘটিত বিভিন্ন যুদ্ধবিগ্রহ সম্পর্কে আলোচনা চলছিল। হুযূর (আই.) ‘সীরাত খাতামান্ নবীঈন’ পুস্তকের বরাতে বর্ণনা করেন, মিদিয়ান-জয় সম্পর্কে স্বয়ং মহানবী (সা.) আল্লাহ্ তা’লার কাছ থেকে জ্ঞান লাভ করে ভবিষ্যদ্বাণী করে গিয়েছিলেন। খন্দক বা পরিখার যুদ্ধের সময় যখন পরিখা খনন করতে গিয়ে একস্থানে এমন একটি পাথর পাওয়া যায় যা কোনভাবেই ভাঙা যাচ্ছিল না। মহানবী (সা.)-কে তা জানানো হলে তিনি (সা.) স্বয়ং কোদাল হাতে এগিয়ে আসেন এবং পাথরে আঘাত করেন। তিনি (সা.) পরপর তিনবার কোদাল দিয়ে আঘাত করলে পাথরটি ভেঙে যায়; প্রতিবারই আঘাতের সময় পাথর থেকে অগ্নিস্ফূলিঙ্গ বের হয় এবং মহানবী (সা.) উচ্চস্বরে ‘আল্লাহু আকবার’ পাঠ করেন। সাহাবীরা এর কারণ জানতে চাইলে তিনি (সা.) বলেন, প্রতিবার আঘাতের পরই তাঁকে আল্লাহ্ তা’লা ইসলামের ভবিষ্যৎ বিজয়সমূহের দৃশ্য দেখিয়েছেন; প্রথম আঘাতের পর তাঁকে দিব্যদর্শনে সিরিয়ার চাবিসমূহ দেয়া হয়, দ্বিতীয়বার আঘাতের পর তাঁকে পারস্যের চাবি দেয়া হয় ও মিদিয়ানের শ্বেত-শুভ্র প্রাসাদসমূহ দেখানো হয়; তৃতীয় আঘাতের পর তাঁকে ইয়েমেনের চাবি দেয়া হয় ও সানার তোরণ দেখানো হয়। যেহেতু তখন ইসলাম নিজ ঘরেই শত্রুদের আক্রমণে জর্জরিত ছিল, তাই এই বিষয়টি নিয়ে মুনাফিকরা অনেক উপহাসও করেছিল যে, যাদের বাড়ির বাইরে পা ফেলার মুরোদ নেই তারা আবার রোমান ও পারস্য সাম্রাজ্য জয়ের স্বপ্ন দেখছে। কিন্তু হযরত উমর (রা.)’র যুগে হযরত সা’দ (রা.)’র মাধ্যমে এই মহান ভবিষ্যদ্বাণী পূর্ণ হয়। কাদসিয়া জয়ের পর মুসলমানরা ব্যাবিলন জয় করে কুসা হয়ে মিদিয়ানের এক প্রান্তে পৌঁছেন। পারস্য সম্রাট কিসরার শিকারী সিংহ মুসলমানদের ওপর লেলিয়ে দেয়া হয়, কিন্তু তা হযরত সা’দ (রা.)-এর ভাই হাশেমের এক আঘাতেই ধরাশায়ী হয়; অতঃপর মিদিয়ানের যুদ্ধও সংঘটিত হয়। মিদিয়ান কিসরার রাজধানী ছিল এবং তা দজলা নদীর তীরে অবস্থিত ছিল, এখানেই কিসরার শ্বেত-শুভ্র প্রাসাদও অবস্থিত ছিল। মুসলমানদের দেখে কিসরার বাহিনী নদীর ওপরের সবগুলো পুল ভেঙে ফেলে। হযরত সা’দ (রা.) স্বপ্নে দেখেন যে, তারা ঘোড়া নিয়েই নদী পার হচ্ছেন। এই স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য পরদিন তিনি সবাইকে আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘হে মুসলমানেরা! শত্রু নদীর আশ্রয় নিয়েছে; এসো, আমরা সাঁতরে নদী পার হই।’ একথা বলে তিনি স্বয়ং ঘোড়া নিয়ে নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়েন, তাঁর অনুসরণে তাঁর বাহিনীও তা-ই করে এবং তারা সবাই নদী অতিক্রম করে ফেলেন। শত্রুপক্ষ এই অভাবনীয় দৃশ্য দেখে আতংকে ‘দৈত্য এসেছে, দৈত্য এসেছে’ বলে চিৎকার করতে করতে পালিয়ে যায়। অতঃপর মুসলমানরা সেই শহর জয় করেন এবং আহযাবের যুদ্ধের সময় করা মহানবী (সা.)-এর একটি ভবিষ্যদ্বাণী পূর্ণতা লাভ করে।

মিদিয়ান পরাজয়ের পর ইরানীরা ইরাকের আরেকটি শহর জালুলায় পাল্টা যুদ্ধের জন্য জড়ো হতে থাকে; ১৬ হিজরীতে এখানে জালুলার যুদ্ধ সংঘটিত হয়। ইরানীদের প্রস্তুতির বিষয়ে জানতে পেরে হযরত উমর (রা.)’র নির্দেশনা মোতাবেক হযরত সা’দ (রা.), হযরত হাশেম বিন উতবা (রা.)’র নেতৃত্বে ১২ হাজার সৈন্য সেখানে প্রেরণ করেন। মুসলমানরা সেখানে পৌঁছে শহরটি অবরোধ করেন এবং সেই অবরোধ একমাস বলবৎ থাকে, এই সময়ের ভেতর ৮০টি খণ্ডযুদ্ধও হয়। অবশেষে মুসলমানগণ জয়ী হন। তারা খলীফা হযরত উমর (রা.)’র কাছে শত্রুদের পশ্চাদ্ধাবনের অনুমতি চাইলে তিনি তাদেরকে সেই অনুমতি দেন নি। বরং তিনি মন্তব্য করেন, এভাবে আগ-বাড়িয়ে যুদ্ধ করার চেয়ে মুসলমানদের প্রাণের মূল্য তাঁর কাছে অনেক বেশি। একটি বর্ণনা থেকে জানা যায়, যুদ্ধের পর বিপুল পরিমাণ যুদ্ধলদ্ধ সম্পদ যখন মদীনায় পাঠানো হয় তখন হযরত উমর (রা.) তা দেখে কেঁদে ফেলেছিলেন। তাঁর কাছে এই কান্নার কারণ জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেছিলেন, এভাবে যখন সম্পদ আসে তখন তা পারস্পরিক হিংসা ও বিদ্বেষ বৃদ্ধিরও কারণ হয়, সেটি নিয়ে তিনি শঙ্কিত। হুযূর (আই.) বলেন, হযরত উমর (রা.)’র এই কথাটি গভীর চিন্তার দাবি রাখে; বর্তমানে মুসলিম বিশ্বে আমরা এই আশঙ্কাটিকেই সত্য প্রতিপন্ন হতে দেখছি।

মিদিয়ানের যুদ্ধের সময় পারস্য সম্রাট ইয়াযদাজরদ মিদিয়ান ছেড়ে হুলওয়ান চলে গিয়েছিল। জালুলার পরাজয়ের সংবাদ শুনে সে সেখান থেকেও পিছু হটে। হযরত সা’দ (রা.), হযরত কা’কা (রা.)-কে হুলওয়ানে প্রেরণ করেন; তিনি ইরানীদের পরাস্ত করে হুলওয়ান জয় করেন। মাসাবযান-এর যুদ্ধ সম্পর্কে জানা যায়, জালুলার যুদ্ধের কিছু সময় পর হযরত সা’দ (রা.) সংবাদ পান, পারস্য বাহিনী আযিন বিন হরমুযান নামক এক সেনাপতির নেতৃত্বে মুসলমানদের সাথে লড়াইয়ের জন্য অগ্রসর হচ্ছে। হযরত উমর (রা.)-কে এই বিষয়ে অবগত করা হলে তিনি হযরত যিরার বিন খাত্তাব (রা.)-এর নেতৃত্বে সৈন্যবাহিনী প্রেরণের নির্দেশ দেন। হান্দাফ নামক স্থানে উভয় বাহিনীর মধ্যে যুদ্ধ হয় ও ইরানীরা পরাজিত হয়ে পলায়ন করে। হযরত যিরার অগ্রসর হয়ে মাসাবযান শহর দখল করেন; সেখানকার বাসিন্দারা প্রথমে পালিয়ে গেলেও তিনি তাদের ফিরে এসে নিরাপদে বসবাস করার অনুমতি দেন এবং তারা সানন্দে ফিরে আসে।

হযরত উমর (রা.)’র খিলাফতকালে মুসলমানরা খুযিস্তানও জয় করে। খুযিস্তান ইরানের একটি প্রদেশ; হরমুযান ইসলাম গ্রহণের পূর্বে এই প্রদেশের গভর্নর ছিলেন। বিভিন্ন কৌশলগত কারণে ১৪ হিজরীতে হযরত উতবা বিন গাযওয়ান (রা.)-এর নেতৃত্বে হযরত উমর (রা.) ছোট্ট একটি সৈন্যদল এখানে প্রেরণ করেছিলেন। পরবর্তী বিভিন্ন ঘটনাপ্রবাহের ধারায় ১৬ হিজরীতে মুসলমানগণ খুযিস্তানের প্রসিদ্ধ শহর আহওয়ায দখল করে নেন। যদিও তাবারীর মতে এই জয়ে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন হযরত উতবা, কিন্তু অপর কতক ইতিহাসবিদের মতে এই শহর ও পরবর্তী স্থানগুলো জয়ে নেতৃত্ব দেন হযরত মুগীরা বিন শু’বা (রা.) ও আবু মূসা আল্ আশআরী (রা.)। আহওয়াযের যুদ্ধে বিপুলসংখ্যক শত্রুসৈন্য বন্দি হলেও হযরত উমর (রা.) তাদের সবাইকে মুক্ত করে দিয়ে উদারতার মহান দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। ইতিহাস থেকে জানা যায়, এসব যুদ্ধের পেছনের কারণ ছিল ইরানীদের পক্ষ থেকে বারংবার চোরাগোপ্তা আক্রমণ; তাদের এসব আক্রমণ ও বিশৃঙ্খলা বন্ধ করার উদ্দেশ্যেই মুসলমানরা সেদিকে অগ্রসর হতে বাধ্য হতেন। এভাবে রামাহরমুয, তাসতার, ইস্তাখর প্রভৃতি শহরও মুসলমানগণ একের পর এক জয় করেন। এরই ধারাবাহিকতায় খুযিস্তানের গভর্নর হরমুযান মুসলমানদের কাছে পরাজিত হয়; সে এই শর্তে আত্মসমর্পণ করে যে, তার বিচার স্বয়ং খলীফা উমর (রা.) করবেন। যখন তাকে হযরত উমর (রা.)’র কাছে নিয়ে আসা হয়, তার গায়ে অনেক দামী দামী পোশাক ও অলংকারাদি ছিল। হযরত উমর (রা.) একাকী মসজিদের মেঝেতে ঘুমিয়ে ছিলেন। হরমুযান প্রথমে বিশ্বাসই করতে পারে নি, এরূপ আড়ম্বরহীন, প্রহরাহীন ব্যক্তি মুসলিম সাম্রাজ্যের বাদশাহ্ হতে পারেন; তখন তার মুখ থেকে অবলীলায় এই মন্তব্য নির্গত হয় যে, ‘এই ব্যক্তি নিশ্চয়ই কোন নবী হবেন!’ তাকে বলা হয়, তিনি নবী না হলেও নবীদেরই আদর্শ ও বৈশিষ্ট্য ধারণ করেন। এই বাক্যালাপের শব্দে হযরত উমর (রা.)’র ঘুম ভেঙে যায়; অতঃপর তিনি (রা.) হরমুযানের কাছে তার বারংবার প্রতারণা ও চুক্তিভঙ্গ করে মুসলমানদের ওপর আক্রমণের কারণ জানতে চান। হরমুযান বুঝতে পারে যে, তার অপরাধের কারণে সে মৃত্যুদণ্ড পেতে যাচ্ছে। তাই সে একটি সুচতুর কৌশল খাঁটিয়ে সাময়িকভাবে তার মৃত্যুদণ্ড স্থগিত করায়। যখন মৃত্যুদণ্ড সাময়িকভাবে স্থগিত হয়ে যায়, তখন সে কলেমা পাঠ করে নিজের ঈমানের ঘোষণা দেয়। হযরত উমর (রা.) তাকে জিজ্ঞেস করেন, সে আগেই কেন এটি করল না; তাহলে তো বিষয়টি এতদূর গড়াতো না। হরমুযান বলে, যদি সে পূর্বেই ঈমান আনয়নের ঘোষণা দিত, তাহলে মানুষজন বলাবলি করত যে, সে মৃত্যুর ভয়ে তা করেছে; কেউ যেন এরূপ অপবাদ তাকে না দিতে পারে সেজন্য সে এরূপ করেছে। অতঃপর হরমুযান মদীনাতেই বসবাস করতে থাকেন; তিনি হযরত উমর (রা.)’র উপদেষ্টাও ছিলেন, ইরানীদের সাথে যুদ্ধের বিষয়ে হযরত উমর (রা.) তার সাথে পরামর্শ করতেন। হরমুযানের ব্যাপারে এই ধারণাও করা হয় যে, হযরত উমর (রা.)-কে শহীদ করার পেছনে তার হাত রয়েছে, কিন্তু সেটি একটি ভ্রান্ত ও ভিত্তিহীন ধারণা। প্রকৃতপক্ষে হযরত উমর (রা.)’র হত্যাকারী ফিরোয একদিন তার স্বদেশী হরমুযানের বাড়িতে তার সাথে দেখা করতে গেলে হরমুযান তার কাছে থাকা ছুরিটি ধরে সেটির বিষয়ে তার কাছে জানতে চান; ফিরোয তাকে মিথ্যা জবাব দিয়েছিল। দূর থেকে কেউ এই আলাপচারিতা দেখেছিল। পরবর্তীতে ফিরোয যখন সেই ছুরি দিয়ে হযরত উমর (রা.)’র ওপর আক্রমণ করে, তখন একথা ছড়িয়ে পড়ে যে, এই ছুরিটি হরমুযানই তাকে দিয়েছে, তাই হরমুযান-ই আক্রমণের মূল পরিকল্পনাকারী। একথা শুনে হযরত উমর (রা.)’র ছোট ছেলে উবায়দুল্লাহ্ কোনকিছু চিন্তাভাবনা বা তদন্ত না করেই হরমুযানকে গিয়ে হত্যা করে ফেলে। হযরত উসমান (রা.) খলীফা হওয়ার পর হরমুযানের পুত্র কুমাযবানকে ডেকে উবায়দুল্লাহ্কে তার হাতে তুলে দেন এবং অন্যায়ভাবে তার পিতাকে হত্যার প্রতিশোধ গ্রহণ করতে বলেন। কুমাযবান যখন তাকে নিয়ে শহরের বাইরে যাচ্ছিলেন তখন মদীনার অনেক মুসলমানই এসে তাকে অনুরোধ করেন, তিনি যেন উবায়দুল্লাহ্কে ছেড়ে দেন; তারা এ-ও বলেছিলেন যে, অন্যায় উবায়দুল্লাহ্ করেছে এবং কুমাযবানের তাকে হত্যা করার পূর্ণ অধিকার রয়েছে, কিন্তু তারা তাকে দয়া প্রদর্শন করতে বলছিলেন। কুমাযবান যখন দেখেন, কেউ তার অধিকার ছিনিয়ে নিতে চাইছে না, তখন তিনি আল্লাহ্ ও সেই মুসলমানদের খাতিরে উবায়দুল্লাহ্কে ক্ষমা করে দেন। এই ঘটনাটি থেকে স্পষ্ট হয় যে, ইসলামী শিক্ষানুসারে হত্যাকারীকে গ্রেপ্তার করা ও দণ্ড দেয়া রাষ্ট্রের কাজ, কোন ব্যক্তির নয়; তবে সাজা বাস্তবায়ন ভুক্তভোগী নিজে করবে নাকি রাষ্ট্র করবে- সেটি নিজ নিজ যুগের অবস্থা ও পরিবেশ অনুসারে ঠিক করার সুযোগ রয়েছে। হুযূর (আই.) এই স্মৃতিচারণ আগামীতেও অব্যাহত থাকবে বলে জানান।

খুতবার শেষাংশে হুযূর (আই.) সম্প্রতি প্রয়াত কতিপয় নিষ্ঠাবান আহমদীর স্মৃতিচারণ করেন ও নামাযান্তে তাদের গায়েবানা জানাযা পড়ান; তারা হলেন যথাক্রমে হযরত আলহাজ্ব হাফেয ডাঃ সৈয়্যদ শফী সাহেবের কন্যা ও মুহাম্মদ সাঈদ সাহেবের সহধর্মিণী অধ্যাপক সৈয়্যদা নাসিম সাঈদ সাহেবা, জার্মানির দাঊদ সুলায়মান বাট সাহেব, শিয়ালকোটের গোলাম মুস্তফা আওয়ান সাহেবের সহধর্মিণী জাহেদা পারভীন সাহেবা, লন্ডনের রানা আব্দুল ওয়াহীদ সাহেব ও বাংলাদেশের প্রাক্তন ন্যাশনাল আমীর আলহাজ্ব মীর মোহাম্মদ আলী সাহেব। হুযূর (আই.) প্রয়াত সবার রূহের মাগফিরাত ও শান্তি কামনা করেন আর তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের ধৈর্য ও দৃঢ় মনোবলের জন্য দোয়া করেন। [আমীন]