শ্রেষ্ঠ মহাপুরুষ – নিষ্ঠাবান বদরী সাহাবীগণ: হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব (রা.)

হযরত মির্যা মসরূর আহমদ - খলীফাতুল মসীহ্‌ আল্‌ খামেস (আই.)

২৫-জুন, ২০২১

মসজিদ মুবারক, ইসলামাবাদ, টিলফোর্ড, লন্ডন

জুমুআর খুতবার সারমর্ম


এই জুমু’আর খুতবার সারাংশটিতে কোনো প্রকার ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকলে তার দায়ভার আহ্‌মদীয়া বাংলা টীম গ্রহণ করছে।

আহমদীয়া মুসলিম জামা’তের বিশ্ব-প্রধান ও পঞ্চম খলীফাতুল মসীহ্‌ হযরত মির্যা মসরূর আহমদ (আই.) গত ২৫শে জুন, ২০২১ইং ইসলামাবাদের মসজিদে মুবারকে প্রদত্ত জুমুআর খুতবায় পূর্বের ধারা অনুসরণে নিষ্ঠাবান বদরী সাহাবীদের বর্ণাঢ্য জীবনের স্মৃতিচারণ করেন। এ খুতবায় হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব (রা.)’র স্মৃতিচারণ করেন।

তাশাহহুদ, তাআ’ব্বুয ও সূরা ফাতিহা পাঠের পর হুযূর (আই.) বলেন, হযরত উমর (রা.)’র স্মৃতিচারণ করা হচ্ছিল, এ প্রসঙ্গে আজ আরও কিছু বর্ণনা করব। যায়েদ বিন আসলাম নিজ পিতার বরাতে বর্ণনা করেন যে, তার পিতা আসলাম একবার হযরত উমর (রা.)’র সাথে মদীনা থেকে প্রায় তিন মাইল দূরে সিরার নামক একটি স্থানে যান। সেখানে গিয়ে তারা দেখেন, একস্থানে আগুন জ্বলছে; কাছে গিয়ে দেখতে পান একজন নারী চুলায় পাতিল দিয়ে জ্বাল দিচ্ছে এবং তার সাথে কয়েকটি শিশুও রয়েছে যারা ডুকরে ডুকরে কাঁদছে। হযরত উমর (রা.) সেই নারীকে জিজ্ঞেস করে জানতে পারেন, বাচ্চারা ক্ষুধার জ্বালায় কাঁদছে; কিন্তু চুলার পাতিলে পানি ছাড়া কিছু নেই, কারণ সেই নারীর কাছে কোন খাবার নেই। তিনি বাচ্চাদের ভুলিয়ে-ভালিয়ে ঘুম পাড়ানোর জন্য খালি পাতিল চুলায় দিয়ে জ্বাল দিচ্ছেল। সেই নারী হযরত উমর (রা.)-কে চিনতে পারেন নি; তিনি ব্যথিত কণ্ঠে বলেন, আল্লাহ্ তাদের ও হযরত উমরের মধ্যে মীমাংসা করবেন, কারণ খলীফা হিসেবে তাদের ভালোমন্দের খোঁজখবর রাখা তাঁর দায়িত্ব ছিল। যদিও হযরত উমর (রা.)’র পক্ষে এটা জানা সম্ভবপর ছিল না যে, কোথায় আর কে দুর্দশার মাঝে রয়েছে; কিন্তু সেই নারীর মুখে এই অনুযোগ শুনে হযরত উমর (রা.) তৎক্ষণাৎ ফিরে যান এবং দারুদ্-দাকীক বা সরকারি ভাঁড়ার থেকে আটা, ঘি ইত্যাদি খাদ্যদ্রব্য বস্তায় ভরে নিজের কাঁধে সেই বস্তা তুলে নেন। হযরত আসলাম বারংবার তাকে অনুরোধ করেন যেন সেই বোঝা তিনি তাকে বহন করতে দেন; কিন্তু হযরত উমর (রা.) তাকে পাল্টা প্রশ্ন করেন, ‘কিয়ামতের দিন আমার বোঝা তুমি বহন করবে কি?’ অতঃপর হযরত উমর (রা.) দ্রুত সেই নারীর কাছে ফিরে যান, নিজে তাকে খাবার রান্না করতে সাহায্য করেন এবং খাবার বেড়ে, ঠাণ্ডা করে শিশুদের খাবার খাওয়াতেও সাহায্য করেন। তিনি ফিরে যেতে উদ্যত হলে সেই নারী তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং বলেন, এই কাজের ফলে পুণ্যলাভের ক্ষেত্রে তিনি খলীফার চাইতেও বেশি অধিকার রাখেন। হযরত উমর (রা.) তাকে বলেন, যখন তিনি খলীফার সাথে সাক্ষাৎ করতে যাবেন, তখন তাঁকেও সেখানে দেখতে পাবেন। এরপর হযরত উমর (রা.) কিছুটা দূরে গিয়ে সেই শিশুদের পেটপুরে খাবার পর প্রশান্তচিত্তে নিদ্রা যাওয়া পর্যন্ত তাদের পর্যবেক্ষণ করতে থাকেন। তারা ঘুমিয়ে পড়লে হযরত উমর (রা.) আল্লাহ্ তা’লার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে আসলামকে বলেন, তিনি এই ক্ষুধার্ত শিশুদের পরিতৃপ্ত ও প্রশান্ত হওয়াটা নিজের চোখে দেখে নিশ্চিত হয়ে যেতে চাইছিলেন, এজন্য তিনি অপেক্ষা করছিলেন। পৃথিবীর বড় বড় রাজা-বাদশাহ্‌রা হযরত উমর (রা.)’র নাম শুনে ভয়ে কাঁপত, কিন্তু সেই উমর (রা.) যখন এমন অসহায় নারী ও শিশুদের দেখেন, তখন নিজের কাঁধে করে এভাবে গিয়ে তাদের কাছে খাবার পৌঁছে দেন। এই ছিল তার আদর্শ!

ইসলামী রাষ্ট্রের দায়িত্ব বর্ণনা করতে গিয়ে হযরত মুসলেহ্ মওউদ (রা.)-ও এই ঘটনাটি বর্ণনা করেছেন; তবে এটিও মনে রাখতে হবে, ইসলাম কখনও অলসতা বা ভিক্ষাবৃত্তিকে উদ্বুদ্ধ বা উৎসাহিত করে না। একবার যখন হযরত উমর (রা.) এমন এক ব্যক্তিকে দেখতে পান যার ঝুলিতে আটা থাকা সত্ত্বেও সে ভিক্ষা করছিল, তখন তিনি তার ঝুলির আটা কেড়ে নিয়ে উটকে দিয়ে দেন এবং বলেন, ‘এবার ভিক্ষা কর!’ মোটকথা, হযরত উমর (রা.) দয়া-দাক্ষিণ্য কেবল অভাবীদের প্রতিই প্রদর্শন করতেন, অলসতা ও ভিক্ষাবৃত্তিকে তিনি মহানবী (সা.)-এর শিক্ষানুসারে বরাবরই নিরুৎসাহিত করেছেন।

হযরত উমর (রা.) তাঁর খিলাফতের প্রথমদিকে দুগ্ধপোষ্য শিশুদের জন্য কোন ভাতা নির্ধারণ করেন নি। একবার তিনি রাতের বেলা একটি কাফেলার ভেতর এক শিশুর কান্না শুনতে পেয়ে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, তার মা তাকে এজন্য দুধ খেতে দিচ্ছে না যে, দুগ্ধপোষ্য শিশুদের জন্য কোন ভাতা নেই, অথচ সেই নারীর আর্থিক সাহায্যের প্রয়োজন ছিল। এটি জানার পর হযরত উমর (রা.) অত্যন্ত ব্যথিত ও অনুতপ্ত হন এবং এরূপ দুগ্ধপোষ্য শিশুদের কষ্টের জন্য নিজেকে দায়ী করেন। পরবর্তীতে তিনি দুগ্ধপোষ্যদের জন্যও ভাতা নির্ধারণ করেন এবং সেই ভাতা তাদের মায়েদের হাতে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন।

জনকল্যাণার্থে কাজ করার শিক্ষাও হযরত উমর (রা.) প্রতিষ্ঠা করেছিলেন; এ বিষয়ে হযরত মসীহ্ মওউদ (আ.) কর্তৃক বর্ণিত একটি ঘটনা হুযূর (আই.) উল্লেখ করেন। হযরত উমর (রা.) একবার এক ব্যক্তির কাছে জানতে চান যে, সে কেন তার জমিতে নতুন গাছ লাগাচ্ছে না; সেই ব্যক্তি জবাব দেয়, ‘আমি বুড়ো হয়েছি, কষ্ট করে গাছ লাগালে আমার কী লাভ?’ একথা শুনে হযরত উমর (রা.) বলেন, তাকে অবশ্যই গাছ লাগাতে হবে যেন পরবর্তী প্রজন্ম তাত্থেকে উপকৃত হয়, যেভাবে সে নিজেও পূর্বপুরুষদের লাগানো গাছ থেকে উপকৃত হয়েছে। আর তিনি নিজেও তার সাথে বৃক্ষরোপণে অংশ নেন।

একবার হযরত উমর (রা.) রাতের বেলা জনগণের খোঁজ নেয়ার উদ্দেশ্যে বের হলে একজন নারীর বেদনামাখা কাব্য শুনতে পান। তিনি খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, তার স্বামী অনেকদিন ধরে মুসলিম বাহিনীর সাথে বাড়ির বাইরে রয়েছে, যার বিরহে সে এরূপ ব্যথিত। হযরত উমর (রা.) তখন থেকে নিয়ম করে দেন, কোন মুসলিম সৈন্য চার মাসের বেশি বাড়ির বাইরে যেন না থাকে। যদি এর চেয়ে বেশি সময় বাইরে থাকতে হয়, তবে যেন নিজের স্ত্রীকে সাথে নিয়ে যায়। মুসলিম বাহিনীতে যুদ্ধরত সেনাদের চিঠি মদীনায় এলে হযরত উমর (রা.) নিজে তা তাদের স্ত্রীদের কাছে পৌঁছে দিতেন, তারা তাদের স্বামীকে চিঠি লিখলে তা পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করতেন। যেসব মহিলারা লিখতে পারতো না এবং পরিবারে অন্য কেউ চিঠি লিখে দেওয়ার মত না থাকলে তিনি নিজে কাগজ-কলম নিয়ে তাদের বাড়িতে যেতেন এবং পর্দার আড়াল থেকে তাদের কথা শুনে নিজেই চিঠি লিখে দিতেন। যুদ্ধরত সেনাদের স্ত্রী-সন্তানদের যেন বাজারে কেউ ঠকাতে না পারে সেজন্য হযরত উমর (রা.) তাদের সন্তানদের নিয়ে নিজেই বাজারে যেতেন; বাজারে গেলে তাঁর পেছনে পেছনে একঝাঁক শিশু যেত এবং বাড়ির বাজার-সদাই করত। যাদের সন্তান ছিল না, খলীফা স্বয়ং তাদের বাজার করে দিতেন। এভাবে তিনি খিলাফতের আসনে সমাসীন হবার পর নিজের বক্তৃতায় যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন- তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করতেন। একবার তিনি মদীনার বাইরে কোন পথিকের তাঁবু থেকে কান্নার শব্দ শুনতে পেয়ে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, তার স্ত্রী প্রসব বেদনায় কাঁদছে। হযরত উমর (রা.) দ্রুত বাড়ি ফিরে এসে নিজের স্ত্রী হযরত উম্মে কুলসুম (রা.)-কে সাথে নিয়ে যান; উম্মে কুলসুমের হাতে সেই নারীর এক পুত্রসন্তানের জন্ম হয়। সেই ব্যক্তি যখন হযরত উমরের পরিচয় জানতে পারে তখন ব্যতিব্যস্ত হয়ে ওঠে; কিন্তু হযরত উমর (রা.) তাকে আশ্বস্ত করেন এবং তাকে কিছু অর্থ দিয়ে ফিরে আসেন।

জাতীয় বিজয় ও অর্জনের বিপরীতে ব্যক্তিগত দুঃখে যেন মানুষ ব্যাকুল না হয়- সে বিষয়েও হযরত উমর (রা.) অত্যন্ত সচেতন ছিলেন। একবার জনৈক মুসলমান মদীনার রাস্তা দিয়ে ভারাক্রান্ত মনে মাথা হেঁট করে চলছিল; হযরত উমর (রা.) তার থুঁতনিতে হালকাভাবে ঘুষি দেন যেন সে মাথা উঁচু করে চলে। তিনি বুঝিয়ে দেন, ইসলামের যেহেতু বিজয় হচ্ছে, তাই তার ব্যক্তিগত ক্ষতিতে দুঃখিত না হয়ে আনন্দিত হওয়া উচিত। হযরত মুসলেহ্ মওউদ (রা.)-ও কাদিয়ান থেকে রাবওয়ায় হিজরতের সময় এই ঘটনাটি তুলে ধরে জামা’তকে শিখিয়েছিলেন, একজন মু’মিনের এটা দেখা উচিত না যে, সে কী খুইয়েছে; বরং দেখার বিষয় হল- কার জন্য খুইয়েছে। যদি আল্লাহ্‌র খাতিরে এবং ইসলামের উন্নতির স্বার্থে কোন ক্ষতি হয়ও, তবে আল্লাহ্ তা’লা এর বিনিময়ে আরও অধিক পুরস্কৃত করবেন। হযরত মুসলেহ্ মওউদ (রা.) এ প্রসঙ্গে হযরত উমর (রা.)’র আরও একটি ঘটনাও বর্ণনা করেন, যেখানে ইসলামের সমতার শিক্ষা প্রতিষ্ঠার খাতিরে তাকে কষ্টও সহ্য করতে হয়েছে, কিন্তু তিনি তাতে কুণ্ঠাবোধ করেন নি। মুসলমানদের সিরিয়া আক্রমণের যুগে বিরাট এক খ্রিস্টান গোত্রের নেতা জাবালা বিন আয়হাম পুরো গোত্রসহ মুসলমান হয়ে যায়। সে যখন হজ্জে আসে, তখন কা’বা তওয়াফ করার সময় ভিড়ের মাঝে একজন দরিদ্র মুসলমানের পা তার পায়ে লেগে যায়। জাবালা অত্যন্ত ক্রুদ্ধ হয়ে তাকে চড় মারে, কিন্তু আরেকজন মুসলমান তাকে তিরস্কার করে। জাবালা আশ্চর্য হয় যে, তার মতো এত বড় মাপের একজন নেতা যদি তুচ্ছ একজন মানুষকে চড় মেরেই থাকে- তাতে কি-ইবা আসে যায়? কিন্তু তাকে বলা হয়, যদি খলীফা হযরত উমর (রা.) এটি জানতে পারেন, তবে এর প্রতিশোধ নেবেন এবং সেই দরিদ্র মুসলমানকে দিয়ে তাকে চপেটাঘাত করাবেন; কারণ ইসলাম সাম্যে বিশ্বাসী, এতে কোন ছোট-বড় ভেদাভেদ নেই। জাবালা হযরত উমর (রা.)’র দরবারে গিয়ে হেঁয়ালিপূর্ণ প্রশ্ন করতে থাকে এবং জানার চেষ্টা করে- আসলেই হযরত উমর (রা.) এরূপ মনোভাব রাখেন কিনা? যখন সে নিশ্চিত হয় যে, তিনি সাম্য প্রতিষ্ঠায় এতটাই দৃঢ়প্রতিজ্ঞ, তখন সে দ্রুত ফিরে যায় এবং মুরতাদ হয়ে গিয়ে রোমানদের সাথে মিলিত হয়ে মুসলমানদের বিরুদ্ধে লড়াই করে। কিন্তু হযরত উমর (রা.) তার বিন্দুমাত্রও তোয়াক্কা করেন নি, বরং ইসলামের সাম্যের শিক্ষা অটুট রেখেছেন, যা বর্তমান যুগের ইসলামী রাষ্ট্রগুলোর জন্য এক অনুকরণীয় শিক্ষা। হুযূর (আই.) বলেন, হযরত উমর (রা.)’র স্মৃতিচারণ আগামীতেও অব্যাহত থাকবে, ইনশাআল্লাহ্।

খুতবার অবশিষ্টাংশে হুযূর (আই.) সম্প্রতি প্রয়াত কতিপয় নিষ্ঠাবান আহমদীর স্মৃতিচারণ করেন এবং নামাযান্তে তাদের গায়েবানা জানাযার নামায পড়ান। ১ম স্মৃতিচারণ জার্মানীর আব্দুল ওয়াহীদ ওঢ়ায়েচ সাহেবের, যিনি মজলিস খোদ্দামুল আহমদীয়া সুইজারল্যান্ডের প্রাক্তন সদরও ছিলেন। তিনি গত ১২ই মে এভারেস্ট পর্বতশৃঙ্গ জয় করে সেখানে আহমদীয়াতের পতাকা উড্ডীন করেন, নিচে নামার পর অসুস্থ হয়ে পড়েন ও মাত্র ৪১ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন, إِنَّا لِلَّهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُونَ। আল্লাহ্‌র একত্ববাদ প্রতিষ্ঠা, জামা’তের সেবা ও খিলাফতের আনুগত্যের ক্ষেত্রে তিনি অসাধারণ এক ব্যক্তিত্ব ছিলেন। আরও অজস্র সেবার পাশাপাশি হুযূরের অনুমতিক্রমে তিনি প্রত্যেক মহাদেশের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গে আহমদীয়াতের পতাকা উড্ডীন করার মিশন গ্রহণ করেন এবং তাতে সফলও হন; এরই পরিক্রমায় তিনি মৃত্যুও বরণ করেন। অতএব, আল্লাহ্ তা’লা তাকে নিশ্চয় শাহাদতের মর্যাদা দান করবেন; হুযূর দোয়া করেন যেন আল্লাহ্ তাকে শহীদ হিসেবে গ্রহণ করেন। ২য় জানাযা ডাঃ আব্দুল মালেক শামীম সাহেবের সহধর্মিণী শ্রদ্ধেয়া আমাতুল নূর সাহেবার; তিনি হযরত মসীহ্ মওউদ (আ.) ও খলীফা আউয়াল (রা.)’র প্র-দৌহিত্রিও ছিলেন। ৩য় জানাযা খলীফাতুল মসীহ্‌র বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনীর প্রাক্তন কর্মকর্তা নাসির আহমদ খান সাহেবের সহধর্মিণী শ্রদ্ধেয়া বিসমিল্লাহ্ বেগম সাহেবার; ৪র্থ জানাযা পাকিস্তানের কর্নেল জাভেদ রুশদী সাহেবের। হুযূর (আই.) প্রয়াতদের সংক্ষিপ্ত স্মৃতিচারণে তাদের অসাধারণ গুণাবলী ও সেবার বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন এবং তাদের রূহের মাগফিরাত ও শান্তি কামনা করে দোয়া করেন। (আমীন)