শ্রেষ্ঠ মহাপুরুষ – নিষ্ঠাবান বদরী সাহাবীগণ: হযরত উসমান বিন আফ্‌ফান (রা.)

হযরত মির্যা মসরূর আহমদ - খলীফাতুল মসীহ্‌ আল্‌ খামেস (আই.)

০৫-ফেব্রুয়ারি, ২০২১

মসজিদ মুবারক, ইসলামাবাদ, টিলফোর্ড, লন্ডন

জুমুআর খুতবার সারমর্ম


এই জুমু’আর খুতবার সারাংশটিতে কোনো প্রকার ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকলে তার দায়ভার আহ্‌মদীয়া বাংলা টীম গ্রহণ করছে।

আহমদীয়া মুসলিম জামা’তের বিশ্ব-প্রধান ও পঞ্চম খলীফাতুল মসীহ্‌ হযরত মির্যা মসরূর আহমদ (আই.) গত ৫ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ইং ইসলামাবাদের মসজিদে মুবারকে প্রদত্ত জুমুআর খুতবায় পূর্বের ধারা অনুসরণে নিষ্ঠাবান বদরী সাহাবীদের বর্ণাঢ্য জীবনের স্মৃতিচারণ করেন। এ খুতবাতে হযরত উসমান বিন আফ্‌ফান (রা.)-এর স্মৃতিচারণ করেন।
তাশাহহুদ, তাআ’ব্বুয ও সূরা ফাতিহা পাঠের পর হুযূর (আই.) বলেন, হযরত উসমান (রা.)’র যুদ্ধাভিযানে যোগদান সম্পর্কে আলোচনা হচ্ছিল। একটি যুদ্ধাভিযানের নাম ছিল ‘যাতুর রিকা’র যুদ্ধাভিযান; ‘নজদ’ এর বনু গাতফানের গোত্র বনু সা’লাবাহ্ ও বনু মোহারিবের সাথে লড়াইয়ের জন্য মহানবী (সা.) ৪শ’ মতান্তরে ৭শ’ সাহাবীসহ অগ্রসর হন এবং হযরত উসমান (রা.)-কে মদীনার আমীর নিযুক্ত করে যান; কারও কারও মতে হযরত আবু যার গিফারী (রা.)-কে আমীর নিযুক্ত করে যান। মহানবী (সা.) সাহাবীদের নিয়ে নজদ এর নাখ্ল নামক স্থানে পৌঁছলে শত্রুদের বিরাট সৈন্যবাহিনীর মুখোমুখি হন, কিন্তু বাস্তবে যুদ্ধ হয় নি। উভয় পক্ষই অপর পক্ষের আক্রমণের আশংকায় ছিল, আর এই যুদ্ধের সময়েই মুসলমানরা প্রথম সালাতুল খওফ আদায় করেন, যা ভীতিপূর্ণ পরিস্থিতিতে পড়া হয়ে থাকে। এই যুদ্ধের নাম ‘যাতুর-রিকা’ হওয়ার কারণ সম্পর্কে বিভিন্ন অভিমত বর্ণিত আছে। অবশ্য হযরত আবু মূসা আশআরী (রা.) বর্ণিত নির্ভরযোগ্য সূত্রের একটি হাদীস থেকে জানা যায়, সেই যুদ্ধে তিনিসহ ছয়জন সাহাবীর জন্য মাত্র একটি উট ছিল, যাতে তারা পালাক্রমে আরোহণ করতেন। ফলে তাদেরকে অনেকটা পথই হেঁটে যেতে হয়েছি; হাঁটতে হাঁটতে তাদের পা ফেটে যায়, এমনকি আবু মূসা (রা.)’র পায়ের নখও খসে পড়ে। সাহাবীরা এজন্য নিজেদের পায়ে কাপড়ের টুকরো বা ন্যাকড়া জড়িয়ে নিতেন, সেই থেকে এই যুদ্ধের নাম ‘যাতুর রিকা’ হয়ে যায়, কারণ রিকা’ কাপড়ের টুকরোকে বলা হয়। কোন কোন ইতিহাসগ্রন্থমতে এই যুদ্ধ ৪র্থ হিজরীতে সংঘটিত হয়েছিল, তবে সহীহ্ বুখারীর মতে এটি ৭ম হিজরীতে সংঘটিত হয়। কারণ এই যুদ্ধে আবু মূসা আশআরী (রা.) অংশ নিয়েছিলেন, আর তিনি ৭ম হিজরীতে খায়বারের যুদ্ধের পর মুসলমান হন; তাই ৭ম হিজরীতে এর সংঘটন অধিক যৌক্তিক বলে প্রতীয়মান হয়।
৮ম হিজরীতে সংঘটিত মক্কা-বিজয় সংক্রান্ত একটি সুদীর্ঘ বর্ণনা সুনান নেসাঈ’তে বর্ণিত হয়েছে; তাতে সেই চারজনের উল্লেখ রয়েছে, মহানবী (সা.) যাদেরকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন; আর এতেও হযরত উসমান (রা.)’র বিশেষ ভূমিকার উল্লেখ রয়েছে। বর্ণিত হয়েছে, মহানবী (সা.) চারজন পুরুষ ও দু’জন নারী ছাড়া মক্কার সবার জন্য সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেন। সেই চার ব্যক্তি ছিল ইকরামা বিন আবু জাহল, আব্দুল্লাহ্ বিন খাতল, মুকীস বিন সুবাবাহ্ ও আব্দুল্লাহ্ বিন সা’দ বিন আবী সারাহ্‌। আব্দুল্লাহ্ বিন খাতলকে হযরত সাঈদ বিন হুরায়স ও আম্মার বিন ইয়াসের কা’বা চত্বরে হত্যা করেন, মুকীসকে বাজারে পাওয়া যায় এবং তাকে হত্যা করা হয়। ইকরামা মক্কা থেকে পালিয়ে জাহাজে করে অন্য কোন দেশে পাড়ি জমাতে চাচ্ছিল, ইতোমধ্যে তার স্ত্রী মহানবী (সা.)-এর কাছে আবেদন করে ইকরামার জন্য ক্ষমা ও নিরাপত্তা চেয়ে নেয়। ইকরামা জাহাজে উঠে পড়েছিল, এমন সময় তার স্ত্রী গিয়ে তাকে ফিরিয়ে আনে। মহানবী (সা.)-এর মহানুভবতায় আশ্চর্য হয়ে ইকরামা মুসলমান হয়ে যান এবং অত্যন্ত নিষ্ঠাবান মুসলমানে পরিণত হন। তার ইসলাম গ্রহণের সময় মহানবী (সা.) তাকে বলেন, ‘আজ তুমি আমার কাছে যা-ই চাইবে, যদি তা আমার সাধ্যে কুলোয়, তবে আমি তোমাকে তা দান করব।’ তখন ইকরামা তার পূর্বকৃত শত্রুতার জন্য আল্লাহ্র কাছে ক্ষমা প্রার্থনার আবেদন করেন; মহানবী (সা.) দোয়া করেন এবং নিজের চাদর তাকে পরিয়ে দেন। ইকরামার ইসলামগ্রহণের মাধ্যমে মহানবী (সা.)-এর সেই স্বপ্নও পূর্ণ হয়, যাতে তিনি (সা.) জান্নাতে একটি সুদৃশ্য আঙ্গুরের থোকা দেখেছিলেন এবং তাঁকে বলা হয়েছিল- এটি আবু জাহলের জন্য। মৃত্যুদ-প্রাপ্তদের মধ্যে ৪র্থ ছিল আব্দুল্লাহ্ বিন সা’দ আবী সারাহ্, প্রথমে সে মুসলমান ছিল এবং মহানবী (সা.)-এর কাতেবে ওহী বা ওহী-লেখকদের অন্যতম ছিল। কিন্তু শয়তানী কুপ্ররোচনার কারণে তার মধ্যে মহানবী (সা.)-এর ওহী সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণা সৃষ্টি হয়; আর সে মুরতাদ হয়ে মক্কাবাসীদের দলে গিয়ে যোগ দেয় এবং ইসলামের শত্রুতায় লিপ্ত হয়। মক্কা-বিজয়ের দিন সে হযরত উসমান (রা.)’র আশ্রয় গ্রহণ করে এবং তার বাড়িতেই তিনদিন আত্মগোপন করে থাকে, এরপর হযরত উসমান (রা.) তার জন্য ক্ষমা ও নিরাপত্তার আবেদন করলে মহানবী (সা.) তাকে ক্ষমা করে দেন, সে পুনরায় বয়আত গ্রহণ করে। কতিপয় বর্ণনায় এরূপও দেখা যায়, মহানবী (সা.) তাকে ক্ষমা করতে চান নি, বরং চাইছিলেন যে কেউ তাকে হত্যা করুক; কিন্তু ঘটনার পরম্পরা, যৌক্তিকতা ও অপরাপর বর্ণনা থেকে বোঝা যায়- এই ধারণা সঠিক নয়। মহানবী (সা.) স্বেচ্ছায় হযরত উসমান (রা.)’র সম্মানে তাকে ক্ষমা করে দেন।
৯ম হিজরীতে সংঘটিত তাবূকের যুদ্ধেও হযরত উসমান (রা.)’র ইসলামসেবার অনন্য দৃষ্টান্ত দেখা যায়। এই যুদ্ধ ইতিহাসে ‘জায়শুল উসরা’ বা ‘সংকটাপন্ন সৈন্যদল’ নামেও সুপরিচিত, কারণ মুসলিম বাহিনীর যুদ্ধোপকরণের সংকট ছিল। মহানবী (সা.) সাহাবীদের কাছে আর্থিক কুরবানীর আহ্বান জানালে হযরত উসমান (রা.) তিন দফায় ভ্রমণের আসন-সরঞ্জামসহ তিনশ’ উট প্রদান করেন; মহানবী (সা.) তখন বলেছিলেন, উসমানের এই পুণ্যের পর আর কোন কর্মের জন্যই তাকে জবাবদিহিতা করতে হবে না। এছাড়াও উসমান (রা.) দু’শ অওকিয়া বা সোনার মোহরও চাঁদাস্বরূপ প্রদান করেন। অপর বর্ণনামতে তিনি এক হাজার উট ও সত্তরটি ঘোড়া দিয়েছিলেন, আবার এক হাজার সৈন্যের সমুদয় ব্যয়ভার বহন করেছিলেন। মহানবী (সা.) তার জন্য এই দোয়াও করেন, ‘হে আল্লাহ্! তুমি উসমানের প্রতি সন্তুষ্ট থেকো, নিশ্চয়ই আমিও তার প্রতি সন্তুষ্ট’।
হযরত মুসলেহ্ মওউদ (রা.) একস্থানে হযরত উসমান (রা.)’র অতুলনীয় মর্যাদা ও ইসলামসেবার উল্লেখ করতে গিয়ে বলেন, তিনবার এমন ঘটেছে যে, মহানবী (সা.) উসমান (রা.) সম্পর্কে বলেন- ‘সে জান্নাত কিনে নিল!’ এরমধ্যে একবার তাবূকের যুদ্ধের সময়, আরেকবার মুসলমানদের পানির চরম সংকটের সময় ‘রুমা’ কূপটি কিনে দেয়ার পর নবীজী (সা.) এই মন্তব্য করেন। বয়আতে রিযওয়ানের সময় মহানবী (সা.) নিজের এক হাতের ওপর অপর হাত রেখে সেটিকে হযরত উসমান (রা.)’র হাত আখ্যা দেন। তিনি (সা.) হযরত উসমান (রা.)-কে এ-ও বলেছিলেন, ‘আল্লাহ্ তা’লা তোমাকে একটি পোশাক পরিধান করাবেন, আর মুনাফিকরা সেই পোশাক খুলে ফেলতে চাইবে, কিন্তু তুমি তা খুলো না’; এই ভবিষ্যদ্বাণীতে মহানবী (সা.) হযরত উসমান (রা.)’র খিলাফত লাভের ও সেই খিলাফতের অবশ্যম্ভাবী বিরোধিতার প্রতি ইঙ্গিত করেছিলেন।
মহানবী (সা.)-এর তিরোধানের পর হযরত আবু বকর ও উমর (রা.)’র খিলাফতকালেও ইতিহাসে হযরত উসমান (রা.)’র বিশেষ সেবার উল্লেখ দেখতে পাওয়া যায়, আর উভয় খলীফাই হযরত উসমান (রা.)-কে অত্যন্ত মর্যাদার দৃষ্টিতে দেখতেন, তার কাছে পরামর্শও চাইতেন এবং তিনিও সুচিন্তিত পরামর্শ প্রদান করতেন। হযরত আবু বকর (রা.) যেসব সাহাবী ও পরামর্শকদের সাথে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে পরামর্শ করতেন, হযরত উসমান (রা.) তাদের অন্যতম ছিলেন। মুরতাদ বা ধর্মত্যাগীদের বিশৃঙ্খলা সামলানোর পর হযরত আবু বকর (রা.) সিরিয়াসহ বিভিন্ন স্থানে মুসলিম বাহিনী প্রেরণের বিষয়ে চিন্তা করছিলেন; এ বিষয়ে তিনি পরামর্শ চান। সাহাবীগণ বিভিন্ন রকম পরামর্শ দিচ্ছিলেন; এক পর্যায়ে হযরত উসমান (রা.) বলেন, হযরত আবু বকর (রা.) যা-ই সমীচিন মনে করবেন- সেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারেন, কেননা আবু বকরের ব্যাপারে কারও মনে কোনরূপ সন্দেহ-সংশয় সৃষ্টি হতে পারে না। অন্যান্য সাহাবীগণও সহমত প্রকাশ করেন এবং হযরত আবু বকর (রা.) মুসলমানদেরকে সিরিয়ায় রোমানদের সাথে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করতে বলেন। হযরত আবু বকর (রা.) একজনকে বাহরাইনের গভর্নর হিসেবে প্রেরণ করার সিদ্ধান্ত নিলে হযরত উসমান (রা.) হযরত আলা বিন হাযরামীকে এই দায়িত্ব প্রদানের পরামর্শ দেন, কারণ স্বয়ং মহানবী (সা.) তাকে এই দায়িত্ব দিতে চেয়েছিলেন। হযরত আবু বকর (রা.) এরূপই করেন। হযরত আবু বকর (রা.)’র খিলাফতকালে একবার প্রচণ্ড দুর্ভিক্ষের সময় সবাই তার কাছে গিয়ে দোয়ার আবেদন করেন, আবু বকর (রা.) বলেন, যাও ও ধৈর্য ধর, সন্ধ্যার মধ্যে আল্লাহ্ তোমাদের কষ্ট লাঘবের ব্যবস্থা করবেন। সেদিনই হযরত উসমান (রা.)’র বিশাল বড় বাণিজ্য-কাফেলা সিরিয়া থেকে বিপুল পরিমাণ খাদ্যশস্য নিয়ে মদীনায় ফেরে। মদীনার ব্যবসায়ীরা তার কাছে এসে সেই খাদ্যশস্য কিনে নিতে চায়, তারা দেড়গুণ মূল্য দিতেও প্রস্তুত ছিল। হযরত উসমান (রা.) তাদের বলেন, তিনি তো আল্লাহ্‌র কাছ থেকে এর বদলে দশগুণ লাভ পাবেন; অতঃপর তিনি সমুদয় খাদ্যশস্য মানুষের মধ্যে বিতরণ করে দেন। হযরত ইবনে আব্বাস (রা.) সেই রাতে স্বপ্নে মহানবী (সা.)-এর কাছ থেকে হযরত উসমান (রা.)’র এই সদকায় আল্লাহ্ তা’লার গভীর সন্তুষ্টির বিষয়ে জানতে পারেন। হযরত উমর (রা.)-ও তার খিলাফতকালে অনেক বিষয়ে হযরত উসমান (রা.)’র পরামর্শ গ্রহণ করেছেন। যখন মুসলিম বাহিনীর বিজয়ের সাথে সাথে বায়তুল মালে প্রচুর সম্পদ জমা হয়, হযরত উমর (রা.) তা জনসাধারণের মধ্যে বিতরণের কথা ভাবেন। হযরত উসমান (রা.) তাকে আদম-শুমারি করে রেজিস্টার তৈরির পরামর্শ দেন, যেন বন্টনের ক্ষেত্রে গরমিল না হয়। হযরত উমর (রা.) এই পরামর্শ সানন্দে গ্রহণ করেন এবং সেই অনুসারে প্রথম আদম শুমারি ও রেজিস্টার তৈরি করা হয় এবং সুষম বন্টন সুনিশ্চিত হয়। হযরত উমর (রা.) পরবর্তী খলীফা নির্বাচনের জন্য ছয় সদস্যের যে খিলাফত নির্বাচন কমিটি গঠন করেছিলেন, হযরত উসমান (রা.)ও তার সদস্য ছিলেন; কমিটির মাধ্যমে তিনিই খলীফা নির্বাচিত হন। হুযূর (আই.) সেই ঘটনাটির বর্ণনা সবিস্তারে তুলে ধরেন। নির্বাচন কমিটির সেই ছয়জন হলেন, আলী বিন আবু তালিব, যুবায়ের বিন আওয়াম, আব্দুর রহমান বিন অওফ, উসমান বিন আফ্‌ফান, তালহা বিন উবায়দুল্লাহ্ এবং সা’দ বিন মালেক (রা.)।
হযরত উমর (রা.)’র নির্দেশমত হযরত আব্দুর রহমান বিন অওফ (রা.) মদীনার সকল মানুষের মতামতের ভিত্তিতে হযরত উসমান (রা.)-কে ইসলামের চতুর্থ খলীফা বলে ঘোষণা দেন এবং তার হাতে বয়আত করেন। হযরত উসমান (রা.) ২৩ হিজরীর ২৯ যিলহজ্জ, সোমবার দিন খলীফা হিসেবে বয়আত নেন। খলীফা হওয়ার পর দেয়া প্রথম ভাষণে তিনি সবাইকে সম্বোধন করে বলেন, ‘যে কাজ প্রথম প্রথম করা হয়, তা কঠিন হয়ে থাকে; … আমি কোন বক্তা নই, কিন্তু আল্লাহ্ চাইলে আমাকে শিখিয়ে দিবেন।’ তার খিলাফতকালে আল্লাহ্‌র কৃপায় মুসলমানরা বিস্তৃত অঞ্চলজুড়ে বিজয় লাভ করেন। আলজেরিয়া, মরক্কো, স্পেন, সাইপ্রাস, তাবারিস্তান, আর্মেনিয়া, খোরাসানসহ আরও বিভিন্ন অঞ্চল জয় করা ছাড়াও বিভিন্ন স্থানে মুসলিম বাহিনীর অভিযানও পরিচালিত হয়; এ-ও বর্ণিত আছে যে তার খিলাফতকালে ভারতেবর্ষেও ইসলামের বাণী পৌঁছে গিয়েছিল।
খুতবার শেষদিকে হুযূর (আই.) পুনরায় পাকিস্তানের আহমদীদের জন্য দোয়া করার প্রতি সবার মনোযোগ আকর্ষণ করেন, যেন সেখানে অচিরেই ধর্মীয় স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের অন্ধকার যুগের অবসান ঘটে এবং সেদেশের আহমদীরাও স্বাধীনভাবে নিজেদের ধর্মীয় কর্তব্য পালন করতে সক্ষম হন। (আমীন)