শ্রেষ্ঠ মহাপুরুষ – নিষ্ঠাবান বদরী সাহাবীগণ

হযরত মির্যা মসরূর আহমদ - খলীফাতুল মসীহ্‌ আল্‌ খামেস (আই.)

০৯-অক্টোবর, ২০২০

মসজিদ মুবারক, ইসলামাবাদ, টিলফোর্ড, লন্ডন

জুমুআর খুতবার সারমর্ম


এই জুমু’আর খুতবার সারাংশটিতে কোনো প্রকার ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকলে তার দায়ভার আহ্‌মদীয়া বাংলা টীম গ্রহণ করছে।

আহমদীয়া মুসলিম জামা’তের বিশ্ব-প্রধান ও পঞ্চম খলীফাতুল মসীহ্‌ হযরত মির্যা মসরূর আহমদ (আই.) গত ৯ই অক্টোবর, ২০২০ ইসলামাবাদের মসজিদে মুবারকে প্রদত্ত জুমুআর খুতবায় পূর্বের ধারা অনুসরণে নিষ্ঠাবান বদরী সাহাবীদের বর্ণাঢ্য জীবনের স্মৃতিচারণ করেন। এ খুতবায়ও তিনি হযরত আবু উবায়দা বিন জাররাহ্ (রা.)’র জীবনের স্মৃতিচারণ বজায় রাখেন।
তাশাহহুদ, তাআ’ব্বুয ও সূরা ফাতিহা পাঠের পর হুযূর (আই.) বলেন, বিগত খুতবায় হযরত আবু উবায়দাহ্ (রা.)’র স্মৃতিচারণ করা হচ্ছিল, আজ তার অবশিষ্টাংশ বর্ণনা করা হবে। ১৫ হিজরীতে ইয়ারমূকের যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল। ইয়ারমূক সিরিয়ার উপকণ্ঠে অবস্থিত একটি উপত্যকার নাম, এখানেই ইয়ারমূক নদীর তীরে সেই যুদ্ধ সংঘটিত হয়। রোমানরা বিখ্যাত সেনাপতি বাহানের নেতৃত্বে প্রায় আড়াই লক্ষ সৈন্যের এক বাহিনী নিয়ে সেখানে এসেছিল। অপর দিকে মুসলিম-বাহিনীর সংখ্যা ছিল মাত্র ত্রিশ হাজারের মত; তাদের মধ্যে একশ’জন বদরী সাহাবীসহ এক হাজার সাহাবী ছিলেন। অনেক পরামর্শের পর মুসলিম বাহিনী কৌশলগত কারণে সাময়িকভাবে হোমস থেকে পিছু হটার সিদ্ধান্ত নেয়। হোমস ছাড়ার আগে মুসলমানরা এই বলে সেখানকার খ্রিস্টান বাসিন্দাদেরকে তাদের কাছ থেকে গৃহীত জিযিয়া বা কর ফেরত দেয় আর বলে, ‘যেহেতু আমরা সাময়িকভাবে তোমাদের নিরাপত্তার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিচ্ছি, তাই এই করের অর্থ ফেরত দিচ্ছি’। মুসলমানদের এরূপ মহানুভবতা দেখে খ্রিস্টানরা আবেগাপ্লুত হয়ে বলে, ‘হে দয়ালু মুসলমান শাসকগণ, খোদা আবারও তোমাদেরকে আমাদের মাঝে ফিরিয়ে আনুন!’
পুনরায় ‘হোমস’কে করতলগত করতে পেরে রোমানদের উৎসাহ আরও বেড়ে গিয়েছিল, কিন্তু একইসাথে তারা মুসলমানদের ঈমানী শক্তিকেও ভয় পাচ্ছিল। তাই তারা সন্ধি করার চেষ্টা করে। বাহান তার একজন দূত পাঠায়, যার নাম ছিল জর্জ। জর্জ মাগরিবের সময় মুসলমানদের সাথে দেখা করতে আসে এবং নামাযে মুসলমানদের বিনয় ও আবেগ দেখে খুবই প্রভাবিত হয়। সে হযরত আবু উবায়দাহ্ (রা.)’র কাছে ঈসা (আ.) সম্পর্কে জানতে চায় যে, তার ব্যাপারে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি কী? তিনি তখন সূরা নিসার ১৭২ ও ১৭৩নং আয়াত তাকে পাঠ করে শোনান যেখানে আল্লাহ্ তা’লা হযরত ঈসা (আ.)-কে তাঁর একজন রসূল বলে উল্লেখ করেছেন এবং খ্রিস্টানদেরকে ত্রিত্ববাদ থেকে বিরত থাকতে বলেছেন। পবিত্র কুরআনে বর্ণিত এই শিক্ষা শুনে জর্জ এর সাথে ঐক্যমত প্রকাশ করে এবং মুসলমান হয়ে যায়। এরপর সে আর রোমানদের কাছে ফিরে যেতে চাইছিল না, কিন্তু হযরত আবু উবায়দাহ্ (রা.) তাকে ফিরে যেতে বলেন কারণ, সে ফিরে না গেলে রোমানরা তাকে বিশ্বাসঘাতক মনে করবে। পরদিন যে মুসলমান দূত রোমানদের কাছে যাবে, তার সাথে তিনি তাকে ফিরে আসতে বলেন। হযরত আবু উবায়দাহ্ (রা.) ও হযরত খালিদ বিন ওয়ালীদ (রা.) পরপর দু’দিন দু’জন গিয়ে রোমানদের ইসলাম গ্রহণের আহ্বান জানান, কিন্তু তারা তাতে সাড়া না দেয়ায় যুদ্ধ অনিবার্য হয়ে পড়ে। হযরত আবু উবায়দাহ্ (রা.) তার অসাধারণ ভাষণে মুসলিম-বাহিনীকে উদ্দীপ্ত ও অনুপ্রাণিত করেন। রোমানরা সংখ্যায় মুসলমানদের চেয়ে বহুগুণে বেশি ছিল এবং তারা এতটা বদ্ধ-পরিকর ছিল যে, নিজেদের পা একসাথে শেকলে বেঁধে যুদ্ধক্ষেত্রে নেমেছিল যে, তারা কোনভাবেই যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পালাবে না। প্রথমদিকে তারা মুসলমান বাহিনীকে কোণঠাসা করে ফেলে; আর তাদের তীরন্দাজরা দূর থেকে বেছে বেছে সাহাবীদেরকে হত্যা করতে থাকে যেন মুসলমানদের মনোবল ভেঙে যায়। এই অবস্থা দেখে ইকরামা বিন আবু জাহল, যিনি মক্কা-বিজয়ের দিন ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন এবং মহানবী (সা.)-এর কাছে দোয়ার আবেদন করেছিলেন যে, আল্লাহ্ তা’লা যেন তাকে তার অতীত কর্মকাণ্ডের ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার সামর্থ্য দান করেন, তিনি হযরত আবু উবায়দাহ্ (রা.)’র কাছে গিয়ে নিবেদন করেন, ‘সাহাবীরা তো অনেক করেছেন! আজ আমরা যারা যুবক, যারা পরে ইসলাম গ্রহণ করেছি- আমাদেরকে পুণ্য অর্জনের সুযোগ দিন। আমরা একদল সম্মুখে এগিয়ে একেবারে রোমান বাহিনীর কেন্দ্রে আঘাত হানব আর তাদের সেনাপতিদের হত্যা করব।’ হযরত আবু উবায়দাহ্ (রা.) এই অনুমতি দিতে চাচ্ছিলেন না; কারণ এভাবে যারা আক্রমণ করবে, তারা তো সবাই মারা পড়বে! তখন ইকরামা (রা.) বলেন, ‘আপনি কি চান যে, সাহাবীরা মৃত্যুবরণ করুন আর আমরা যুবকরা বেঁচে থাকি?’ অবশেষে তার উপর্যুপরি অনুরোধের প্রেক্ষিতে আবু উবায়দাহ্ (রা.) তাকে অনুমতি দেন। ইকরামা (রা.) চারশ’ যুবককে সাথে নিয়ে রোমান বাহিনীর কেন্দ্রে আঘাত হানেন এবং যেমনটি বলেছিলেন, তেমনটিই করেন। এর ফলে যুদ্ধের মোড় ঘুরে যায়; রোমানরা পিছু হটতে বাধ্য হয়। আর পিছু হটতে গিয়ে তারা নিজেদেরই খোঁড়া পরিখায় গিয়ে পড়তে থাকে; শেকলে পা বাঁধা থাকায় একজন পড়লে সাথে আরও দশজনকে নিয়ে পড়ছিল। ফলাফল এই দাঁড়ায় যে, আশি হাজার রোমান সৈন্য ইয়ারমূক নদীতে ডুবে মারা যায় ও এক লক্ষ যুদ্ধক্ষেত্রে মুসলমানদের হাতে নিহত হয়। এই যুদ্ধে তিন হাজার মুসলমান শহীদ হন; আর ইকরামা (রা.) সহ তার দলের প্রত্যেকেই শাহাদাতবরণ করেন। নিজের অন্তিম মুহূর্তেও নিজে পানি পান না করে তা প্রথম যুগের সাহাবীদের জন্য উৎসর্গ করে ইকরামা (রা.) তখন অসাধারণ আত্মত্যাগের যে দৃষ্টান্ত প্রতিষ্ঠা করেন তা কিয়ামতকাল পর্যন্ত ইসলামের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লিপিবদ্ধ থাকবে।
সিরিয়ায় বিভিন্ন জাতি, ধর্ম ও বর্ণের লোকের বসবাস ছিল। হযরত আবু উবায়দাহ্ (রা.) সিরিয়া জয়ের পর তাদের মধ্যে সাম্য প্রতিষ্ঠা করেন, সবাইকে ধর্মীয় স্বাধীনতা প্রদান করেন। ইসলামের এরূপ মহত্ব দেখে সবাই স্বেচ্ছায় ও সানন্দে ইসলাম গ্রহণ করে। এই যুদ্ধের শেষদিকেই হযরত আবু বকর (রা.) ইন্তেকাল করেন এবং হযরত উমর (রা.) খলীফা হন। হযরত উমর (রা.) খিলাফতের আসনে সমাসীন হওয়া মাত্রই পত্র মারফত হযরত খালিদের স্থলে হযরত আবু উবায়দাহ্ (রা.)-কে মুসলিম বাহিনীর সেনাপতি নিযুক্ত করেন; কিন্তু আবু উবায়দাহ্ (রা.) তা প্রকাশ করেন নি। যুদ্ধ শেষে হযরত খালিদ যখন তা জানতে পারেন, তখন তিনি আশ্চর্য হয়ে এর কারণ জানতে চান; আবু উবায়দাহ্ (রা.) বলেন, শত্রুর সাথে চরম যুদ্ধাবস্থায় তিনি চান নি যে, হযরত খালিদ কোনভাবে মনক্ষুণ্ণ হন বা তার মনোবলে কোনরূপ চিড় ধরুক। হযরত খালিদ (রা.) নিজ বাহিনী নিয়ে ইরাক ফিরে যাওয়ার সময় মুসলিম বাহিনীকে বলেন, ‘তোমাদের আনন্দিত হওয়া উচিত যে, তোমাদের নেতৃত্বে আছেন এই উম্মতের আমীন।’ তখন আবু উবায়দাহ্ (রা.)ও মহানবী (সা.)-এর বাণী উদ্ধৃত করে বলেন, ‘খালিদ বিন ওয়ালীদ (রা.) আল্লাহ্‌র তরবারিগুলোর মধ্যে অন্যতম’। মুসলমান নেতারা এমনই ছিলেন; কোনরূপ নেতৃত্ব বা কর্তৃত্বের লোভ তাদের ছিল না; কেবলমাত্র আল্লাহ্‌র সন্তুষ্টি অর্জন এবং তাঁর রাজত্ব পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠা করাই ছিল তাদের জীবনের পরম লক্ষ্য।
সিরিয়া উদ্ধারে ১৭ হিজরীতে করা রোমানদের শেষ প্রচেষ্টাও হযরত আবু উবায়দাহ্ (রা.)’র নেতৃত্বাধীন বাহিনীর কারণে ব্যর্থ হয় এবং তারা সিরিয়া উদ্ধারের সব আশা বিসর্জন দেয়। বাইতুল মুকাদ্দাস জয়েও হযরত আবু উবায়দাহ্ (রা.)’র অসামান্য ভূমিকা ছিল। খ্রিস্টানরা শর্ত দিয়েছিল, মুসলমানদের খলীফা যদি নিজে আসেন, তাহলে তারা সন্ধি করতে প্রস্তুত। একথা শুনে মদীনায় হযরত আলী (রা.)-কে আমীর নিযুক্ত করে হযরত উমর (রা.) রওয়ানা হন। জাভিয়াতে মুসলিম-বাহিনী তাকে স্বাগত জানায়। তিনি সবার আগে আবু উবায়দাহ্ (রা.)’র খোঁজ করেন। আবু উবায়দাহ্ (রা.)’র বাড়িতে গিয়ে তিনি দেখেন, তার ঘরে ঢাল-তলোয়ার ছাড়া কেবল একটি চাটাই এবং একটি পেয়ালা রয়েছে, আর কোন আসবাবপত্র নেই। তিনি আবু উবায়দাহ্ (রা.)-কে ন্যূনতম স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য হলেও এক-দুটো আসবাবপত্র রাখতে বলেন। উত্তরে আবু উবায়দাহ্ (রা.) বলেন, স্বাচ্ছন্দ্যের আয়োজন করতে গেলে সেটির আকর্ষণেই যে জীবন শেষ হয়ে যাবে, তাই তিনি এরূপ করতে অস্বীকৃতি জানান। হযরত আবু উবায়দাহ্ (রা.)’র বাহিনীর সাথে যখন হযরত উমর (রা.)’র সাক্ষাৎ হয়, তখন তারা খলীফাকে অবগত করেন যে, সিরিয়ায় প্লেগ মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। হযরত উমর (রা.) প্রথমে মুহাজির, তারপর আনসার ও সবশেষে বয়োঃবৃদ্ধ কুরাইশদের সাথে পরামর্শ করে সাহাবীদের নিরাপত্তার স্বার্থে মদীনায় ফিরে যাওয়ার ঘোষণা দেন। তখন হযরত আবু উবায়দাহ্ (রা.) প্রশ্ন তুলেছিলেন, ‘আল্লাহ্ নিয়তিতে যা রেখেছেন, তাত্থেকে কি পালানো সম্ভব?’ হযরত উমর (রা.) তখন হযরত আবু উবায়দাহ্ (রা.)-কে বলেছিলেন, এটি নিয়তি থেকে পলায়ন নয়; বরং আল্লাহ্‌র এক তকদীর থেকে আল্লাহ্‌র অন্য তকদীরের দিকে যাওয়া। খানিক পরেই হযরত আব্দুর রহমান বিন অওফ (রা.) এসে এ বিষয়ে মহানবী (সা.)-এর বাণীও সকলকে অবগত করেন। রসূলুল্লাহ্ (সা.)-এর নির্দেশ হল, ‘কোন স্থানে যদি মহামারী ছড়িয়ে পড়ে, তবে সেখানে না যাওয়া; আর নিজ শহরেই যদি মহামারী দেখা দেয়, তবে সেখান থেকে বাইরে না যাওয়া’। হযরত উমর (রা.) মদীনায় ফেরত আসার পরও প্লেগের কারণে মুসলিম-বাহিনীর নিরাপত্তা নিয়ে খুব চিন্তিত ছিলেন। তিনি হযরত আবু উবায়দাহ্ (রা.)-কে চিঠি লিখে দ্রুত মদীনায় চলে আসতে বলেন। হযরত আবু উবায়দাহ্ (রা.) বুঝতে পারেন যে, যুগ-খলীফা তাকে প্লেগের প্রকোপ থেকে রক্ষা করতে চাইছেন, কিন্তু তিনি বিনয়ের সাথে নিজের বাহিনী ছেড়ে যেতে অস্বীকৃতি জানান। যখনই কোন মুসলমান সৈনিক প্লেগে শাহাদাতবরণ করতেন, হযরত আবু উবায়দাহ্ (রা.) কেঁদে-কেঁদে নিজের জন্যও শাহাদাত প্রার্থনা করতেন। অবশেষে তিনি ১৮ হিজরীতে মাত্র ৫৮ বছর বয়সে প্লেগে আক্রান্ত হয়ে শাহাদতবরণ করেন ও সিরিয়ার ফেহেল নামক অঞ্চলের বীসন নামক উপত্যকায় সমাহিত হন। মৃত্যুর পূর্বে তিনি খলীফার কাছে তার সালাম পৌঁছাতে বলে যান এবং হযরত মুআয বিন জাবাল (রা.)-কে নিজের স্থলাভিষিক্ত নির্বাচন করে যান।
খুতবার শেষদিকে হুযূর (আই.) সম্প্রতি প্রয়াত তিনজন নিষ্ঠাবান আহমদীর গায়েবানা জানাযা পড়ানোর ঘোষণা দেন। প্রথম জানাযা পেশোয়ার নিবাসী শহীদ প্রফেসর ড. নাঈম উদ্দীন খটক সাহেবের, যাকে গত ৫ই অক্টোবর দুপুর দেড়টার দিকে কলেজ থেকে ফেরার পথে দু’জন অজ্ঞাত পরিচয় মোটরসাইকেল আরোহী গুলি করে শহীদ করে; দ্বিতীয় জানাযা জার্মানির জামেয়ার তৃতীয় বর্ষের ছাত্র উসামা সাদেক সাহেবের, যিনি কিছুদিন পূর্বে জার্মানির রাইন নদীতে ডুবে মৃত্যুবরণ করেন; তৃতীয় জানাযা জামেয়া ইউকে’র ইংরেজি ও ইতিহাসের শিক্ষক শ্রদ্ধেয় সেলিম আহমদ মালেক সাহেবের, যিনি গত ২৪শে সেপ্টেম্বর ৮৭ বছর বয়সে পরলোকগমন করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। হুযূর (আই.) মরহুমদের সংক্ষিপ্ত স্মৃতিচারণে তাদের অসাধারণ গুণাবলী ও বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবনের কিছু ঝলক তুলে ধরেন এবং তাদের রূহের মাগফিরাত ও শান্তি কামনা করেন। (আমীন)