শ্রেষ্ঠ মহাপুরুষ – নিষ্ঠাবান বদরী সাহাবীগণ

হযরত মির্যা মসরূর আহমদ - খলীফাতুল মসীহ্‌ আল্‌ খামেস (আই.)

০৫-জুন, ২০২০

মসজিদ মুবারক, ইসলামাবাদ, টিলফোর্ড, লন্ডন

জুমুআর খুতবার সারমর্ম


এই জুমু’আর খুতবার সারাংশটিতে কোনো প্রকার ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকলে তার দায়ভার আহ্‌মদীয়া বাংলা টীম গ্রহণ করছে।

আহমদীয়া মুসলিম জামা’তের বিশ্ব-প্রধান ও পঞ্চম খলীফাতুল মসীহ্‌ হযরত মির্যা মসরূর আহমদ (আই.) গত ৫ই জুন, ২০২০ ইসলামাবাদের মসজিদে মুবারকে প্রদত্ত জুমুআর খুতবায় পূর্বের ধারা অনুসরণে নিষ্ঠাবান বদরী সাহাবীদের বর্ণাঢ্য জীবনের স্মৃতিচারণ করেন। এ খুতবায় তিনি হযরত সুহেইব বিন সিনান (রা.)’র জীবনের স্মৃতিচারণ করেন।
তাশাহহুদ, তাআ’ব্বুয ও সূরা ফাতিহা পাঠের পর হুযূর (আই.) বলেন, আজ আমি পুনরায় যেসব বদরী সাহাবীর স্মৃতিচারণ করছি তাদের মধ্যে প্রথম হলেন, হযরত সুহেইব বিন সিনান (রা.)। তার পিতার নাম ছিল সিনান বিন মালেক এবং মায়ের নাম ছিল সালামা বিনতে কাঈদ। হযরত সুহেইব ইরাকের মসুলের বাসিন্দা ছিলেন। তার পিতা বা চাচা উবুল্লা শহরে পারস্য-সম্রাট কিসরার পক্ষ থেকে গভর্ণর নিযুক্ত ছিলেন; উবুল্লা দজলা নদীর তীরে অবস্থিত একটি শহর যা পরবর্তীতে বসরা নামে প্রসিদ্ধি লাভ করে। রোমানরা এই শহর আক্রমণ করে এবং আরও অনেকের সাথে হযরত সুহেইবকেও শিশু অবস্থাতেই বন্দী করে নিয়ে গিয়ে দাস হিসেবে বিক্রি করে দেয়। আবুল কাসেম মাগরিবীর মতে তার আসল নাম ছিল উমায়রাহ্, রোমানরা তার নাম সুহেইব রাখে। তার গায়ের রং ছিল উজ্জ্বল ফর্সা, উচ্চতা মাঝারি গড়নের, মাথায় ঘন কেশ ছিল। তিনি রোমানদের মাঝেই প্রতিপালিত হন, তার জিহ্বায় জড়তা ছিল এবং তিনি কিছুটা বিদেশি টানে কথা বলতেন। ক্বালব নামক এক ব্যক্তি তাকে ক্রয় করে মক্কায় নিয়ে আসে, পরবর্তীতে আব্দুল্লাহ্ বিন জুদান তাকে কিনে নিয়ে মুক্ত করে দেন। হযরত সুহেইব আব্দুল্লাহ্‌র মৃত্যু পর্যন্ত তার সাথে মক্কাতেই ছিলেন আর এরইমধ্যে মহানবী (সা.) নবুওয়প্রাপ্ত হন। তার মক্কায় ফিরে আসার ব্যাপারে দ্বিমতও রয়েছে।
হযরত আম্মার বিন ইয়াসের ও হযরত সুহেইব একসাথে দ্বারে আরকামে গিয়ে মহানবী (সা.)-এর কাছে ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন। ইসলাম ধর্ম গ্রহণের পর তারা সারা দিন সেখানে অবস্থান করেন, সন্ধ্যা নেমে এলে তারা লুকিয়ে সেখান থেকে বের হয়ে আসেন। কতিপয় বর্ণনামতে তাদের পূর্বে অন্ততঃ ত্রিশজন ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন, আবার আব্দুল্লাহ্ বিন মাসউদের বর্ণনানুসারে হযরত সুহেইব ও হযরত আম্মার সেই সাতজন ব্যক্তির অন্যতম, যারা সর্বপ্রথম নিজেদের ইসলাম গ্রহণের কথা প্রকাশ করেছিলেন আর অবর্ণনীয় অত্যাচার সহ্য করেছিলেন। মহানবী (সা.) বলেন, ‘ইসলামে অগ্রগামী ব্যক্তি চারজন; আমি আরবদের মধ্যে প্রথম, সুহেইব রোমানদের মধ্যে প্রথম, সালমান পারস্যবাসীদের মধ্যে প্রথম এবং বেলাল আবিসিনিয়ানদের মধ্যে প্রথম।’ হযরত সুহেইব ও আম্মার সেসব অসহায় মুসলমানদের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন, যাদের সম্পর্কে সূরা নাহলের ১১১নং আয়াত অবতীর্ণ হয়। কাফিররা কুরআন সম্পর্কে আপত্তি করত যে, ভিনদেশি কৃতদাসরা মুহাম্মদ (সা.)-কে কুরআন রচনায় সহায়তা করেছে বা এটি তাদেরই রচনা। হযরত মুসলেহ্ মওউদ এর খণ্ডন করে বলেন, এটি নিতান্তই অযৌক্তিক এক আপত্তি; কারণ ভিনদেশি কৃতদাসেরা জেনেশুনে মার খাওয়ার জন্য এই কাজ করবে এবং তা প্রকাশ্যেই করবে যাতে চরমভাবে অত্যাচারিত হতে পারে- এটি একেবারেই নিরর্থক এক চিন্তা।
কোন কোন বিবরণ থেকে জানা যায়, মদীনায় প্রথম হিজরতের সময় হযরত আলী ও হযরত সুহেইব সবশেষে হিজরত করেন; এটি রবিউল আউয়াল মাসের মাঝামাঝি সময়ের ঘটনা আর মহানবী (সা.) তখন কুবায় অবস্থান করছিলেন। হযরত সুহেইব হিজরতের জন্য রওয়ানা হলে কুরাইশরা তার পশ্চাদ্ধাবন করে। হযরত সুহেইব একজন দক্ষ ধনুর্বিদ ছিলেন, তিনি কুরাইশদের চ্যালেঞ্জ করে বলেন, তারা যদি তাকে ধরতে চেষ্টা করে তবে তিনি তার সবটুকু সামর্থ্য ও অস্ত্র-শস্ত্র দিয়ে লড়াই করে যাবেন। তিনি যথেষ্ট সম্পদশালী ছিলেন। কুরাইশরা তাকে হিজরত করতে বাঁধা দিয়ে বলে, তুমি মক্কায় এই সম্পদ উপার্জন করেছ তাই আমরা তোমাকে এগুলো মদীনায় নিয়ে যেতে দেব না। তিনি বলেন, আমি যদি আমার যাবতীয় ধন-সম্পদ তোমাদের হাতে তুলে দেই তাহলে কি যেতে দেবে? তারা সম্মত হলে তিনি তার সবকিছু কুরাইশদের হাতে তুলে দিয়ে রিক্ত হস্তে মদীনা অভিমুখে হিজরত করেন। মহানবী (সা.) যখন একথা জানতে পারেন তখন বলেন, ‘আবু ইয়াহইয়ার এই ব্যবসাটা অত্যন্ত লাভজনক হয়েছে’; আবু ইয়াহইয়া হযরত সুহেইবের ডাকনাম ছিল। তার এই কুরবানির বিষয়ে কুরআনে যে আয়াত অবতীর্ণ হয় তাতে আল্লাহ্ তা’লা বলেন: “আর এমন কিছু লোক আছে যারা আল্লাহ্‌র সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে নিজের প্রাণও বিক্রি করে দেয়, আর আল্লাহ্ নিশ্চয় বান্দাদের প্রতি পরম মমতাশীল।” (সূরা আল্ বাকারা: ২০৮)
হিজরতের পর মহানবী (সা.) তার ও হযরত হারেস বিন সিম্মাহ্‌র মাঝে ভ্রাতৃত্বসম্পর্ক স্থাপন করেন। হযরত সুহেইব বদর, উহুদ, খন্দকসহ সকল যুদ্ধে এবং মহানবী (সা.) কর্তৃক প্রেরিত প্রতিটি যুদ্ধাভিযানে অংশ নিয়েছিলেন; যুদ্ধক্ষেত্রে সবচেয়ে বিপদসংকুল স্থানে তিনি অবস্থান করতেন আর সর্বদা শত্রুদের ও মহানবী (সা.)-এর মাঝে আড়াল হয়ে দাঁড়াতেন। মদীনাতে একদিন হযরত সালমান, সুহেইব ও বেলাল (রা.) প্রমুখ বসে ছিলেন, তখন তাদের পাশ দিয়ে আবু সুফিয়ান অতিক্রম করেন। লোকজন বলে, আল্লাহ্‌র তরবারী এখনও তাঁর শত্রুর ঘাড়ে পতিত হয় নি; একথা শুনে হযরত আবু বকর (রা.) তাদের বলেন, তোমরা কি কুরাইশদের নেতা সম্পর্কে এসব বলছ? বিষয়টি মহানবী (সা.)-কে জ্ঞাত করা হলে তিনি হযরত আবু বকর (রা.)-কে বলেন, আবু বকর! তোমার কথায় হয়তো তারা মনক্ষুন্ন হয়েছে। যদি তা হয়ে থাকে, তবে তুমি তোমার খোদাকে অসন্তুষ্ট করেছ! আবু বকর (রা.) তৎক্ষণাৎ তাদের কাছে গিয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। হযরত উমর (রা.) হযরত সুহেইবকে খুবই পছন্দ করতেন এবং তার সম্পর্কে খুবই উচ্চ ধারণা রাখতেন; তিনি নিজ অন্তিম শয্যায় ওসীয়্যত করেছিলেন যে, তার জানাযা সুহেইব পড়াবেন এবং পরবর্তী খলীফা নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত তিনদিন তিনি মুসলমানদের ইমামতি করবেন। হযরত সুহেইব (রা.) ৩৮ হিজরির শাওয়াল মাসে মৃত্যুবরণ করেন।
এরপর হুযুর স্মৃতিচারণ করেন হযরত সা’দ বিন রবী (রা.)’র, তিনি আনসারদের খাযরাজ গোত্রের বনু হারেস শাখার সদস্য ছিলেন; তার পিতার নাম ছিল রবী বিন আমর আর মায়ের নাম ছিল হুযায়লা বিনতে ইনাবা। তার দু’জন সহধর্মিনী ছিলেন- উমরাহ্ বিনতে আযম ও হাবীবা বিনতে যায়েদ। তার দু’জন কন্যাও ছিলেন, একজনের নাম ছিল উম্মে সা’দ। হযরত সা’দ বিন রবী অজ্ঞতার যুগেও লিখতে-পড়তে জানতেন। তিনি আকাবার উভয় বয়আতেই অংশগ্রহণ করেছিলেন; তিনি ও হযরত আব্দুল্লাহ্ বিন রওয়াহা উভয়েই বনু হারেস গোত্রের নকীব বা নেতা ছিলেন। মদীনায় হিজরতের পর মহানবী (সা.) তার ও হযরত আব্দুর রহমান বিন অওফের মাঝে ভ্রাতৃত্ববন্ধন রচনা করেন; হযরত সা’দ তার সকল সহায়-সম্পত্তি ভাগ করে এর অর্ধেক আব্দুর রহমানকে দিয়ে দিতে চান, এমনকি তার দু’জন স্ত্রীর মধ্যে একজনকে তালাকও দিয়ে দিতে চান যেন আব্দুর রহমান তাকে বিয়ে করতে পারেন, তবে আব্দুর রহমান বিন অওফ তাকে নিরস্ত করেন। হযরত সা’দ বিন রবী বদর ও উহুদের যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন এবং উহুদের যুদ্ধে শাহাদত বরণ করেন।
উহুদের যুদ্ধের দিন যুদ্ধ শেষে মহানবী (সা.) স্বয়ং আহত শরীরে যুদ্ধক্ষেত্রে গিয়ে সাহাবীদের খোঁজ নিচ্ছিলেন। এক পর্যায়ে তিনি সা’দ বিন রবীর খোঁজ করেন, কেননা তিনি (সা.) সা’দকে শত্রু-পরিবেষ্টিত অবস্থায় দেখেছিলেন। তখন হযরত উবাই বিন কা’ব তার সন্ধানে বের হন। হযরত উবাই সা’দকে খুঁজে না পেয়ে তার নাম ধরে ডাক দেন, কিন্তু কোন সাড়া পান নি। তখন তিনি সা’দের নাম ধরে ডাক দিয়ে বলেন, মহানবী (সা.) আমাকে তোমার সন্ধানে পাঠিয়েছেন। রসূলুল্লাহ্ (সা.)-এর নাম শুনে সা’দ বিন রবীর মুমূর্ষু দেহে যেন প্রাণের সঞ্চার হয় এবং তিনি ক্ষীণকণ্ঠে সাড়া দেন। তিনি হযরত উবাই বিন কা’বকে বলেন, মহানবী (সা.)-কে আমার সালাম পৌঁছাবে এবং বলবে, আল্লাহ্‌র রসূলগণ তাদের অনুসারীদের ত্যাগ ও নিষ্ঠার কারণে যে পুণ্য লাভ করে থাকেন, আল্লাহ্ তা’লা সেই পুণ্য আপনাকে সকল নবীর চেয়ে বেশি দান করুন এবং আপনার চোখকে স্নিগ্ধ করুন। আমার মুসলমান ভাইদেরকেও আমার সালাম পৌঁছাবে, আর আমার জাতিকে বলবে- তারা যেন আকাবার রাতে মহানবী (সা.)-এর সাথে কৃত অঙ্গীকার স্মরণ রাখে; আল্লাহ্‌র কসম! যদি তোমাদের একজনের মাঝেও প্রাণ থাকে এবং তা সত্ত্বেও কাফিররা মহানবী (সা.)-এর কাছে পৌঁছে যায়, তবে আল্লাহ্‌র কাছে দেওয়ার মত তোমাদের কোন জবাব থাকবে না! এরপর তিনি শাহাদতবরণ করেন। এটি ছিল সেই মহান নিষ্ঠাবান সাহাবীর মৃত্যুশয্যায় শেষ কথা ও শেষ ওসীয়্যত। মহানবী (সা.) যখন তার এই কথাগুলো শোনেন তখন বলেন, ‘আল্লাহ্ তার প্রতি কৃপা করুন, সে জীবদ্দশাতেও আর মৃত্যুর পরও আল্লাহ্ ও তাঁর রসূলের (সা.) শুভাকাক্সক্ষী থেকেছে।’ উহুদের যুদ্ধের দিন তার দেহে বর্শার বারটি আঘাত লেগেছিল। তাকে ও হযরত খারজা বিন যায়েদকে একই কবরে সমাহিত করা হয়। হযরত আবু বকর (রা.)’র খিলাফতকালে একবার সা’দ বিন রবীর মেয়ে উম্মে সা’দ তার সমীপে উপস্থিত হলে হযরত আবু বকর (রা.) নিজের চাদর বিছিয়ে তাকে বসতে দেন; হযরত উমর (রা.) তা দেখে আশ্চর্য হয়ে তার পরিচয় জানতে চাইলে আবু বকর (রা.) বলেন- ‘সে ঐ ব্যক্তির মেয়ে, যিনি তোমার ও আমার চেয়ে উত্তম ছিলেন।’ হযরত সা’দের মৃত্যুর পর তার ভাই তার সব সম্পদ নিয়ে নেয়, বিধবা ও তার মেয়েদের জন্য কিছুই রাখে নি। সা’দের বিধবা স্ত্রী দু’মেয়েকে নিয়ে গিয়ে মহানবী (সা.)-এর কাছে এ বিষয়ে অনুযোগ করেন; মহানবী (সা.) বলেন, আল্লাহ্ তা’লা স্বয়ং এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিবেন। অতঃপর সূরা নিসার উত্তরাধিকার সংক্রান্ত আয়াতগুলো অবতীর্ণ হয় যেখানে পুরুষ ও নারী উভয়েরই উত্তরাধিকার বিষয়ে স্পষ্ট নির্দেশ বর্ণিত হয়। ইসলাম একমাত্র ধর্ম যা নারীদের প্রকৃতিগত ও যৌক্তিক অধিকার প্রদান করেছে এবং তা সংরক্ষণ করেছে; উত্তরাধিকার, বিয়ে-শাদি, তালাক, দাম্পত্য জীবনের বিভিন্ন বিষয়, নিজ সম্পদের ব্যবহারে পূর্ণ স্বাধীনতা, ব্যক্তি-স্বাধীনতা, ধর্মীয় বিষয়াদিসহ যাবতীয় বিষয়ে ইসলাম তাদের স্বাধীনতা প্রদান করেছে এবং সেগুলোর সংরক্ষণও নিশ্চিত করেছে। ইসলাম এ বিষয়ে অনন্য, যা অন্য কোন ধর্ম করে নি। হুযূর দোয়া করেন, আল্লাহ্ তা’লা সকল আহমদী নারীকে এই সত্যটি বুঝার সামর্থ্য দান করুন, আর আহমদী পুরুষদেরকেও ইসলামী শিক্ষা অনুযায়ী নারীদের অধিকার প্রদানের সৌভাগ্য দান করুন। (আমীন)
খুতবার শেষদিকে হুযূর আমেরিকায় সম্প্রতি পুলিশ কর্তৃক একজন কৃষ্ণাঙ্গ নাগরিককে হত্যার প্রেক্ষিতে সৃষ্ট অরাজক পরিস্থিতির বিষয়টি উল্লেখ করে বলেন, বিশৃক্সক্ষলা সৃষ্টি কোন সমাধান নয়; আর সরকারেরও বুঝা উচিত, ক্ষমতা ও দাপট দিয়েই সব সমস্যার সমাধান হয় না, ন্যায়ের ভিত্তিতে সকল নাগরিকের প্রাপ্য অধিকার প্রদান করা সরকারের মৌলিক দায়িত্ব। পাকিস্তানের সরকারও যে মোল্লাদের তুষ্ট করার উদ্দেশ্যে আহমদীদের ওপর অন্যায়-অবিচার করছে, সেটিও দেশকে ধ্বংসের দিকেই ঠেলে দিচ্ছে। নিরঙ্কুশ ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হওয়া সম্ভব, অন্যথায় নয়। হুযূর দোয়া করেন, আল্লাহ্ তা’লা পৃথিবীর সবস্থান থেকে অত্যাচার ও বিশৃক্সক্ষলা দূর করুন; করোনা মহামারী দ্রুত দূরীভূত হোক আর এই মহামারী থেকে যেন মানুষ শিক্ষা গ্রহণ করে নিজেদের অবস্থা পরিবর্তন করে, আর আমরা আহমদীরা যেন পূর্বের চেয়ে বেশি আল্লাহ্ ও তাঁর সৃষ্টজীবের প্রাপ্য প্রদানে তৎপর হই। (আমীন)