ইউরোপ ভ্রমণ – ২০১৯ এর পর্যালোচনা

হযরত মির্যা মসরূর আহমদ - খলীফাতুল মসীহ্‌ আল্‌ খামেস (আই.)

০১-নভেম্বর, ২০১৯

মসজিদ মুবারক, ইসলামাবাদ, টিলফোর্ড, যুক্তরাজ্য

জুমুআর খুতবার সারমর্ম


এই জুমু’আর খুতবার সারাংশটিতে কোনো প্রকার ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকলে তার দায়ভার আহ্‌মদীয়া বাংলা টীম গ্রহণ করছে।

আহমদীয়া মুসলিম জামা’তের বিশ্ব-প্রধান ও পঞ্চম খলীফাতুল মসীহ্‌ হযরত মির্যা মসরূর আহমদ (আই.) গত ১লা নভেম্বর, ২০১৯ টিলফোর্ডস্থ ইসলামাবাদের মসজিদে মুবারকে প্রদত্ত জুমুআর খুতবায় সাম্প্রতিক ইউরোপ সফরে তিনি কি কি কাজ করার সুযোগ পেয়েছেন এবং খোদা তা”লা কিভাবে সেগুলোকে কৃপারাজীতে ধন্য করেছেন তা আলোকপাত করেন।

হুযূর (আই.) তাশাহহুদ, তাআ’ব্বুয ও সূরা ফাতিহা পাঠের পর বলেন, বিগত দিনগুলোতে আমি ইউরোপের তিনটি দেশ সফর করেছি, তন্মধ্যে দু’টি দেশ হল্যান্ড ও ফ্রান্সের বার্ষিক জলসাও ছিল, এছাড়া ৫টি মসজিদ উদ্বোধনসহ আরও কয়েকটি অনুষ্ঠানে অ-আহমদীদের সামনে ইসলামের সত্যিকার ও শান্তিপূর্ণ শিক্ষামালা তুলে ধরার সুযোগ ঘটে। ফ্রান্সে ইউনেস্কোর সদর দপ্তরে একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদানের সুযোগ ঘটে যাতে এর কর্ণধাররা সহ মোট ৯১জন অতিথি উপস্থিত ছিলেন। সেই অনুষ্ঠানে ইসলামী শিক্ষা এবং জ্ঞান-বিজ্ঞানের উন্নতিতে মুসলমান মনিষীদের অবদান বর্ণনা করার সুযোগ লাভ হয়। ইউনেস্কো মূলতঃ জাতিসংঘের একটি অঙ্গসংগঠন যা শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতির প্রচার ও প্রসারের জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে; এছাড়া প্রচারমাধ্যমের স্বাধীনতা, দারিদ্র-বিমোচন, উত্তরাধিকার সংরক্ষণ ইত্যাদির কাজও এই প্রতিষ্ঠান সুনিশ্চিত করে। এসব বিষয়ে ইসলামী শিক্ষা কী এবং প্রাথমিক যুগের মুসলমানদের এসব ক্ষেত্রে অবদান ও বর্তমানে আহমদীয়া জামাতের ভূমিকা এখানে তুলে ধরা হয়েছে। তেমনিভাবে জার্মানির রাজধানী বার্লিনে সেখানকার কতিপয় রাজনীতিবিদ, কূটনীতিবিদ ও শিক্ষিত সমাজের সামনে ইসলামী শিক্ষা তুলে ধরার সুযোগ হয়েছে; আর ইসলাম সম্পর্কে তাদের বিভিন্ন নেতিবাচক ধারণা যেমন ইসলাম ইউরোপের জন্য একটি বিপদস্বরূপ, ইসলামের সাথে তাদের সমাজ, রীতি-নীতি একেবারেই মিলে না- তাই ইসলামকে তাদের দেশে প্রবেশ করতে দেয়া যাবে না- ইত্যাদি বিষয়ে ইসলামী শিক্ষার আলোকে আলোচনা করা হয়েছে। এই অনুষ্ঠানের খুব ইতিবাচক প্রভাব তাদের ওপর পড়েছে, যেমনটি তারা প্রকাশ করেছেন। অনুরূপভাবে অন্যান্য স্থানেও ইসলাম ও ইসলামী শিক্ষার সাথে তাদের পরিচয় করিয়ে দেয়ার সুযোগ হয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ্, সবখানেই আল্লাহ্ তা’লার কৃপাবারি বর্ষিত হতে দেখা গিয়েছে।

এরপর হুযূর খুবই সংক্ষেপে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আগত অ-আহমদী অতিথিরা যে অভিব্যক্তি প্রকাশ করেছেন, তার মধ্য হতে কিছুটা তুলে ধরেন।

হুযূর বলেন, হল্যাণ্ডে জলসার দ্বিতীয় দিন নূনস্পিটে ডাচ অতিথিদের উদ্দেশ্যে আমি বক্তব্য প্রদান করি। শহরের একজন কাউন্সিলর মন্তব্য করেন, প্রথমদিকে তিনি এখানে আসাটাও পছন্দ করতেন না, পরে এই অবস্থার পরিবর্তন হয়। তিনি হুযূরকে নূনস্পিটে স্বাগত জানানোরও সৌভাগ্য লাভ করেন। তার মতে আহমদীরা সমাজের সক্রিয় সদস্য। হুযূরের বক্তব্যে তিনি খুবই প্রভাবিত হয়েছেন। আরেক অতিথি বলেন, জলসায় আসার আগে তিনি খুবই ভীত ছিলেন যে, এখানে মুসলমানরা একত্রিত হচ্ছে, তাই কোন বিপদ আবার না হয়! কিন্তু এসে আশ্চর্য হন যে, এখানে শান্তির কথা বলা হচ্ছে। তিনি বলেন, পোপ তো নামোল্লেখ না করে সাধারণভাবে শান্তির কথা বলেন, কিন্তু আপনাদের ইমাম তো প্রকাশ্যে বিশ্বের পরাশক্তিগুলোকে সম্বোধন করে সতর্ক করছেন। আরেকজন খ্রিস্টান অতিথি বলেন, আমি খুব ভালোভাবে দেখেছি, আপনাদের জামাত সব ধর্মের লোকের সাথেই সদ্ব্যবহার করে, আমাদের সবার একযোগে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করা দরকার। হল্যাণ্ডের আলমেরে শহরে মসজিদের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে একজন আরব অতিথি জাকারিয়া সাহেব মন্তব্য করেন, অনুষ্ঠানের শুরুতে কুরআন তিলাওয়াত করা হয়েছে, যা ইউরোপের একটি দেশের প্রেক্ষাপটে খুবই আশ্চর্যজনক ও সাহসী পদক্ষেপ ছিল; তিনি এতে অত্যন্ত অভিভূত হন। আরেক ভদ্রমহিলা বলেন, দুঃখের বিষয় হল, ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা যা এখানে তুলে ধরা হয়েছে- এই শিক্ষা সচরাচর উপস্থাপন করা হয় না। তিনি বারবার এই মসজিদে আসার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

ফ্রান্সের জলসাতেও অ-আহমদী অতিথিদের অধিবেশন ছিল, এতে প্রায় ৭৫জন অতিথি উপস্থিত ছিলেন। একজন নৃতত্ত্ববিদ ভদ্রমহিলা মন্তব্য করেন, খলীফার ভাষণ শুনে বুঝতে পেরেছি, ফ্রান্সে সংঘটিত বিভিন্ন জঙ্গী হামলার সাথে আসলে ইসলামের কোন সম্পর্ক নেই। তিনি প্রকৃত ইসলামের যে চিত্র তুলে ধরেছেন এতে বুঝা যায়, মুসলমানরা পশ্চিমা বিশ্বে সহজেই মিশতে ও একীভূত হতে পারে। একজন ইরানী অতিথি মুর্তজা সাহেব বলেন, খলীফা ইসলাম-বিরোধী অপপ্রচারের দাঁতভাঙা জবাব দিয়েছেন। সাধারণ মুসলমানদের তার কাছ থেকে ইসলাম শেখা উচিৎ। ইসলামের সঠিক পরিচিতি তিনি তুলে ধরেছেন, তিনি জিহাদের প্রকৃত অর্থ ও তাৎপর্য তুলে ধরেছেন। মরোক্কোর অ-আহমদী এক মুসলিম অতিথি বলেন, যারা বলে আপনারা মুসলমান নন, তারা ভ্রান্ত কথা বলে; আপনারাই খাঁটি মুসলমান। থিংকট্যাংকে কাজ করেন এমন এক ভদ্রলোক মন্তব্য করেন, খলীফা যে বলেছেন, ধর্মকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করা হচ্ছে, আমি এর সাথে সম্পূর্ণ একমত; খলীফা ইসলামী শিক্ষার আলোকে এটাও তুলে ধরেছেন যে, কীভাবে আমরা পরবর্তী প্রজন্মের জন্য একটি সুন্দর পৃথিবী রেখে যেতে পারি। ৮ই অক্টোবর ইউনেস্কোর অনুষ্ঠান ছিল, এতে ৯১জন অতিথি অংশ নেন, তন্মধ্যে ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সরকারি বিভাগের প্রতিনিধিবর্গ এবং বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠনের প্রতিনিধি যোগদান করেন। মালির রাষ্ট্রদূত উমর সাহেব বলেন, আহমদীয়া জামাতের ইমাম বিশ্বজুড়ে শান্তির বিস্তার ঘটাচ্ছেন, এজন্য তাকে অভিনন্দন। তিনি নিজেও মুসলমান, আরো বলেন, খলীফার ভাষণ থেকে আমরা অনেক কিছু জানতে পেরেছি, আর আজ এই শান্তির শিক্ষাই মুসলমানদের প্রয়োজন। ন্যাটো মেমোরিয়ালের সভাপতি মিস্টার ব্রেন্টন বলেন, এমন কনফারেন্সের মাধ্যমে শান্তি, সহিষ্ণুতা ও ভ্রাতৃত্ববোধ সৃষ্টি হওয়া সম্ভব। আমার আকাঙ্খা হল- আহমদীয়া জামাতের ইমামের বাণী যেন বেশি বেশি সংখ্যায় মানুষ শোনে, ইসলাম প্রকৃতপক্ষে শান্তি ও সহনশীলতার শিক্ষা দেয়, যা চরমপন্থীদের কর্মকাণ্ডের সম্পূর্ণ বিপরীত। শান্তি প্রচারের কাজ খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও আবশ্যকীয় একটি কাজ, আর এই কাজে আমরাও তাঁকে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। একটি ক্যাথলিক এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি দিয়ালু সাহেব বলেন, ইসলামের এই বাণী সকল ধর্মের লোকের কাছে পৌঁছানো দরকার। আমার মন চাইছে, আমি নিজে ইসলামের উন্নতির জন্য দোয়া করি। যদি পৃথিবীতে সেই ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হয় যা আহমদীয়া জামাতের ইমাম উপস্থাপন করছেন, তবে পৃথিবীর সব সমস্যা দূর হয়ে যাবে; যখন অন্যদের আবেগ-অনুভূতিকে সম্মান করা হবে, তখন সর্বত্র শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে। আরেকজন অতিথি বার্নার্ড সাহেব বলেন, আজ আমি মহানবী (সা.) সম্পর্কে জানতে পেরেছি, কীভাবে তিনি মদীনায় এত উন্নত, শান্তিপূর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, আর ইসলাম জ্ঞান-বিজ্ঞানের প্রসারে কত বড় ভূমিকা রেখেছে। সিটি কাউন্সিলের একজন সদস্য বলেন, খলীফা যে নারীদের শিক্ষার সমান সুযোগ প্রদানের কথা বলেছেন এবং আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতির কথা বলেছেন- এগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তিনি আফ্রিকার পশ্চাৎপদ অঞ্চলগুলোতে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে জামাতের সেবামূলক কর্মকাণ্ডের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, সাধারণতঃ ফ্রান্স বা পাশ্চাত্বের অন্যান্য দেশে ইসলাম সম্পর্কে নেতিবাচক আলোচনা হয়, একপ্রকার ইসলাম ভীতি দেখা যায়, এরই মাঝে ইসলাম সম্পর্কে ইতিবাচক কথা শুনে আমি খুবই আনন্দিত হয়েছি। স্ট্রসবার্গে মসজিদের উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে প্রায় ১৯১জন অতিথি অংশ নেন; মেয়র, এমপিসহ অনেক রাজনীতিবিদ, ধর্মীয় সংগঠনের প্রতিনিধিবর্গ ও শিক্ষিত সমাজের লোকজন তাদের অন্যতম ছিলেন। তারা সবাই ইসলামের অনন্য শিক্ষার ভূয়সী প্রশংসা করেন।

জার্মানির উইযবাদেনে মসজিদ উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে ৩৭০জন অতিথি এসেছিলেন; শহরের লর্ড মেয়র, কয়েকজন সাংসদ, পুলিশ কর্মকর্তা, পাদ্রীসহ অনেক শ্রেণী-পেশার মানুষ এসেছিলেন। তারা সবাই ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা জানতে পেরে আশ্চর্য ও অভিভূত হন। চার্চের একজন প্রতিনিধি বলেন, ইসলাম প্রতিবেশির অধিকার সম্পর্কে যা শিক্ষা দেয় তা আশ্চর্যজনক, এমন সুন্দর শিক্ষা আমি আগে কখনো কোন ধর্মে দেখিনি। একজন খ্রিস্টান এই মন্তব্যও করেছেন, বর্তমানে গির্জা বিভিন্ন প্রশ্ন এড়িয়ে যায়, কিন্তু আহমদীয়া জামাতের ইমাম সব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন, কোনটা এড়িয়ে যান নি। ফুলডায় মসজিদ বায়তুল হামীদের উদ্বোধন অনুষ্ঠান হয়, এত ৩৩০জন অতিথি উপস্থিত ছিলেন। এখানেও লর্ড মেয়রসহ শিক্ষিত সমাজের মানুষ এসেছিলেন; কিন্তু যেহেতু এই এলাকায় ইসলাম-বিদ্বেষ বেশি, তাই তারা কিছুটা ভীত ছিলেন এবং রাজনীতিবিদরা তেমন একটা আসেন নি, লর্ড মেয়র নিজেও মঞ্চে আসন গ্রহণ না করে দর্শক সাঁড়িতে বসেন। কিন্তু হুযূরের বক্তব্যে উপস্থিত সুশীল সমাজ খুবই প্রভাবিত হয়েছেন। একজন শিক্ষক মন্তব্য করেন, স্কুলের শিক্ষার্থীদের এগুলো শুনিয়ে জিজ্ঞেস করা উচিত, এমন সুন্দর শিক্ষা কোন ধর্মের হতে পারে। তিনি অনুরোধ করেন, তাকে যেন অবশ্যই এই অনুষ্ঠানের অডিও-ভিডিও দেয়া হয়, তিনি তার স্কুলে তা দেখাবেন। বার্লিনের সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানে জার্মান সংসদের কয়েকজন সাংসদসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিবর্গ উপস্থিত ছিলেন, বার্লিন বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচজন অধ্যাপক, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের প্রতিনিধিসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। তারা অবলীলায় স্বীকার করেন যে, খলীফা এটি প্রমাণ করেছেন, ইসলাম প্রথম দিন থেকেই শান্তির ধর্ম ও শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করে এসেছে। অ্যামনেস্টির প্রতিনিধি বলেন, খলীফা কুরআনের বিভিন্ন আয়াতের সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা প্রদান করেছেন, যেগুলো ইসলাম বিরোধীরা বিকৃত করে উপস্থাপন করে ইসলামের ওপর আপত্তি উত্থাপন করে। মাহদীয়াবাদে মসজিদের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেও অনেক অতিথি উপস্থিত হন এবং তাদের অভিব্যক্তি প্রকাশ করেছেন। হুযূরের সফরকে কেন্দ্র করে মিডিয়ায় যে রিপোর্ট এসেছে তিনি তা উপস্থাপন করেন এত্থেকে জানা যায়, হল্যাণ্ডে বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে ১৬ লক্ষ মানুষের কাছে, ফ্রান্সে কয়েক মিলিয়ন লোকের কাছে এবং জার্মানিতে ৪৯ মিলিয়ন লোকের কাছে জামাতের সংবাদ পৌঁছেছে।

হুযূর দোয়া করেন, আল্লাহ্ করুন- এই লোকদের হৃদয় যেন ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা অনুধাবনের জন্য উন্মুক্ত হয়, আর তারা যেন একে গ্রহণ করতে সমর্থ হয়, আর তারা যেন প্রকৃত তওহীদ বা একত্ববাদের অনুসারী হয় এবং মহানবী (সা.)-এর পতাকাতলে সমবেত হয়; কেননা এতে-ই তাদের উন্নতি বা মুক্তি নিহিত। (আমীন)

খুতবার শেষদিকে হুযূর ভারতের কেরালা নিবাসী মোকাররম মওলানা কে মাহমুদ আহমদ সাহেবের গায়েবানা জানাযা পড়ানোর ঘোষণা দেন, যিনি গত ১৫ই অক্টোবর ৫৪ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন, ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। মরহুমের পিতা মোহতরম মৌলভী কে মোহাম্মদ আলভী সাহেবের মাধ্যমে তাদের পরিবারে আহমদীয়াতের সূচনা হয় এবং কেরালায় অসংখ্য মানুষ তাদের মাধ্যমে আহমদীয়াত গ্রহণের সৌভাগ্য লাভ করে। হুযূর মরহুমের বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবন ও অসাধারণ আদর্শের সংক্ষিপ্ত স্মৃতিচারণ করে বলেন, তিনি প্রকৃত অর্থেই খিলাফতের ‘সুলতানে নাসীর’ ছিলেন। হুযূর মরহুমের পদমর্যাদা উন্নত হওয়ার জন্য দোয়া করেন। (আমীন)