শ্রেষ্ঠ মহাপুরুষ – নিষ্ঠাবান বদরী সাহাবীগণ

হযরত মির্যা মসরূর আহমদ - খলীফাতুল মসীহ্‌ আল্‌ খামেস (আই.)

১৫-ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

মসজিদ বাইতুল ফুতুহ্, লন্ডন, যুক্তরাজ্য

জুমুআর খুতবার সারমর্ম


এই জুমু’আর খুতবার সারাংশটিতে কোনো প্রকার ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকলে তার দায়ভার আহ্‌মদীয়া বাংলা টীম গ্রহণ করছে।

আহমদীয়া মুসলিম জামা’তের বিশ্ব-প্রধান ও পঞ্চম খলীফাতুল মসীহ্‌ হযরত মির্যা মসরূর আহমদ (আই.) গত ১৫ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ইং লন্ডনের বায়তুল ফুতুহ মসজিদে প্রদত্ত জুমুআর খুতবায় পূর্বের ধারা অনুসরণে নিষ্ঠাবান বদরী সাহাবীদের বর্ণাঢ্য জীবনের স্মৃতিচারণ করেন। এ খুতবায় তিনি হযরত খালেদ বিন কায়েস (রা.), হযরত হারেস বিন খাযামা (রা.), হযরত খুনায়স বিন হুযাফা (রা.), হযরত হারসা বিন নুমান (রা.), হযরত বশীর বিন সা’দ (রা.)’র জীবনের স্মৃতিচারণ করেন।

হুযূর সর্বপ্রথম হযরত খালেদ বিন কায়েস (রা.)’র উল্লেখ করেন। তিনি খাযরাজ গোত্রের শাখা বনু বায়যার সদস্য ছিলেন। তার পিতার নাম ছিল, কায়েস বিন মালেক আর মাতা ছিলেন সালমা বিনতে হারসা। তার স্ত্রীর নাম উম্মে রাবী, পুত্রের নাম আব্দুর রহমান। তিনি আকাবার দ্বিতীয় বয়আতে অংশ নেন। তিনি বদর ও উহুদের যুদ্ধে যোগদানের সৌভাগ্য লাভ করেছেন।

দ্বিতীয় সাহাবী হলেন, হযরত হারেস বিন খাযামা (রা.), তার ডাক নাম ছিল আবু বিশর। তিনি খাযরাজ গোত্রের লোক ছিলেন। বদর, উহুদ, খন্দকসহ সকল যুদ্ধে তিনি মহানবী (সা.)-এর সহযোদ্ধা ছিলেন। মহানবী (সা.) তার ও হযরত আইয়াস বিন বুকায়রের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব বন্ধন স্থাপন করেছিলেন। তাবূকের যুদ্ধের সময় মহানবী (সা.)-এর উট হারিয়ে গেলে মুনাফিকরা সেটি নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করে বলে, যে নিজের উটের খবরই জানে না সে আবার আকাশের খবর জানে কি করে? উত্তরে মহানবী বলেন, আমি তো শুধু তাই জানি যার সংবাদ আল্লাহ্ আমাকে দেন। এরপর তিনি বলেন, এখন উটের খবরও খোদা তা’লা আমাকে অবগত করেছেন যে, উপত্যকার অমুক ঘাঁটিতে সেটি রয়েছে, এরপর হারেস (রা.)’কে তিনি সেই উট আনতে পাঠান। ৪০ হিজরীতে হযরত আলী (রা.)’র খিলাফতকালে ৬৭ বছর বয়সে মদীনায় তিনি মৃত্যু বরণ করেন।

পরবর্তী সাহাবী হলেন, হযরত খুনায়স বিন হুযাফা (রা.), হযরত আব্দুল্লাহ্ বিন হুযাফা তার ভাই ছিলেন। তিনি দ্বারে আরকাম যুগের পূর্বেই ইসলাম গ্রহণ করেন। আবিসিনিয়ায় দ্বিতীয় দফার হিজরতে অংশ নেন, মদীনায় প্রথমদিকের হিজরতকারীদের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। তিনি বদরের যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। বদরের যুদ্ধ থেকে ফিরে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং শেষ পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করেন। তিনি উম্মুল মু’মিনীন হযরত হাফসা বিনতে উমর (রা.)’র প্রথম স্বামী ছিলেন। হযরত খুনায়সের মৃত্যুর পর মহানবী (সা.) তার ইসলাম-সেবার প্রতিদানস্বরূপ এবং একইসাথে হযরত উমর (রা.)-এর অসাধারণ সেবার প্রতিদানস্বরূপ হযরত হাফসাকে বিবাহ করেন। মহানবী (সা.) স্বয়ং হযরত খুনায়সের জানাযা পড়ান এবং তিনি হযরত উসমান বিন মাযউনের পাশে জান্নাতুল বাকীতে সমাহিত হন। মহানবী (সা.)-এর সাথে হযরত হাফসা বিনতে উমর (রা.)’র বিয়ে সম্পর্কে সিরাত খাতামান নবীঈন গ্রন্থে বিস্তারিত বিবরণ রয়েছে।

পরবর্তী সাহাবী হযরত হারসা বিন নুমান (রা.), তার ডাক নাম ছিল আবু আব্দুল্লাহ্। তিনি আনসারী সাহাবী ছিলেন এবং খাযরাজ গোত্রের শাখা বনু নাজ্জারের লোক ছিলেন। তিনি বদর, উহুদ, খন্দকসহ সকল যুদ্ধেই অংশ নিয়েছিলেন। তিনি মহানবী (সা.)-এর বিশিষ্ট সাহাবীদের মধ্যে গণ্য হতেন। হযরত ইবনে আব্বাস বর্ণনা করেন, একবার মহানবী (সা.)-এর সাথে জীব্রাঈল (আ.) বসে ছিলেন এবং হুযূর (সা.) নিচুস্বরে তার সাথে কথা বলছিলেন। তখন হযরত হারসা তাদের পাশ দিয়ে যান, কিন্তু তিনি মহানবী (সা.)-কে সালাম দেন নি। জীব্রাঈল জানতে চান, হারসা কেন সালাম দেয় নি? মহানবী (সা.) হারসার কাছে কারণ জানতে চাইলে তিনি জবাব দেন, আমি আপনার কাছে একজনকে বসে থাকতে দেখেছি যার সাথে আপনি নিচুস্বরে কথা বলছিলেন; আমি চাইনি আমার সালামে আপনাদের আলাপচারিতায় কোন বিঘ্ন ঘটুক, তাই সালাম দিইনি। মহানবী (সা.) বলেন, তুমি তাকে দেখতে পেয়েছিলে? তিনি জীব্রাঈল ছিলেন। মহানবী (সা.) আরও বলেন, জীব্রাঈল তাঁকে জানিয়েছেন যে হারসা সেই আশিজনের একজন, যারা হুনায়নের যুদ্ধের দিন মহানবী (সা.)-এর সাথে অবিচল ছিলেন; আর জান্নাতে তাদের ও তাদের সন্তানদের রিয্ক আল্লাহ্ তা’লার দায়িত্বে রয়েছে। মহানবী (সা.) তার সাথে খুবই ভালো ব্যবহার করতেন। তিনি শেষ বয়সে দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলেছিলেন, কিন্তু তা সত্ত্বেও মহানবী (সা.)-এর নসীহত পালনার্থে সেই অবস্থা নিয়েই সবসময় দরিদ্রদের খাবার দিয়ে সাহায্য করতেন।

কথিত আছে, হযরত হারসার বসত বাড়ি মদীনায় মহানবী (সা.)-এর ঘরের নিকটেই ছিল এবং বিভিন্ন সময়ে তিনি নিজের ঘরগুলো মহানবী (সা.)-এর সেবায় উৎসর্গ করতেন। যখন হযরত আলী (রা.)’র সাথে হযরত ফাতেমার বিয়ে হয়, তখন প্রথমে হযরত আলী কিছুটা দূরে একটি ঘরের বন্দোবস্ত করেন। পরে মহানবী (সা.) হযরত ফাতেমাকে তাঁর কাছাকাছি এসে থাকার জন্য বলেন। হযরত ফাতেমা নিবেদন করেন, আপনি হারসা বিন নুমানকে বলুন তিনি যেন অন্যত্র স্থানান্তরিত হয়ে যান ও তার ঘরটি আমাদেরকে দিয়ে দেন। মহানবী (সা.) বলেন, হারসা আগেও কয়েকবার তার ঘর আমার প্রয়োজনে ছেড়ে দিয়েছে, তাকে আবারও স্থানান্তর হতে বলতে আমি লজ্জাবোধ করছি। হযরত হারসা যখন এটি জানতে পারেন, তখন তিনি সেই ঘর থেকে নিজেই স্থানান্তরিত হয়ে মহানবী (সা.)-এর কাছে যান ও নিবেদন করেন, ‘হে আল্লাহ্‌র রসূল! আমি জানতে পেরেছি আপনি ফাতেমাকে আপনার কাছাকাছি রাখতে চান। আমার এই ঘরটি বনু নাজ্জারের ঘরগুলোর মধ্যে আপনার ঘরের সবচেয়ে নিকটবর্তী। আমি ও আমার সকল সম্পদ আল্লাহ্ ও তাঁর রসূলেরই জন্য! হে আল্লাহ্‌র রসূল! আমার যে সম্পদই আপনার পছন্দ হবে তা আপনি নিয়ে নিন; সেটি নিঃসন্দেহে আমার সেই সম্পদের চেয়ে অনেক বেশি প্রিয় হবে, যা আপনি নেবেন না।’ মহানবী (সা.) তার এই আবেদন গ্রহণ করেন এবং তার জন্য বরকতের দোয়া করেন। তিনি আমীর মুয়াবিয়ার যুগে মৃত্যুবরণ করেন।

পরবর্তী সাহাবী হযরত বশীর বিন সা’দ (রা.), তার পিতার নাম সা’দ বিন সা’লাবা আর হযরত সিমাক বিন সা’দ তার ভাই ছিলেন। তার স্ত্রীর নাম আমরা বিনতে রওয়াহা। তিনি অজ্ঞতার যুগেও লিখতে জানতেন, যা খুব কম লোকই জানত। আকাবার দ্বিতীয় বয়আতের সময় ইসলাম গ্রহণ করেন। তিনি বদর, উহুদ, খন্দকসহ সকল যুদ্ধে মহানবী (সা.)-এর সাথে অংশ নিয়েছিলেন। মহানবী (সা.) ৭ম হিজরীর শাবান মাসে তার নেতৃত্বে ত্রিশজনের একটি প্রতিনিধি দলকে ফাদাক অভিমুখে যুদ্ধাভিযানে প্রেরণ করেন, সেখানে তাদের সাথে তীব্র যুদ্ধও হয়। হযরত বশীর পরম বীরত্বের সাথে লড়াই করেন, লড়াইয়ের সময় তার গোড়ালিতে তরবারির আঘাত লাগে এবং সবাই মনে করে, তিনি শহীদ হয়েছেন। সন্ধ্যা হলে শত্রুরা সেই স্থান ছেড়ে চলে যাবার পর তিনি সংজ্ঞা ফিরে পান এবং পরবর্তীতে মদীনায় ফিরে আসেন। সে বছরই শাওয়াল মাসে মহানবী (সা.) তাকে ৩০০ সাহাবীসহ গাৎফান গোত্রের উদ্দেশ্যে প্রেরণ করেন, তারা মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য জোটবদ্ধ হচ্ছিল। হযরত বশীর তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেন।

তার পুত্র হযরত নু’মান বিন বশীর বর্ণনা করেন, আমার পিতা আমাকে কিছু সম্পদ দান করেন এবং এ বিষয়টি মহানবী (সা.)-কে জানান। মহানবী (সা.) তাকে প্রশ্ন করেন, তুমি কি তোমার সব পুত্রকেই এমনটি দিয়েছ? তিনি (রা.) বলেন, না। তখন মহানবী (সা.) বলেন, তাহলে তাকে যা দিয়েছ তা ফেরত নিয়ে নাও। এই ঘটনাটি সহীহ্ বুখারী ও মুসলিম শরীফে বিভিন্নভাবে বর্ণিত হয়েছে। হযরত মুসলেহ্ মওউদ (রা.) এ বিষয়টিকে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছেন। হুযূর (রা.)-এর মতে, এই নির্দেশটি অধিক মূল্যবান ও গুরুত্বপূর্ণ জিনিসের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, ছোটখাটো জিনিস বা উপহারের ব্যাপারে নয়। এমন জিনিস যা কোন একজন সন্তানকে দান করলে অন্যদের সে ব্যাপারে আপত্তি সৃষ্টি হতে পারে বা তারা নিজেদেরকে বঞ্চিত ভাবতে পারে, তেমন বস্তু বা উপহারের ক্ষেত্রে মহানবী (সা.) এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন। উত্তরাধিকারীদের ভেতর সম্পত্তি বন্টন বা হেবা করার চমৎকার ইসলামী শিক্ষা সম্পর্কে হুযূর (আই.) এখানে বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করেন। সম্পত্তি বন্টন বা হেবা করার সময় সবাইকে এই নীতি দৃষ্টিগোচর রাখা চাই। হযরত আবু বকর (রা.)’র খিলাফতকালে দ্বাদশ হিজরীতে হযরত বশীর বিন সা’দ হযরত খালেদ বিন ওয়ালীদের যুগান্তকারী আইনুত্তামার’র যুদ্ধে অংশ নেন এবং শাহাদত বরণ করেন।

মহানবী (সা.)-এর যখন হুদাইবিয়ার সন্ধির পরের বছর যিলকদ মাসে উমরার জন্য মক্কার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন, তখন হযরত বশীরকে অস্ত্র-শস্ত্র রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব প্রদান করেছিলেন। কুরাইশদের সাথে চুক্তি অনুসারে মুসলমানরা মক্কায় কেবলমাত্র কোষবদ্ধ তরবারি নিয়ে যাবার কথা ছিল; কিন্তু যেহেতু এই আশংকা ছিল যে, কুরাইশরা তাদের চুক্তি না-ও মানতে পারে, তাই মহানবী (সা.) যুদ্ধের অস্ত্র-শস্ত্র নিয়েই যাত্রা করেন। পরবর্তীতে যখন দেখেন কুরাইশরা কোন বাধা দিচ্ছে না, তখন অস্ত্র-শস্ত্র সেখানেই রেখে অগ্রসর হন এবং হযরত বশীর বিন সা’দ ও আরও কয়েকজনকে তার পাহারায় রেখে যান। হযরত বশীর বিন সা’দ সেই প্রথম আনসার ছিলেন, যিনি সাকিফা বনু সায়েদায় হযরত আবু বকর (রা.)-এর হাতে বয়আত করেছিলেন। মহানবী (সা.)-এর মৃত্যুর পর খিলাফত নিয়ে মুহাজির ও আনসারদের মধ্যে বিতর্ক সৃষ্টি হয়, সাকিফা বনু সায়েদায় আনসাররা এই আলোচনায় রত ছিলেন যে, খলীফা আনসারদের মধ্য থেকে হওয়া উচিত। হযরত আবু বকর, উমর (রা.) প্রমুখ মুহাজিরগণ যখন এটি জানতে পারেন, তখন তারা সেখানে গিয়ে তাদের বুঝান এবং স্বয়ং একজন আনসারী সাহাবী অন্যদরকে মহানবী (সা.)-এর বাণী স্মরণ করান যে, খলীফা কুরাইশদের মধ্য থেকে হবেন বলে মহানবী বলে গেছেন। যাহোক, মহানবী (সা.)-এর বাণী স্মরণ পড়ামাত্রই আনসাররা খিলাফতের দাবী পরিত্যাগ করেন এবং সবাই হযরত আবু বকর (রা.)’র হাতে বয়আত করেন, হযরত বশীর তাদের মধ্যে প্রথম ছিলেন এবং তিনিও আনসারদেরকে খিলাফতের দাবী পরিত্যাগের উপদেশ প্রদান করেছিলেন।

তিনি (রা.) একবার মহানবী (সা.)-কে দরূদ কীভাবে পড়তে হবে তা প্রশ্ন করলে মহানবী (সা.)-কে তা ইলহাম করে জানানো হয় এবং তিনি (সা.) তা সাহাবীদের শিখিয়ে দেন। সেটি ছিল- আল্লাহুম্মা সাল্লে আলা মুহাম্মাদিন ওয়া আলা আলে মুহাম্মাদিন কামা সাল্লাইতা আলা আলে ইবরাহীমা ওয়া বারিক আলা মুহাম্মাদিন ওয়া আলা আলে মুহাম্মাদিন কামা বারাকতা আলা আলে ইবরাহীমা ফিল আলামীন, ইন্নাকা হামীদুম্ মাজীদ।

হুযূর (আই.) দরূদ পাঠ করে সাহাবীদের স্মৃতিচারণ শেষ করেন। এরপর বাংলাদেশের উল্লেখ করে দোয়ার আহ্বান করেন; সম্প্রতি বাংলাদেশের বার্ষিক জলসা যা আহমদনগরে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল, সেখানে নামসর্বস্ব উলামারা অনেক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে এবং আহমদীদের ঘরবাড়ি ও দোকানপাট ভাঙচুর করে, আগুনে পুড়িয়ে দেয় ও লুটপাট করে। তারা কয়েকজন আহমদীকে আহতও করেছে। হুযূর দোয়া করেন, আল্লাহ্ তা’লা অবস্থার উন্নতি করুন, আহত ও ক্ষতিগ্রস্তদের দ্রুত ও পরিপূর্ণ আরোগ্য দান করুন ও তাদের ক্ষয়-ক্ষতি পুষিয়ে দিন; পরবর্তীতে জলসার যেই তারিখই নির্ধারিত হোক, তারা যেন শান্তিপূর্ণ ভাবে তা সম্পন্ন করতে পারেন এজন্য হুযূর নিখিল বিশ্ব আহমদীয়া জামাতকে দোয়ার অনুরোধ করেন। (আমীন)

খুতবার শেষদিকে হুযূর পাকিস্তানের শ্রদ্ধেয়া সাদিকা বেগম সাহেবার গায়েবানা জানাযার ঘোষণা দেন, যিনি দক্ষিণ আমেরিকার দেশ সুরিনামের মুবাল্লিগ ইনচার্জ মোকাররম লায়িক আহমদ মুশতাক সাহেবের মা ও মোকাররম শেখ মুযাফফর আহমদ সাহেবের স্ত্রী ছিলেন; গত পহেলা ফেব্রুয়ারি ৭৪ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন, ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। হুযূর মরহুমার অসাধারণ গুণাবলী তুলে ধরে তার সংক্ষিপ্ত স্মৃতিচারণ করেন এবং তার পদমর্যাদার উন্নতির জন্য দোয়া করেন আর নামাযান্তে তার গায়েবানা জানাযা পড়ান।