শ্রেষ্ঠ মহাপুরুষ – নিষ্ঠাবান বদরী সাহাবীগণ

হযরত মির্যা মসরূর আহমদ - খলীফাতুল মসীহ্‌ আল্‌ খামেস (আই.)

০৮-ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

মসজিদ বাইতুল ফুতুহ্, লন্ডন, যুক্তরাজ্য

জুমুআর খুতবার সারমর্ম


এই জুমু’আর খুতবার সারাংশটিতে কোনো প্রকার ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকলে তার দায়ভার আহ্‌মদীয়া বাংলা টীম গ্রহণ করছে।

আহমদীয়া মুসলিম জামা’তের বিশ্ব-প্রধান ও পঞ্চম খলীফাতুল মসীহ্‌ হযরত মির্যা মসরূর আহমদ (আই.) গত ৮ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ লন্ডনের বায়তুল ফুতুহ মসজিদে প্রদত্ত জুমুআর খুতবায় পূর্বের ধারা অনুসরণে নিষ্ঠাবান বদরী সাহাবীদের বর্ণাঢ্য জীবনের স্মৃতিচারণ করেন। এ খুতবায় তিনি হযরত আবুু মুলায়েল বিন আল্ আযহার (রা.), হযরত আনাস বিন মাআয আনসারী (রা.), হযরত আবু শায়খ উবাই বিন সাবেত (রা.), হযরত আবু বুরদা বিন নিয়ার (রা.), হযরত আসাদ বিন ইয়াযিদ (রা.), হযরত তামীম বিন ইয়ার আনসারী (রা.), হযরত অওস বিন সাবেত বিন মুনযের (রা.), হযরত সাবেত বিন খানসা (রা.), হযরত অওস বিন সামেত (রা.), হযরত আরকাম বিন আবি আরকাম (রা.), হযরত বাসবাস বিন আমর (রা.), হযরত সা’লাবা বিন আমর (রা.), হযরত সা,লাবা বিন গানামা (রা.), হযরত জাবের বিন খালেদ (রা.), হযরত হারেস বিন নুমান বিন উমাইয়া (রা.), হযরত হারেস বিন আনাস আনসারী (রা.), হযরত হুরায়েস বিন যায়েদ আনসারী (রা.), হযরত হারেস বিন আস-সিম্মা (রা.)’র জীবনের স্মৃতিচারণ করেন।

হুযূর বলেন, আজ আমি যেসব সাহাবীর স্মৃতিচারণ করব, তাদের মধ্যে প্রথমে রয়েছেন হযরত আবু মুলায়েল বিন আল্ আযহার (রা.)। তার মায়ের নাম ছিল উম্মে আমর বিনতে আশরাফ। তিনি আনসারদের অওস গোত্রের সসদ্য ছিলেন আর তিনি বদর ও উহুদের যুদ্ধে অংশগ্রহণের সৌভাগ্য লাভ করেন।

দ্বিতীয় সাহাবী হলেন, হযরত আনাস বিন মাআয আনসারী (রা.), কোন কোন বর্ণনায় তার নাম উনায়েসও উল্লেখ করা হয়েছে। তিনি খাযরাজের শাখা বনু নাজ্জারের লোক ছিলেন। তিনি বদর, উহুদ, খন্দকসহ সকল যুদ্ধে মহানবী (সা.)-এর সহযোদ্ধা ছিলেন। তার মায়ের নাম ছিল উম্মে উনাস বিনতে খালিদ। উহুদের যুদ্ধে তার ভাই উবাই বিন মাআযও তার সাথে অংশ নেন। তার মৃত্যু নিয়ে মতভেদ রয়েছে; একটি বর্ণনামতে তিনি হযরত উসমান (রা.)-এর খিলাফতকালে মৃত্যুবরণ করেন, অন্য বর্ণনানুসারে তারা দু’ভাই বি’রে মউনার ঘটনায় শাহাদত বরণ করেন।

পরবর্তী সাহাবী হলেন, হযরত আবু শায়খ উবাই বিন সাবেত (রা.)। তিনি খাযরাজের শাখা বনু আদীর সদস্য ছিলেন। তার মা সুখতা বিন হারসা ছিলেন বিখ্যাত কবি হযরত হাসসান বিন সাবেত ও অওস বিন সাবেত এর বোন। তিনি বদর ও উহুদের যুদ্ধে অংশ নেন এবং বি’রে মউনার ঘটনায় শাহাদত বরণ করেন। কতক বর্ণনানুসারে তার মৃত্যু উহুদের যুদ্ধে হয়েছিল; যদিও অন্যান্য বর্ণনা প্রমাণ করে যে, উহুদের যুদ্ধে তিনি নন বরং তার ভাই শহীদ হয়েছিলেন।

আরেকজন সাহাবী হযরত আবু বুরদা বিন নিয়ার (রা.)। তিনি বারা বিন আযেবের মামা ছিলেন, আরেক বর্ণনানুসারে তার চাচা ছিলেন। আকাবার দ্বিতীয় বয়আতে অংশ নিয়েছিলেন; বদর, উহুদসহ সকল যুদ্ধে মহানবীর সাথে অংশ নিয়েছিলেন। মক্কা বিজয়ের দিন বনু হারেসার পতাকা তার হাতেই ছিল। হযরত আবু আব্স এবং হযরত আবু বুরদা যখন ইসলাম গ্রহণ করেন তখন তারা উভয়ে বনু হারেসা গোত্রের প্রতিমাগুলোকে ভাঙ্গার দায়িত্ব পালন করেন। হযরত আবু উমামা বর্ণনা করেন, বদরের যুদ্ধের সময় তার মা অসুস্থ ছিলেন, তা সত্ত্বেও তিনি যুদ্ধে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন। তখন তার মামা আবু বুরদা তাকে মায়ের সেবার জন্য থেকে যেতে বলেন। কিন্তু তিনি পাল্টা আবু বুরদাকে বলেন, আপনিও তো তার ভাই, আপনি বোনের সেবার জন্য থেকে যান! বস্তুত ইসলাম সেবার প্রেরণার কারণেই তিনি একথা বলেছিলেন। যাহোক, মহানবী (সা.) একথা জানতে পেরে আবু উমামাকে মায়ের সেবার জন্য থেকে যেতে বলেন। উহুদের যুদ্ধের দিন মুসলমান বাহিনীতে দু’জনের কাছে ঘোড়া ছিল; একটি ছিল মহানবী (সা.)-এর কাছে, যার নাম ছিল, ‘আস্ সাকফ’ আর অপরটি ছিল আবু বুরদার কাছে, যার নাম ছিল ‘মুলাফে’। তিনি হযরত আলীর পক্ষেও সকল যুদ্ধে লড়েছেন। আমীর মুয়াবিয়ার রাজত্বকালে তিনি মৃত্যু বরণ করেন। হযরত আবু বুরদার বরাতে একটি হাদীসে মহানবী বলেছেন, কুরবানীর ছাগলের বয়স কমপক্ষে দু’বছর হওয়া উচিত আর ঈদের নামাযের পর কুরবানীর পশু জবাই করা আবশ্যক।

পরবর্তী বদরী সাহাবী হলেন, হযরত আসাদ বিন ইয়াযিদ (রা.), তিনি খাযরাজের শাখা বনী যুরায়েকের লোক ছিলেন। তার পিতার নাম ছিল ইয়াযিদ বিন আলফাকে। তিনি বদর ও উহুদের যুদ্ধে মহানবী (সা.)-এর সহযোদ্ধা ছিলেন।

আরেকজন বদরী সাহাবী হযরত তামীম বিন ইয়ার আনসারী (রা.), তার পিতার নাম ছিল ইয়ার। তিনিও বদর ও উহুদের যুদ্ধে মহানবী (সা.)-এর সহযোদ্ধা ছিলেন। হযরত তামীমের সন্তানদের মধ্যে ছিল, ছেলে রেবি আর কন্যা জামিলা। তার মাতা বনু আমর গোত্রের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন।

পরবর্তী সাহাবী হযরত অওস বিন সাবেত বিন মুনযের (রা.), তিনি বিখ্যাত সাহাবী হযরত শাদ্দাদ বিন অওসের পিতা ছিলেন। তিনি বদর ও উহুদের যুদ্ধে যোদগান করেন এবং উহুদের যুদ্ধে শাহাদত বরণ করেন। তিনি প্রসিদ্ধ কবি হযরত হাসসান বিন সাবেত ও উবাই বিন সাবেতের ভাই ছিলেন। হযরত উসমান বিন আফফান (রা.) হিজরতের পর তার কাছেই ছিলেন এবং মহানবী (সা.) তাদের দু’জনের মাঝে ভ্রাতৃত্ব বন্ধন স্থাপন করেন।

পরবর্তী বদরী সাহাবী হযরত সাবেত বিন খানসা (রা.)। তিনি বনু গানাম বিন আদী বিন নাজ্জারের লোক ছিলেন; বদরের যুদ্ধে অংশগ্রহণের সৌভাগ্য লাভ করেছিলেন। তার সম্পর্কে এরচয়ে বেশি কোন তথ্য জানা যায় না।

আরেকজন বদরী সাহাবী হযরত অওস বিন সামেত (রা.), তিনি হযরত উবাদা বিন সামেতের সহোদর ছিলেন। বদর, উহুদসহ সকল যুদ্ধে মহানবী (সা.)-এর পাশে থেকে যুদ্ধ করেছেন। হযরত মারসাদ বিন আবি মারসাদ (রা.) তার ধর্মভাই ছিলেন। আরবের একটি পুরাতন বাজে প্রথা যিহার বা নিজ স্ত্রীকে ‘মা’ বলে সম্বোধন করা- এই প্রথা রদ বা বাতিল সংক্রান্ত কুরআনী শিক্ষা তাকে কেন্দ্র করেই নাযিল হয়েছিল, কারণ তিনি তার স্ত্রীর সাথে যিহার করেছিলেন। পবিত্র কুরআনের শিক্ষা হল, কেউ রাগের মাথায় বা অন্য কোন কারণে নিজের স্ত্রীকে ‘মা’ ডেকে ফেললেই সে তার মা হয়ে যায় না। তবে পবিত্র কুরআন এই কাজের জন্য শাস্তি স্বরূপ একজন কৃতদাস মুক্ত করার, না হয় দু’মাস রোযা রাখার আর সেটিও না পারলে ৬০জন মিসকিনকে আহার করানোর বিধান দিয়েছে (সূরা আল্ মুজাদেলা: ২-৬)। হযরত অওস বিন সামেত (রা.) একজন কবিও ছিলেন। তিনি বায়তুল মাকদাসে স্থায়ী নিবাস করেছিলেন, ফিলিস্তিনের রামাল্লাতে ৩৪ হিজরিতে ৭২ বছর বয়সে তিনি মৃত্যু বরণ করেন।

পরবর্তী সাহাবী হযরত আরকাম বিন আবি আরকাম (রা.), তার মায়ের নাম ছিল উমায়মা বিনতে হারেস। তিনি বনী মাখযুম গোত্রের লোক ছিলেন। তিনি একেবারে প্রথম দিকের মুসলমান ছিলেন; কোন কোন বর্ণনামতে তিনি সপ্তম মুসলিম ছিলেন, অন্য কিছু বর্ণনানুসারে তিনি দ্বাদশ ব্যক্তি ছিলেন। ইসলামের প্রথম তবলীগি কেন্দ্র দ্বারে আরকাম তারই বসত বাড়ি ছিল; এটি মক্কার বাইরে সাফা পাহাড়ের নিকটে ছিল। নবুওয়তের চতুর্থ বছর থেকে ষষ্ঠ বছর পর্যন্ত দ্বারে আরকামই মুসলমানদের তবলীগি বা প্রচার কেন্দ্র ছিল। দ্বারে আরকামে সবশেষে যিনি বয়আত করেছিলেন তিনি হলেন, হযরত উমর ফারুক (রা.)। হযরত উমর (রা.)’র বয়আত গ্রহণের পর থেকেই মুসলমানরা প্রকাশ্যে তবলীগ করার সুযোগ লাভ করেন। হযরত আরকাম বিন আবি আরকাম (রা.) বদর, উহুদসহ সকল যুদ্ধেই মহানবী (সা.)-এর সহযোদ্ধা ছিলেন। একটি বর্ণনানুসারে তিনিও মহানবী (সা.)-এর মত হিলফুল ফুযুলের সদস্য ছিলেন। তিনি ৫৩ হিজরিতে ৮৩ বছর বয়সে মৃত্যু বরণ করেন; তার ওসীয়্যত অনুসারে হযরত সা’দ বিন আবি ওয়াক্কাস (রা.) তার জানাযা পড়ান। তাকে উদ্দেশ্য করেই মহানবী (সা.) বলেছিলেন, “আমার এই মসজিদে অর্থাৎ মদীনার মসজিদে নববীতে এক বেলা নামায পড়া অন্য মসজিদে হাজার বেলার নামাযের চেয়ে উত্তম। একমাত্র কাবা শরীফ ব্যতীত।

আরেকজন বদরী সাহাবী হলেন, হযরত বাসবাস বিন আমর (রা.), তিনি আনসারদের গোত্র বনু সায়েদার লোক ছিলেন। তিনি বদর ও উহুদের যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। বদরের যুদ্ধের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে রওয়াহা নামক স্থানে গিয়ে মহানবী (সা.) শিবির স্থাপন করেন। এখান থেকেই তিনি (সা.) হযরত বাসবাস ও আদী বিন আবি যাগবা (রা.)-কে শত্রুদের গতিবিধি জানার জন্য বদর পানে প্রেরণ করেছিলেন।

পরবর্তী সাহাবী হযরত সা’লাবা বিন আমর (রা.), তিনি বনু নাজ্জারের লোক ছিলেন। তার মায়ের নাম কাবশা, যিনি বিখ্যাত কবি ও সাহাবী হাসসান বিন সাবেতের বোন ছিলেন। হযরত সা’লাবা বদরসহ সকল যুদ্ধেই মহানবী (সা.)-এর সহযোদ্ধা ছিলেন। হযরত উমর (রা.)-এর খিলাফতকালে পার্সীদের সাথে জিসরের যুদ্ধে তিনি শহীদ হন।

আরেকজন সাহাবী হলেন, হযরত সা’লাবা বিন গানামা (রা.)। তিনি আকাবার দ্বিতীয় বয়আতের সময় ইসলাম গ্রহণ করেন। ইসলাম গ্রহণের পর তিনি মুআয বিন জাবাল ও আব্দুল্লাহ্ বিন উনায়েসের সাথে মিলে নিজেদের গোত্র বনু সালামার মূর্তি ভেঙে ফেলেন। তিনি বদর, উহুদ ও খন্দকের যুদ্ধে অংশ নেন ও খন্দকের যুদ্ধে শাহাদত বরণ করেন।

পরবর্তী সাহাবী হযরত জাবের বিন খালেদ (রা.)। তিনি আনসারদের বনু দিনার গোত্রের লোক ছিলেন; তিনি বদর ও উহুদের যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন।

পরবর্তী সাহাবী হযরত হারেস বিন নুমান বিন উমাইয়া (রা.), তিনি আনসারের অওস গোত্রের লোক ছিলেন। তিনি বদর ও উহুদের যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। তিনি হযরত আব্দুল্লাহ্ বিন জুবায়ের ও খাব্বাত বিন জুবায়েরের চাচা ছিলেন। সিফফিনের যুদ্ধে তিনি হযরত আলী (রা.)’র পক্ষে যুদ্ধ করেছিলেন।

আরেকজন বদরী সাহাবী হযরত হারেস বিন আনাস আনসারী (রা.)। তার মা উম্মে শরীকও মুসলমান হয়েছিলেন। তিনি বদর ও উহুদের যুদ্ধে অংশ নেন এবং উহুদের যুদ্ধে শহীদ হন। তিনি সেই গুটিকতক সাহাবীর একজন ছিলেন যারা হযরত আব্দুল্লাহ্ বিন জুবায়েরের সাথে উহুদের যুদ্ধের দিন গিরিপথের পাহারায় অটল ছিলেন এবং সেখানেই শাহাদাত বরণ করেন।

আরেকজন বদরী সাহাবী হযরত হুরায়েস বিন যায়েদ আনসারী (রা.), তিনি খাযরাজের শাখা বনু যায়েদ বিন হারেসের লোক ছিলেন। তিনি তার ভাই হযরত আব্দুল্লাহ্‌র সাথে বদরের যুদ্ধে অংশ নেন, যিনি আযান সংক্রান্ত স্বপ্ন দেখেছিলেন।

সবশেষে হুযূর যে সাহাবীর স্মৃতিচারণ করেন তিনি হলেন, হযরত হারেস বিন আস-সিম্মা (রা.), তিনি বনু নাজ্জার গোত্রের লোক ছিলেন। তিনি বি’রে মউনার ঘটনায় শহীদ হন। তিনি বদরের যুদ্ধের জন্য যাত্রা করলেও রওয়াহা নামক স্থানে পৌঁছার পর অসুস্থতার কারণে মহানবী (সা.) তাকে মদীনায় ফেরত পাঠান; পরবর্তীতে তাকে মহানবী (সা.) মালে গণিমত থেকে অংশ দেন অর্থাৎ তাকে বদরের যোদ্ধাদের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করে নেন। তিনি উহুদের যুদ্ধের দিন অবিচলতার সাথে যুদ্ধ করেছেন। সেদিন তিনি হযরত আব্দুর রহমান বিন অউফকে শত্রু-পরিবেষ্টিত দেখে তার দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন, এমতাবস্থায় মহানবী (সা.)-কে শত্রু দ্বারা আক্রান্ত দেখে তাঁর (সা.) দিকে ছুটে যান। মহানবী (সা.) বলেছিলেন, ফিরিশতারা আব্দুর রহমানের পক্ষে যুদ্ধ করছেন। পরবর্তীতে দেখা যায়, আব্দুর রহমান বিন অউফের সামনে সাতজন কাফিরের লাশ পড়ে আছে। তাকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, এদের তিনজনকে তো আমি হত্যা করেছি, বাকীদের ব্যাপারে আমি কিছু জানি না। এতে মহানবী (সা.)-এর বাণী সত্য প্রমাণিত হয় যে, ফিরিশতারা তার পক্ষে যুদ্ধ করেছেন। হযরত হারেস বি’রে মউনার ঘটনায় শহীদ হন।

হুযূর বলেন, আল্লাহ্ তা’লা সকল বদরী সাহাবীর পদ মর্যাদা ক্রমাগত উন্নত থেকে উন্নততর করতে থাকুন। (আমীন)