শ্রেষ্ঠ মহাপুরুষ – নিষ্ঠাবান বদরী সাহাবীগণ

হযরত মির্যা মসরূর আহমদ - খলীফাতুল মসীহ্‌ আল্‌ খামেস (আই.)

১৮-জানুয়ারি, ২০১৯

মসজিদ বাইতুল ফুতুহ্, লন্ডন, যুক্তরাজ্য

জুমুআর খুতবার সারমর্ম


এই জুমু’আর খুতবার সারাংশটিতে কোনো প্রকার ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকলে তার দায়ভার আহ্‌মদীয়া বাংলা টীম গ্রহণ করছে।

আহমদীয়া মুসলিম জামা’তের বিশ্ব-প্রধান ও পঞ্চম খলীফাতুল মসীহ্‌ হযরত মির্যা মসরূর আহমদ (আই.) গত ১৮ই জানুয়ারী, ২০১৯ লন্ডনের বায়তুল ফুতুহ মসজিদে প্রদত্ত জুমুআর খুতবায় পূর্বের ধারা অনুসরণে নিষ্ঠাবান বদরী সাহাবীদের বর্ণাঢ্য জীবনের স্মৃতিচারণ করেন। এ খুতবায় তিনি হযরত আমের বিন ফুহায়রা (রা.)’র জীবনের স্মৃতিচারণ করেন।

হুযূর (আই.) বলেন, আজ আমি হযরত আমের বিন ফুহায়রা (রা.)-এর স্মৃতিচারণ করব, আর ইতিহাসের পাতায় তার সম্পর্কে অনেক বিস্তারিত বিবরণ পাওয়া যায়। ইসলামের ইতিহাসের বিভিন্ন উল্লেখযোগ্য ঘটনায় তিনি মূল্যবান ভূমিকা রাখার সৌভাগ্য লাভ করেছেন। হযরত আয়েশা (রা.)-এর মায়ের দিক থেকে আপন ভাই তুফায়ল বিন আব্দুল্লাহ্ বিন সাখবারার তিনি ক্রীতদাস ছিলেন। হযরত আমের (রা.) প্রাথমিক যুগের মুসলমান ছিলেন; মহানবী (সা.)-এর দ্বারে আরকামে যাওয়ার পূর্বেই তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন। ইসলাম গ্রহণের পূর্ব থেকেই তিনি হযরত আবু বকরের ছাগপাল চড়াতেন। ইসলাম ধর্ম গ্রহণের কারণে কাফিরদের হাতে তিনি চরম অত্যাচার-নির্যাতনের শিকার হন। তখন হযরত আবু বকর (রা.) কাফিরদের যুলুম ও বর্বরতা থেকে উদ্ধারের জন্য শুধুমাত্র খোদার খাতিরে যে সাতজন ক্রীতদাস ক্রয় করে মুক্ত করেছিলেন তাদের মধ্যে হযরত আমের বিন ফুহায়রা (রা.) এবং হযরত বেলাল (রা.) অন্যতম। মদিনায় হিজরতের সময় যখন মহানবী (সা.) ও হযরত আবু বকর (রা.) সওর গুহায় আশ্রয় নিয়েছিলেন, সে দিনগুলোতে তিনি হযরত আবু বকরের নির্দেশে সন্ধ্যার পর দুধেল ছাগল নিয়ে গুহার কাছে যেতেন যেন তাঁরা টাটকা দুধ পান করে তাঁদের ক্ষুৎ-পিপাসা নিবারণ করতে পারেন। হযরত আবু বকর (রা.)’র পুত্র আব্দুল্লাহ্ যখন তাঁদের কাছে যেতেন, তখন আমের বিন ফুহায়রা তার পেছন পেছন যেতেন যেন তার পায়ের চিহ্ন মুছে যায় এবং কাফিররা কিছু টের না পায়। যখন মহানবী (সা.) ও আবু বকর (রা.) সওর গুহা থেকে বের হয়ে মদিনার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন, তখন আমের বিন ফুহায়রাও তাঁদের সাথে যান। হিজরতের পর মহানবী (সা.) হযরত হারেস বিন অওস বিন মুআযের সাথে তার ভ্রাতৃত্ব বন্ধন স্থাপন করেন। তিনি বদর ও উহুদের যুদ্ধে অংশ নেন এবং বি’রে মউনার ঘটনায় শাহাদাত বরণ করেন, তখন তার বয়স ছিল ৪০ বছর।

এরপর সহীহ্ বুখারীতে হিজরতের ঘটনার যে দীর্ঘ বিবরণ রয়েছে হুযূর (আই.) তা সবিস্তারে তুলে ধরেন। হযরত আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেন যে, একদিন মধ্যাহ্নে অসময়ে মহানবী (সা.) তাদের বাড়িতে আসেন এবং জানান যে, তাঁকে আল্লাহ্ হিজরতের নির্দেশ দিয়েছেন। হযরত আবু বকর মহানবী (সা.)-এর হিজরতের সাথী হওয়ার আবেদন জানালে তিনি (সা.) তাকে অনুমতি দেন। হযরত আবু বকর (রা.) পরিবার দু’টি ক্ষীপ্র গতি সম্পন্ন উটের পিঠে তাদের যাত্রার যাবতীয় সাজ-সরঞ্জাম প্রস্তুত করে দেন। অতঃপর তাঁরা দু’জন মক্কা থেকে বের হয়ে সওর গুহায় তিনদিনের জন্য অবস্থান নেন। হযরত আব্দুল্লাহ্ বিন আবু বকর প্রতিরাতে তাদের দু’জনের কাছে গিয়ে থাকতেন এবং দিনের আলো ফোটার আগেই মক্কায় ফেরত চলে আসতেন যেন কাফিররা কিছু বুঝতে না পারে। সারাদিন মক্কায় অবস্থান করে কুরায়শরা মহানবী (সা.) ও আবু বকর (রা.)-কে আটক করার জন্য কী কী ফন্দি-ফিকির করছে তা জেনে নিয়ে রাতে গিয়ে তাঁদেরকে অবহিত করতেন। আমের বিন ফুহায়রা ছাগলের পাল থেকে দুধেল কোন ছাগল চরানোর ছলে তাঁদের গুহার কাছাকাছি চলে যেতেন আর অন্ধকার ঘনিয়ে এলে সেটি নিয়ে তাদের কাছে হাজির হতেন যেন তারা দু’জন তাজা দুধ পান করতে পারেন।

মক্কার কাফিররা মহানবী (সা.) ধরার জন্য একজন দক্ষ খোঁজী বা সন্ধানির সাহায্যে সওর গুহার মুখে পৌঁছে যায় এবং সেই সন্ধানী জানায়, হয় মোহাম্মদ এই গুহায় আছে না হয় আকাশে চলে গেছে। কিন্তু আল্লাহ্ তা’লা স্বয়ং যার নিরাপত্তার দায়িত্ব নিজের হাতে তুলে নিয়েছেন তাকে আর কে ধরতে পারে। কাফিরারা বলে, এই জায়গাটি বিষাক্ত সাপ ও বিচ্ছুদের আখড়া। এখানে কোনভাবেই মুহাম্মদ আসবে না। এমনকি তারা একটু নীচু হয়ে গুহার মধ্যে কি আছে তা দেখাও প্রয়োজন মনে করেনি। অপরদিকে হযরত আবু বকর (রা.) অস্থির হয়ে বার বার বাইরের দিকে তাকাতে থাকেন। তিনি বলেন, হে আল্লাহ্‌র রসূল! আমি আমার প্রাণের জন্য মোটেও চিন্তিত নই বরং আমি তো আপনার নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে অস্থির হয়ে পড়ছি। কেননা, আপনার কিছু হলে পৃথিবী থেকে আধ্যাত্মিকতা হারিয়ে যাবে আর খোদার নাম নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। তখন মহানবী (সা.) বলেন, ‘লা তাহযান ইন্নাল্লাহ্ মায়ানা’ হে আবু বকর ভয় পেও না, নিশ্চয় আল্লাহ্ আমাদের সাথে আছেন।

মহানবী (সা.) ও আবু বকর (রা.) একজন দক্ষ গাইড বা পথপ্রদর্শককে মদিনা পর্যন্ত পথ দেখানোর জন্য ভাড়া করেছিলেন; সে লোকটি অমুসলমান হলেও তাঁরা বিশ্বাস করে তাকে এই দায়িত্ব দিয়েছিলেন, তাঁদের দু’জনের সফরের উট বা বাহনও তার কাছেই রাখা ছিল। পূর্ব-পরিকল্পনামাফিক তিনদিন পর প্রত্যুষে সেই ব্যক্তি উট নিয়ে নির্ধারিত স্থানে হাজির হয়; মহানবী (সা.) ও আবু বকর (রা.) গাইড ও আমের বিন ফুহায়রাকে সাথে নিয়ে সমুদ্র-তীরের পথ বেয়ে মদিনার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। যাত্রাকালে মহানবী (সা.) মক্কার দিকে তাকিয়ে বলেন, ‘হে মক্কা! তুমি আমার কাছে সবচেয়ে প্রিয় কিন্তু এর বাসিন্দারা আমাকে এখানে থাকতে দিলো না।’

সুরাকা বিন মালেক বিন জুশেম বর্ণনা করেন, মক্কার কাফিররা মহানবী (সা.) ও আবু বকরকে জীবিত অথবা মৃত ধরার জন্য একশটি উট পুরস্কার ঘোষণা করে। তখন সে তার গোত্রের লোকদের সাথে একস্থানে বসে এ বিষয়ে শলাপরামর্শ করছিল যে, কীভাবে তাঁদের ধরা যায়; এমন সময় একজন লোক এসে তাদেরকে বলল, সে সমুদ্রের তীর দিয়ে কয়েকজনকে যেতে দেখেছে, খুব সম্ভব এরাই মুহাম্মদ (সা.) ও তাঁর সঙ্গী হবেন। সুরাকা তাদেরকে বিভ্রান্ত করার জন্য বলে, এরা তো অমুক অমুক, আমার সামনে দিয়েই তারা গিয়েছে। সুরাকা তখন পুরস্কারের লোভে একথা বলেছিল যাতে সে নিজে মহানবী (সা.)-কে ধরতে পারে আর অন্য কেউ যেন ধরে না ফেলে। এরপর সে সবার অগোচরে ঘোড়া ও অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে সেই পথে বেড়িয়ে পড়ে। যখন সে মহানবী (সা.)-এর কাফেলার খুব কাছে পৌঁছে যায়, তখন হঠাৎ করে তার ঘোড়া সজোরে হোঁচট খায় আর সে ঘোড়া থেকে হুমড়ি খেয়ে মাটিতে পড়ে যায়। এমন অশুভ লক্ষণ দেখে সে তার তূণ থেকে তির বের করে ফাল বা লটারি করে যে, সে মহানবী (সা.)-কে ধরতে সক্ষম হবে কি-না বা তা ঠিক হবে কি-না; লটারির ফলাফল নেতিবাচক আসে। তবুও সে সম্মুখে অগ্রসর হয়। এবার একেবারে খুব কাছে পৌঁছেও হঠাৎ তার ঘোড়া আবার হোঁচট খায় এবং ঘোড়ার পা গভীরভাবে বালুতে ডেবে যায়। সে অনেক কষ্টে ঘোড়ার পা টেনে বের করে এবং এসব অশুভ লক্ষণ দেখে সে নিজের কুমতলব পরিত্যাগ করে আর মহানবী (সা.)-কে পেছন থেকে ডাক দেয়। মহানবী (সা.) তার ডাকে সাড়া দিয়ে থামেন, সুরাকা তাঁদের কাছে গিয়ে সব বৃত্তান্ত খুলে বলে, এমনকি কুরাইশদের ষড়যন্ত্রের কথাও বলে দেয়। মহানবী (সা.) তাকে তাঁদের যাত্রাপথ সম্পর্কে কাউকে অবহিত করতে বারণ করেন। সুরাকা অনুধাবন করতে পারে যে, মহানবী (সা.) অবশ্যই একদিন বিজয়ী হবেন, তাই সেই সময়ের জন্য তাকে একটি নিরাপত্তার ফরমান লিখে দেওয়ার অনুরোধ করে। তখন মহানবী (সা.) আমের বিন ফুহায়রাকে তা লিখে দিতে বলেন এবং তিনি এক টুকরো চামড়ায় সেই নিরাপত্তার ফরমান লিখে দেন। সুরাকার ফিরে যাওয়ার সময় মহানবী (সা.) বলেন, ‘হে সুরাকা! সেদিন তোমার অবস্থা কেমন হবে যেদিন কিসরা অর্থাৎ ইরানের বাদশাহ্‌র কঙ্কণ তোমার হাতে পড়ানো হবে।’ হযরত ওমর (রা.)’র যুগে যখন ইরান জয় হয় তখন মালে গণীমত হিসেবে কিসরার কঙ্কণও লাভ হয় এবং মহানবীর ভবিষ্যদ্বাণীকে বাহ্যিকভাবে পূর্ণ করার জন্য হযরত ওমর (রা.)’র নির্দেশে সুরাকা সেই কঙ্কণ পরিধাণ করেন।

এরপর মহানবী (সা.)-এর সাথে পথিমধ্যে যুবায়ের (রা.)-এর সাক্ষাৎ হয়, যিনি সিরিয়া থেকে বাণিজ্য শেষে ফিরছিলেন। তিনি মহানবী (সা.) ও আবু বকর (রা.)-কে সাদা-শুভ্র পোষাক উপহার দেন। এদিকে মদিনাবাসীরা খবর পেয়েছিলেন যে, মহানবী (সা.) মক্কা ছেড়ে মদিনা অভিমুখে রওয়ানা হয়েছেন, তাই তারা প্রতিদিন সকাল থেকে হাররা নামক মাঠে গিয়ে অপেক্ষা করত যে, তিনি (সা.) কখন পৌঁছবেন। একদিন দুপুর বেলা এক ইহুদী কোন প্রয়োজনে একটি উঁচু স্থানে উঠলে দূর থেকে মহানবী (সা.)-এর কাফেলাকে আসতে দেখে সবাইকে উচ্চস্বরে ডেকে তা জানায়। মদিনার মুসলমানরা সবাই দ্রুত সেখানে ছুটে আসেন এবং হাররা ময়দানে মহানবী (সা.)-কে অভ্যর্থনা জানান। এ দিনটি ছিল রবিউল আউয়াল মাসের কোন এক সোমবার।

সেখানে হযরত আবু বকর (রা.) লোকজনের সাথে কথা বলছিলেন, আর মহানবী (সা.) চুপচাপ একস্থানে বসে ছিলেন। মদিনার লোকজন মহানবীকে চিনত না বিধায় তারা আবু বকরকেই মহানবী ভেবে সালাম করছিল এবং কুশল বিনিময় করছিল; তখন আবু বকর (রা.) নিজের চাদর দিয়ে মহানবী (সা.)-এর ওপর ছায়া করে দাঁড়ান, তখন সবাই মহানবী (সা.)-কে চিনতে পারেন। এই স্থানে মহানবী (সা.) আট-দশদিন অবস্থান করেন ও একটি মসজিদের ভিত্তিও রাখেন, যার উল্লেখ পবিত্র কুরআনেও রয়েছে।

মদিনায় হিজরত করে আসার পর আমের হযরত বিন ফুহায়রা, হযরত আবু বকর, হযরত বেলাল (রা.) সহ কয়েকজন সাহাবী অসুস্থ হয়ে পড়েন। তারা সবাই নিজ দেশ মক্কা ছেড়ে আসায় বেদনায় বিমূঢ় ছিলেন। মহানবী (সা.) যখন তাদের অবস্থা সম্পর্কে জানতে পারেন তখন দোয়া করেন, ‘আল্লাহ্ যেন মদিনাকে ঠিক সেভাবেই তাদের কাছে প্রিয় করে দেন, যেভাবে মক্কা তাদের প্রিয় ছিল, আর মদিনাকে সর্বপ্রকার কল্যাণ ও বরকত দান করেন এবং মদিনার অসুখ-বিসুখ বহু দূরে সরিয়ে দেন।’

হযরত আমের বিন ফুহায়রা (রা.) বি’রে মউনার ঘটনায় শাহাদত বরণ করেন। তাকে কে শহীদ করেছিল তা নিয়েও ইতিহাসে দ্বিমত রয়েছে। কারও কারও মতে আমের বিন তুফায়ল তাকে হত্যা করে, কতিপয় অন্যান্য বর্ণনা থেকে জানা যায় জব্বার বিন সালমি তাকে হত্যা করেছিল। হযরত আমের বিন ফুহায়রার শাহাদতের ঘটনাও একজন কাফিরের ইসলাম গ্রহণের কারণ হয়েছিল। বি’রে মউনার ঘটনায় সবশেষে তাকেই শহীদ করা হয়েছিল, আর যখন সব কাফির মিলে তাকে শক্ত করে ধরে আর একজন তার বুকে বর্শা গেঁথে দেয় তখন তিনি এই কথা বলে উঠেন- ‘ফুযতু বিরাব্বিল কা’বা, ‘কা’বার প্রভুর শপথ, আমি সফল হয়ে গিয়েছি’। সেই ব্যক্তি এটি দেখে আশ্চর্য হয়ে তার সাথীদের জিজ্ঞাসা করে, এই ব্যক্তি নিজ পরিবার-পরিজন থেকে এত দূরে এমন দুর্দশার মধ্যে মারা যাচ্ছে, অথচ সে এ কথা বলছে- এর কারণ কী? তখন তাকে বলা হয়, মুসলমানরা এমনই আজব লোক, তারা মনে করে এভাবে মৃত্যুতেও তারা খোদার সন্তুষ্টি লাভ করে। একথা শুনে সেই ব্যক্তি ইসলাম সম্পর্কে জানতে মদিনায় আসে এবং অবশেষে মুসলমান হয়ে যায়। আমের বিন তুফায়লও মুসলমান হয়ে গিয়েছিল বলে জানা যায়। এ ঘটনাটি বর্ণনা করে হযরত মুসলেহ্ মওউদ (রা.) বলেন, ‘ইসলাম নিজ সৌন্দর্যের কল্যাণে প্রসার লাভ করে তরবারির জোরে নয়।’

হুযূর (আই.) বলেন, আমের বিন ফুহায়রা (রা.) অত্যন্ত সৌভাগ্যবান ছিলেন; তিনি হযরত আবু বকর (রা.)’র সেবারও সুযোগ পেয়েছিলেন, স্বয়ং মহানবী (সা.)-এর সেবা করারও সৌভাগ্য লাভ করেছেন, তাঁর সাথে হিজরত করারও সুযোগ পেয়েছেন, সুরাকাকে নিরাপত্তানামাও লিখে দেয়ার দায়িত্ব পালন করেছিলেন, তার দোয়ার কল্যাণে বহু দূরে থেকেও মহানবী (সা.) দিব্যদর্শনে তার শাহাদতের সংবাদ পেয়ে গিয়েছিলেন। তিনি বিশ্বস্ততার বিমূর্ত প্রতীক ছিলেন, যিনি প্রত্যেক ক্ষেত্রে নিষ্ঠা ও বিশ্বস্ততা প্রদর্শন করেছিলেন। হুযূর দোয়া করেন, আল্লাহ্ ত’লা তার মর্যাদা উচ্চ থেকে উচ্চতর করুন, (আমীন)।