শ্রেষ্ঠ মহাপুরুষ – নিষ্ঠাবান বদরী সাহাবীগণ

হযরত মির্যা মসরূর আহমদ - খলীফাতুল মসীহ্‌ আল্‌ খামেস (আই.)

২৮-ডিসেম্বর, ২০১৮

মসজিদ বাইতুল ফুতুহ্, লন্ডন, যুক্তরাজ্য

জুমুআর খুতবার সারমর্ম


এই জুমু’আর খুতবার সারাংশটিতে কোনো প্রকার ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকলে তার দায়ভার আহ্‌মদীয়া বাংলা টীম গ্রহণ করছে।

আহমদীয়া মুসলিম জামা’তের বিশ্ব-প্রধান ও পঞ্চম খলীফাতুল মসীহ্‌ হযরত মির্যা মসরূর আহমদ (আই.) গত ২৮শে ডিসেম্বর, ২০১৮ টিলফোর্ডস্থ ইসলামাবাদের মসজিদে মুবারকে প্রদত্ত জুমুআর খুতবায় পূর্বের ধারা অনুসরণে নিষ্ঠাবান বদরী সাহাবীদের বর্ণাঢ্য জীবনের স্মৃতিচারণ করেন। এ খুতবায় তিনি হযরত আব্দুল্লাহ্ বিন আর্ রবী আনসারী (রা.), হযরত আতিয়া বিন নুয়াইরা (রা.), হযরত সাহল বিন কায়েস (রা.), হযরত আব্দুল্লাহ্ বিন হুমাইইয়ার আল্ আশজায়ী (রা.), হযরত উবায়ের বিন অওস আনসারী (রা.), হযরত আব্দুল্লাহ্ বিন জুবায়ের (রা.)’র জীবনের স্মৃতিচারণ করেন।

হুযূর (আই.)বলেন, আজ যেসব বদরী সাহাবীর স্মৃতিচারণ করব তাদের মধ্যে প্রথমে রয়েছেন, হযরত আব্দুল্লাহ্ বিন আর্‌ রবী আনসারী (রা.)। তিনি খাযরাজ গোত্রভুক্ত ছিলেন। আকাবার দ্বিতীয় বয়আতের সময় তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন। তিনি বদর, উহুদ ও মূতার যুদ্ধে অংশগ্রহণের সৌভাগ্য লাভ করেন; এবং মূতার যুদ্ধে শাহাদাত বরণ করেন।

পরবর্তী সাহাবী হলেন, হযরত আতিয়া বিন নুয়াইরা (রা.), তিনিও বদরের যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। তার ব্যাপারে বিশদ কোন বিবরণ পাওয়া যায় না।

এর পরের সাহাবীর নাম হযরত সাহল বিন কায়েস (রা.)। তার মায়ের নাম ছিল নায়লা বিনতে সালামা, তিনি বিখ্যাত কবি হযরত কা’ব বিন মালেকের চাচাতো ভাই ছিলেন। তিনি বদর ও উহুদের যুদ্ধে অংশ নেন এবং উহুদের যুদ্ধে শাহাদাত বরণের সৌভাগ্য লাভ করেন।

মহানবী (সা.) প্রত্যেক বছর উহুদের যুদ্ধে শাহাদতবরণকারীদের কবর যিয়ারত করতে যেতেন। যখন তিনি সেই উপত্যকায় প্রবেশ করতেন তখন এই দোয়া পড়তেন, “আসসালামু আলাইকুম বিমা সাবারতুম ফানি’মা উকবাদ্ দ্বার”, অর্থাৎ ‘তোমরা যে ধৈর্য ধরেছ তার জন্য তোমাদের ওপর শান্তি বর্ষিত হোক, আর পরিণাম হিসেবে পরকালের নিবাস কতই না উত্তম!’ মহানবী (সা.)-এর তিরোধানের পর হযরত আবু বকর (রা.), উমর (রা.) ও উসমান (রা.)-ও এই রীতি অনুসরণ করেন। এমনকি আমীর মুয়াবিয়াও যখন হজ্জ্ব বা উমরাহ করতে যেতেন তখন উহুদের যুদ্ধে শাহাদতবরণকারীদের কবর যিয়ারত করতেন বলে জানা যায়।

মহানবী (সা.) বলতেন, “হায়! আমিও যদি তাদের সাথে শাহাদাত বরণ করতে পারতাম!” একবার মহানবী (সা.) হযরত মুসাব বিন উমায়েরের কবরের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন, যাওয়ার সময় তার কবরের পাশে দাঁড়িয়ে দোয়া করেন এবং এই আয়াত পাঠ করেন- ‘মিনাল মুমিনীনা রিজালুন সাদাকূ মা আহাদুল্লাহা আলাইহি, ফামিনহুম মান কাযা নাহবাহু ওয়া মিনহুম মাইঁয়ানতাযির, ওয়ামা বাদ্দালূ তাবদিলা’ (সূরা আল্ আহযাব: ২৪)। এর অর্থ হল, অবশ্য মু’মিনদের মধ্যে কতক পুরুষ এমন আছে যারা সেই অঙ্গীকার পূর্ণ করেছে যা তারা আল্লাহ্‌র সাথে করেছিল। তাদের মধ্যে কতক এমন আছে যারা (শাহাদত বরণ করে) নিজেদের সংকল্প পূর্ণ করেছে, আর তাদের মধ্যে কতক এমনও আছে যারা অপেক্ষা করছে বস্তুত তারা নিজেদের সংকল্পে তিল পরিমাণও পরিবর্তন করে নাই। এরপর তিনি (সা.) বলেন, ‘আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, সে কিয়ামতের দিন আল্লাহ্‌র নিকট শহীদ বলে গণ্য হবে; তোমরা তার সমাধি ক্ষেত্রে আসো, তা যিয়ারত কর এবং তার প্রতি শান্তি কামনা কর। সেই সত্ত্বার কসম যাঁর হাতে আমার প্রাণ, কিয়ামত দিবস পর্যন্ত যে তার প্রতি সালাম প্রেরণ করবে, সে এর উত্তর দিবে।’ সাহাবীরা (রা.) সেই কবর যিয়ারত করতে যেতেন এবং তার প্রতি সালাম প্রেরণ করতেন ও দোয়া করতেন। হযরত সাহল বিন কায়েস (রা.)’র দুই বোন হযরত সুখতাহ্ ও হযরত উমরাহ্ (রা.)-ও মহানবী (সা.)-এর হাতে বয়আত করেছিলেন।

পরবর্তী সাহাবী হলেন, হযরত আব্দুল্লাহ্ বিন হুমাইইয়ার আল্ আশজায়ী (রা.)। তিনি তার ভাই হযরত খারজার সাথে বদরের যুদ্ধে অংশ নেন, তিনি উহুদের যুদ্ধেও অংশ নিয়েছিলেন। তার স্ত্রীর নাম হযরত উম্মে সাবেত বিন হারসা (রা.)। তিনি সেই অল্প কয়েকজন সাহাবীর একজন ছিলেন যারা উহুদের যুদ্ধে হযরত আব্দুল্লাহ্ বিন জুবায়ের (রা.)-এর সাথে গিরিপথের পাহারায় অবিচল ছিলেন। যখন তাদের সাথের অন্য সাহাবীরা মুসলমানদের বিজয়ের দৃশ্য দেখে গিরিপথ ছেড়ে তাদের সাথে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন, তখন হযরত আব্দুল্লাহ্ বিন হুমাইইয়ার (রা.) তাদেরকে আল্লাহ্ ও তাঁর রসূলের (সা.) আনুগত্য করার উপদেশ প্রদান করেন। কিন্তু তারা সেটি মানেন নি। ফলে গিরিপথের পাহারায় তারা হাতে গোনা কয়েকজন থেকে যান। খালিদ বিন ওয়ালিদ ও ইকরামা বিন আবু জাহল গিরিপথ অরক্ষিত দেখে সেখান দিয়ে পুনরায় আক্রমণ করে এবং এই আনুগত্যকারী সাহাবীরা তাদের প্রতিরোধ করতে গিয়ে নিমিষেই পরাস্ত হন এবং শাহাদতের অমীয় সূধা পান করেন। অথচ মহানবী (সা.) আব্দুল্লাহ্ বিন জুবায়ের (রা.)-এর নেতৃত্বে পঞ্চাশজন সুদক্ষ তিরন্দাজ সাহাবীর এই দলটিকে বারংবার কড়া নির্দেশ দিয়ে গিয়েছিলেন যে, যতক্ষণ মহানবী (সা.) স্বয়ং তাদের ডেকে না পাঠাবেন ততক্ষণ পর্যন্ত তারা যেন কোন অবস্থাতেই গিরিপথ পরিত্যাগ না করেন। এমনকি যদি তারা এ-ও দেখে যে, মুসলমানরা বিজিত হয়েছে এবং শত্রুরা পালিয়ে যাচ্ছে, কিংবা মুসলমানরা পরাজিত হয়েছে এবং পাখি তাদের লাশ ঠুকরে ঠুকরে খাচ্ছে- তবুও! কিন্তু মহানবী (সা.)-এর এমন জোরালো নির্দেশ- হযরত আব্দুল্লাহ্ বিন জুবায়ের (রা.) তাদেরকে স্মরণ করানোর পরও তারা বলেন, রসূলুল্লাহ্ (সা.) আসলে বিজয় নিশ্চিত হওয়ার জন্য এটা বলেছিলেন, এখন তো সম্পূর্ণ বিজয় হয়ে গিয়েছে। আর এভাবে আব্দুল্লাহ্ বিন জুবায়েরে (রা.)-এর সাথে কেবলমাত্র পাঁচ-ছয়জন সাহাবী গিরিপথের পাহারায় অবিচল থাকেন। আর সেখান দিয়েই খালিদ বিন ওয়ালিদ আক্রমণ করে মুসলমানদের বিজয়কে সাময়িক পরাজয়ে রূপান্তরিত করেন এবং মুসলমানরা চরম ক্ষয়-ক্ষতির শিকার হয়।

পরবর্তী সাহাবী হলেন, হযরত উবায়েদ বিন অওস আনসারী (রা.), তার পিতার নাম অওস বিন মালেক। তিনি বদরের যুদ্ধে অংশ নেন এবং আকীল বিন আবু তালিব (রা.)-কে বন্দী করেন। এটাও বর্ণিত হয়েছে যে, তিনি হযরত আব্বাস আর নওফেলকেও বন্দী করেন। যখন তিনি তিনজনকেই বন্দী করে বেঁধে তাদেরকে মহানবী (সা.)-এর কাছে নিয়ে আসেন, তখন তিনি (সা.) বলেন, নিশ্চয়ই এই কাজে এক মহান ফিরিশ্তা তোমাকে সাহায্য করেছেন।

পরবর্তী সাহাবী হযরত আব্দুল্লাহ্ বিন জুবায়ের (রা.)। তিনি সেই সত্তরজন আনসারের একজন ছিলেন যারা বয়আতে উকবা এবং সানীয়ায় যোগদান করেন। তিনি বদর ও উহুদের যুদ্ধে অংশ নেন এবং উহুদের যুদ্ধে শাহাদাত বরণ করেন। বদরের যুদ্ধে তিনি সাহেবযাদী হযরত যয়নাব (রা.)-এর স্বামী আবুল আস’কে বন্দী করেন, যিনি বদরের যুদ্ধে মুশরিকদের পক্ষে যুদ্ধ করেছিলেন। হযরত আব্দুল্লাহ্ বিন জুবায়ের (রা.)-কে মহানবী (সা.) উহুদের যুদ্ধে গিরিপথের পাহারার নেতৃত্ব প্রদান করেছিলেন এবং তিনি সেই দায়িত্ব পালনও করেছিলেন। যদিও তার অধীনস্ত অধিকাংশ সাহাবীই তার নির্দেশ মান্য করেন নি, যার ফলে মুসলমানদের ভয়াবহ ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছিল। এরপর হুযূর (আই.) হযরত আব্দুল্লাহ্ বিন জুবায়ের (রা.)-এর শাহাদতের বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরেন যে, কতটা নির্দয় ও নৃশংসভাবে তাকে শহীদ করা হয়েছিল।

হযরত মুসলেহ্ মওউদ (রা.) সূরা নূরের ৬৪নং আয়াতের ব্যাখ্যা করতে গিয়ে এই ঘটনাটির উল্লেখ করেছেন। উক্ত আয়াতে আল্লাহ্ তা’লা বলেন, ‘যারা এই রসূলের নির্দেশের বিরুদ্ধাচরণ করে, তাদের এ কারণে ভীত হওয়া উচিত, পাছে আল্লাহ্‌র পক্ষ থেকে তাদের ওপর কোন বিপদ না নেমে আসে বা তারা কোন যন্ত্রণাদায়ক শাস্তির লক্ষ্যে না পরিণত হয়।’ হযরত মুসলেহ্ মওউদ (রা.) বলেন, “দেখ, উহুদের যুদ্ধে মহানবী (সা.)-এর নির্দেশ অমান্য করার ফলে মুসলিম-বাহিনী কত বড় ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছিল!” তিনি আরো বলেন, “ইসলামী বাহিনীর বিজয় লাভের পরও তা সাময়িক পরাজয়ে পরিণত হওয়ার ও ভয়াবহ ক্ষতি হওয়ার কারণ ছিল- তাদের মধ্যে কতিপয় ব্যক্তি মহানবী (সা.)-এর একটি নির্দেশ অমান্য করে বসে এবং মহানবী (সা.)-এর দিকনির্দেশা অনুসরণের পরিবর্তে নিজেরা সেটির ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ করতে শুরু করে দিয়েছিল। যদি তারা এমনটি না করে বিনা বাক্যব্যয়ে মহানবী (সা.)-এর নির্দেশ পালন করতো, তাহলে শত্রুরাও পাল্টা আক্রমণের সুযোগ পেত না, আর মহানবী (সা.) এবং সাহাবীদেরকেও এত বড় বিপদ ও ক্ষতির সম্মুখীন হতে হতো না। এ আয়াতে আল্লাহ্ তা’লা এদিকেই মুসলমানদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন যে, যারা রসূলুল্লাহ্ (সা.)-এর নির্দেশাবলীর পূর্ণ আনুগত্য করে না, বরং নিজেদের ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণকে তাঁর নির্দেশের ওপর প্রাধান্য দেয়, তাদের ভয় করা উচিত, এর ফলে তারা কোন বিপদে বা শাস্তিতে না নিপতিত হয়। মোটকথা, যদি তোমরা সফলতা অর্জন করতে চাও, তবে এক নেতার ইশারায় উঠবে ও বসবে। যতদিন মুসলমানদের মাঝে এই স্পৃহা অটুট থাকবে, ততদিন ইসলাম জীবিত থাকবে। আর যখন তারা এই নীতি বিসর্জন দিবে, তখন ইসলামের মহিমা অটুট থাকলেও আল্লাহ্ তাদেরকে মহানবী (সা.)-এর নির্দেশ অমান্য করার কারণে ধ্বংস করে দিবেন”।

হুযূর (আই.) বলেন, বর্তমান যুগের অধিকাংশ মুসলমানের অবস্থা আজ এমনটিই হয়েছে। তারা মসীহ্ মওউদ (আ.)-কে মান্য করার বিষয়ে মহানবী (সা.)-এর তাকিদপূর্ণ নির্দেশ পালনের পরিবর্তে নিজেরা মনগড়া ব্যাখ্যা করে। এতে আহমদীদের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা রয়েছে- মসীহ্ মওউদ (আ.)-কে মানার পর তাঁর পরিপূর্ণ আনুগত্য করার মাঝেই তাদের সাফল্য ও বিজয় নিহিত রয়েছে। তাই প্রত্যেকের আত্মবিশ্লেষণ করে দেখা উচিত যে, তার আনুগত্যের মান কোথায় রয়েছে।

হুযূর (আই.) দোয়া করে বলেন, আল্লাহ্ তা’লা যেভাবে হযরত আব্দুল্লাহ্ বিন জুবায়ের (রা.) ও তার সাথে থাকা সাহাবীদের বিশ্বস্ত ও নির্দেশের গুরুত্ব অনুধাবনকারী বানিয়েছিলেন, আমাদেরকেও সেরকম নির্দেশের গুরুত্ব অনুধাবনকারী ও পরিপূর্ণ আনুগত্যকারী হবার তৌফিক দান করুন, যেন এর ফলে আমরা সর্বদা আল্লাহ্‌র কৃপারাজির উত্তরাধিকারী হতে পারি, আমীন।

খুতবার শেষ দিকে হুযূর (আই.) কানাডা নিবাসী মোকাররম নাদের আল্ হুসনী সাহেবের স্মৃতিচারণ করেন, যিনি গত ২০ ডিসেম্বর ৮৫ বছর বয়সে বার্ধক্যজনিত কারণে ইন্তেকাল করেন, ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। মরহুম খুবই ধার্মিক, নিষ্ঠাবান ও সজ্জন ব্যক্তি ছিলেন। আর্থিক কুরবানীর ক্ষেত্রে অনুসরণীয় দৃষ্টান্ত ছিলেন। তিনি সিরিয়ার আব্দুর রউফ হুসনী সাহেবের পুত্র ছিলেন, যিনি ১৯৩৮ সনে তার ভাই মুনীর আল্ হুসনী সাহেবের পর বয়আত করার সৌভাগ্য লাভ করেছিলেন। হযরত মুসলেহ্ মওউদ (রা.) যখন সিরিয়া সফরে গিয়েছিলেন, তখন একদিন তার বাড়িতে নিমন্ত্রণ গ্রহণ করেছিলেন। হুযূর (আই.) মরহুমের অসাধারণ গুণাবলীর সংক্ষিপ্ত বিবরণ তুলে ধরেন। তিনি প্রতি শুক্রবার চারঘন্টা ড্রাইভ করে নিয়মিত বাইতুল ইসলাম মসজিদে জুমুআর নামায পড়তে আসতেন এবং আযান দিতেন। এছাড়া তিনি জামাতের অনেক মূল্যবান সেবারও সৌভাগ্য লাভ করেছেন। মরহুমের স্ত্রী ও এক পুত্র সন্তান রয়েছে, যারা আহমদী নন। হুযূর (আই.) মরহুমের আত্মার শান্তি ও মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করেন। আল্লাহ্ তা’লা মরহুমের স্ত্রী-সন্তানকে আহমদীয়াত গ্রহণের তৌফিক দান করুন, আর তিনি তাদের জন্য যেসব দোয়া করেছেন তা তাদের অনুকূলে কবুল করুন, আমীন।