শ্রেষ্ঠ মহাপুরুষ – নিষ্ঠাবান বদরী সাহাবীগণ

হযরত মির্যা মসরূর আহমদ - খলীফাতুল মসীহ্‌ আল্‌ খামেস (আই.)

১৪-ডিসেম্বর, ২০১৮

মসজিদ বাইতুল ফুতুহ্, লন্ডন, যুক্তরাজ্য

জুমুআর খুতবার সারমর্ম


এই জুমু’আর খুতবার সারাংশটিতে কোনো প্রকার ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকলে তার দায়ভার আহ্‌মদীয়া বাংলা টীম গ্রহণ করছে।

আহমদীয়া মুসলিম জামা’তের বিশ্ব-প্রধান ও পঞ্চম খলীফাতুল মসীহ্‌ হযরত মির্যা মসরূর আহমদ (আই.) গত ১৪ই ডিসেম্বর, ২০১৮ইং লন্ডনের বায়তুল ফুতুহ মসজিদে প্রদত্ত জুমুআর খুতবায় পূর্বের ধারা অনুসরণে নিষ্ঠাবান বদরী সাহাবীদের বর্ণাঢ্য জীবনের স্মৃতিচারণ করেন। এ খুতবায় হযরত মিসতাহ্ বিন উসাসাহ্ (রা.)’র জীবনের স্মৃতিচারণ করেন।

হুযূর (আই.) বলেন, আজ হযরত মিসতাহ্ বিন উসাসাহ্ (রা.)-এর স্মৃতিচারণ করব। এই সাহাবীর নাম ছিল অওফ এবং উপাধি ছিল মিসতাহ্। তার মায়ের নাম হযরত উম্মে মিসতাহ্ সালমা বিনতে সাখর (রা.)। হযরত মিসতাহ্ (রা.), হযরত উবায়দা বিন হারেস (রা.) ও তার দু’ভাই তোফায়েল ও হুসাইন বিন হারেসের সাথে মদিনায় হিজরত করেন। হিজরতের সময় তারা ‘নাজে’ উপত্যকায় মিলিত হবার পরিকল্পনা করেছিলেন, কিন্তু সাপে দংশন করেছিল বলে হযরত মিসতাহ্ (রা.) যথাসময় সেখানে পৌঁছাতে পারেন নি। পরের দিন অন্যরা এ ঘটনা জানতে পারে এবং ফিরে এসে হযরত মিসতাহ্ (রা.)-কে সাথে নিয়ে তারা মদীনায় পৌঁছান এবং তারা সবাই হযরত আব্দুর রহমান বিন সালমার বাড়ীতে আশ্রয় গ্রহণ করেন।

হযরত মিসতাহ্ (রা.) বদরসহ সকল যুদ্ধে মহানবী (সা.)-এর সহযোদ্ধা ছিলেন। হিজরতের অষ্টম মাসে মহানবী (সা.) হযরত উবায়দা বিন হারেসের (রা.) নেতৃত্বে যে অভিযাত্রী দল কুরাইশদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণের জন্য পাঠিয়েছিলেন, সেটির পতাকাবাহক ছিলেন হযরত মিসতাহ্ (রা.)।

হুযূর (আই.) বলেন, এই অভিযানের বিষয়ে পূর্বেও একটি খুতবায় উল্লেখ করা হয়েছে। হযরত মিসতাহ্ (রা.) ৩৪ হিজরীতে ৫৬ বছর বয়সে হযরত উসমান (রা.)-এর খিলাফতকালে মৃত্যুবরণ করেন; মতান্তরে তিনি হযরত আলী (রা.)-এর সাথে সিফফিনের যুদ্ধে অংশ নেন এবং সে বছরই অর্থাৎ ৩৭ হিজরীতে মৃত্যুবরণ করেন।

হুযূর (আই.) বলেন, হযরত আয়েশা সিদ্দিকা (রা.)-এর বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ আরোপের ঘটনায় হযরত মিসতাহ্ (রা.)-ও ভুলবশত অংশ নেন। হযরত মিসতাহ্ (রা.)’র ভরণ-পোষণের খরচ যোগাতেন হযরত আবু বকর (রা.)। এ রটনায় মিসতাহ্ (রা.)’র অংশ গ্রহণের পর হযরত আবু বকর (রা.) প্রতিজ্ঞা করেন যে, তিনি মিসতাহ্ (রা.)-কে ভরণ-পোষণের জন্য আর কোন খরচ দেবেন না। তখন আল্লাহ্ তা’লা এ বিষয়ে সূরা নূরের ২৩ নং আয়াতটি ইলহাম করে বলেন, “আর তোমাদের মাঝে প্রাচুর্য ও ঐশ্বর্যের অধিকারীরা তাদের আত্মীয়-স্বজন, অভাবী ও আল্লাহ্‌র পথে হিজরতকারীদের কিছুই দিবে না বলে যেন কসম না খায়, বরং তারা যেন ক্ষমা করে ও উপেক্ষা করে। তোমরা কি চাও না, আল্লাহ্ তোমাদের ক্ষমা করুন? আর আল্লাহ্ অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।” এরপর হযরত আবু বকর সিদ্দিক (রা.) পুনরায় তার ভরণ-পোষণের খরচ দিতে আরম্ভ করেন।

হযরত মসীহ্ মওউদ (আ.) এই ঘটনার উল্লেখ করে লিখেছেন, “হযরত আয়েশা (রা.) সম্পর্কে মুনাফিকরা যে মিথ্যা অপবাদ রটিয়েছিল, তাতে কতিপয় সরলপ্রাণ সাহাবীও অংশ নিয়ে ফেলেছিলেন। বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা এসব সাহাবীর উদ্দেশ্য ছিল না, বরং সরল বিশ্বাসে তারা একাজ করেছিলেন”।

এই অপবাদের ঘটনাটি যেহেতু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ঘটনা, তাই হুযূর (আই.) সহীহ্ বুখারী থেকে হযরত আয়েশা (রা.)-এর বরাতে এ সংক্রান্ত যে হাদীস রয়েছে, তা স্ববিস্তারে তুলে ধরেন। ঘটনার বিবরণ হল, এক যুদ্ধাভিযানে যাবার সময় মহানবী (সা.) হযরত আয়েশা (রা.)-কে সাথে নিয়ে যান। যেহেতু তখন পর্দা-সংক্রান্ত কুরআনের নির্দেশ নাযিল হয়ে গিয়েছিল, তাই হযরত আয়েশা (রা.) হাওদাসহ উটের উপর বসতেন যা পর্দা দিয়ে ঢাকা থাকতো। অভিযান থেকে ফেরার পথে মদীনার কাছাকাছি এসে মহানবী (সা.) যাত্রা-বিরতির নির্দেশ দিলে হযরত আয়েশা (রা.) প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে কিছুটা দূরে চলে যান। ফেরত আসার পর তিনি বুঝতে পারেন যে, তার গলার মূল্যবান ‘হার’টি হারিয়ে গেছে। তিনি সেটি খুঁজতে আবার ফিরে যান। ‘হার’ খুঁজতে খুঁজতে তার কিছুটা বিলম্ব হয়ে যায়। ফিরে এসে দেখেন সবাই রওয়ানা হয়ে গেছে। তার উটও চলে গিয়েছিল; কারণ যারা তাকেসহ হাওদা উটের উপর উঠাতেন, তারা বুঝতেই পারেন নি যে, হযরত আয়েশা (রা.) হাওদাতে নেই। সে যুগের মেয়েদের ওজন খুবই কম হতো, তাই তারা বুঝতে পারেন নি। হযরত আয়েশা (রা.) ফিরে এসে কাউকে না পেয়ে ভীতবিহ্বল হন এবং যেখানে তার তাঁবু ছিল, সেখানে গিয়ে বসে থাকেন। তার ধারণা ছিল, যখন তাকে খুঁজে পাওয়া যাবে না তখন এখানে এসেই তাকে খোঁজা হবে। হযরত আয়েশা (রা.) বসে থেকে ক্লান্ত হয়ে সেখানেই ঘুমিয়ে পড়েছিলেন, এমন সময় হযরত সাফওয়ান বিন মুওয়াত্তাল (রা.) সেখানে এসে পৌঁছান। তার দায়িত্ব ছিল, শিবির গোটানোর পর কেউ কোন কিছু ফেলে গেল কি-না তা দেখা। তিনি দূর থেকে দেখেন কেউ একজন মাটিতে ঘুমিয়ে আছে। যেহেতু তিনি আগে থেকে হযরত আয়েশা (রা.)-কে চিনতেন, তাই তিনি দূর থেকেই উচ্চস্বরে ‘ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন’ পাঠ করেন। এটি শুনে হযরত আয়েশা (রা.) জেগে ওঠেন। এরপর সাফওয়ান হযরত আয়েশা (রা.)কে নিজ উটে চড়িয়ে এবং নিজে পায়ে হেঁটে মূল কাফেলার সাথে মিলিত হওয়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন, আর ঠিক দুপুরবেলা কাফেলার সাথে গিয়ে মিলিত হন যখন সবাই বিশ্রাম করছিল। এই দৃশ্য দেখে দুষ্ট লোকেরা যা অপবাদ রটানোর তা রটায়। এর মূলে ছিল মুনাফিকদের নেতা আব্দুল্লাহ্ বিন উবাই বিন সলুল।

মদীনায় ফিরে হযরত আয়েশা (রা.) অসুস্থ হয়ে পড়েন, আর প্রায় এক মাস ধরে এই রটনার চর্চা হতে থাকে। হযরত আয়েশা (রা.) এসবের কিছুই জানতেন না; তবে তিনি এটি দেখে খুবই আশ্চর্য হন যে, তিনি অসুস্থ হলে মহানবী (সা.) তার যতটা খোঁজ-খবর নিতেন এবার কিন্তু ততটা নিচ্ছিলেন না। একদিন রাতে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে তিনি যখন উম্মে মিসতাহ্-র সাথে বাইরে যান, তখন ঘটনাচক্রে উম্মে মিসতাহ্ তাকে এই অপবাদ রটনার কথা জানান। হযরত আয়েশা (রা.) বলেন, “একথা শুনে আমি আবার অসুস্থ হয়ে পড়ি”। তিনি বাড়ি ফিরে তার মায়ের কাছে সব জানতে চান, তার মা তাকে শান্ত হতে বলেন। হযরত আয়েশা (রা.) বলেন, “মায়ের কাছে বিস্তারিত শোনার পর আমার এমন কান্না শুরু হয় যে, কোনভাবেই তা আর থামছিল না”। সারারাত তিনি কাঁদেন। পরদিন মহানবী (সা.) হযরত আয়েশা (রা.)-এর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য হযরত আলী (রা.) ও উসামা বিন যায়েদ (রা.)-কে ডাকেন, কারণ এত দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও এ বিষয়ে কোন ওহী নাযিল হচ্ছিল না। হযরত উসামা (রা.) বলেন, “আল্লাহ্‌র কসম! আমরা আয়শা (রা.)-এর মাঝে কখনো কোন দোষ-ত্রুটি দেখিনি”। কিন্তু হযরত আলী (রা.) বলেন, “হে আল্লাহ্‌র রসূল! আপনার তো এত দায় পড়ে নি, আপনার আরও স্ত্রী আছেন”। অবশ্য তিনি সাথে সাথে এই পরামর্শও দেন যে, হযরত আয়েশা (রা.)’র সেবিকাকে ডেকে তার কাছ থেকে হযরত আয়েশা (রা.)’র ব্যাপারে জানতে চাওয়া হোক। মহানবী (সা.) বারীরা নামক সেই সেবিকাকে ডেকে জিজ্ঞাসা করলে সে আল্লাহ্‌র কসম খেয়ে উত্তর দেয়, “হযরত আয়েশা (রা.)’র মাঝে এটি ছাড়া আর কোন দোষ নেই যে, তিনি আটা মেখে তা সেখানে রেখেই ঘুমিয়ে পড়েন আর বাড়ির ছাগল এসে তা খেয়ে ফেলে”; অর্থাৎ তার ঘুম একটু বেশি ও গভীর।

হুযূর (আই.) বলেন, এটি কোন দোষ নয়, বরং অল্প বয়সের কারণে ঘুমকাতুরে স্বভাব বলা যায়। যাহোক, মহানবী (সা.) সেদিন সাহাবীদের কাছে দুঃখের সাথে বলেন, “সেই ব্যক্তিকে কে সামলাবে যে আমার স্ত্রীর বিষয়ে আমাকে এমন কষ্ট দিচ্ছে?” তখন অওস গোত্রের নেতা সাদ বিন মুআয (রা.) দাঁড়িয়ে বলেন, “যদি সে অওস গোত্রের হয়, তবে আমরা তার শিরোচ্ছেদ করব; যদি আমাদের ভাই খাযরাজ গোত্রের হয় তবে আপনি যে শাস্তি দিতে বলবেন- তাই দেব”। এতে খাযরাজ গোত্রের সাহাবী সাদ বিন উবাদা (রা.) দাঁড়িয়ে বলেন, “খাযরাজ গোত্রের কাউকে তুমি তা করতে পারবে না। এভাবে তাদের মধ্যে গোত্রীয় বিবাদ সৃষ্টি হবে এবং যুদ্ধের উপক্রম দেখা দেবে; শয়তান তাদের ভুলিয়ে দেয় আসল বিষয় কী ছিল”।

মহানবী (সা.) অনেক কষ্টে তাদের নিরস্ত করেন ও নীরবতা অবলম্বন করেন। হযরত আয়েশা (রা.) দু’রাত-এক দিন অনবরত কেঁদেই যাচ্ছিলেন, তার বাবা-মাও তার কাছেই ছিলেন। সেদিন মহানবী (সা.) ঘরে এসে হযরত আয়েশার কাছে বসেন। এবং সেদিনই প্রথম মহানবী (সা.) এ বিষয়ে তার সাথে কথা বলেন যে, তিনি (সা.) এমনটি শুনেছেন। আর বলেন, “যদি এটি অপবাদ হয়ে থাকে তবে আল্লাহ্ অবশ্যই তোমাকে এত্থেকে মুক্ত ঘোষণা করবেন; আর যদি তোমার দ্বারা কোন ভুল হয়ে থাকে তবে আল্লাহ্‌র কাছে ক্ষমা চাও ও তওবা কর, কেননা বান্দা যখন কোন ভুল করার পর তওবা করে ও ক্ষমা চায়, তখন আল্লাহ্ও তার প্রতি কৃপা করেন”। হযরত আয়েশা (রা.) বলেন, “একথা শুনে আমার অশ্রুপাত একেবারে বন্ধ হয়ে যায়”। তিনি তার পিতা-মাতাকে তার পক্ষ থেকে উত্তর দিতে বললে তারা অপারগতা জানান। তখন হযরত আয়েশা (রা.) জবাব দেন, “আপনারা এসব মিথ্যা অপবাদ এত দীর্ঘ সময় ধরে শুনেছেন যে, যদি আমি এই অপবাদ অস্বীকার করি, তবুও আপনাদের তা বিশ্বাস হবে না; আর মিথ্যা হওয়া সত্ত্বেও আমি যদি বলি এই ঘটনা সত্য, তবে আপনারা সেটিই সত্য মনে করবেন। তাই আমার জন্য এখন হযরত ইউসুফের পিতা হযরত ইয়াকুবের কথাই প্রযোজ্য যা তিনি বলেছিলেন”; বলে হযরত আয়েশা (রা.) সূরা ইউসুফের সেই আয়াত বলেন- ‘অতএব ধৈর্য ধরাই শ্রেয়, আর আল্লাহ্ই সর্বোত্তম সাহায্য-প্রার্থনার স্থল!’ হযরত আয়েশার দৃঢ় বিশ্বাস ছিল, আল্লাহ্ অবশ্যই তাকে দায়মুক্ত ঘোষণা করবেন; কিন্তু একবারের তরেও এটি ভাবেন নি যে, আল্লাহ্ তা’লা খোদ পবিত্র কুরআনেই এর উল্লেখ করে দিবেন। তার ধারণা ছিল, হয়তো মহানবী (সা.)-কে আল্লাহ্ স্বপ্নে কিছু দেখাবেন।

হুযূর (আই.) বলেন, বাস্তবে যা ঘটেছিল তা হল, হযরত আয়েশা (রা.)’র উত্তরের একটু পরই মহানবী (সা.)-এর ওপর কুরআনী ওহী নাযিল হয় যাতে হযরত আয়েশা (রা.)-কে আল্লাহ্ তা’লা দায়মুক্ত ঘোষণা করেন। হযরত আয়েশা (রা.)’র মাতা তাকে বলেন, রসূলুল্লাহ্‌র প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর। কিন্তু হযরত আয়েশা (রা.) জবাব দেন, “আল্লাহ্‌র কসম! আজ আমি আল্লাহ্ ছাড়া আর কারও প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করব না”।

এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ঘটনা ছিল। মুনাফিকদের চক্রান্তে মহানবী (সা.)-এর পবিত্র সহধর্মিণীর বিরুদ্ধে এক জঘণ্যা মিথ্যা অপবাদ ছিল এটি। কিন্তু কতিপয় সরলমনা মুসলমানও এতে অংশ নিয়ে ফেলেছিলেন। তারা হলেন, হযরত হাসসান বিন সাবেত (রা.), মিসতাহ বিন উসাসাহ (রা.), হামনাহ্ বিনতে জাহশ (রা.)। কুরআনের নির্দেশানুসারে এই তিনজনকে বেত্রাঘাতও করা হয়েছিল। তবে এ বিষয়ে মতভেদ রয়েছে যে, তাদেরকে শাস্তি দেয়া হয়েছিল না ক্ষমা করে দেয়া হয়েছিল। কিন্তু তারা যে ভুল বুঝতে পেরে তওবা করেছিলের সেকথা নিশ্চিত, কেননা তারা এরপরও ইসলামের সেবায় অনেক কাজ করেছেন। আর তাদের শেষ পরিণতিও ছিল উত্তম। এছাড়া বদরী সাহাবী হিসেবে হযরত মিসতাহ্ (রা.)-এর মর্যাদাও রক্ষা পেয়েছে। হুযূর (আই.) সাহাবীদের পদমর্যাদা ক্রমাগত উন্নত হওয়ার জন্য আল্লাহ্‌র দরবারে দোয়া করে খুতবা শেষ করেন।