শ্রেষ্ঠ মহাপুরুষ – নিষ্ঠাবান বদরী সাহাবীগণ

হযরত মির্যা মসরূর আহমদ - খলীফাতুল মসীহ্‌ আল্‌ খামেস (আই.)

১৩-জুলাই, ২০১৮

মসজিদ বাইতুল ফুতুহ্, লন্ডন, যুক্তরাজ্য

জুমুআর খুতবার সারমর্ম


এই জুমু’আর খুতবার সারাংশটিতে কোনো প্রকার ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকলে তার দায়ভার আহ্‌মদীয়া বাংলা টীম গ্রহণ করছে।

আহমদীয়া মুসলিম জামা’তের বিশ্ব-প্রধান ও পঞ্চম খলীফাতুল মসীহ্‌ হযরত মির্যা মসরূর আহমদ (আই.) গত ১৩ জুলাই, ২০১৮ইং লন্ডনের বায়তুল ফুতুহ মসজিদে প্রদত্ত জুমুআর খুতবায় পূর্বের ধারা অনুসরণে নিষ্ঠাবান বদরী সাহাবীদের বর্ণাঢ্য জীবনের স্মৃতিচারণ করেন। এ খুতবায় তিনি হযরত আবু উসায়েদ মালেক বিন রবীআ সাদী (রা.), হযরত আব্দুল্লাহ্ বিন আব্দুল আসাদ (রা.)’র জীবনের স্মৃতিচারণ করেন।

হুযূর (আই.) তাশাহ্হুদ, তাআ’ব্বুয ও সূরা ফাতিহা পাঠের পর বলেন, সাহাবীদের স্মৃতিচারণের ধারাবাহিকতায় আজ দু’জন সাহাবীর জীবন চরিত বর্ণনা করব। তাঁদের একজন হলেন, হযরত আবু উসায়েদ মালেক বিন রবীআ সাদী (রা.)। তিনি আবু উসায়েদ নামেই সুপরিচিত ছিলেন। তিনি খাযরাজ বংশের বনু সা’দাহ গোত্রভুক্ত ছিলেন। ছোটখাট গড়নের মানুষ ছিলেন, মাথায় ঘন চুল ছিল, শেষ বয়সে দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছিলেন এবং ৬০ হিজরীতে আমীর মুয়াবিয়ার যুগে ৭৩ বছর বয়সে তিনি মৃত্যু বরণ করেন। বদরের যুদ্ধে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে তিনিই সবার শেষে মৃত্যুবরণকারী সাহাবী। তিনি বদর, উহুদ, খন্দকসহ পরবর্তী যুদ্ধসমূহে অংশ নেন। মক্কা বিজয়ের দিন তার হাতে বনু সা’দাহ গোত্রের পতাকা ছিল। হযরত আবু উসায়েদ নিজের বিয়েতে মহানবী (সা.)-কে নিমন্ত্রণ করেছিলেন আর তার নব-বধূই রসূল (সা.)-কে আপ্যায়ন করছিলেন, অর্থাৎ খুবই সাদামাটা বিয়ে ছিল। একবার মহানবী (সা.)-এর কাছে কয়েকজন বন্দীকে আনা হয়, তাদের মধ্য থেকে একজন মহিলা কাঁদছিল। মহানবী (সা.) কারণ জানতে চাইলে সে বলে, তার ছেলেকে তার কাছ থেকে নিয়ে গিয়ে বিক্রি করে দেয়া হয়েছে। সেই বন্দীর দেখভালের দায়িত্বে ছিলেন আবু উসায়েদ (রা.); মহানবী (সা.) তাকে এর কারণ জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, ছেলেটি চলৎশক্তিহীন ছিল আর তার তাকে বহন করার শক্তি রাখতো না তাই এমনটি করেছি। তখন মহানবী (সা.) তাকে বলেন, তুমি নিজে গিয়ে সেই ছেলেকে ফিরিয়ে এনে তার মায়ের হাতে তুলে দাও; তিনি এমনটিই করেন। এরপর মহানবী (সা.) বলেন, কোন মায়ের শক্তি থাক বা না থাক আর সে বন্দী হলেও তাকে তার সন্তান থেকে পৃথক করার কষ্ট দেয়া যাবে না।

বর্ণিত আছে, মহানবী (সা.) একবার উট-ঘোড়া ইত্যাদির দৌড় প্রতিযোগিতা করিয়েছিলেন, এ সময় তাঁর (সা.) ঘোড়ার আরোহী ছিলেন আবু উসায়েদ (রা.) এবং তিনি সব ঘোড়াকে পেছনে ফেলে এগিয়ে গিয়েছিলেন।

হযরত সাহল (রা.) থেকে বর্ণিত আছে যে, আবু উসায়েদ (রা.) তার শিশু সন্তানকে মহানবী (সা.)-এর সমীপে নিয়ে আসেন, রসূল (সা.) সেই শিশুকে তাঁর উরুর ওপর বসান। পরে তিনি (সা.) সেই ছেলের নাম পাল্টে মুনযের বিন আবি উসায়েদ রাখেন; এর কারণ হল, হযরত আবু উসায়েদের চাচাতো ভাইয়ের নাম ছিল মুনযের বিন আমর, যিনি বি’রে মাউনার ঘটনায় শাহাদত বরণ করেছিলেন, তার নামের সাথে মিলিয়ে মহানবী (সা.) এই নাম রাখেন যাতে এই ছেলে বড় হয়ে উত্তম স্থলাভিষিক্ত হতে পারে ।

আবু উসায়েদ সাদী (রা.) হযরত উসমান (রা.)-এর শাহাদাতের পূর্বেই দৃষ্টিশক্তি হারান; তিনি (রা.) খুশি হয়ে বলতেন, এটি তার প্রতি আল্লাহ্‌র অপার অনুগ্রহ যে, মহানবী (সা.)-এর পুণ্যময় যুগ আল্লাহ্ তা’লা তাকে দেখিয়েছেন, আর দুর্দশার অবস্থা শুরু হবার আগেই আল্লাহ্ তার দৃষ্টিশক্তি নিয়ে গেছেন যেন তাকে সেই দৃশ্য দেখতে না হয়।

হযরত আবু উসায়েদ (রা.)-কে প্রায়শই যাকাত বন্টনের দায়িত্ব দেয়া হতো। একবার তিনি (রা.) বন্টনের কাজ শেষে ঘরে ফিরে গেলে স্বপ্নে দেখেন, একটি সাপ তার গলা পেঁচিয়ে ধরেছে। তিনি সাথে সাথে ঘুম থেকে উঠে দাসীকে বা স্ত্রীকে জিজ্ঞেস করেন, যাকাতের কোন জিনিস ঘরে রয়ে গিয়েছে কি-না? দাসী না-সূচক জবাব দিলে তিনি বলেন, ভালোভাবে দেখ, অবশ্যই কিছু আছে, নতুবা এমন স্বপ্ন কেন দেখলাম? তখন সে ভালোভাবে খুঁজে পেতে দেখে যে, একটি উটের গলার রশি ভুলবশত রয়ে গেছে। তিনি (রা.) তৎক্ষণাত তা দিয়ে আসেন। সাহাবীদের সাথে আল্লাহ্ তা’লার বিশেষ সম্পর্ক ছিল, যার কারণে আল্লাহ্ তাদেরকে তাকওয়ার উচ্চতম মার্গে অধিষ্ঠিত রেখে তাদের দ্বারা আমানতের উন্নতমান প্রতিষ্ঠা করিয়েছেন।

হযরত মুসলেহ্ মওউদ (রা.) ইতিহাসের আলোকে একস্থানে বর্ণনা করেন যে, মক্কা বিজয়ের পর কিন্দা গোত্রের একটি প্রতিনিধিদল মহানবী (সা.)-এর সাথে দেখা করতে এলে তাদের একজন নেতা লুকমান নিজ বিধবা বোন জুনীয়াহ্ বিনতে তিলজাউন, যে অত্যন্ত রূপসী ও গুণবতী ছিল, তার সাথে হুযূর (সা.)-কে বিয়ের প্রস্তাব দেন। রসূলুল্লাহ্ (সা.) সন্ধি স্থাপনের দৃষ্টিকোণ থেকে তাতে সম্মত হন এবং বারো উর্কিয়া রূপা মোহরানা ধার্যে নিকাহ্‌র এলান করা হয়। তিনি (সা.) হযরত আবু উসায়েদকে তাদের সাথে পাঠান নব-বিবাহিতা বধূকে নিয়ে আসার জন্য। আবু উসায়েদ গিয়ে জুনীয়াহ্ পর্দার নির্দেশসহ অন্যান্য ইসলামী রীতি-নীতি শিখিয়ে দেন ও তাকে নিয়ে মদীনায় আসেন এবং নির্ধারিত গৃহে তাকে পৌঁছে দেন। মদীনার মহিলারা দলবেঁধে নববধুকে দেখতে আসে, তখন কোন এক মহিলা তাকে শিখিয়ে দেয়, যখন মহানবী (সা.) তোমার কাছে আসবে তখন তুমি বলবে, ‘আমি আপনার কাছ থেকে আল্লাহ্র আশ্রয় চাইছি’, তাহলে তাঁর (সা.) ওপর তোমার প্রভাব প্রতিষ্ঠিত হয়ে যাবে। হযরত মুসলেহ্ মওউদ (রা.) এই ঘটনাটি বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, যদি এটি সত্য হয়ে থাকে তবে নিঃসন্দেহে এটি কোন মুনাফিকের ষড়যন্ত্র ছিল যা সে তার স্ত্রীর মাধ্যমে করিয়েছিল। মহানবী (সা.) নববধূর গৃহে প্রবেশ করলে জুনীয়াহ এমনটিই করে, যার ফলে মহানবী (সা.) তাকে এই উত্তর দিয়ে বেরিয়ে আসেন যে, ‘তুমি সবচেয়ে বড় সত্ত্বার দোহাই দিয়েছ’, তাই আমি তোমার নিবেদন গ্রহণ করছি। এরপর মহানবী (সা.) হযরত আবু উসায়দ (রা.)-কে বলেন, তাকে মোহরানা ছাড়াও অনুগ্রহ স্বরূপ দু’টো চাদর উপহার দিয়ে তার জাতির কাছে ফিরিয়ে দিয়ে আসো।

হুযূর বলেন, এটি সেসব অন্যায় আপত্তির স্পষ্ট জবাব যে, মহানবী (সা.) নাকি নারীদের সৌন্দর্যের মোহে আবিষ্ট ছিলেন ও এ কারণে এতগুলো বিয়ে করেছেন (নাউযুবিল্লাহ্)।

হুযূর (আই.) এরপর হযরত আব্দুল্লাহ্ বিন আব্দুল আসাদ (রা.)-এর স্মৃতিচারণ করেন, যিনি আবু সালামা নামে সমধিক পরিচিত ছিলেন। তিনি মহানবী (সা.)-এর ফুফাতো ভাই এবং তাঁর (সা.) ও হযরত হামযার দুধভাইও ছিলেন। উম্মুল মুমিনীন হযরত উম্মে সালামা (রা.) প্রথমে তারই স্ত্রী ছিলেন। ইসলামের প্রথম যুগে তিনি সত্য গ্রহণ করেন, আবিসিনিয়ায় প্রথমবার হিজরতের সময় স্বস্ত্রীক হিজরত করেন। পরবর্তীতে সেখান থেকে ফিরে আবার মক্কায় আসেন এবং তারপর মদীনায় হিজরত করেন। মদীনায় হিজরতের সময় তার স্ত্রী হযরত উম্মে সালামার বংশের লোকেরা বলে বসে, আমাদের মেয়েকে আমরা যেতে দেব না; জাতিগত অহংকারের কারণে তখন আবু সালামার বংশের লোকেরা বলে, তার ছেলে তো আমাদের অংশ, আমরা তাকে দেব না। এভাবে উম্মে সালামা (রা.)-কে স্বামী-সন্তান উভয় থেকেই বঞ্চিত করা হয়। তিনি (রা.) এক বছর পর্যন্ত এই কষ্টকর অবস্থা সহ্য করেন; প্রত্যেক দিন তিনি একটি স্থানে গিয়ে কাঁদতেন। একদিন তার এক চাচাতো ভাই তাকে ক্রন্দনরত অবস্থায় দেখেন, ফলে তার হৃদয়ে দয়া সঞ্চারিত হয়। সে গিয়ে গোত্রের লোকদের বুঝায়, এতে সবাই তাকে তার (রা.) স্বামীর কাছে যাওয়ার অনুমতি প্রদান করে। তখন আবু সালামার বংশের লোকেরাও তার ছেলেকে তার কাছে ফিরিয়ে দেয়। তিনি ছেলেকে নিয়ে একাই রওয়ানা হন; পথিমধ্যে তানঈম নামক স্থানে পৌঁছার পর হযরত উসমান বিন আবু তালহার সাথে তার সাক্ষাৎ হয়, যিনি তখনও মুসলমান হন নি। যখন তিনি জানতে পারেন যে, হযরত উম্মে সালামা একাকী শিশু পুত্রকে নিয়ে মদীনার উদ্দেশ্যে যাত্রা করছেন, তখন তিনি নিজে তাকে কুবা পর্যন্ত এগিয়ে দিয়ে আসেন যেখানে আবু সালামা (রা.) ছিলেন।

মহানবী (সা.) যখন উশায়রার অভিযানের জন্য বের হন, তখন হযরত আবু সালামাকে মদীনায় তাঁর (সা.) স্থলাভিষিক্ত ও আমীর নিযুক্ত করে যান। সেই অভিযানে কোন যুদ্ধ না হলেও বনু মুদলেজের সাথে মৈত্রী চুক্তি হয়। উহুদের যুদ্ধে মুসলমানদের যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল, তাতে অনুপ্রাণিত হয়ে আরবের বিভিন্ন স্থানে ইসলামের ওপর আক্রমণের তোড়জোড় শুরু করে কাফিররা। সাহাবীদের উহুদ যুদ্ধের ক্ষত তখনও পুরোপুরি সারে নি, সে সময়ই ৪র্থ হিজরীর মহররম মাসে এই খবর পাওয়া যায় যে, বনু আসাদ গোত্রের নেতা তুলায়হা বিন খুওয়াইলিদ ও তার ভাই সালামা বিন খুওয়াইলিদ তাদের জাতিকে মহানবী (সা.)-এর বিরুদ্ধে আক্রমণ করার জন্য উদ্বুদ্ধ করছে। রসূলুল্লাহ্ (সা.) মদীনা রাষ্ট্রের নিরাপত্তার খাতিরে হযরত আবু সালামার নেতৃত্বে দেড়শ’ দ্রুতগামী আরোহীর একটি দল প্রেরণ করেন ও আবু সালামাকে নির্দেশনা দেন যেন তারা প্রবল পরাক্রমের সাথে দ্রুত সেখানে পৌঁছে তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করে দেন। আবু সালামা নির্দেশ অনুসারে যান এবং কোন যুদ্ধ ছাড়াই তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করে দিয়ে ফিরে আসেন। কিন্তু এই অভিযানের কঠোর পরিশ্রমে তার উহুদ যুদ্ধের ক্ষত আরো জটিল রূপ নেয় এবং এরই ফলশ্রুতিতে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মহানবী (সা.) তার জন্য দোয়া করেন, ‘হে আল্লাহ্! আবু সালামাকে ক্ষমা কর, সুপথপ্রাপ্তদের মাঝে তার মর্যাদা উন্নত কর ও তার পরিবারবর্গের জন্য তুমি স্বয়ং তার স্থলাভিষিক্ত হয়ে যাও; হে সমগ্র জগতের প্রভু, তুমি তাকে ও আমাদেরকেও ক্ষমা কর।’ হযরত আবু সালামা নিজেও মৃত্যুকালে এই দোয়া করেছিলেন, ‘হে আল্লাহ্! আমার পরিবারের জন্য সর্বোত্তম ব্যক্তিকে আমার স্থলাভিষিক্ত বানিও।’ তার এই দোয়া কবুল হয়েছিল, স্বয়ং মহানবী (সা.) হযরত উম্মে সালামাকে তার ইদ্দত বা স্বামীর মৃত্যুতে শোকের নির্ধারিত সময় পার হওয়ার পর বিবাহের প্রস্তাব দেন। হযরত উম্মে সালামা নিজ বার্ধক্যের কারণ দেখিয়ে প্রথমে অস্বীকৃতি জানান, কিন্তু যেহেতু মহানবী (সা.)-এর উদ্দেশ্য ভিন্ন ও মহান ছিল, তাই তিনি তা মেনে নেন এবং তার পুত্র নিজে ওলী হয়ে মহানবী (সা.)-এর সাথে মায়ের দেন। হযরত মির্যা বশীর আহমদ সাহেব (রা.)-এর গবেষণা অনুসারে ৪র্থ হিজরীর শাওয়াল মাসে মহানবী (সা.)-এর সাথে কুরাইশ গোত্রের এই মহিয়ষী নারীর বিবাহ হয়।

খুতবার শেষদিকে হুযূর তিনটি গায়েবানা জানাযার ঘোষণা দেন। প্রথম জানাযা মোকাররম রাজা নাসির আহমদ সাহেবের, যিনি ওয়াকফে যিন্দেগী ও মুরব্বী সিলসিলা ও সাবেক নাযের ইসলাহ ও ইরশাদ মরকযিয়া ছিলেন, গত ৬ জুলাই তাহের হার্ট ফাউন্ডেশনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। তিনি ১৯৬৫ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত পাকিস্তান, বাংলাদেশ, ইন্দোনেশীয়া ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে এবং জামাতের কেন্দ্রীয় পর্যায়ে প্রায় ৪৭ বছর ধর্মসেবায় রত থেকেছেন। হুযূর তাঁর স্মৃতিচারণ করেন এবং তার শোক সন্তপ্ত পরিবারের জন্য দোয়া করেন। আল্লাহ্ তা’লা মরহুমের সন্তান-সন্ততিকে তার পবিত্র গুণাবলী ও নেককাজসমূহ ধরে রাখার তৌফিক দান করুন।

দ্বিতীয় ও তৃতীয় জানাযা যথাক্রমে মোকাররম মুবীন আহমদ সাহেব (২০) ও মুহাম্মদ জাফরুল্লাহ্ সাহেবের (২৫), তারা উভয়েই করাচিতে অবস্থিত নিজেদের ইলেক্ট্রনিক্সের দোকানে ডাকাতদের গুলিতে গত ৭ই জুলাই শহীদ হন। হুযূর রাজা নাসির সাহেবের নাতিদীর্ঘ এবং পরবর্তী দু’জনের সংক্ষিপ্ত স্মৃতিচারণ করেন ও তাদের আধ্যাত্মিক মর্যাদা বৃদ্ধির জন্য ও পরিবারবর্গের জন্য দোয়া করেন।