শ্রেষ্ঠ মহাপুরুষ – নিষ্ঠাবান বদরী সাহাবীগণ

হযরত মির্যা মসরূর আহমদ - খলীফাতুল মসীহ্‌ আল্‌ খামেস (আই.)

২৯-জুন, ২০১৮

মসজিদ বাইতুল ফুতুহ্, লন্ডন, যুক্তরাজ্য

জুমুআর খুতবার সারমর্ম


এই জুমু’আর খুতবার সারাংশটিতে কোনো প্রকার ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকলে তার দায়ভার আহ্‌মদীয়া বাংলা টীম গ্রহণ করছে।

আহমদীয়া মুসলিম জামা’তের বিশ্ব-প্রধান ও পঞ্চম খলীফাতুল মসীহ্‌ হযরত মির্যা মসরূর আহমদ (আই.) গত ২৯শে জুন, ২০১৮ইং লন্ডনের বায়তুল ফুতুহ মসজিদে প্রদত্ত জুমুআর খুতবায় পূর্বের ধারা অনুসরণে নিষ্ঠাবান বদরী সাহাবীদের বর্ণাঢ্য জীবনের স্মৃতিচারণ করেন। এ খুতবায় তিনি হযরত আম্মার বিন ইয়াসের (রা.), হযরত আবু লুবাবা বিন আব্দুল মুনযীর (রা.)’র জীবনের স্মৃতিচারণ করেন।

তাশাহহুদ, তাআ’ব্বুয ও সূরা ফাতিহা পাঠের পর হুযূর (আই.) বলেন, গত খুতবায় আমি হযরত আম্মার (রা.)-এর স্মৃতিচারণ করছিলাম, তার সম্পর্কে আরও কিছু বিবরণ বাকী আছে যা আজ বর্ণনা করব। হযরত হাসান (রা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে, হযরত আমর ইবনুল আস (রা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তিকে মহানবী (সা.) আমৃত্যু ভালোবেসে গিয়েছেন, আমি আশা করি আল্লাহ্ সেই ব্যক্তিকে দোযখে নিক্ষেপ করবেন না।’ সবাই বলল, ‘আমরা তো দেখেছি রসূলুল্লাহ্ (সা.) আপনাকে ভালোবাসতেন এবং আপনাকে আমেল বা নিগরাণ নিযুক্ত করতেন।’ হযরত আমর বলেন, ‘আল্লাহ্ই ভালো জানেন, রসূলুল্লাহ্ (সা.) আমাকে ভালোবাসতেন কি-না; কিন্তু আমরা এমন একজনকে জানি যাকে তিনি (সা.) ভালোবাসতেন।’ সবাই বলল, ‘তিনি কে?’ আমর (রা.) উত্তরে বলেন, তিনি হলেন, ‘আম্মার বিন ইয়াসের (রা.)।’ সবাই বলল, ‘আপনারাই তো তাকে সিফফীনের যুদ্ধে হত্যা করেছেন?’ তখন আমর (রা.) পরিতাপের সাথে বলেন, ‘আল্লাহ্‌র কসম, আমরাই তাকে হত্যা করেছি!’ একথা থেকে বুঝা যায়, হযরত আমর ইবনুল আস (রা.) পুণ্যবান ব্যক্তি ছিলেন, কিন্তু তিনি আমীর মুয়াবিয়ার পক্ষাবলম্বনের কারণে এবং মুয়াবিয়ার পক্ষের লোকেরা হযরত আম্মারকে শহীদ করার কারণে তিনি খুবই চিন্তিত ও অনুতপ্ত ছিলেন।

হযরত আমর ইবনুল আস (রা.)-কে যখন আমর বিন হাযম বলেন যে, মহানবী (সা.)-কে আমি বলতে শুনেছি যে, বিদ্রোহী দল হযরত আম্মারকে শহীদ করবে। একথা শুনে হযরত আমর খুবই বিচলিত হন এবং আমীর মুয়াবিয়ার কাছে গিয়ে মহানবীর এ কথা বলেন। কিন্তু আমীর মুয়াবিয়া তার কথায় কর্ণপাত না করে বরং হযরত আলী এবং তাঁর সঙ্গীদের ওপর এর দায়ভার চাপিয়ে দেন যে, এরাই আম্মারকে আমাদের বর্শা বা আমাদের তরবারীর সামনে শহীদ হওয়ার জন্য ছেড়ে দিয়েছিল।

হযরত আয়েশা (রা.) হযরত আম্মার সম্পর্কে বলেন, ‘তিনি আপাদমস্তক ঈমানে পরিপূর্ণ ছিলেন।’ হযরত আলী (রা.)-এর শাহাদাতের ব্যাপারে হযরত আম্মার (রা.)-এর বরাতে মহানবী (সা.)-এর ভবিষ্যদ্বাণী বর্ণিত হয়েছে। কোন একবার এক ব্যক্তি হযরত আম্মারের নামে হযরত উমর (রা.)-এর কাছে কুৎসা করে। যখন আম্মার (রা.) তা জানতে পারেন তখন হাত তুলে দোয়া করেন, ‘হে আল্লাহ্, যদি এ ব্যক্তি আমার নামে মিথ্যা অপবাদ আরোপ করে থাকে, তবে তাকে এই পৃথিবীতে স্বাচ্ছন্দ্য দান কর এবং তার পরকালকে ধ্বংস করে দাও।’

হযরত আম্মার সবচেয়ে চুপচাপ ও স্বল্পভাষী একজন সাহাবী ছিলেন। তিনি সবসময় দোয়া করতেন, ‘আমি বিশৃঙ্খলা থেকে আল্লাহ্‌র আশ্রয় চাই।’ হযরত আনাস (রা.) বর্ণনা করেন যে মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘জান্নাত হযরত আলী, হযরত আম্মার, হযরত সালমান ও হযরত বেলালের সমন্বয়ে গঠিত।’

হুযূর (আই.) বলেন, গত খুতবায় বলেছিলাম যে, হযরত আম্মার (রা.) বিশৃঙ্খলাকারী ও প্রতারকদের প্রতারণার শিকার হয়েছিলেন এবং হযরত উসমান (রা.)-এর বিরোধীদের পক্ষ অবলম্বন করেছিলেন। এর কারণ ছিল, তাদের তরবীয়ত বা প্রশিক্ষণ যথাযথ ছিল না এবং তারা কেন্দ্রের সাথে খুব কম যোগাযোগ রাখতো, কুরআনের জ্ঞানও ছিল তাদের নিত্যান্তই অল্প। এ বিষয়টি উল্লেখ করে হযরত খলীফাতুল মসীহ্ সানী (রা.) জামাতকে জোরালো নির্দেশনা দিয়েছেন, তারা যেন কেন্দ্রে বেশি বেশি আসে, কুরআন ও ধর্মের জ্ঞান অর্জন করে। তাই এ বিষয়টি সর্বদা মনে রাখা উচিত, কুরআনের জ্ঞান অর্জন করা উচিত। আর বর্তমানে একাজে এমটিএ অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে, তাই আমাদের চেষ্টা করা উচিত এমটিএ-র সাথে গভীরভাবে সম্পৃক্ত হওয়া এবং আমাদের পরবর্তি প্রজন্মকেও এমটির সাথে সম্পৃক্ত করা। এমটিএর অনুষ্ঠাদি পরিবার-পরিজন নিয়ে দেখা এবং এত্থেকে জ্ঞান অর্জন করা। তাহলে জামাতের আভ্যন্তরিণ ফিৎনা বা নৈরাজ্য থেকে মুক্ত থাকা সম্ভব হবে।

এরপর হুযূর (আই.) মহানবী (সা.)-এর আরেকজন সাহাবী হযরত আবু লুবাবা বিন আব্দুল মুনযীর (রা.)-এর স্মৃতিচারণ করেন। ঐতিহাসিকদের কারো কারো মতে তার নাম ছিল বশির, কেউ বলেছেন রাফা, আবার কেউ বলেছেন মারওয়ান। তিনি আনসারদের আওস গোত্রের সদস্য ছিলেন, উকবার বয়আতে তিনি অংশ নিয়ে ইসলাম গ্রহণ করেন। বদরের যুদ্ধের সময় মদীনা ছেড়ে বের হবার আগে মহানবী (সা.) আব্দুল্লাহ্ বিন উম্মে মাকতুমকে মদীনার আমীর নিযুক্ত করে যান। কিন্তু যেহেতু তিনি (রা.) অন্ধ ছিলেন এবং আমীরের দায়িত্বাবলী যথাযথভাবে পালন করা তার পক্ষে হয়তো সম্ভবপর নাও হতে পারে- একথা ভেবে মহানবী (সা.) পরবর্তীতে রওহা নামক স্থানে পৌঁছে হযরত আবু লুবাবাকে মদীনার আমীর নিযুক্ত করে মদীনায় ফেরত পাঠান এবং হযরত আব্দুল্লাহ্ বিন উম্মে মাকতুমকে কেবলমাত্র ইমামুস সালাতের দায়িত্ব প্রদান করেন; এভাবে আবু লুবাবা রসূলুল্লাহ্ (সা.)-এর নির্দেশে বদর যুদ্ধের মাঝপথ থেকে মদীনায় ফিরে যান।

ইতিহাস থেকে জানা যায়, মহানবী (সা.) এবং হযরত আলী ও আবু লুবাবা একই উটে পালাক্রমে আরোহণ করে যাত্রা করছিলেন। হযরত আলী ও আবু লুবাবা অনেক অনুরোধ-উপরোধ করেন যেন তিনি (সা.) উটেই বসে থাকেন আর তারা হেঁটে যাবেন, কিন্তু তারা তাঁকে (সা.) একথা কোনভাবেই মানাতে পারেন নি। বদর যুদ্ধের পর মহানবী (সা.) হযরত যায়েদ বিন হারসা (রা.)-কে যুদ্ধজয়ের সুসংবাদ পৌঁছাতে নিজের উটে করে মদীনায় পাঠান। হযরত যায়েদ গিয়ে বড় বড় কাফির নেতাদের মৃত্যু ও বন্দী হবার সংবাদ ঘোষণা করেন, কিন্তু লোকেরা তা বিশ্বাস করছিল না। উল্টো বলছিল, যায়েদ (রা.) পরাজিত হয়ে এসেছে, ইত্যাদি ইত্যাদি। মূলত মুনাফিকরা এসব বলাবলি করছিল আর মুসলমানরা এতে খুবই উত্তেজিত হয়ে পড়ছিল। কাফিররা বলছিল, আসলে মুহাম্মদ (সা.) এবং তাঁর শীর্ষস্থানীয় সাহাবীগণ সবাই নিহত হয়েছেন, আর যায়েদের মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে। তখন আবু লুবাবা তাদের অপলাপের উত্তরে বলেন, “আল্লাহ্ তোমাদের কথাকে মিথ্যা সাব্যস্ত করবেন।”

খন্দকের যুদ্ধের পর পরই মহানবী (সা.) বিশ্বাসঘাতক ইহুদী গোত্র বনু কুরায়যার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেন। তারা তো তাদের দুর্গের ভেতর অবস্থান নেয়, মুসলমানরা তাদের অবরোধ করে রাখে, কিছুদিন পর তারা অনুভব করে যে, এভাবে তারা বেশি দিন টিকতে পারবে না। তাই তারা মহানবী (সা.)-এর কাছে দূত পাঠিয়ে আবেদন করে, আবু লুবাবা আনসারীকে যেন তাদের সাথে সংলাপের জন্য পাঠানো হয়। তাদের উদ্দেশ্য ছিল তার সাথে কথা বলে এটা জেনে নেয়া যে, মহানবী (সা.) তাদের সাথে কী করার কথা ভাবছেন। হযরত আবু লুবাবাকে পাঠানো হলে ইহুদীরা কিছুটা প্রবঞ্চনার আশ্রয় নেয় যাতে তিনি (রা.) তাদের প্রতি কিছুটা সহমর্মী হন, আর তাদের এই কৌশলে তারা কিছুটা সফলও হয়। তখন তারা জানতে চায়, তারা কি মহানবী (সা.)-এর নির্দেশমত দুর্গ ছেড়ে বেরিয়ে আসবে? আবু লুবাবা নির্দ্বিধায় বলেন, হ্যাঁ; তবে যেহেতু তার ধারণা ছিল এমন বিশ্বাসঘাতকদের মৃত্যুদন্ড ছাড়া আর কোন শাস্তি হতে পারে না, তাই তিনি ইশারায় এটি বুঝিয়ে দেন যে, তাদের সবাইকে হত্যা করা হবে। অথচ মহানবী (সা.) এরকম কোন সিদ্ধান্ত নেনও নি আর এমন কিছু কাউকে বলেনও নি। যখন আবু লুবাবা বুঝতে পারেন যে, তার মুখ থেকে ভুল কথা বেরিয়ে গেছে বা তিনি ভুল করে ফেলেছেন, তখন তিনি মসজিদে নববীতে এসে মসজিদের একটি খুঁটির সাথে নিজেকে বেঁধে দিয়ে বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত আল্লাহ্ আমার তওবা গ্রহণ না করবেন ততক্ষণ আমি এভাবেই আবদ্ধ থাকব। মহানবী (সা.) সবকিছু শোনার পর বলেন, তাকে এভাবেই থাকতে দাও; যদি সে আমার কাছে আসত তবে আমি তাকে ছেড়ে দিতাম এবং তার জন্য ক্ষমা চাইতাম; যেহেতু সে আল্লাহ্‌র হাতে বিষয়টি অর্পণ করেছে তাই আল্লাহ্‌র সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত এভাবেই থাকুক। আবু লুবাবা এভাবে পনের দিন পর্যন্ত ছিলেন, তারপর মহানবী (সা.)-কে আল্লাহ্ তা’লা উম্মে সালমা (রা.)-এর গৃহে ইলহাম করে তার ক্ষমা লাভের বিষয়টি জানিয়ে দেন, আর আবু লুবাবার ইচ্ছানুসারে স্বয়ং মহানবী (সা.) তাকে এই বাঁধন থেকে মুক্ত করেন। আবু লুবাবা তার পৈতৃক নিবাস, যেখানে থাকার সময় এই ভুল তার দ্বারা সংঘটিত হয়েছিল, তা ছেড়ে দেন ও যাবতীয় সম্পত্তিই সদকা করে দিতে চান, কিন্তু মহানবী (সা.) কেবল এক-তৃতীয়াংশ পর্যন্ত সদকা করার অনুমতি দেয়ায় তিনি সেটিই করেন ও পৈতৃক বাড়ি ইসলামের সেবার মানসে দান করে দেন। যাহোক, ইহুদীরা মহানবী (সা.)-এর বিচার মানতে অসম্মতি জানায় এবং আরেকজন সাহাবী ও তাদের মিত্র গোত্রের নেতা হযরত সা’দ বিন মাআযকে বিচারক মানে। হযরত সা’দ তওরাতের আইনানুসারে তাদের বিচার করেন, ফলে তাদের সবার মৃত্যুদন্ড হয়। অথচ অন্যান্য অনেক ঘটনা থেকে প্রতীয়মান হয়, মহানবী (সা.)-এর হাতে বিচারের ভার দেওয়া হলে তিনি তাদেরকে বড়জোর দেশান্তরের শাস্তি দিতেন, কোনভাবেই হত্যার শাস্তি দিতেন না। মোটকথা তাদের মৃত্যুদন্ডের দায় তাদের ওপরেই পড়ে, রসূলুল্লাহ্ (সা.) বা সাহাবীদের ওপর পড়ে না, কেননা তারা স্বয়ং বিচারক নিযুক্ত করেছিল আর অপরাধের ভয়াবহতার কারণে সেই বিচারকই তাদের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রদান করেন। হযরত আবু লুবাবার বাড়ি যদিও অনেক দূরে ছিল, তবুও তিনি নিয়মিত আসরের নামায মহানবী (সা.)-এর পেছনে পড়ার জন্য উপস্থিত হতেন।

উপরোক্ত দু’জন সাহাবীর আরো অনেক গুণ ও বৈশিষ্ট্যের কথা হুযূর উল্লেখ করেন এবং প্রসঙ্গক্রমে বিভিন্ন ঘটনা প্রবাহে অন্যান্য সাহাবীদের নৈতিক গুণাবলী আর উত্তম আদর্শের দিকটিও আলোচনায় উঠে আসে। হুযূর (আই.) সাহাবীদের ত্যাগ খোদার দরবারে গৃহীত হওয়ার এবং তাঁদের মর্যাদা উচ্চ থেকে উচ্চতর হওয়ার জন্য দোয়া করেন। (আমীন)

খুতবার শেষদিকে হুযূর একটি গায়েবানা জানাযা ও হাযের জানাযার উল্লেখ করেন। প্রথমটি মোকাররম কাজী শাবান আহমদ খান শহীদ সাহেবের, যিনি গত ২৫ জুন নিজ বাড়িতে মুখোশধারী দু’জন বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত হন, ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। শহীদ মরহুম ও তার স্ত্রী-সন্তানরা তাদের উভয়ের বংশের মধ্যে একমাত্র আহমদী পরিবার ছিলেন, এ কারণে তাদের বংশের সবাই তাদের ঘোর বিরোধী ছিল। শহীদ মরহুম তাঁর এক বন্ধুর মাধমে ২০০১ সনে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে আহমদীয়াত গ্রহণ করেছিলেন। তিনি বহু উল্লেখযোগ্য ও অসাধারণ গুণের অধিকারী ছিলেন। হুযূর শহীদ মরহুমের আত্মার মাগফিরাত ও পদমর্যাদা বৃদ্ধির জন্য এবং তার বিধবা স্ত্রী ও তিন কন্যার ধৈর্য ও দৃঢ়মনোবলের জন্য দোয়া করেন।

হাযের জানাযা মরহুম শেঠ মুহাম্মদ গওস সাহেবের কনিষ্ঠা কন্যা মোকাররমা আমাতুল হাই বেগম সাহেবার, যিনি গত ২৩ জুন শতোর্ধ্ব বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন, ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। মরহুমার পিতার এই বিশেষ সম্মান ছিল যে, তিনি সাহাবী না হলেও খলীফা সানী (রা.) তাকে বেহেশতী মকবেরায় সাহাবীদের অংশে দাফন করার অনুমতি দেন। মরহুমার বিয়ের সময় তার পিতা বিদ্যমান থাকা সত্ত্বেও পিতার আবেদনের প্রেক্ষিতেই হযরত খলীফাতুল মসীহ্ সানী (রা.) তার অলী হন এবং বিয়েও পড়ান। মরহুমা অত্যন্ত নিষ্ঠাবান আহমদী ছিলেন। খিলাফতের প্রতি তার গভীর অনুরাগ ও ভালোবাসা ছিল। নামায ও রোযায় অভ্যস্ত ছিলেন। হুযূর মরহুমার মর্যাদা বৃদ্ধি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সবরে জামীল এর জন্য দোয়া করেন। জুমুআর নামাযের পর হুযূর উভয়ের জানাযা পড়ান।