আর্থিক কুরবানী: তাহ্‌রীক-এ-জাদীদ-এর নতুন বর্ষ – ২০১৮

হযরত মির্যা মসরূর আহমদ - খলীফাতুল মসীহ্‌ আল্‌ খামেস (আই.)

০৯-নভেম্বর, ২০১৮

মসজিদ বাইতুল ফুতুহ্, লন্ডন, যুক্তরাজ্য

জুমুআর খুতবার সারমর্ম


এই জুমু’আর খুতবার সারাংশটিতে কোনো প্রকার ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকলে তার দায়ভার আহ্‌মদীয়া বাংলা টীম গ্রহণ করছে।

আহমদীয়া মুসলিম জামা’তের বিশ্ব-প্রধান ও পঞ্চম খলীফাতুল মসীহ্‌ হযরত মির্যা মসরূর আহমদ (আই.) গত ৯ই নভেম্বর, ২০১৮ লন্ডনের বায়তুল ফুতুহ মসজিদে প্রদত্ত জুমুআর খুতবায় তাহরিকে জাদীদের ৮৫তম নববর্ষের ঘোষণা করেন এবং আর্থিক কুরবানীর গুরুত্ব ও কল্যাণ সংক্রান্ত কতিপয় ঈমান উদ্দীপক ঘটনা বর্ণনা করেন।

হুযূর (আই.) তাশাহহুদ, তাআ’ব্বুয ও সূরা ফাতিহা পাঠের পর সূরা বাকারার ২৬২, ২৬৩, ২৬৬, ২৬৯, ২৭৩ ও ২৭৫ নাম্বার আয়াতগুলো তিলাওয়াত করে বলেন, আমি যে আয়াতগুলো পড়েছি এতে আল্লাহ্‌র রাস্তায় ধন-সম্পদ কুরবানীর কথা স্ববিস্তারে বর্ণিত হয়েছে। আল্লাহ্ তা’লা আর্থিক কুরবানীর কল্যাণ ও উপকারীতা সম্পর্কে লাগাতার এই আয়াতগুলো বর্ণনা করেছেন।

এ আয়াতগুলোর অনুবাদ হল,

যারা নিজেদের ধনসম্পদ আল্লাহ্‌র পথে খরচ করে তাদের দৃষ্টান্ত সেই শস্যবীজের ন্যায়, যা সাতটি শীষ উৎপন্ন করে এবং প্রত্যেকটি শীষে একশ’ শস্যদানা থাকে। আর আল্লাহ্‌ যার জন্য চান (এর চেয়েও) বাড়িয়ে দেন। আর আল্লাহ্‌ প্রাচুর্যদানকারী, সর্বজ্ঞ।

যারা নিজেদের ধন-সম্পদ আল্লাহ্‌র পথে খরচ করে (এবং) এরপর তারা যা খরচ করেছে সে অনুগ্রহের কোন খোঁটা দেয় না এবং কষ্টও দেয় না তাদের প্রতিদান তাদের প্রভু-প্রতিপালকের কাছে নির্ধারিত। তাদের কোন ভয় নাই এবং তারা দুঃখিতও হবে না।

আর যারা নিজেদের ধনসম্পদ আল্লাহ্‌র সন্তুষ্টি লাভের আশায় এবং তাদের আত্মার দৃঢ়তার জন্য খরচ করে তাদের দৃষ্টান্ত উঁচু জায়গায় অবস্থিত সেই বাগানের ন্যায় যেখানে প্রবল বৃষ্টিপাত হলে তা দ্বিগুণ ফল উৎপন্ন করে। আর এতে যদি প্রবল বৃষ্টিপাত না-ও হয় তাহলে অল্প বৃষ্টিই (এর জন্য) যথেষ্ট। আর তোমরা যা করছো আল্লাহ্‌ তা দেখছেন।

শয়তান তোমাদের দারিদ্রের ভয় দেখায় এবং তোমাদেরকে অশ্লীলতার আদেশ দেয়। অথচ আল্লাহ্‌ নিজ পক্ষ থেকে তোমাদের ক্ষমা ও অনুগ্রহের প্রতিশ্রুতি দেন। আর আল্লাহ্‌ প্রাচুর্যদানকারী, সর্বজ্ঞ।

তাদের হিদায়াত দেয়া তোমার দায়িত্ব নয়, বরং আল্লাহ্‌ যাকে চান হিদায়াত দেন। আর যে উত্তম ধনসম্পদই তোমরা খরচ কর তা তোমাদের নিজেদের কল্যাণের জন্যই (করে থাক)। কারণ তোমরা শুধু আল্লাহ্‌ সন্তুষ্টি লাভের জন্যই খরচ করে থাক। আর যে উত্তম ধনসম্পদই তোমরা খরচ কর তা তোমাদের পুরোপুরি ফেরত দেয়া হবে। আর তোমাদের প্রতি অবিচার করা হবে না।

যারা নিজেদের ধনসম্পদ রাতে এবং দিনে, গোপনে ও প্রকাশ্যে খরচ করে তাদের পুরস্কার তাদের প্রভু-প্রতিপালকের কাছে নির্ধারিত (রয়েছে)। আর তাদের কোন ভয় নাই এবং তারা দুঃখিতও হবে না।

এরপর হুযূর (আই.) বলেন, হযরত মসীহ্ মওউদ (আ.) আর্থিক কুরবানীর কথা বলতে গিয়ে একদা বলেছেন, “আমি যে তোমাদেরকে বারংবার আল্লাহ্‌র পথে ব্যয় করার কথা বলি, এটি আল্লাহ্‌র নির্দেশ অনুসারেই বলি। ইসলাম অন্যান্য ধর্মের আক্রমণের লক্ষ্যে পরিণত হচ্ছে, তারা একে নিশ্চিহ্ন করতে চায়। আমরা কি এমন পরিস্থিতিতে এর রক্ষার্থে কোনরূপ পদক্ষেপ নিব না? খোদা তা’লা এ উদ্দেশ্যেই এ জামাত প্রতিষ্ঠা করেছেন। তাই এর উন্নতির জন্য চেষ্টা করা খোদা তা’লার নির্দেশ ও ইচ্ছা পূরণ করার নামান্তর। এই প্রতিশ্রুতিও খোদা তা’লারই পক্ষ থেকেই রয়েছে- যে ব্যক্তি আমার পথে দান করবে, আমি তাকে কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেব; পৃথিবীতেই সে অনেক কিছু পাবে, আর মৃত্যুর পর পরকালের প্রতিদানও সে দেখতে পাবে।”

হুযূর (আই.) বলেন, হযরত মসীহ্ মওউদ (আ.)-কে আল্লাহ্ তা’লা নিষ্ঠাবানদের একটি জামাত দান করেছিলেন, যারা তাঁর কথা শুনেছেন এবং নিজেদের ধন-সম্পদ কুরবানী করেছেন। তিনি (আ.) স্বয়ং বলেছেন, “আমাদের জামাতের বড় একটি অংশ দরিদ্র শ্রেণী, কিন্তু আল্লাহ্‌র কৃপায় আমি দেখি যে, তাদের মধ্যে নিষ্ঠা ও সহমর্মিতা রয়েছে, আর তারা ইসলামের প্রয়োজন অনুধাবন করে নিজেদের সাধ্যানুসারে কুরবানী করতে পিছপা হন না।”

হুযূর (আই.) বলেন, কেবল সেই যুগেই নয়, বরং আজ প্রায় ১৩০ বছর পরও আল্লাহ্ তা’লা এই জামাতে এমনসব কুরবানীকারী সৃষ্টি করে যাচ্ছেন, যারা প্রতিনিয়ত ধর্মের খাতিরে নিজেদের সাধ্যানুাসারে এবং কখনওবা নিজেদের সাধ্যাতীতও কুরবানী করছেন। আর যেমনটি আল্লাহ্ তা’লা পবিত্র কুরআনে উল্লেখ করেছেন, সে অনুযায়ী তারা তাদের নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার জন্য প্রতিদানও লাভ করছেন। বর্তমান যুগে শুধুমাত্র ধর্মের খাতিরে এরূপ আর্থিক কুরবানীর মান ও উদাহরণ কেবল আহমদীয়া জামাতেই দেখতে পাওয়া যায়।

এরপর হুযূর (আই.) বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে বসবাসকারী এ যুগের নিষ্ঠাবান আহমদীদের কতিপয় এমন ঘটনা বর্ণনা করেন যা সত্যিই আমাদের জন্য ঈমান বৃদ্ধির কারণ।

ক্যামেরুনের একজন মোয়াল্লেম সাহেব কোন একটি জামাতে তাহরীকে জাদীদের চাঁদার জন্য গেলে সেখানকার গ্রাম্য প্রধান উসমান সাহেব গ্রামের সকলকে একত্রিত করে তাহরীকে জাদীদের চাঁদা প্রদানে উদ্বুদ্ধ করে বলেন, আগে মসজিদে আমি ছাড়া মাত্র দু’একজন মুসল্লী নামায পড়ত; আর যখন থেকে এখানে আহমদীয়া জামাত এসেছে আর আমরা আহমদী হয়েছি, তখন থেকে মসজিদ মুসল্লীতে পরিপূর্ণ বরং কখনও কখনও মসজিদের বাইওে দাঁড়িয়েও নামাযীদের নামায পড়তে হয়। এটি আহমদীয়াতের কল্যাণেই সম্ভব হয়েছে। তাই আপনারা খলীফার আহবানে সাড়া দিয়ে তাহরীকে জাদীদ খাতে সাধ্যমত চাঁদা দিন। এরপর তারা সবাই সাধ্যমত এ খাতে চাঁদা প্রদান করেন।

ক্যামেরুনেরই আরেকটি ঘটনা, মাদিবু নামক জামাতের এক নবাগত আহমদী উসমান সাহেব, যিনি তাহরীকে জাদীদের জন্য দশ হাজার ফ্রাংক সিফাহ্ চাঁদা প্রদানের মনস্থ করেছিলেন। এসময় তার ছেলের শুল্ক বিভাগে চাকরির ইন্টারভিউ ছিল; কিন্তু চাকরি হওয়ার জন্য কর্তা ব্যক্তিদের যে বড় অংকের অর্থ উৎকোচ দিতে হয়, তা তার কাছে ছিল না। উসমান সাহেব ছেলেকে সাফ সাফ জানিয়ে দেন, আমি এই অর্থ চাঁদার জন্য রেখেছি, কোন ভাবেই আমি তা কাউকে দিব না। তুমি ইন্টারভিউ দাও, আল্লাহ্ তোমাকে সাহায্য করবেন। অতঃপর চাঁদা প্রদানের কয়েকদিন পরেই শহর ফোন আসে যে, তার ছেলের চাকরি হয়েছে, যা বাহ্যত একেবারেই অসম্ভব ছিল। উসমান সাহেব একে চাঁদা প্রদানের কল্যাণ বলেই সাব্যস্ত করেছেন।

বেনিনের একটি গ্রামে জামাতের সেক্রেটারী মালের উপার্জনের একমাত্র মাধ্যম তিন চাকার মোটর-সাইকেল বা অটোরিকশাটি চুরি হয়ে যায়। সে দেশে চুরি হয়ে যাওয়া এমন জিনিস ফেরত পাওয়া একেবারেই অসম্ভব। কিন্তু এই ভদ্রলোকের খোদার ওপর এতটাই আস্থা ছিল যে, তিনি মন্তব্য করেন, যেহেতু এটি আমার জীবিকার একমাত্র মাধ্যম এবং এর উপার্জন থেকে আমি চাঁদাও দেই, তাই এটি অবশ্যই আমি ফিরে পাবো। আশ্চর্যজনকভাবে তা-ই ঘটে, আর সেই ভদ্রলোক নিজের অটোরিকশা ফেরত পেয়েই মুরব্বী সাহেবকে এসে বলেন, আমার তাহরীকে জাদীদের চাঁদা এখনও বাকি রয়েছে, আমি কাজে বের হচ্ছি, আগামী এক সপ্তাহে যা আয় হবে তার পুরোটাই আমি চাঁদা হিসেবে প্রদান করবো। এই সপ্তাহে তিনি বারো হাজার ফ্রাংক সিফাহ্ আয় করেন এবং এর পুরোটাই তিনি তাহরীকে জাদীদ খাতে চাঁদা হিসেবে প্রদান করেন।

ভারতের একটি জামাতে সুফিয়া নামক এক তরুণী নিজ ভাইয়ের হাতে দু’তোলা স্বর্ণের সমমূল্য পরিমান টাকা চাঁদাস্বরূপ প্রেরণ করে বলেন, ছোটবেলায় মা’য়ের সাথে জলসায় বক্তৃতা শুনতে যেতাম; যখন শুনতাম যে, হযরত মুসলেহ মওউদ (রা.)-এর তাহরীকে জাদীদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে জামাতের মহিলারা নিজেদের অলংকার চাঁদা হিসেবে দিয়ে দিচ্ছেন, তখন থেকেই আকাঙক্ষা ছিল- আমারও যদি অলংকার থাকত তাহলে আমিও তা দিতে পারতাম! আমার মায়ের মৃত্যুর পর দু’তোলা স্বর্ণের অলংকার ভাগে পেয়েছি, তাই তা এখন তাহরীকে জাদীদের চাঁদা হিসেবে দিয়ে দিচ্ছি। জামাতের লোকেরা তাকে অনেক বুঝানোর চেষ্টা করে যে, এই গয়না তোমার বিয়ের সময় কাজে আসবে, তাই তুমি দিও না কিন্তু এই তরুনী নিজ সংকল্পে অনড় থাকেন এবং চাঁদা প্রদান করেন।

হুযূর (আই.) এই ঘটনার প্রেক্ষিতে বলেন, জামাতের গরীবরা অসাধারণ নিষ্ঠার সাথে চাঁদা দেয়; কিন্তু এক্ষেত্রে ধনীদেরও চিন্তা করা উচিত, তারা তাদের সামর্থ্যরে তুলনায় কী করছে! তাদেরও নিজ সামর্থ্য অনুসারে আর্থিক কুরবানী করা উচিত।

মস্কোর মুবাল্লিগ সাহেব লিখেন, সেখানকার একজন আহমদীর নতুন চাকরির সময় মালিকপক্ষ স্পষ্ট জানিয়ে দেয় যে, এখানে শুরুতে যে বেতন ধার্য করা হবে তা-ই পাবেন, আর বাড়ানো হবে না; তিনি এই শর্তেই চাকরিতে যোগদান করেন। কিছুদিন পর যখন তিনি তাহরীকে জাদীদ ও ওয়াকফে জাদীদ সম্পর্কে জানতে পারেন তখন থেকে নিয়মিত এ খাতে চাঁদা দিতে শুরু করেন। এর কয়েকদিন পর কোন কারণ ছাড়াই মালিকপক্ষ পরপর দু’দফায় তার বেতন আরও ৭ হাজার রুবেল বৃদ্ধি করা হয়। তার মতে আল্লাহ্‌র পথে কুরবানীর ফলেই এমনটি সম্ভব হয়েছে।

বুর্কিনাফাঁসোর এক ব্যক্তি আলহাজ্জ ইব্রাহীম সাহেবের দু’সন্তান বেশ কিছুদিন যাবৎ অসুস্থ ছিল, অনেক চিকিৎসা সত্ত্বেও তেমন কোন উপশম হচ্ছিল না। জামাতের মুয়াল্লিম সাহেব তাকে আর্থিক কুরবানীর ব্যাপারে বললে, তিনি চাঁদা দেন ও দোয়া করেন যেন এর কল্যাণে তার সন্তানরা আরোগ্য লাভ করে। এর কয়েক দিন পরই তার এক সন্তান পুর্ণ আরোগ্য লাভ করে, আর অপরজনের অবস্থারও যথেষ্ট উন্নতি হয়। ইব্রাহীম সাহেব বলেন, আল্লাহ্ তার চাঁদা ও দোয়া কবুল করে এমনটি করেছেন।

এরকম আরও বেশ কিছু ঘটনা হুযূর (আই.) উল্লেখ করেন। এরমধ্যে যুক্তরাজ্য, জার্মানী এবং কানাডারও কয়েকটি ঘটনা রয়েছে, যাতে দেখা যায় যে, আল্লাহ্‌র রাস্তায় আর্থিক কুরবানীর কল্যাণে আল্লাহ্ তা’লা তাৎক্ষণিকভাবে তাদের আয়-রোজগার বৃদ্ধি করে দিয়েছেন বা এমন স্থান থেকে তাদের জন্য পর্যাপ্ত অর্থের সংকুলান করেছেন যা তারা কল্পনাও করতে পারেন নি।

হুযূর (আই.) বলেন, এরকম অজস্র ঘটনা প্রতিনিয়ত নিখিলবিশ্ব আহমদীয়া জামাত প্রত্যক্ষ করছে। হুযূর (আই.) দোয়া করেন, আল্লাহ্ তা’লা সকল আর্থিক কুরবানীকারীর ঈমান ও বিশ্বাস বৃদ্ধি করতে থাকুন এবং সর্বদা তাদের ধন-সম্পদ ও জনবলে প্রভূত বরকত দিন।

খুতবার শেষদিকে হুযূর (আই.) তাহরীকে জাদীদের নববর্ষের ঘোষণা করেন ও গত বছরের কিছু পরিসংখ্যান উল্লেখ করেন। বিগত বছরটি তাহরীকে জাদীদের ৮৪তম বছর ছিল, ১লা নভেম্বর, ২০১৮ থেকে ৮৫তম বছর শুরু হয়েছে। গত বছর ১ কোটি ২৭ লক্ষ ৯৩ হাজার পাউন্ডের অধিক চাঁদা এই খাতে আদায় হয়েছে, যা বিগত বছরের তুলনায় ২ লক্ষ ১২ হাজার পাউন্ড বেশি। বরাবরের মতই সর্বমোট আদায়ের দিক থেকে পাকিস্তান সবার শীর্ষে রয়েছে। এর বাইরের দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষ দশটি দেশ হল- জার্মানি ১ম, যুক্তরাজ্য ২য়, আমেরিকা ৩য়, কানাডা ৪র্থ, ভারত ৫ম, অস্ট্রেলিয়া ৬ষ্ঠ, ৭ম স্থানে রয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের একটি দেশ, ইন্দোনেশিয়া ৮ম, ঘানা ৯ম আর ১০ম স্থানে রয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের আরেকটি দেশ। এ বছর ১৭ লাখ ১৭ হাজার সদস্য এই চাঁদার খাতে অংশগ্রহণ করেছেন, চাঁদাদাতা বৃদ্ধি পেয়েছে ১ লাখ ১৭ হাজার জন।

এরপর হুযূর (আই.) বিভিন্ন দেশের আভ্যন্তরীণ অবস্থান তুলে ধরে মাথাপিছু চাঁদা প্রদানের ক্ষেত্রে শীর্ষ দেশগুলোর পরিসংখ্যান বর্ণনা করেন। আল্লাহ্ তা’লা সকল কুরবানীকারীর সম্পদ ও জনবলে প্রভূত বরকত ও প্রবৃদ্ধি দান করুন। আমীন।