হাজীউল হারামাঈন হযরত হাফেয মৌলভী নূরুদ্দীন খলীফাতুল মসীহ্‌ আওওয়াল (রাঃ)


আলহাজ্জ মাওলানা সালেহ্‌ আহমদ, মুরব্বী সিলসিলাহ্‌

হযরত হাফেয মৌলভী নূরুদ্দীন (রাঃ) ১৮৪১ সনে পাঞ্জাবের এক পুরাতন বিখ্যাত শহর ভেরায় জন্মগ্রহণ করেন। পিতার নাম হাফেয গোলাম রসূল এবং মাতার নাম নূর বাখত। তিনি (রাঃ) হযরত ওমর (রাঃ) বংশধরদের ৩২তম প্রজন্মের অন্তর্গত ছিলেন। তাঁর (রাঃ) বংশে অসংখ্য ওলী ও বুযুর্গ গত হয়েছেন, তাঁর (রাঃ) পূর্বের ১১ প্রজন্মের সকলে কুরআনের হাফেয ছিলেন। এ দিয়ে বুঝা যায় পরাম্পরায় তাঁর (রাঃ) বংশ কুরআনের প্রেমে সিক্ত ও বিভোর ছিলো। তিনি তাঁর (রাঃ) মাতা থেকে প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে রাওয়ালপিন্ডিতে যান এবং সেখানে শিক্ষা গ্রহণ করেন। শিক্ষা শেষে “পিন্ড দাদনখান” গ্রামের স্কুলে তিনি চার বছর হেড মাষ্টার হিসেবে কাজ করেন। এরপর চাকুরী ছেড়ে দিয়ে রামপুর, লাখনৌ, মিরাঠ এবং ভূপাল সফর করেন এবং এসব স্থানে অবস্থান করে আরবী, ফার্সী, তর্কশাস্ত্র, দর্শন, হেকীমী শাস্ত্রে লেখা পড়া করেন। কুরআন তাঁর (রাঃ) জীবন ছিল এবং কুরআনের জ্ঞানকে আরো সমৃদ্ধ করাই এসব শিক্ষা গ্রহণের মূল উদ্দেশ্য ছিল। এ সময়ে কুরআনের সূক্ষ্মতত্ত্বজ্ঞান তাঁর (রাঃ) ওপর আরো ব্যাপকভাবে প্রকাশিত হতে থাকে। ‘তাওয়াক্কুল আলাল্লাহ্‌’ যেন তাঁর রক্তের বিন্দু বিন্দুতে প্রবাহিত ছিল, কোন কাজ করার সময় বাহ্যিক উপকরণাদি আছে কি না এর প্রতি লক্ষ্য না করেই আল্লাহ্‌র ওপর ভরসা করে কাজ করা শুরু করে দিতেন এবং আল্লাহ্‌ অদৃশ্য হতে তাঁর জন্য সব কিছু সরবরাহ করে দিতেন। এতে অনেকেই তাঁকে ওলী আল্লাহ্‌ মনে করত এবং তাঁর অনুরাগী হয়ে যেত। একবার এক ‘রইস’ পুত্রের চিকিৎসা করলেন এর ফলে ‘রইস’ তাঁকে (রাঃ) এত টাকা দেন যে তাঁর (রাঃ) ওপর হজ্জ ফরয হয়ে পড়ে, তিনি হজ্জের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। হজ্জ পালন করেন এবং মক্কা ও মদীনায় অবস্থান করে বড় বড় আলেমদের সাথে সাক্ষাৎ করেন এবং তাদের কাছ থেকে হাদীস পড়েন। এ সময় তাঁর (রাঃ) বয়স ছিল মাত্র ২৪/২৫ বছর। হজ্জ করে ফিরে এসে ভেরাতে চিকিৎসালয় খুলে চিকিৎসা করতে শুরু করেন এবং কুরআন ও হাদীসের শিক্ষা দান করতে লাগলেন। ১৮৭৭ সনে ভারতবর্ষের Viceroy Lord Litton এর দরবারে অংশ নেন, কিছু কাল ভূপালে থাকেন এরপর ১৮৭৬ হতে ১৮৯২ সন পর্যন্ত কাশ্মীরের মহারাজার রাজ চিকিৎসক হিসেবে কাজ করেন।

হযরত মসীহ্‌ মাওউদ (আঃ)-এর সাথে সাক্ষাৎ

গুরুদাসপুরের এক ব্যক্তির মাধ্যমে তিনি (রাঃ) হযরত মসীহ্‌ মাওউদ (আঃ) সম্পর্কে সর্বপ্রথম জানতে পান। ইতোমধ্যে হযরত মসীহ্‌ মাওউদ (আঃ)-এর একটি বিজ্ঞাপন তাঁর (রাঃ) দৃষ্টিগোচর হয়। ১৮৮৫ সনের মার্চ মাসে তিনি (রাঃ) কাদিয়ানে এসে হযরত মসীহ্‌ মাওউদ (আঃ)-এর সাথে সাক্ষাৎ করেন। প্রথম সাক্ষাতেই হযরত মসীহ্‌ মাওউদ (আঃ)-এর ব্যক্তিত্ব ও তাঁর (আঃ) তাক্‌ওয়া তাকে (রাঃ) মুগ্ধ করে এবং ভক্ত হয়ে যান। বয়আত গ্রহণের পূর্বেই হযরত মসীহ্‌ মাওউদ (আঃ)-এর আদেশে পাদ্রী Thomas Howell এর আপত্তি সমূহের উত্তরে ‘ফাসলুল খেতাব’ এবং পন্ডিত লেখরামের বই ‘তাকযীরে বারাহীনে আহ্‌মদীয়া’র উত্তরে ‘তাসদীকে বারাহীনে আহ্‌মদীয়া’ নামক দুইটি বই রচনা করেন। ১৮৮৯ সনের ২৩শে মার্চ হযরত মসীহ্‌ মাওউদ (আঃ)-এর হাতে হযরত হাফেয মৌলভী হেকীম নূরুদ্দীন সাহেব সর্বপ্রথম বয়আত গ্রহণ করেন। এভাবে তিনি হযরত মসীহ্‌ মাওউদ (আঃ)-এর প্রথম অনুসারী হয়ে যাওয়ার সৌভাগ্য লাভ করলেন। ১৮৯২ সনে তিনি কাশ্মীরের মহারাজার রাজ চিকিৎসকের চাকুরী ছেড়ে দেন এবং ভেরায় একটি বড় দালানের নির্মাণ কাজ শুরু করেন। এর মধ্যে একবার কাদিয়ান গেলে হযরত মসীহ্‌ মাওউদ (আঃ)-এর আদেশে নিজ বাড়ীর কাজ অসমাপ্ত রেখেই কাদিয়ানে স্থায়ীভাবে থেকে গেলেন। কাদিয়ানে একটি বাড়ী বানালেন এবং লোকদের চিকিৎসা শুরু করলেন, হযরত মসীহ্‌ মাওউদ (আঃ)-এর সাহচর্যে সময় কাটাতেন এবং তাঁর (আঃ) সফরসঙ্গী হতেন। হযরত মসীহ্‌ মাওউদ (আঃ)-এর সন্তানদের কুরআন ও হাদীস পড়াতেন। সকালে রুগী দেখতেন এরপর হাদীস পড়াতেন। আসরের নামাযের পর প্রতিদিন কুরআনের দরস দিতেন। মসজিদে আকসায় পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের ইমামতি করতেন এবং জুমুআর নামায পড়াতেন। কাদিয়ানে কলেজ নির্মিত হলে তিনি (রাঃ) সেখানে আরবী পড়াতে লাগলেন। ১৯০৫ সনে “আঞ্জুমানে কারপরদায মাসালেহে কবরিস্তানের” আমীন হিসেবে নিযুক্তি পান। সদর আঞ্জুমান গঠিত হলে তিনি (রাঃ)-এর প্রেসিডেন্ট নিযুক্ত হন। হযরত মসীহ্‌ মাওউদ (আঃ)কে বিভিন্ন বিষয়ের উদ্ধৃতি বের করে দিতে সাহায্য করতেন। হযরত মসীহ্‌ মাওউদ (আঃ)-এর পুস্তকের প্রুফ দেখতেন। ধর্মীয় বিতর্কে সাহায্য করতেন, ‘আল হাকাম’ ও ‘আল বাদর’ পত্রিকার জন্য নিয়মিত লিখতেন, কুরআন করীমের উর্দু অনুবাদ করেছিলেন এবং তা ছাপানোর জন্য মৌলভী মুহাম্মদ আলী সাহেবকে দিয়েছিলেন। ৬৭ বছর বয়সে ২৭শে মে ১৯০৮ সনে তিনি (রাঃ) জামাআতে আহ্‌মদীয়ার প্রথম খলীফা নির্বাচিত হন। প্রায় ১২০০ (বারশত) লোক তাঁর (রাঃ) হাতে বয়আত গ্রহণ করেন, ‘আল হাকাম’ ও ‘আল বাদর’ পত্রিকায় নিম্নোক্ত ঘোষণা ছাপা হয়।

“তিনি (আঃ) ‘আল ওসীয়্যত’ পুস্তকে যা লিখে গেছেন তাঁর (আঃ) সেই ওসীয়্যত অনুযায়ী কাদিয়ানে অবস্থানরত সদর আঞ্জুমানের সদস্যবৃন্দ, হযরত মসীহ্‌ মাওউদ (আঃ)-এর নিকটাত্মীয় এবং হযরত আম্মাজান (রাঃ)-এর পরামর্শানুযায়ী কাদিয়ানে অবস্থানরত সবাই যাদের সংখ্যা বারশত ছিল সম্মানিত হাজীউল হারামাঈন শারীফায়ন জনাব হেকীম নূরুদ্দীন সাল্লামাহুকে তাঁর (আঃ) স্থলাভিষিক্ত ও খলীফা হিসেবে গ্রহণ করেন এবং তাঁর (রাঃ) হাতে বয়আত করেন। সদর আঞ্জুমানের নিম্নোক্ত সদস্যবৃন্দ সেখানে উপসি’ত ছিলেন। হযরত মৌলভী সৈয়্যদ মোহাম্মদ আহসান সাহেব, সাহেবজাদা মির্যা বশীরুদ্দীন মাহমুদ আহমদ সাহেব, নওয়াব মুহাম্মদ আলী খান সাহেব, শেখ রহমতুল্লাহ্‌ সাহেব, মৌলভী মুহাম্মদ আলী সাহেব, ডাঃ মির্যা ইয়াকুব বেগ সাহেব, মৌলভী ডাঃ সৈয়দ মুহাম্মদ হোসেন সাহেব, খলীফা রশীদুদ্দীন এবং খাকসার (খাজা কামালুদ্দীন)। সিলসিলার সব সদস্যকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে তারা যেন হেকীমুল উম্মত খলীফাতুল মসীহ ওয়াল মাহদীর হাতে বয়আত করে। এভাবেই যেন (আদেশ পালন) করা হয়। হযরত খলীফাতুল মসীহ্‌ আওওয়াল এর নির্বাচন হযরত আবু বকর (রাঃ) নির্বাচনের ন্যায় উম্মতের সর্বসম্মতিক্রমে হয়েছে, খোদার অভিপ্রায়ে হয়েছে এবং কোন ধরণের মতবিরোধ হয়নি।”

তাঁর (রাঃ) খিলাফত কালে কাদিয়ানে গার্লস স্�����ল চালু হয়। ১৯০৯ সনে “আখাবারে নূর” (‌নূর পত্রিকা) প্রকাশ আরম্ভ করেন। ১৯১০ সনে মসজিদে নূর এর ভিত্তি প্রস্তর রাখেন, এছাড়া মাদ্রাসা তালিমুল ইসলাম হাই স্কুল এবং হোষ্টেলেরও ভিত্তি প্রস্তর রাখেন, মসজিদে আকসা প্রসারিত করেন। জামাআতের লোকদের তরবীয়ত দেয়ার জন্য ‘ওয়ায়েযীন’ নিযুক্ত করেন। যাদের মধ্যে কয়েকজন হলেন শেখ গোলাম আহমদ (রাঃ), হাফেয গোলাম রসূল সাহেব ওযীরাবাদী (রাঃ), হযরত মাওলানা গোলাম রসূল সাহেব রাযেকী (রাঃ)। ১৯১৩ সনে ইউরোপে প্রথম আহ্‌মদীয়া মিশন প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯১০ সনে তিনি (রাঃ) ঘোড়া থেকে পড়ে গুরুতরভাবে আহত হন। অসুস্থাবস্থায় সাহেবযাদা মির্যা বশীরুদ্দীন মাহমুদ আহমদকে ইমামুস সালাত নিযুক্ত করেন এবং ওসীয়্যত করেন দুটি শব্দে “খলীফা মাহমুদ”। দীর্ঘদিন অসুস্থ্যতার পর শুক্রবার ১৩ই মার্চ ১৯১৪ সনে ইন্তেকাল করেন এবং কাদিয়ানে বেহেস্তী মাকবেরাতে হযরত মসীহ্‌ মাওউদ (আঃ)-এর কবরের পাশে সমাহিত হন। তাঁর (রাঃ) খিলাফতকালে তিনি খিলাফতের ব্যবস্থাপনাকে সূদৃঢ় করেন। খিলাফত ও খলীফার মর্যাদাকে বার বার খুতবা এবং ওয়ায নসীহতের মাধ্যমে তুলে ধরেন এবং জামাআতের তরবীয়ত করেন, এভাবে তিনি খিলাফতের প্রতি অনুরক্ত শিশা ঢালা এক জামাআত তৈরী করে যান। হযরত খলীফাতুল মসীহ্‌ আওওয়াল (রাঃ) সংক্রান্ত কয়েকটি ভবিষ্যদ্বাণী লিপিবদ্ধ করছি। হযরত মহিউদ্দীন ইবনে আরাবী (রহঃ) বলে গেছেন,

‘মাহদীর সহকারী সবাই অনারব হবে, কেউ আরবী হবে না তবুও তারা আরবী ভাষায় কথা বলবে। এদের মাঝে একজন হাফেয কুরআন হবেন। তিনি তাদের (অর্থাৎ অন্যান্য অনুসারীদের) মত হবেন না কারণ তিনি কখনো খোদার অবাধ্যতা করেন নি। তিনিই সেই প্রতিশ্রুত ব্যক্তির বিশেষ সহকারী হবেন এবং উত্তম বিশ্বস্ত (সাথী) হবেন। (আল ফতুহাতে মক্কীয়া তৃতীয় খন্ড, পৃঃ ৩২৮ বৈরুত হতে প্রকাশিত)

পঞ্চম শতাব্দীর ইমাম ইয়াহইয়া বিন আকাব (রহঃ) বলে গেছেন,

“হযরত ইমাম মাহদীর পরে এক মহান আরবীয় বংশের এক ব্যক্তির আবির্ভাব ঘটবে। তিনি সত্য (খলীফা) হবেন। পুণ্যবান উত্তম চরিত্রের অধিকারী এবং আধ্যাত্মিক জগতে উচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন হবার কারণে তিনি (আধ্যাত্মিক) রাজত্বের উত্তরাধিকারী হবেন।” (শামসুল মাআরেফিন কুবরা, রচনা শেখ আবুল আব্বাস আহমদ বিন আলী)

হযরত মির্যা বশীর আহমদ সাহেব (রাঃ) তাঁর পুস্তক ‘সীরাতুল মাহদী’তে হযরত মুবারাকা বেগম সাহেবা (রাঃ)-‌এর একটি রেওয়ায়াতে লিখেছেন,

“খাকসারকে বোন মোবারাকা বেগম সাহেবা বর্ণনা করেছেন যে হযরত মসীহ্‌ মাওউদ (আঃ) জীবনের শেষ সফরে লাহোর যাবার আগে আমাকে বললেন জরুরী একটি কাজ আছে দোয়া কর এবং কোন স্বপ্ন দেখলে বলো, মুবারাকা বেগম স্বপ্নে দেখলো সে উঠানে গেছে সেখানে হযরত মৌলভী নূরুদ্দীন সাহেব একটি বই নিয়ে বসে আছেন এবং বললেন, দেখ এ বইটিতে আমার সম্পর্কে হযরত সাহেবের ইলহামসমূহ লিপিবদ্ধ আছে এবং আমি আবু বকর। দ্বিতীয় দিন সকালে হযরত সাহেব (আঃ) নবাব মুবারেকাকে জিজ্ঞেস করলেন কোন স্বপ্ন দেখেছো? মুবারেকা বেগম উপরোক্ত স্বপ্নটি শুনালে হযরত সাহেব বললেন, “এ স্বপ্নটি তোমার মাকে বলবে না। মুবারেকা বেগম বলতেন আমি সে সময়ে স্বপ্নের তাৎপর্যটি বুঝতে পারিনি।” (সীরাতুল মাহদী ৩য় খন্ড পৃ ৩৭)

হযরত সাহেবযাদা আব্দুল লতিফ শহীদ (রাঃ) বলে গিয়েছিলেন, তিনি প্রথম খলীফা হবেন। সৈয়্যদ আহমদ নূর কাবলী (রাঃ) বর্ণনা করেন,

একবার তহশীলদার আযব খান সাহেব যখন আমাদের এখানে আসলেন সে সময় নিজ বাড়ী ফিরে যাবার পূর্বে হযরত মসীহ্‌ মাওউদ (আঃ)-এর কাছ থেকে যাবার অনুমতি নিয়ে শহীদ মরহুমের অর্থাৎ সাহেবযাদা আব্দুল লতীফ শহীদ (রাঃ) কাছে আসলেন এবং বললেন, হযরত সাহেব (আঃ) হতে অনুমতি নিয়ে এসেছি কিন্তু মৌলভী নূরুদ্দীন সাহেবের কাছ থেকে অনুমতি নেই নি। শহীদ মরহুম বললেন, মৌলভী সাহেবের কাছ থেকেও যাবার অনুমতি নিও কারণ মসীহ্‌ মাওউদ (আঃ)-এর পর তিনিই প্রথম খলীফা হবেন। কাবুল যাবার প্রাক্কালে মরহুম হযরত মৌলভী সাহেবের কাছ থেকে বুখারী শরীফের দুই তিন পৃষ্ঠা পড়েন এবং আমাদের বললেন, আমি এ পৃষ্ঠা এজন্য পড়েছি যেন আমি তাঁর (রাঃ) ছাত্রদের অন্তর্গত হই, হযরত (আঃ) এর পর ইনিই প্রথম খলীফা হবেন।” (শহীদ মরহুম হযরত সাহেবযাদা আব্দুল লতীফ, চাশাম দীদ ওয়ালেআত পৃ ৯-১০)

আরো অনেক ভবিষ্যদ্বাণী ও স্বপ্ন রয়েছে যেগুলোতে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে তিনি (রাঃ) প্রথম খলীফা হবেন। খিলাফতের শতবার্ষিকী উদযাপনের এ বছরে তাঁর জন্য আমাদের সকলের দোয়া করা উচিত এবং তাঁর (রাঃ) প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা উচিত কারণ মসীহ্‌ (আঃ)-এর খিলাফতের ধারাকে আমরা তাঁর (রাঃ) মাধ্যমে পেয়েছি। আল্লাহ্‌ তাআলা আমাদের সবাইকে তাঁর (রাঃ) অনুকরণ করার তৌফিক দিন আমীন!

পাক্ষিক আহ্‌মদী - ৩১শে মে, ২০০৮ইং