সবুজ ইশতেহার
হযরত মির্যা গোলাম আহ্মদ - প্রতিশ্রুত মসীহ্ ও ইমাম মাহ্দী (আ.)-এর লিখিত পুস্তকাবলী
হযরত আহমদ (আ.) এমন এক পুত্রসন্তানের জন্মের ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, যে অসাধারণ গুণাবলির অধিকারী ও দীর্ঘজীবী হবে। যখন বশির (প্রথম) মারা গেলেন, তখন বিরুদ্ধবাদীরা শোরগোল শুরু করে দিল এই বলে যে, হযরত আহমদ (আ.)-এর প্রতিশ্রুত-পুত্র সম্পর্কিত ভবিষ্যদ্বাণী মিথ্যা সাব্যস্ত হয়েছে। হযরত আহমদ (আ.) এর জবাব একটি সবুজ রঙের পোষ্টারে বিজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করেন যা ‘সবুজ ইশতেহার’ নামে পরিচিতি লাভ করে। প্রকৃতপক্ষে পোষ্টারটির শিরোনাম ছিল ‘হাক্কানী তাকরীর বার ওয়াকিয়া-ওয়াফাত বাশির’ (অর্থাৎ বশিরের মৃত্যু সম্পর্কিত সম্পূর্ণ সত্য বর্ণনা)।
বশির (প্রথম), ১৮৮৭ খ্রিষ্টাব্দের ৭ আগষ্ট জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৮৮৮ সালের ৪ নভেম্বর মৃত্যুবরণ করেন। হযরত মির্যা গোলাম আহমদ (আ.) বিজ্ঞাপনগুলো মুদ্রণ করিয়েছিলেন যথাক্রমে ২০ ফেব্রুয়ারি ১৮৮৬ ইং, ৮ এপ্রিল ১৮৮৬ ইং এবং ১৭ আগষ্ট ১৮৮৭ ইং তারিখে।
এতে তিনি (আ.) বিরুদ্ধবাদীদের বিজ্ঞাপনের ঐ বিষয়টির প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেন, যেখানে প্রকৃতপক্ষে দু’জন সন্তানের উল্লেখ রয়েছে। তাদের একজন এই নশ্বর পৃথিবীতে জন্মগ্রহণের পর খুব দ্রুত একজন মেহমানের মত এই পৃথিবী ছেড়ে চলে যাবে। অপরজন দীর্ঘজীবী হবে এবং প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন ঘটাবে। আর এই বিজ্ঞাপনের শেষাংশে (এটি ১৮৮৮ সালের ডিসেম্বরে প্রকাশ করা হয়) হযরত আহমদ (আ.) তবলীগ (বার্তা সম্প্রচার) শিরোনামে একটি নোট সংযোজন করেন। যেখানে লোকদেরকে তার পবিত্র হাতে বয়াতের আমন্ত্রণ জানান।
তিনি (আ.) দ্ব্যর্থহীনভাবে ঘোষণা করেন, তিনি আল্লাহ কর্তৃক আদিষ্ট হয়েছেন এবং সত্যানুসন্ধিৎসুদের তিনি আল্লাহ তা’লার প্রতি আস্থা, বিশ্বাস ও ভালোবাসার খাতিরে বয়’আতের আহবান জানান।