ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভ

জামা'তের বিভিন্ন বুজুর্গ ব্যক্তিবর্গের লিখিত পুস্তকাবলী

আহমদীয়া মুসলিম জামা’ত কোন নতুন ধর্মমত নয়। আহমদীয়াত— খাঁটি ইসলামের অপর নাম। বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা. ) শেষ যুগে মুসলমানদেরকে ঐক্যবদ্ধ করার জন্য এবং হারানো ঈমান পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে এক মসীহ্ ও ইমাম মাহদী আগমনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। যাঁর কাজ হবে ইসলামের খাঁটি শিক্ষা পুনরুজ্জীবিত করা। ইসলামের মৌলিক বিষয়ে অন্যান্য সুন্নী মুসলমানদের বিশ্বাস আর আমাদের বিশ্বাস এক ও অভিন্ন। আমরাও অন্যান্য ফির্কার মত ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভে বিশ্বাস করি বরং আমরা যাঁকে ইমাম মাহদী বলে মান্য করি তিনিও এই পাঁচটি স্তম্ভে বিশ্বাসী। তিনি বলেছেন , “আমরা মুসলমান। এক অদ্বিতীয় খোদা তা’লার প্রতি ঈমান রাখি এবং লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রসূলুল্লাহ্ কলেমায় আমরা বিশ্বাসী। আমরা নামায পড়ি ও রোযা রাখি এবং কিবলামুখী হই। ….. আমরা শরীয়তে কোন কিছু সংযোজনও করি না, বিয়োজনও করি না এবং এক বিন্দু পরিমাণও কম-বেশি করি না। যা কিছু রসূলুল্লাহ্ (সা. ) – এর মাধ্যমে আমরা পেয়েছি— আমরা এর হিকমত বুঝি বা না বুঝি কিংবা এর অন্তর্নিহিত তত্ত্ব নাইবা উদ্ধার করতে পারি— আমরা তা গ্রহণ করি। আমরা আল্লাহ্ ফযলে বিশ্বাসী, একত্ববাদী মুসলমান।” [নূরুল হক্ব, খণ্ড: ১, পৃ: ৫]

এ বিষয়ে তিনি (আ. ) আরো বলেন, “আমি আমার জামা’তকে উপদেশ দিচ্ছি, তারা যেন বিশুদ্ধ অন্তরে পবিত্র কলেমা ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ্’ – এর উপর ঈমান রাখে এবং এই ঈমান নিয়ে মৃত্যুবরণ করে। কুরআন শরীফ হতে যাদের সত্যতা প্রমাণিত, এমন সকল নবী (আলাইহিমুস সালাম) এবং কিতাবের প্রতি ঈমান আনবে। নামায, রোযা, হজ্ব ও যাকাত এবং এতদ্ব্যতীত খোদা তা’লা এবং তাঁর রসূল (সা.) কর্তৃক নির্ধারিত কর্তব্যসমূকে প্রকৃতপক্ষে অবশ্য-করণীয় মনে করে যাবতীয় নিষিদ্ধ বিষয়সমূহকে নিষিদ্ধ মনে করে সঠিকভাবে ইসলাম ধর্ম পালন করবে।” [আইয়ামুস্ সুলেহ্, পৃ: ৮৬-৮৭]