আপত্তি: চন্দ্র-সূর্যগ্রহণের হাদিসটি রসূলুল্লাহ্‌ (সা.)-এর বক্তব্য নয়


আপত্তিঃ মির্যা সাহেব যে চন্দ্রগ্রহণ ও সূর্যগ্রহণের হাদিস উল্লেখ করেছেন যে, এটি রসূল (সা.) এর বক্তব্য। কিন্তু এটি মূলত ইমাম বাকেরের বক্তব্য। এটি একটি প্রতারণা। এটি দুর্বলতম হাদিস। রাবীদের মধ্যে একজন কাযযাব রাবী রয়েছে।

জবাবঃ আব্দুল মজিদ যে বলল, একজন রাবী কাযযাব এর ভিত্তি কি? সকলের অবগতির জন্য বলছি, ইমাম আবুল হাসান ইমাম বাকের থেকে এই হাদিসটি র্বণনা করেছেন, যিনি হযরত হুসাইন (রা.) এর দৌহিত্র ছিলেন, অর্থাৎ আহলে বায়তের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। অতএব তার ব্যপারে কথা বললে সাবধানে বলা উচিত। কেননা আহলে বায়েতরা কখনও মুহাম্মদ (সা.) এর নাম ধরে রেওয়ায়েত করতেন না। তারা সর্বদা নিজেদের পক্ষ থেকে মহানবী (সা.) এর কথা বর্ণনা করতেন। এ বিষয়টি প্রসিদ্ধ।

এছাড়া কুরআন করীমে যে বিষয়ের ভবিষ্যৎদ্বাণী আছে তাকে এভাবে ভুয়া বলে দেয়া পাগলের প্রলাপ ছাড়া আর কিছুই নয়। সূরা কিয়ামার ৮-১০ আয়াতে আছে- এ যখন দৃষ্টি চমকে যাবে (চন্দ্র জ্যোতিহীন হয়ে যাবে ()এবং সূর্য ও চন্দ্রকে একত্রিত করা হবে”

এখানে স্পষ্টভাবে চন্দ্র ও সূর্যগ্রহণের ভবিষ্যদ্বানী করা আছে। তদুপরি, একজন ব্যক্তি দাবী করার পর যখন চন্দ্র ও সূর্যগ্রহণের ভবিষ্যদ্বানী করলেন। এরপর তা পূর্ণ হল এটা কি এমনিতেই হয়ে গেল? অবশ্যই খোদা তা’লা এটি পূর্ণ করে দেখিয়েছেন। এরপর তো এই হাদিস সম্মন্ধে সন্দেহ থাকতেই পারে না, যেখানে আসমান তার পক্ষে সাক্ষ্য দিয়েছে এবং ঘটনা ঘটে গেছে। অতএব, যারা মানবে না তারা মানবেই না। মির্যা সাহেব এর দাবীর পর বিরুদ্ধবাদীরা বলতে লাগল, চন্দ্র সূর্যগ্রহনের নিদর্শন কোথায়। এরপর যখন তিনি এই নিদর্শন দেখালেন তখন এই আপত্তি করল যে, এমন হাদিস তো যয়ীফ। আল্লাহ্ তাদেরকে সুবুদ্ধি দান করুন।

অন্যান্য উত্তর