আপত্তি- হাযা খালিফাতুল্লাহিল মাহদী বুখারীর হাদিস
আপত্তি: মির্যা সাহেব বলেন, ‘বুখারী শরীফের ঐ সকল হাদীস সমূহ যাতে শেষ যুগের কিছু খলীফাদের ব্যাপারে সংবাদ দেয়া হয়েছে। বিশেষ করে ঐ খলীফা, যার ব্যাপারে আসমান থেকে এই ডাক আসবে যে, ‘এই হল আল্লাহর খলীফা আল-মাহদী’। এবার ভাব, এটা কেমন মর্যাদাবান কিতাব, যাকে কুরআনের পর সবচেয়ে বিশুদ্ধ গ্রন্থ মনে করা হয়!?’ [রূহানী খাযায়েন ৬/৩৩৭] আপত্তি হল, বুখারী শরীফের আশ্রয় নিয়ে মির্যা সাহেব নিজের ইমাম মাহদী হবার দাবীকে দৃঢ় করার চেষ্টা করেছেন অথচ এই হাদীসটি বুখারীতে নেই! সত্য দাবীর জন্য মিথ্যা বলার কোন প্রয়োজন নেই।
উত্তর: আমরা মির্যা সাহেবকে রসূলুল্লাহ্(সা.)-এর কল্যাণে উম্মতী নবী হিসাবে মেনেছি। নবী মানুষ হয়ে থাকেন, তিনি খোদা নন। একমাত্র আল্লাহ্ সকল ভুল-ত্রুটি ও স্মৃতি-ভ্রমের ঊর্ধ্বে। নবী-রসূলরা মানবীয় দুর্বলতা ও সীমাবদ্ধতার ঊর্ধ্বে নন। তদনুযায়ী বিভিন্ন সময় তাদের স্মৃতিভ্রম ঘটতে পারে। হযরত আদম (আ.) সম্পর্কে পবিত্র কুরআনে লেখা আছে,
وَلَقَدْ عَهِدْنَا إِلَىٰ آدَمَ مِن قَبْلُ فَنَسِيَ وَلَمْ نَجِدْ لَهُ عَزْمًا
আমি ইতিপূর্বে আদমকে নির্দেশনা দিয়েছিলাম, অতঃপর সে ভুলে গেল কিন্তু তার মাঝে আমি ইচ্ছাকৃত (পাপ) করার প্রবণতা দেখতে পাই নি (সূরা তাহা: ১১৬)।
হযরত আদম(আ.)-এর এই ভুল করা সত্ত্বেও তাঁর নবী হওয়া নিয়ে কারও মনে কোন সংশয় নেই। হযরত মূসা(আ.) এবং তাঁর সাথী পথ চলতে চলতে নিজেদের মাছের কথা বেমালুম ভুলে গেছেন। এ সম্পর্কে কুরআনে উল্লেখ আছে,
فلَمَّا بَلَغَا مَجْمَعَ بَيْنِهِمَا نَسِيَا حُوتَهُمَا
হযরত মূসা এবং তার সহচর উভয়ে মাছটির কথা ভুলে গেলেন (সূরা কাহ্ফ: ৬২)।
এ স্মৃতিভ্রম সত্ত্বেও আপত্তিকারীর দৃষ্টিতে নিশ্চয় হযরত মূসা(আ.) সত্য নবী হিসেবেই স্বীকৃত। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ(সা.) সর্বশ্রেষ্ঠ হওয়া সত্ত্বেও আল্লাহ্ ছিলেন না, তিনি মানুষই ছিলেন। বুখারী শরীফের কিতাবুস সালাত- এর হাদীসটি দেখুন,
যেখানে বলা আছে, একবার আসরের নামাযে দু’রাকাত পড়ে মহানবী(সা.) সালাম ফিরিয়ে দিলেন।
যুল ইয়াদাইন(রাযি.) বললেন,
قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَنَسِيتَ أَمْ قَصُرَتِ الصَّلاَةُ قَالَ ” لَمْ أَنْسَ، وَلَمْ تُقْصَرْ ”. فَقَالَ ” أَكَمَا يَقُولُ ذُو الْيَدَيْنِ ”. فَقَالُوا نَعَمْ. فَتَقَدَّمَ فَصَلَّى مَا تَرَكَ،
হে আল্লাহ্র রসূল! আপনি কি ভুলে গেছেন নাকি নামায সংক্ষিপ্ত করে দেয়া হয়েছে? তিনি(সা.) বললেন, আমি ভুলেও যাই নি আর নামায সংক্ষিপ্তও করা হয় নি। এরপর রসূলুল্লাহ্(সা.) উপস্থিত সাহাবীদের জিজ্ঞাসা করলেন, যুল ইয়াদাইন যা বলছে আসলে কি তাই? মুসুল্লিগণ বললেন, হ্যাঁ। এরপর তিনি(সা.) অবশিষ্ট নামায আদায় করলেন। (বুখারী, কিতাবুস্ সালাত, ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক অনুদিত বুখারী শরীফ: ১ম খ-, পৃষ্ঠা-২৬১ হাদীস নম্বর-৪৬৬)
উল্লিখিত হাদীসে রসূলুল্লাহ্(সা.) বলেছেন, আমি ভুলেও যাই নি বা নামাযও সংক্ষিপ্ত করা হয় নি। অথচ সাহাবা(রা.) সাক্ষী দিলেন, ভুল হয়েছে। এরপর তিনি(সা.) ভুলটিকে সংশোধন করে নিয়ে অবশিষ্ট দু’রাকা’ত নামায আদায়ও করলেন। আর মহানবী(সা.) সম্পর্কে পবিত্র কুরআনে স্বয়ং আল্লাহ্ তা’লা বলেছেন,
وَمَا يَنطِقُ عَنِ الْهَوَىٰ-إِنْ هُوَ إِلَّا وَحْيٌ يُوحَىٰ
তিনি(সা.) প্রবৃত্তির বশবর্তী হয়ে কোন কথা বলেন না, যা বলেন তা ওহীই হয়ে থাকে (সূরা নজম: ৪-৫)। আপত্তিকারীরা কি তাহলে মুহাম্মদ(সা.)-এর বিরুদ্ধেও আপত্তি করবেন? পাঠক, এখানে আপত্তির কিছু নেই। এর মাধ্যমে মহানবী(সা.) বা অন্যান্য নবীরা নাউযুবিল্লাহ মিথ্যাবাদী সাব্যস্ত হন না বরং প্রমাণ হয় আল্লাহ্র নবীগণ মানুষ এবং তাঁরা মানবীয় সীমাবদ্ধতা ও ভুল-ত্রুটির ঊর্ধ্বে নন। এ সত্ত্বেও সর্বশক্তিমান খোদা তাদের পৃষ্ঠপোষকতা করেন এবং শত দুর্বলতা সত্ত্বেও তাদেরকে জয়ী করে দেখান। এর দ্বারা আল্লাহ্র জীবন্ত অস্তিত্ব প্রমাণিত হয়। যে নবী আল্লাহ্র ওহী না পেয়ে কথা বলেন না, তিনি(সা.) মদিনায় খেজুরের পরাগায়ণ সম্পর্কে যে কথা বলেছিলেন তা কি ফলপ্রসু হয়েছিল? পরবর্তী বছর খেজুরের ফলন কম হলে সাহাবীরা যখন বললেন, রসূল(সা.)-এর কথানুযায়ী তারা পরাগায়ণ করান নি। এর উত্তরে রসূলুল্লাহ্(সা.) বলেছিলেন,
أَنْتُمْ أَعْلَمُ بِأَمْرِ دُنْيَاكُمْ
অর্থাৎ জাগতিক বিষয়ে তোমরাই ভাল জ্ঞান রাখ। এখন বলুন, এর আগের বছর যখন তিনি পরাগায়ণ করতে নিরুৎসাহিত করেছিলেন তখন কি তিনি ওহীপ্রাপ্ত ছিলেন না? অবশ্যই ছিলেন, কিন্তু কোন মানুষের ওহীপ্রাপ্ত হওয়া কাউকে ইশ্বরত্বের পর্যায়ে নিয়ে যায় না। তিনি মানুষই থাকেন। মানবীয় সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও তাঁর সাফল্য ও তাঁর মাধ্যমে আধ্যাত্মিক বিপ্লব সাধন তাঁকে আল্লাহর প্রতিনিধি সাব্যস্ত করে।
তেমনিভাবে মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী(আ.)ও আল্লাহ্ তা’লার পক্ষ থেকে প্রেরিত হয়েও যেহেতু তিনি মানুষ ছিলেন তাই তাঁর দ্বারাও স্মৃতিভ্রম জাতীয় ভুল-ভ্রান্তি হতে পারে। তিনি নিজেই বলেছেন,
‘আমার দ্বারা যেসব ভুল হয় তা মানুষ হিসেবে আমার পক্ষ থেকেই হয়ে থাকে আর যেসব সত্য আমি বর্ণনা করি তা আমার প্রভুর পক্ষ থেকে। আমার প্রভু আমাকে তত্ত্বজ্ঞানের পেয়ালা পান করিয়ে পরিতৃপ্ত করেছেন। সেই সাথে এটিও বলে দিচ্ছি, আমি আমার নিজেকে ভুল করা এবং স্মৃতি-বিভ্রাট থেকে পবিত্র বলে মনে করি না’ (রূহানী খাযায়েন, খ- ৮, পৃষ্ঠা-২৭২)।
অতএব, হযরত মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী(আ.) ‘হাযা খালীফাতুল্লাহিল্ মাহ্দী’ হাদীসটি বুখারীতে আছে বলে যে কথা লিখেছেন, এক্ষেত্রেও আমরা সে উত্তরই দিব যা হযরত মোল্লা আলী কারী(রহ.) আল্লামা ইবনে রাবী’ সম্পর্কে দিয়েছেন আর তা হল, হয় এটি লিপিকারের ভুল, নইলে লেখকের লেখার ভুল। কেননা, হযরত মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী(আ.) তাঁর পুস্তক ‘ইযালায়ে আওহাম’-এ স্পষ্টভাবে বলেছেন, ‘আমি বলি, ইমাম মাহ্দী সংক্রান্ত ভবিষ্যদ্বাণীগুলো সন্দেহমুক্ত নয়, তাই শায়খাইন (অর্থাৎ ইমাম বুখারী ও ইমাম মুসলিম) এগুলোকে গ্রহণ করেন নি’ (পৃষ্ঠা ৫৬৮)। অতএব বুঝা গেল, ‘হাযা খালীফাতুল্লাহিল মাহদী’ হাদীসটি যে বুখারীতে নেই একথা মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী(আ.) জানতেন এবং আগেই তা জনসমক্ষে প্রকাশ করেছিলেন। আর পরবর্তীতে প্রকাশিত ‘শাহাদাতুল কুরআন’ পুস্তকে তিনি যা লিখেছেন তা স্মৃতিভ্রম বা মানবীয় দুর্বলতা হেতু ভুল অথবা কলম ফসকে লেখা (সাব্কাতে কলম) বা মুদ্রণ প্রমাদ ছাড়া আর কিছুই হতে পারে না।
হ্যাঁ, তবে এই হাদীসটি সেভাবেই ‘সহীহ’ হিসেবে পরিগণ্য যেভাবে বুখারী ও মুসলিম শরীফের হাদীস ‘সহীহ্’। কেননা, এ হাদীসটি সম্পর্কে ইমাম সুয়ূতী(রহ.) বলেছেন এবং ‘যাওয়ায়েদে’ও বর্ণিত হয়েছে, এর সনদ সঠিক এবং এর বর্ণনাকারীগণ সিক্বাহ অর্থাৎ নির্ভরযোগ্য। আর ইমাম হাকেম(রহ.) তার ‘মুসতাদরেক’-এর কিতাবুত তাওয়ারীখে এটি সংকলন করেছেন এবং বলেছেন, এই হাদীসটি বুখারী ও মুসলিমের শর্তাবলী অনুযায়ী সহীহ্ বা সঠিক। (ইবনে মাজা, কিতাবুল ফিতান, বাবু খুরূজিল মাহদী, মিশর থেকে প্রকাশিত, ২৬৯ পৃষ্ঠার পাদটিকা)
এখানে আপত্তি করা হয়েছে, মির্যা সাহেব যা বলেন আল্লাহ্র পক্ষ থেকে বলেন, নিজের পক্ষ থেকে বলেন না। মির্যা সাহেব যদি সত্যিই আল্লাহ্র পক্ষ থেকে পরিচালিত হয়ে থাকেন তাহলে তার দ্বারা এ কাজ হল কীভাবে? এটিই আপত্তিকারীদের প্রধান প্রশ্ন।
হ্যাঁ, একথা সত্য, নবী-রসূলগণ আল্লাহ্র হাতের পুতুল হয়ে থাকেন। যদি মির্যা সাহেব আল্লাহ্র প্রত্যাদিষ্ট হয়ে এ কথা লিখেই থাকেন তাহলে নিশ্চিতভাবে বুঝতে হবে, আল্লাহ্ তা’লা তাঁর মাধ্যমে আলেম-উলামাদের দৃষ্টি এই হাদীসের উচ্চ মান ও মার্গের দিকে আকৃষ্ট করাতে চেয়েছেন। এই হাদীস সম্পর্কে ইমাম সুয়ূতী কী বলেছেন, আরেকবার দয়া করে ওপরে দেখে নিন। এছাড়া মুসতাদরিক-এর হাদীস সম্বন্ধে একথা নিশ্চয়ই জানা আছে, এটি ‘আলা শারায়েতে সাহীহাইন’ অনুযায়ী সংকলিত। এমনও হতে পারে ‘মুসতাদরিক আলা শারায়েতে বুখারী’ লেখা হয়েছিল কিন্তু লিপিকার লিখতে গিয়ে পূর্ববর্তী তিনটি শব্দ বাদ দিয়ে ফেলেছে।
আরেকটি উদাহরণ দিয়ে উত্তর শেষ করছি যা বাংলাদেশের আলেম উলামারা সহজেই বুঝতে পারবেন। আমাদের দেশে তারাবীর নামাযে খতমে কুরআন পড়ার সময় কখনো কখনো হাফেয সাহেবরা ভুলে যান বা কিছু আয়াত অনিচ্ছাকৃতভাবে বাদ পড়ে যায়। এটিকে হাফেয সাহেবদের প্রতারণা বলা যায় না বরং এটি তাদের স্মৃতিভ্রম মাত্র।
আপনারা সকলেই নিশ্চয় এসব জানেন। ১৮৯১ সালে লেখা ‘ইযালায়ে আওহাম’-এ স্পষ্টভাবে মির্যা সাহেব লিখেছেন, বুখারী ও মুসলিম শরীফে ইমাম মাহ্দী সংক্রান্ত কোন হাদীস বর্ণিত হয় নি আর আলোচ্য ‘শাহাদাতুল কুরআন’ পুস্তক প্রকাশের বহু পরে রচিত পুস্তকেও এর উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন হল, এসব জানা থাকা সত্ত্বেও আপত্তিকারীরা এমন আপত্তি কেন তুলছেন। তাহলে কি আপত্তিকারীরা মানুষকে ধোকা দেয়ার জন্য এমন কপটতাপূর্ণ নীতি ও মানদ- দাঁড় করিয়েছেন?
অতএব, মির্যা সাহেব মিথ্যা কথা বলে মানুষকে আহমদীয়াত তথা প্রকৃত ইসলামের দিকে আহ্বান জানান নি বরং তিনি সত্যসহকারে আবির্ভূত হয়েছেন এবং মানুষকে আল্লাহ্র সত্য পথে আহ্বান করেছেন। যুগে যুগে যখনই আল্লাহ্র পক্ষ থেকে প্রত্যাদিষ্টরা এসেছেন, সমসাময়িক আলেম- উলামা তাদেরকে মিথ্যা বলে প্রত্যাখ্যান করেছে এবং অযথা আপত্তির পর আপত্তি করেছে। তাই আপত্তিকারীদের এসব আপত্তিও আল্লাহ্র বিধান পরিপন্থী কিছু নয়।
অন্যান্য উত্তর
- আপত্তি: মির্যা সাহেব রসূল (সা.)-কে হেলাল এবং নিজেকে বদর আখ্যা দিয়েছেন
- আপত্তি: মির্যা সাহেব লিখেছেন, তার সিংহাসন সবার ওপরে
- আপত্তি: মির্যা সাহেব নিজেকে দরুদ শরীফের মধ্যে অন্তর্ভূক্ত করেছেন
- আপত্তি: মির্যা সাহেব লিখেছেন ইয়ালাস খোদাতা’লার নাম
- আপত্তি: মির্যা সাহেবের উপর অন্য ভাষায় ইলহাম হল কেন?
- আপত্তি: মির্যা সাহেব বলেছেন, মাহদীর মাধ্যমে মহানবী (সা.) এর দ্বিতীয় আগমন হবে
- আপত্তি: মির্যা সাহেব নতুন নবুয়্যত, ধর্ম, কিবলা, নামায এবং কুরআন বানিয়েছেন
- আপত্তি: মির্যা সাহেবের কথা- একটি নতুন বাহন আবিষ্কার হবে যা আগুন দ্বারা চলবে
- আপত্তি: মির্যা সাহেব বলেন, কুরআনে তাঁর নাম ইবনে মরিয়ম রাখা হয়েছে
- আপত্তি: মির্যা সাহেব রেশমী লুঙ্গি পরিধান করেছিলেন যা হারাম
- আপত্তি: মির্যা সাহেব নিজেকে মুহাম্মদ রসূলুল্লাহ বলেছেন
- আপত্তি: মির্যা সাহেব নিজেকে মরিয়ম দাবি করেছেন
- আপত্তি: চন্দ্র-সূর্যগ্রহণের হাদিসটি রসূলুল্লাহ্ (সা.)-এর বক্তব্য নয়
- আপত্তি: নামাযে যখন ওহী হত তিনি অস্থির হয়ে নামায ছেড়ে দিতেন
- আপত্তি: মির্যা সাহেবের শিক্ষক থাকার কথা তিনি অস্বীকার করেছেন
- আপত্তি: মির্যা সাহেব কলেরায় টয়লেটে পড়ে মারা গেছেন
- আপত্তি: মির্যা সাহেব মদ ও আফিমের নেশায় মত্ত ছিলেন
- আপত্তি: মির্যা সাহেব কেন ছবি তুলেছেন?
- আপত্তি: মির্যা সাহেব কেন বইপুস্তক লিখলেন, কোন নবী তো বই–পুস্তক লিখেননি।
- আপত্তি: মির্যা সাহেব কেন হজ্জ করেন নি
- আপত্তি: মির্যা সাহেব মসীহ মওউদ হওয়ার দাবি করে অস্বীকারও করেছেন
- আপত্তি: মির্যা সাহেব নিজেকে মানুষও আখ্যা দেন নি
- আপত্তি: মির্যা সাহেব অ-আহমদীদেরকে কাফের বলেছেন
- আপত্তি: মির্যা সাহেব লিখেছেন যে, কুরআন ও হাদিসে প্লেগের ভবিষ্যদ্বাণী রয়েছে
- আপত্তি: মির্যা সাহেব তার অস্বীকারকারীদের কাফের আখ্যায়িত করেন
- আপত্তি: মির্যা সাহেব কবিতা লিখেছেন আর নবী কখনও কবি হয় না
- আপত্তি: মির্যা সাহেব ঈসা (আ.)-এর মুজেজার অদ্ভুত ব্যাখ্যা করেছেন
- আপত্তি: হযরত মির্যা সাহেব খোদা তা’লার পিতা হবার দাবী করেছেন
- আপত্তি: আব্দুল হাকীম সাহেবের তফসীর সম্পর্কে তিন ধরণের কথা
- আপত্তি: তার নিজের কথা অনুযায়ী তিনি মুহাদ্দাসও নন নবীও নন
- আপত্তি: দাজ্জাল সম্পর্কে মির্যা সাহেবের বিভিন্ন ধারণা রয়েছে
- আপত্তি: মির্যা সাহেব শরীয়তবাহী নবী হবার দাবী করেছেন
- আপত্তি: যদি পূর্ণাঙ্গীন মুহাম্মদকে দেখতে চাও গোলাম আহমদকে দেখে যাও
- আপত্তি: হাজার লানত প্রসঙ্গ
- আপত্তি: মুজাদ্দেদ আহমদ বেরলভি(রহ.) শিখদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছেন
- আপত্তি: মির্যা সাহেব জিহাদ রহিত করেছেন
- আপত্তি: মির্যা সাহেব নবী হবার দাবি করেছেন
- আপত্তি: মির্যা সাহেব মুজাদ্দেদে আলফে সানীর উদ্ধৃতি বিকৃত করেছেন
- আপত্তি: বৃটিশ সরকারের অধীনে যে নিরাপত্তা পাচ্ছি তা মক্কা মদীনায়ও সম্ভব নয়
- আপত্তি: নফল হজের চেয়ে কাদিয়ানে যাওয়ার সওয়াব বেশি
- আপত্তি: ছায়া হজ্জ বাদে (কাদিয়ানের জলসা) মক্কার হজ্জ রসহীন
- আপত্তি: মক্কা ও মদীনা সম্পর্কে অমর্যাদাকর বক্তব্য
- আপত্তি: ফাতিমার বংশ থেকে কোন মাহদী আসবে না
- আপত্তি: অন্য হাদীসকে ডাষ্টবিনের ময়লার মত নিক্ষেপ করি
- আপত্তি: কুরআনে যে ভুলগুলো সংঘটিত হয়েছে আমি তা চিহ্নিত করতে এসেছি
- আপত্তি: মির্যা সাহেবের ওহীর সমষ্টির নাম কুরআনেরই একটি নাম
- আপত্তি: আমার দ্বারা সেসব বিষয় প্রকাশিত হবে যা কুরআন দ্বারা প্রকাশিত হয়েছে
- আপত্তি: মির্যা সাহেব তার প্রতি অবতীর্ণ ওহীর প্রতি কুরআনের মত ঈমান রাখেন
- আপত্তি: কুরআন ধরাপৃষ্ঠ থেকে উঠে গিয়েছিল
- আপত্তি: স্বীকার করতেই হবে যে কুরআন শরিফ অশ্লীল গালি দিয়ে ভর্তি
- আপত্তি: কুরআন আল্লাহ্র কিতাব ও আমার মুখের কথা
- আপত্তি: কুরআনকে আমি কাদিয়ানের কাছে অবতীর্ণ করেছি
- আপত্তি: যদি মূসা ও ঈসা জীবিত হত তাহলে মসীহের আনুগত্য তাদের অবশ্যই করতে হত
- আপত্তি: সমস্ত রাসূল আমার জামার মধ্যে গোপন হয়ে আছে
- আপত্তি: সব নবী ইজতেহাদী ভুলের স্বীকার হয়েছেন
- আপত্তি: মির্যা সাহেবের আধ্যাত্মিক মর্যাদা এত বড় হয় কীভাবে
- আপত্তি: হযরত ঈসা (আ.) মদ পান করতো
- আপত্তি: এই ওহীতে আল্লাহ্ আমার নাম মুহাম্মদ রেখেছেন
- আপত্তি: মুহাম্মদ পুনরায় আগমন করেছেন আমাদের মধ্যে
- আপত্তি: দিবালোকের ন্যায় স্পষ্ট যে নবুওয়তের দরজা খোলা
- আপত্তি: আলামত, মোজেযা, কারামত এবং খরকে আদত সব একই
- আপত্তি: মুহাম্মদ (সা.)-এর তেজোদ্দীপ্ত কিরণ প্রকাশের সময় নেই
- আপত্তি: কাশফের অবস্থা এভাবে চেপে বসল যে, নিজেকে মহিলা মনে হল
- আপত্তি: তোমাকে একজন ছেলের সংবাদ দিচ্ছি যার সাথে খোদা প্রকাশিত হবে
- আপত্তি: মিকাইল অর্থ খোদার মত
- আপত্তি: তুমি যে কাজের ইচ্ছা কর তা তৎক্ষণাৎ হয়ে যায়
- আপত্তি: আল্লাহ্ নিজের ওয়াদা মত কাদিয়ানে অবতীর্ণ হবেন
- আপত্তি: মির্যা সাহেব বলেন, আমি (আল্লাহ্) চোরের মত গোপনে আসবো
- আপত্তি: মুহাম্মদী বেগম এবং আহমদ বেগ সংক্রান্ত ভবিষ্যদ্বাণী পূর্ণ হয়নি
- আপত্তি: আমি মক্কা বা মদীনায় মৃত্যুবরণ করবো
- আপত্তি : মির্যা সাহেব সিনেমা দেখতে যেতেন
- আপত্তি: মির্যা কাদিয়ানী কাজের মহিলাকে দিয়ে রাতে পা টিপাতেন
- আপত্তি : মির্যা কাদিয়ানী কখনও কখনও যিনা-ব্যভিচার করতেন (নাউযুবিল্লাহ্)
- আপত্তিঃ মির্যা সাহেব হিন্দুদের ক্ষেপিয়ে দিয়েছিলেন
- আপত্তি: রসূলুল্লাহ্ (সা.) এর জন্মের পর তার বাবা ইন্তেকাল করেন
- আপত্তি : তিনি ইসলামী বছরের দ্বিতীয় মাসকে চতুর্থ মাস লিখেছেন
- আপত্তি : ১৮৫৭ সালে কুরআন আসমানে উঠানো হবে
- আপত্তি : কুরআনের বক্তব্য অনুযায়ী ধর্মযুদ্ধ হারাম
- আপত্তি : মক্কা মদীনায় রেলের রাস্তা তৈরি হচ্ছে
- আপত্তি : পূর্বেকার নবীগণের কাশফ অনুযায়ী চতুর্দশ শতাব্দির শুরুতে জন্ম
- আপত্তি: শেষ যুগে মুহাম্মদ (সা.) দুনিয়াতে আবার আসবেন
- আপত্তি : মসীহের যুগে রেলগাড়ী আবিষ্কৃত হবে
- আপত্তি : আদম থেকে নিয়ে শেষ পর্যন্ত দুনিয়ার বয়স ৭ হাজার বছর
- আপত্তি : ইমাম মাহদীর কিতাবে ৩১৩ জন সাথীর নাম থাকবে
- আপত্তি : ভারতে একজন কাল রংয়ের নবী এসেছিলেন তার নাম কাহেন
- আপত্তি : হাদীসে আছে, মসীহ্ ছয় হাজার সালে জন্ম নিবেন
- আপত্তি : হাদীসে আছে আগত মাসীহ্ জুলকারনাইন হবে
- আপত্তি : মসীহ্ (আ.) আসলে তাকে লাঞ্ছিত করা হবে… কুরআন ও হাদীসে এমন কথা আছে
- আপত্তি : সহীহ্ হাদীসসমূহে আছে, মসীহ শতাব্দির শুরুতে আসার কথা
- আপত্তি: আহমদীরা খতমে নবুওত অস্বীকারকারী
- আপত্তি: মির্যা সাহেব এমন নবুওতের দাবি করেছেন যা প্রকাশ্য কুফরি।
- আপত্তি: হযরত মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী(আ.) নবীগণের সাথে বে-আদবী করেছেন বা তাদের সম্মানে আঘাত হেনেছেন।
- আপত্তি- হাযা খালিফাতুল্লাহিল মাহদী বুখারীর হাদিস
- আপত্তি: পাঁচ পঞ্চাশের সমান
- আপত্তি: সত্য ধর্ম হলে মুরতাদ হয় কিভাবে? শামসুদ্দিন মুরতাদ ও মোল্লাদের উল্লাস।
- আপত্তি: মির্যা সাহেব তার বিভিন্ন পুস্তকে ঈসা(আ.)-এর বিভিন্ন কবরের কথা উল্লেখ করেছেন, কোনটি সঠিক?
- আপত্তি: মির্যা সাহেব উল্লেখ্য করেছেন যে, মুহাম্মদ (সা.)-এর ১১ পুত্র সন্তান ছিল
- আপত্তি: যে ব্যক্তি পিতার পেনশনের অর্থ চুরি করে খরচ করে সে কীভাবে ইমাম মাহদী হয়?
- আপত্তি: মির্যা সাহেব বলেছেন মহানবী (সা.)-এর ১২ জন কন্যাসন্তান ছিলেন!
- আপত্তি: মুহাম্মদী বেগম এবং মির্যা আহমদ বেগ সংক্রান্ত ভবিষ্যদ্বাণী পূর্ণ হয় নি
- আপত্তি: স্বপ্নে দেখলাম, আমি খোদা এবং বিশ্বাস করলাম
- আপত্তি: মির্যা সাহেবের মর্যাদা রসূলুল্লাহ্ সাঃ এর কাধ বরাবর (নাউযুবিল্লাহ্)
- আপত্তি: রাসূল (সা.)-এর দ্বারা দ্বীন প্রচারের কাজ পরিপূর্ণভাবে হয়নি
- আপত্তি: মির্যা সাহেব বিরূদ্ধবাদীদের গালি গালাজ করেছেন
- আপত্তি: হযরত মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী(আ.) মুসলমানদেরকে কাফের বলেছেন ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছেন
- আপত্তি: আল্লাহ্ আমার হাতে বয়াত গ্রহণ করেছেন
- আপত্তি : আমার আলামত দশ লক্ষ। রসূলুল্লাহ্(সা.)-এর মু’জিযা তিন হাজার
- কাফের আখ্যাদানকারীদের প্রতি হযরত ইমাম মাহদী (আ.)-এর জবাব
- হযরত মির্যা গোলাম আহমদ (আ.)-এর দৃষ্টিতে ‘খাতামান নবীঈন’ হযরত মুহাম্মদ মুস্তাফা (সা.)