আপত্তি: আহমদীরা খতমে নবুওত অস্বীকারকারী
উত্তর: এটি একটি ডাহা মিথ্যা। আমরা হযরত মুহাম্মদ(সা.)-কে খাতামান নবীঈন বলে মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি। আহমদীয়া মুসলিম জামা’তের পবিত্র প্রতিষ্ঠাতা হযরত মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী(আ.) নিজেও একমাত্র মহানবী(সা.)-কেই খাতামান নবীঈন বলে বিশ্বাস করতেন। তাঁর সুস্পষ্ট বক্তব্য হল, ‘আমরা কুরআনকে খোদার কিতাব এবং তাঁর রসূল খাতামুল আম্বিয়া হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আয়ায়হে ওয়া সাল্লামকে মানি’ (নূরুল হক, খ- ১ পৃ. ৫ দ্রষ্টব্য)। এছাড়া আরও অনেক স্থানে আহমদীয়া জামা’তের খাতামান নবীঈন-এ বিশ্বাস স্পষ্টভাবে সাব্যস্ত হয়। আহমদীয়া জামা’তের বয়াত ফরমেও লেখা আছে: ‘হযরত মুহাম্মদ রসূলুল্লাহ (সা.)-কে আমি খাতামান নবীঈন বলে দৃঢ় ও পরিপূর্ণ বিশ্বাস পোষণ করি।’ একইভাবে আহমদীয়া জামা’ত কর্তৃক প্রকাশিত কুরআন শরীফের বঙ্গানুবাদে সূরা আহযাবের ৪১ নং আয়াতের তফসীরে লেখা আছে, ‘মহানবী (সা.) হলেন আল্লাহর রসূল, যাতে এটাই বুঝায় তিনি সারা উম্মতের আধ্যাত্মিক পিতা। শুধু তা-ই নয়, তিনি খাতামান নবীঈনও বটে।’ অতএব অভিযোগটি যে ডাহা মিথ্যা তা সাব্যস্ত হল।
অন্যান্য উত্তর
- আপত্তি: মির্যা সাহেব রসূল (সা.)-কে হেলাল এবং নিজেকে বদর আখ্যা দিয়েছেন
- আপত্তি: মির্যা সাহেব লিখেছেন, তার সিংহাসন সবার ওপরে
- আপত্তি: মির্যা সাহেব নিজেকে দরুদ শরীফের মধ্যে অন্তর্ভূক্ত করেছেন
- আপত্তি: মির্যা সাহেব লিখেছেন ইয়ালাস খোদাতা’লার নাম
- আপত্তি: মির্যা সাহেবের উপর অন্য ভাষায় ইলহাম হল কেন?
- আপত্তি: মির্যা সাহেব বলেছেন, মাহদীর মাধ্যমে মহানবী (সা.) এর দ্বিতীয় আগমন হবে
- আপত্তি: মির্যা সাহেব নতুন নবুয়্যত, ধর্ম, কিবলা, নামায এবং কুরআন বানিয়েছেন
- আপত্তি: মির্যা সাহেবের কথা- একটি নতুন বাহন আবিষ্কার হবে যা আগুন দ্বারা চলবে
- আপত্তি: মির্যা সাহেব বলেন, কুরআনে তাঁর নাম ইবনে মরিয়ম রাখা হয়েছে
- আপত্তি: মির্যা সাহেব রেশমী লুঙ্গি পরিধান করেছিলেন যা হারাম