গালি দেয়া এবং কটু ভাষা প্রয়োগকারীদের প্রতি হযরত ইমাম মাহদী (আ.)-এর জবাব


হযরত মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী, প্রতিশ্রুত মসীহ ও ইমাম মাহদী (আ.) বলেছেন, “আমি একমাত্র আল্লাহর উদ্দেশ্যে উপদেশ স্বরূপ বিরুদ্ধবাদী উলামা এবং তাদের সমমনা লোকদেরকে বলছি যে, গালি দেয়া এবং কটু ভাষা প্রয়োগ করা ভদ্রতার পরিচয় নয়। যদি ইহাই আপনাদের স্বভাব হয়ে থাকে তাহলে তা আপনাদের অভিরুচি। কিন্তু আপনারা যদি আমাকে মিথ্যেবাদী মনে করেন তাহলে এ অধিকারও তো আপনাদের আছে যে, মসজিদসমূহে সমবেত হয়ে অথবা পৃথক পৃথকভাবে আমার বিরুদ্ধে বদ দোয়া করতে পারেন এবং কেঁদে কেঁদে আমার মূলোৎপাটন কামনা করেন। তারপর আমি যদি মিথ্যেবাদী হয়ে থাকি তাহলে নিশ্চয় সে দোয়াগুলো কবুল হয়ে যাবে। বস্তুতঃ আপনারা সর্বদা দোয়া করেও থাকেন। কিন্তু স্মরণ রাখবেন যে, আপনারা যদি এতো দোয়া করেন যে, জিহ্বায় যখম পড়ে যায় এবং এতই কেদে কেদে সিজদায় পতিত হন যে, নাক খসে যায় এবং অশ্রুপাতে চোখ বসে যায় এবং পলকগুলো ঝরে যায় এবং অতিরিক্ত কান্না-কাটির দরুন দৃষ্টি-শক্তি লোপ পায়, আর পরিশেষে মস্তিস্ক শূন্য হয়ে মৃগীরোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েন অথবা অনিদ্রাজনিত উন্মাদনার শিকার হন, তথাপি ঐ উপায়সমূহ গৃহীত হবে না। কেননা আমি খোদার নিকট হতে এসেছি।…

কেউ পৃথিবীর বুকে মারা যায় না যতক্ষণ পর্যন্ত আকাশে তার মৃত্যু না ঘটে। আমার আত্মায় সত্যতাই বিদ্যমান যা ইবরাহীম আলায়হেস্সালামকে দেয়া হয়েছিল। খোদার সহিত আমি ইবরাহিমী সম্পর্ক রাখি। কেউই আমার সে গোপন রহস্য জানে না, কিন্তু আমার খোদা জানেন। বিরুদ্ধবাদীরা অযথাই নিজেদেরকে ধ্বংস করছে। আমি সে বৃক্ষ নই যা তাদের হাত দিয়ে উৎপাটিত হতে পারে। … হে খোদা! তুমি এই উম্মতের উপরে সদয় হও, কৃপা করো। আমীন।” (আরবাঈনঃ ৪র্থ খণ্ড, পৃঃ৫-৭) “মাহযার নামা” পৃষ্ঠা ১৪৮