ধ্বংস কামনাকারীদের প্রতি হযরত ইমাম মাহদী (আ.)-এর সাবধানবাণী


হযরত ইমাম মাহদী ও প্রতিশ্রুত মসীহ্ (আ.) মুসলিম উম্মাহর উলামা ও নেতাদেরকে দরদভরা অন্তরে সম্বোধন করে বলেছেন:
“দুনিয়া আমাকে চিনে না। কিন্তু তিনি আমাকে চিনেন, যিনি আমাকে প্রেরণ করেছেন। এটা এই লোকদের ভুল এবং একান্ত দুর্ভাগ্য যে, তারা আমার ধ্বংস কামনা করে। আমি সেই বৃক্ষ যা প্রকৃত মালেক (আল্লাহ) নিজ হাতে রোপণ করেছেন। ……..

হে জনগণ! তোমরা নিশ্চিৎ বিশ্বাস করো যে, আমার সহায়তায় সেই হাত আছে যা শেষ মুহুর্ত অব্দি আমার সাথে বিশ্বস্ততা রক্ষা করবে। যদি তোমাদের পুরুষ, তোমাদের নারী, তোমাদের যুবা, তোমাদের বৃদ্ধ, তোমাদের ছোট এবং বড় সকলে মিলিত হয়েও আমার ধ্বংসের জন্যে দোয়া কর, এমন কি সিজদা করতে করতে তোমাদের নাসিকাও গলে যায় এবং তোমাদের হাত অবশ হয়ে যায়, তথাপি খোদা কখনও তোমাদের দোয়া
শ্রবণ করবেন না এবং ক্ষান্ত হবেন না, যতক্ষণ পর্যন্ত না তিনি তার কাজ সমাপ্ত করেন। যদি মানুষের মধ্যে একজনও আমার সঙ্গে না থাকে, তাহলে খোদার ফিরিশতারা আমার সাথে থাকবে। যদি তোমরা সাক্ষ্যকে গোপন কর তাহলে অচিরেই পাথর আমার জন্যে সাক্ষ্য প্রদান করবে।

অতএব, নিজেদের প্রাণের প্রতি যুলুম করোনা। মিথ্যাবাদীদের চেহারা অন্য রকম হয় আর সত্যবাদীদের চেহারাই ভিন্নতর হয়ে থাকে। বস্তুতঃ খোদা কোন বিষয়কেই বিনা ফয়সালায় ত্যাগ করেন না। আমি সেই জীবনের প্রতি অভিশাপ পাঠাই, যা মিথ্যে ও প্রতারণাযুক্ত এবং সেইরূপ অবস্থার প্রতিও অভিসম্পাত যা সৃষ্টিকে ভয় করে খোদার আদেশ হতে সরে দাড়ায়। যে খেদমত যথাসময়ে সর্বশক্তিমান খোদা আমার উপর ন্যস্ত
করেছেন এবং যার জন্যে আমাকে সৃষ্টি করেছেন, তা পালনে আমি বিন্দু মাত্রও শৈথিল্য করি তা কখনও হতে পারে না যদিও সূর্য এক দিক থেকে এবং পৃথিবী অন্য দিক থেকে পরস্পর মিলে গিয়ে আমাকে পিষ্ট করতে চায়। মানব কি? একটা কীট মাত্র! এবং মুনুষ্যই বা কী? সে মাতৃজঠরের একটা জমাট রক্ত পিণ্ড বৈ আর কিছু নয়। অতএব, আমি কি করে “হাইউন ও কাইউম” (চিরঞ্জীব ও চিরস্থায়ী) খোদার আদেশকে একটি কীট বা জমাট রক্তবিন্দুর কারণে অবহেলা করতে পারি। যেভাবে খোদাতা’লা পূর্ববর্তী মা’মুরীন ও মুকাযযেবীনের (প্রেরিতগণ ও প্রত্যাখ্যানকারীদের) মধ্যে পরিশেষে নিষ্পত্তি করে দিয়েছিলেন, অনুরূপভাবে তিনি এখনও করবেন। খোদাতা’লার মা’মুরীনের আসার জন্যেও একটি মৌসুম হয়ে থাকে। আবার যাবার জন্যেও একটা মৌসুম।
অতএব নিশ্চিৎ জানবে যে, আমি মৌসুম ব্যতিরেকে আসিনি এবং মৌসুম ছাড়াও যাব না। খোদার বিরুদ্ধে লড়াই করো না। তোমাদের কাজ নয় যে, আমাকে ধ্বংস করতে পার।” (তোহফা গোলড়ভীয়াঃ পৃঃ ৮ ও ৯)