ইসলামের পরিভাষার অবৈধ ব্যবহার সম্পর্কিত আপত্তির উত্তর


হযরত মির্যা সাহেব, তথা আহমদীয়া মুসলিম জামাতের উপর এই অপবাদ দেয়া
হয় যে, তাঁরা ইসলামী পরিভাষা যেমন নবী, রসূল, আমীরুল মু’মিনীন, উম্মুল মু’মিনীন, সাহাবী ইত্যাদি ব্যবহার করে এবং নিজেদের জন্য ‘মুসলমান’ শব্দ প্রয়োগ করে। এভাবে তারা ইসলামের অবমাননা করেছে। এ ধরনের আরও কিছু অপবাদও দেয়া হয়ে থাকে।

উত্তর: এই অপবাদগুলির উত্তর গবেষণা-সাপেক্ষ। তাই সুধীগণের জন্য বিস্তারিত উত্তর না দিয়ে ইসলামের সুদীর্ঘ ১৪শত বছরের ইসিহাস ও বই পুস্তক থেকে এর উত্তর দিতে চেষ্টা করব। ফয়সালা পাঠকদের উপর ছেড়ে দিলাম।

নবী:

(ক) হযরত রসূলে পাক (সঃ) সাহেবযাদা ইব্রাহীমের মৃত্যুর পর, তাঁর সম্বন্ধে
বলেছেন, (এই হাদীসটি আয়াতে খাতামান্নাবীঈন নাযেল হবার তিন বছর পরের): অর্থাৎ খোদার কসম! সে নবী এবং নবীর পুত্র (আলুফাতওয়াল হাদীসীয়া, ১৭৬ পৃঃ)।

(খ) ফিরকা ইমামীয়ার তফসীরে কুম্মীতে হযরত ইমাম জাফর সম্বন্ধে লেখা আছে: অর্থাৎ ইনি (হযরত ইমাম জাফর সাদেক) কুফা বাসীর নবী। (তফসীর কুম্মী, ২য় খণ্ড, পৃষ্ঠা ২৮১)

(গ) হযরত আকরম (রহঃ) লিখেন:

অর্থাৎ চিশতী (খাজা মঈনুদ্দীন চিশতী-রহঃ) হিন্দুস্থানের নবী।
– (ইকতেবাসুল আনওয়ার, ৩৩১ পৃঃ)।
(ঘ) উপমহাদেশের প্রখ্যাত সূফী হযরত শাহ্ ফরীদগঞ্জ শকর (রহঃ) বলেন:

অর্থাৎ আমি ওলী, আমি আলী, এবং আমি নবী (হাকীকতে গুলজার সাবরী, ৩৯২ পৃঃ)।

(ঙ) হযরত গাওসুল আযম শেখ আব্দুল কাদের জীলানী (রহঃ) লিখেন ঃ

অর্থাৎ আম্বিয়াদেরকে তো নবীর নাম দেয়া হয়েছে এবং আমাদেরকে এই (নবী)
উপাধি দেয়া হয়েছে। আওলিয়াদের মধ্য হতে যারা নবীদের এই মর্যাদার অধিকারী তাদেরকেও এই নামে আখ্যায়িত করা হয়েছে।  (আল্ ইয়াওয়াকিত ওয়াল যাওয়াহের, ২য় খণ্ড, ৪৩-৪৫ পৃঃ)

(চ) হযরত মাওলানা রূম বলেনঃ

অর্থাৎ হে মুরীদ! পীর সমসাময়িক নবী হয় (মসনবী, দফতর পাচ)।
(ছ) আল্লামা ইকবাল আঞ্জুমানে হেমায়াতে ইসলামের এক অধিবেশনে মাওলানা
হালীর এক নজম শুনানোর পুর্বে এই পংক্তি পড়েন ঃ

অর্থাৎ আমি যেন কবিতার রাজ্যের নবী। ঠোটে হালীর কালাম (বাণী) নাযেল
হচ্ছে (বাকিয়াতে ইকবাল, ২৪৬ পৃঃ)।
(জ) সৌদী আরবে মাদ্রাসার পাঠ্য পুস্তক আল কেরআতুল আ’দাদীয়ায় এক কবিতার পংক্তি এইরূপ আছে ঃ

অর্থাৎ (গান্ধী) কনফিউসিয়াসের মতন নবী অথবা তার মর্যাদার সমান(আখবার
রেযায়ে ইসতিফা)।

(ঝ) পত্রিকা “আল কুয়েত” ১৫ই অক্টোবর, ১৯৭০ সনে জামাল আব্দুল
নাসের-এর মৃত্যুতে আরবের বিখ্যাত কবি নাযার কুব্বানীর একটি মর্সিয়া ছেপেছে। তার একটি পংক্তি হলো ঃ

অর্থাৎ যে নবীদের শেষ আমরা তোমাকে হত্যা করেছি।

রসূলঃ

(ক) রসূল অর্থাৎ দূত যেমন সূরা ইউসূফের ৫১তম আয়াতে আছে ঃ

অর্থাৎ এবং বাদশাহ্ বললো তাকে আমার নিকটে আন। অতঃপর যখন দূত তার নিকট আসল, তখন সে বলল, তুমি তোমার প্রভুর নিকট ফিরে যাও।

(খ) “মেরিলা বিয়ানকো” প্রণীত লিবিয় প্রেসিডেন্ট কর্ণেল গাদ্দাফীর জীবনী,
দারুশ্‌শূরা, বৈরুত থেকে ১৯৭০ সনে প্রকাশিত হয়েছে। তার নাম হলো

“আলকাজ্জাফী রসূলুস সাহ্‌রা”,

(গ) ১৯৫২ সনে শফীক নাক্কাশ বৈরুত থেকে “ মুহাম্মাদ আলী আল কায়েদে
আযম” নামক পুস্তক প্রকাশ করেন। তাতে কায়েদে আযমকে

‘রসূলুত্তাওফীক ওয়াস্সালাম’ বলা হয়েছে।

(ঘ) “ আল্ মিম্বার” পত্রিকার ১৯৭৬ সনের অক্টোবর সংখ্যায় শাহ্ফয়সালকে
আর্ রসূল’ বলা হয়েছে।
১৯৫৭ সনে পণ্ডিত নেহরু যখন সউদী আরবে যান, তখন সরকারীভাবে তাকে ‘রসূলুস সালাম’ বলা হয়।

আমীরুল মু’মেনীনঃ

(ক) প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ আল্লামা মাসল বিন বুরহানুদ্দীন আল্হালবী তাঁর পুস্তক সীরাতে হালবীতে লিখেছেন—

অর্থাৎ হুযুর সল্লাল্লাহু আলায়হে ওয়া সাল্লাম হযরত আবদুল্লাহ্ বিন যাহশকে
সৈন্যদলের সর্দার নিযুক্ত করে পাঠালেন এবং তাঁকে ‘আমীরুল মু’মিনীন’ নাম দিলেন। সুতরাং ইসলামে আমীরুল মু’মিনীনের প্রথম উপাধি হযরত আব্দুল্লাহ্ বিন যাহশ পেলেন এবং তারপর হযরত ওমর বিন খাত্তাব এই উপাধিতে ভূষিত হলেন। (সীরাতে হালবিয়া, তৃতীয় খণ্ড, ১০৯,পৃঃ)

(খ) মুকাদ্দমা ইবনে খলদুন থেকে জানা যায় যে, আরবের লোকেরা হযরত রসূলে
করীম (সঃ)-কে মক্কার আমীর এবং সাহাবা কেরামগণ হযরত সাআদ বিন আবি ওক্কাস (রাঃ)-কে আমীরুল মু’মিনীন বলতেন (মুকাদ্দামা ইবনে খলদুন উর্দু অনুবাদ, ২৫৮ পৃঃ)।

 

(গ) হযরত ইমাম মালেক (রহঃ)-কে, হযরত সুফিয়ান সোওরী (রহঃ) কে, হযরত
ইমাম বুখারী (রহঃ)-কে এবং হযরত ইমাম দারে কুতনী (রহঃ)-কে আমীরুল মু’মিনীন ফিল হাদীস বলা হয়ে থাকে। আবু হায়ান গারনাতকে আমরুিল মু’মিনীন ফিন নাহ্‌ও বলা হয়।

(ঘ) উমাইয়া এবং আব্বসী খলীফাগণের জন্য ‘আমীরুল ম’মিনীন’ ব্যবহৃত
হতো। শিয়া সম্প্রদায়ের ‘ফিরকা ইমামীয়া আমীরুল মু’মিনীন বলতে শুধু মাত্র হযরত আলী (রাঃ)-কে গণ্য করেন।

(ঙ) মৌলানা মুহাম্মদ জাফর সাহেব থানেশ্বেরী তাঁর পুস্তক

“সোয়ানেহে আহ্‌মদী” তে হযরত সৈয়্যদ আহমদ সাহেব বেরেলভী এবং হযরত সৈয়্যদ মুহাম্মদ ইসমাঈল সাহেব শহীদ দেহলভীর জন্য ‘আমীরুল মু’মিনীন’ খেতাব ব্যবহার করেছেন (সোয়ানেহে আহমদী, ১২০পৃঃ)।

(চ) মাওলানা হাফেয আবদুল্লাহ্ গাজীপুরী তাঁর পুস্তক ‘আল্ হায়াত বা’দাল
মুমাতের ৫৪৪ পৃষ্ঠায় মৌলভী সৈয়্যদ নযীর হোসেন সাহেব দেহলভীকে আমীরুল
মু’মিনীন’ বলেছেন।

তিনি লিখেনঃ

অর্থাৎ তিনি তাঁর যুগের “আহলে হাদীসের ইমাম এবং হাদীসের আমীরুল মু’মিনীন”

(আল হায়াত বা’দাল মুমাত, ৫৪৪পৃঃ)। ।
(ছ) প্রফেসর ইলয়াস বারনি সাহেব, যিনি আহ্মদীয়া মুসলিম জামাতের বিরুদ্ধে
উপরোক্ত আপত্তি উঠিয়েছেন, তিনি স্বয়ং তার সেই একই পুস্তকের শুরুতে দাক্ষিণাত্যের হায়দ্রাবাদের নিযামকে ‘আমীরুল মু’মিনীন’ উপাধি দিয়েছেন।

 

উম্মুল মু’মিনীনঃ

(ক) হযরত পীরানে পীর আব্দুল কাদের জীলানী (রহঃ)- এর মাতাকে উম্মুল মু’মিনীন’ বলা হয়েছে (গুলদস্তা এ কারামাত উর্দু)।

(খ) হযরত ফরিদুদ্দীন গাঞ্জশকর (রহঃ), শেখ জামালুদ্দীন হী নসুভী (রহঃ)-এর এক “কনীজকে” (দাসীকে) উম্মুল মু’মিনীন’ বলেছেন (সেয়ারুল আ ওলীয়া, উর্দু, ৮৭ পৃঃ)।

 

মসজিদঃ

(ক) পবিত্র কুরআনে আল্লাহতাআলা বলেনঃ

“নিশ্চয় মসজিদসমূহ আল্লাহর জন্য সুতরাং আল্লাহর সাথে কাউকেও ঃ শরীক করো না।” (সূরা জীনঃ ১৯)

এই আয়াতের ব্যাখ্যায় “ আল্ ফকীহ্” নামক পুস্তকে লিখিত আছে যে, আমীরুল মু’মিনীন (হযরত আলী) বর্ণনা করেছেন, “আল মাসজিদ” অর্থ সিজদার অঙ্গ সমূহ অর্থাৎ চেহারা, দুই হাত, দুই হাটু এবং পায়ের দু’টো বৃদ্ধাংজুলি। হযরত ইমাম যাই ফর সাদেক (রহঃ) তাঁর তফসীর আয়াশী’তে এবং “তফসীরে কুম্মী”তেও অনুরূপ তফসীর করেছেন (কুরআন মজীদ ৬৮৬ পৃষ্ঠার টীকা দ্রষ্টব্য, অনুবাদক -মাওলানা হাকিম মকবুল আহমদ দেহলভী)

(খ) “ তফসীরে বায়যাভী” ও “তফসীরে হুসেইনী” তে মাসাজিদের তফসীর
‘সিজদার অঙ্গসমূহ’ বলা হয়েছে।

(গ) হযরত রসূলে করীম (সঃ)-এর হাদীসঃ

অর্থাৎ আমার জন্য সারা পৃথিবীর মাটিকে মসজিদ বানানো হয়েছে। এখানে
মসজিদ’ শব্দটি ব্যাপকভাবে পৃথিবীকে বুঝানো হয়েছে।

(ঘ) হযরত রসূল করীম (সঃ) ইহুদী ও খৃষ্টানদের ইবাদতের জায়গাকে মসজিদ বলেছেন (মসজিদের বহুবচন মাসাজিদ) তিনি (সঃ) বলেন—

অর্থাৎ ইয়াহুদ এবং নাসারাদের উপর খোদার লানত যারা নিজ নবীদের কবরকে
মসজিদ বানিয়ে নিয়েছে (বুখারী, তৃতীয় খণ্ড, ৬২ পৃঃ)।

(ঙ) হযরত মাওলানা মুহাম্মদ আলী বিন খানভী সাহেব তাঁর পুস্তকে লিখেনঃ

অর্থাৎ অভিধানে মসজিদ সিজদার জায়গাকে বলা হয় । “সালেকদের”
(সাধকদের) পরিভাষায় তাজাল্লীয়ে জামালীকে (সৌন্দর্যের বিকাশকে) মসজিদ বলা হয়।
তদুপরি পীর ও মুরশেদের আস্তানাকেও কাশফুললুগাতে মসজিদ বলা হয়েছে
(মাওসেয়াতুল ইসতালাহাতিল ইসলামিয়া, তৃতীয় খণ্ড, ৬৩৯ পৃঃ)।

মুসলমান

(ক) কুরআন মাজীদের আয়াতঃ

অর্থাৎ আমার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করো না এবং বশ্যতা স্বীকার করে আমার নিকট
আসো (নম্‌ল: ৩২)। এই আয়াতের “মুসলিমীন” এর অর্থ মুফাসসেরে ইসলাম হযরত আল্লামা আবদুল্লাহ বিন মুহাম্মদ আশ শিরাজী (রহঃ) হযরত মুসলেহুদ্দীন সাদী, হযরত শাহ আবদুল কাদের দেহলভী (রহঃ), হযরত মাওলানা সৈয়্যদ মকবুল আহমদ সাহেব দেহলভী, মাওলানা মাহমুদল হাসান সাহেব দেওবন্দী ও মাওলানা আশরাফ আলী সাহেব থানভী,

(বিনীত, বাধ্য)

(বশ্যতা স্বীকারকারী) করেছেন। 

(খ) হযরত রসূলে করীম (সঃ) বলেনঃ

অর্থাৎ যে আমাদের নামায পড়ে, আমাদের কিবলার দিকে কিবলা করে, আমদের
যবাইকৃত পশুর মাংস খায় সে মুসলমান। এবং এর ব্যাখ্যায় বলেন,

আমাদের যবাইকৃত গবাদি পশুর মাংস খায় থেকে জানা যায় যে, আহলে ইসলামের যবাইকৃত পশুর মাংস খাওয়াও শায়ায়েরুল্লাহর (আল্লাহর নিদর্শনাবলীর)অন্তর্ভুক্ত। এর মধ্যে আরেকটি সূক্ষ্ম ইঙ্গিত রয়েছে যে, আগামীতে এমন এক সময় আসবে যখন কিছু লোকে নামায পড়বে না। শধু যবাইকৃত মাংস খেয়েই মুসলমান হয়ে যাবে। তাদের ইসলামের চিহ্নই এই হবে। নতুবা

(যে আমাদের নামায পড়ে) বাক্যের পরে “এদেরকেও অবজ্ঞা করি না।” এই কথা
বলার কী দরকার ছিল? (আল ইফাযাতুল ইয়াওমিয়া মিনাল ইফাদাতিল কাওসীয়া, প্রথম খণ্ড, ২৩০ পৃঃ)

সুধী পাঠক বৃন্দ! উপরোক্ত উদ্ধৃতিগুলি পেশ করার পর আমি আহমদীয়া মুসলিম
জামাতের ধর্ম-বিশ্বাসকে তুলে ধরে অধ্যায়টিকে শেষ করছি।

আহমদীয়া মুসলিম জামা’তের প্রতিষ্ঠাতা হযরত মির্যা গোলাম আহ্‌মদ ইমাম  মাহ্দী ও মসীহ মাওউদ (আঃ) তাঁর “ আইয়ামুস সুলেহ্” পুস্তকে বলছেনঃ “আমরা এই কথার উপর ঈমান রাখি যে, খোদাতাআলা ব্যতীত কোন মা’বুদ নেই
এবং সৈয়্যদনা হযরত মুহাম্মদ মুস্তাফা সল্লাল্লাহু আলয়হে ওয়া সাল্লাম তাঁর রসূল এবং
খাতামুল আম্বিয়া। আমরা ঈমান রাখি যে, ফিরিশতা, হাশর, জাহান্নাম এবং জান্নাত সত্য এবং আমরা ঈমান রাখি যে, কুরআন শরীফে আল্লাহ্তাআলা যা বলেছেন এবং আমাদের নবী সল্লাল্লাহু আলায়হে ওয়া সাল্লাম হতে যা বর্ণিত হয়েছে উল্লিখিত বর্ণনানুসারে তা অকাট্য সত্য । আমরা ঈমান রাখি, যে ব্যক্তি এই ইসলামী শরীয়ত হতে বিন্দুমাত্র কম করে অথবা যে বিষয়গুলো অবশ্যকরণীয় বলে নির্ধারিত তা পরিত্যাগ করে এবং অবৈধ বস্তুকে বৈধ করণের ভিত্তি স্থাপন করে সে ব্যক্তি বে-ঈমান এবং ইসলাম বিদ্রোহী। আমি আমার জামাতকে উপদেশ দিতেছি যে, তারা যেন বিশুদ্ধ অন্তরে পবিত্র কলেমা ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রসূলুল্লাহ-এর উপর ঈমান রাখে এবং এই ঈমান লইয়া মরে। কুরআন শরীফ হতে যাদের সত্যতা প্রমাণিত, এমন সকল নবী (আলায়হিমুস-সালাম) এবং কিতাবের উপর ঈমান আনবে । নামায, রোযা, হজ্জ ও যাকাত এবং: এতদ্ব্যতীত খোদাতাআলা এবং তাঁর রসূল কর্তৃক নির্ধারিত যাবতীয় কর্তব্যসমূহকে প্রকৃতপক্ষে অবশ্য-করণীয় মনে করে এবং যাবতীয় নিষিদ্ধ বিষয়সমূহকে নিষিদ্ধ করিয়া সঠিকভাবে ইসলাম ধর্ম পালন করবে। মোট কথা যে সমস্ত বিষয়ের উপর আক্বিদা ও আমল হিসেবে পূর্ববর্তী বুযর্গানের ইজমা অর্থাৎ সর্বদি-সম্মত মত ছিল এবং যে সমস্ত বিষয়কে আহলে সুন্নত জামাতের সর্ববাদি-সম্মত মতে ইসলাম নাম দেয়া হয়েছে উহা সর্বতোভাবে মান্য করা অবশ্য কর্তব্য। যে ব্যক্তি উপরোক্ত ধর্মমতের বিরুদ্ধে কোন দোষ আমাদের প্রতি আরোপ করে সে তাকওয়া এবং সততা বিসর্জন দিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ রটনা করে। কিয়ামতের দিন তার বিরুদ্ধে আমাদের অভিযোগ থাকবে যে, কবে সে আমাদের বুক চিরে দেখেছিল যে, আমাদের মতে এই অঙ্গীকার সত্ত্বেও অন্তরে আমরা এ সবের বিরোধী ছিলাম?
আলা ইন্না লা’নাতাল্লাহে আলাল কাযেবীনা ওয়াল মুফতরিয়ীনা

—অর্থাৎ সাবধান! নিশ্চয় মিথ্যাবাদী ও মিথ্যারোপকারীদিগের উপরে আল্লাহর অভিসম্পাত। (আইয়ামুস সুলাহ্ পৃঃ ৮৬-৮৭)

অন্যান্য উত্তর

মাসিক মদীনা পত্রিকার প্রশ্নোত্তরের কলামের উত্তর – ইমাম মাহদীর আগমন ও নিদর্শন স্বরূপ চন্দ্র ও সূর্যগ্রহণ

মাসিক মদীনার মিথ্যাচারের উত্তর – পবিত্র কুরআনের কিছু অংশ ছেটে ফেলা এবং ঈসা (আঃ)-কে শূলীবিদ্ধ করে মেরে ফেলা হয়েছে

ইসলামী প্রতীকসমূহের ব্যবহার আহ্‌মাদী ফিরকার জন্য আইনতঃ নিষিদ্ধ হওয়া উচিত কি?

মাসিক মদীনায় প্রকাশিত “আহমদী সম্প্রদায় : আমার বক্তব্য” – আপত্তির উত্তর

ঈসা (আ.) কি আসবেন? – মাসিক মদিনায় প্রকাশিত প্রশ্নের উত্তর

মাসিক মদীনা পত্রিকায় “কাদিয়ানী মতবাদ একটি ফেৎনা” শীর্ষক প্রবন্ধের সংক্ষিপ্ত উত্তর

হযরত মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী (আ.)-এর মৃত্যু কিভাবে হয়েছিল?

হযরত মির্যা সাহেবের মৃত্যুতে বিখ্যাত মনীষীরা কি বলেছিলেন?

মৌলবী সানাউল্লাহ অমৃতসরীর পরিণাম কি হয়েছিল?

মির্যা সাহেবের মৃত্যু সম্পর্কিত অপবাদ খণ্ডন

মাসিক মদীনা: ওহী ইলহামের দরজা হযরত মুহাম্মদ (সঃ)-এর ইন্তিকালের পর বন্ধ হয়ে গেছে?

আহমদীরা মীর্যা গোলাম আহমদকে হযরত মোহাম্মাদ (দঃ)-এর পরিবর্তে শেষ নবী বলে মনে করেন – ভ্রান্ত ধারণার অপনোদন

অভিযোগ: মুহাম্মদী বেগম সাথে বিয়ের ভবিষ্যদ্বাণীর অপূর্ণতার অভিযোগ

দ্বিতীয় অভিযোগ: কাদিয়ানীদের বিশ্বাস ও বক্তব্য: “আমি মুহাম্মদ (সা:) থেকে উত্তম নবী”

তৃতীয় অভিযোগ: “আমি নতুন শরীয়তপ্রাপ্ত নবী” (আরবাঈন, পৃষ্ঠা-৩)

চতুর্থ অভিযোগ: “আমাকে যারা নবী মানে না তাদের মায়েরা বেশ্যা” (আয়নাতে কামালাত পৃঃ ৫৪৭)।

ষষ্ঠ ও সপ্তম অভিযোগ: “আমি আল্লাহ্‌র সন্তান” ‘আমিই আল্লাহ্’

অষ্টম অভিযোগ: *আয়াতগুলি গোলাম আহমদ কাদিয়ানীর শানে অবতীর্ণ হয়েছে।

নবম অভিযোগ: ‘কাদিয়ানীর ওহী কুরআনের চাইতেও বেশী সম্মানের উপযোগী’

অভিযোগ: প্রসঙ্গ মসজিদে জেরার

প্রথম অভিযোগ: কাদিয়ানীদের বিশ্বাস বক্তব্য: “আমিই খাতামুল আম্বিয়া।”

দশম ও শেষ অভিযোগ: “কাদিয়ানীকে সমগ্র বিশ্বের জন্য রহমত করে পাঠানো হয়েছে।”

পঞ্চম অভিযোগ: আমার প্রতি ঈমান না আনার কারণে সে কাফের হয়ে যাবে

খতমে নবুওয়তের অস্বীকারকারী কে?

মুসলমানদের ঈমান কি তাসের ঘর যে ফুঁ দিলেই উড়ে যাবে?

আহমদীয়া মুসলিম জামা’তের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট আপত্তির জবাব

খোদা হবার দাবী সম্পর্কিত আপত্তির উত্তর

হযরত ঈসা (আ.)-এর অবমাননা সম্পর্কিত আপত্তির উত্তর

হযরত রসূল করীম (সাঃ)-এর অবমাননা সম্পর্কিত অপবাদ ও উহার খন্ডন

মক্কা-মদীনার অবমাননা সম্পর্কিত আপত্তির উত্তর

হযরত ফাতেমা (রাঃ) ও আহলে বয়াতের অবমাননা সম্পর্কিত আপত্তির উত্তর

কুফরী মতবাদ (কলেমা এবং খোদার সন্তান তুল্য) বিষয়ক আপত্তির উত্তর

নবী-রসূল হবার দাবী বিষয়ক আপত্তির উত্তর

‘বৃটিশ সরকারের রোপিত বৃক্ষ’ বিষয়ক প্রচারণার উত্তর

হযরত মির্যা সাহেব জেহাদ রহিত করেছেন – সম্পর্কিত আপত্তির উত্তর

আপত্তি: মির্যা সাহেব রসূল (সা.)-কে হেলাল এবং নিজেকে বদর আখ্যা দিয়েছেন

আপত্তি: মির্যা সাহেব লিখেছেন, তার সিংহাসন সবার ওপরে

আপত্তি: মির্যা সাহেব নিজেকে দরুদ শরীফের মধ্যে অন্তর্ভূক্ত করেছেন

আপত্তি: মির্যা সাহেব লিখেছেন ইয়ালাস খোদাতা’লার নাম

আপত্তি: মির্যা সাহেবের উপর অন্য ভাষায় ইলহাম হল কেন?

আপত্তি: মির্যা সাহেব বলেছেন, মাহদীর মাধ্যমে মহানবী (সা.) এর দ্বিতীয় আগমন হবে

আপত্তি: মির্যা সাহেব নতুন নবুয়্যত, ধর্ম, কিবলা, নামায এবং কুরআন বানিয়েছেন

আপত্তি: মির্যা সাহেবের কথা- একটি নতুন বাহন আবিষ্কার হবে যা আগুন দ্বারা চলবে

আপত্তি: মির্যা সাহেব বলেন, কুরআনে তাঁর নাম ইবনে মরিয়ম রাখা হয়েছে

আপত্তি: মির্যা সাহেব রেশমী লুঙ্গি পরিধান করেছিলেন যা হারাম

আপত্তি: মির্যা সাহেব নিজেকে মুহাম্মদ রসূলুল্লাহ বলেছেন

আপত্তি: মির্যা সাহেব নিজেকে মরিয়ম দাবি করেছেন

আপত্তি: চন্দ্র-সূর্যগ্রহণের হাদিসটি রসূলুল্লাহ্‌ (সা.)-এর বক্তব্য নয়

আপত্তি: নামাযে যখন ওহী হত তিনি অস্থির হয়ে নামায ছেড়ে দিতেন

আপত্তি: মির্যা সাহেবের শিক্ষক থাকার কথা তিনি অস্বীকার করেছেন

আপত্তি: মির্যা সাহেব কলেরায় টয়লেটে পড়ে মারা গেছেন

আপত্তি: মির্যা সাহেব মদ ও আফিমের নেশায় মত্ত ছিলেন

আপত্তি: মির্যা সাহেব কেন ছবি তুলেছেন?

আপত্তি: মির্যা সাহেব কেন বইপুস্তক লিখলেন, কোন নবী তো বই–পুস্তক লিখেননি।

আপত্তি: মির্যা সাহেব কেন হজ্জ করেন নি

আপত্তি: মির্যা সাহেব মসীহ মওউদ হওয়ার দাবি করে অস্বীকারও করেছেন

আপত্তি: মির্যা সাহেব নিজেকে মানুষও আখ্যা দেন নি

আপত্তি: মির্যা সাহেব অ-আহমদীদেরকে কাফের বলেছেন

আপত্তি: মির্যা সাহেব লিখেছেন যে, কুরআন ও হাদিসে প্লেগের ভবিষ্যদ্বাণী রয়েছে

আপত্তি: মির্যা সাহেব তার অস্বীকারকারীদের কাফের আখ্যায়িত করেন

আপত্তি: মির্যা সাহেব কবিতা লিখেছেন আর নবী কখনও কবি হয় না

আপত্তি: মির্যা সাহেব ঈসা (আ.)-এর মুজেজার অদ্ভুত ব্যাখ্যা করেছেন

আপত্তি: হযরত মির্যা সাহেব খোদা তা’লার পিতা হবার দাবী করেছেন

আপত্তি: আব্দুল হাকীম সাহেবের তফসীর সম্পর্কে তিন ধরণের কথা

আপত্তি: তার নিজের কথা অনুযায়ী তিনি মুহাদ্দাসও নন নবীও নন

আপত্তি: দাজ্জাল সম্পর্কে মির্যা সাহেবের বিভিন্ন ধারণা রয়েছে

আপত্তি: মির্যা সাহেব শরীয়তবাহী নবী হবার দাবী করেছেন

আপত্তি: যদি পূর্ণাঙ্গীন মুহাম্মদকে দেখতে চাও গোলাম আহমদকে দেখে যাও

আপত্তি: হাজার লানত প্রসঙ্গ

আপত্তি: মুজাদ্দেদ আহমদ বেরলভি(রহ.) শিখদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছেন

আপত্তি: মির্যা সাহেব জিহাদ রহিত করেছেন

আপত্তি: মির্যা সাহেব নবী হবার দাবি করেছেন

আপত্তি: মির্যা সাহেব মুজাদ্দেদে আলফে সানীর উদ্ধৃতি বিকৃত করেছেন

আপত্তি: বৃটিশ সরকারের অধীনে যে নিরাপত্তা পাচ্ছি তা মক্কা মদীনায়ও সম্ভব নয়

আপত্তি: নফল হজের চেয়ে কাদিয়ানে যাওয়ার সওয়াব বেশি

আপত্তি: ছায়া হজ্জ বাদে (কাদিয়ানের জলসা) মক্কার হজ্জ রসহীন

আপত্তি: মক্কা ও মদীনা সম্পর্কে অমর্যাদাকর বক্তব্য

আপত্তি: ফাতিমার বংশ থেকে কোন মাহদী আসবে না

আপত্তি: অন্য হাদীসকে ডাষ্টবিনের ময়লার মত নিক্ষেপ করি

আপত্তি: কুরআনে যে ভুলগুলো সংঘটিত হয়েছে আমি তা চিহ্নিত করতে এসেছি

আপত্তি: মির্যা সাহেবের ওহীর সমষ্টির নাম কুরআনেরই একটি নাম

আপত্তি: আমার দ্বারা সেসব বিষয় প্রকাশিত হবে যা কুরআন দ্বারা প্রকাশিত হয়েছে

আপত্তি: মির্যা সাহেব তার প্রতি অবতীর্ণ ওহীর প্রতি কুরআনের মত ঈমান রাখেন

আপত্তি: কুরআন ধরাপৃষ্ঠ থেকে উঠে গিয়েছিল

আপত্তি: স্বীকার করতেই হবে যে কুরআন শরিফ অশ্লীল গালি দিয়ে ভর্তি

আপত্তি: কুরআন আল্লাহ্‌র কিতাব ও আমার মুখের কথা

আপত্তি: কুরআনকে আমি কাদিয়ানের কাছে অবতীর্ণ করেছি

আপত্তি: যদি মূসা ও ঈসা জীবিত হত তাহলে মসীহের আনুগত্য তাদের অবশ্যই করতে হত

আপত্তি: সমস্ত রাসূল আমার জামার মধ্যে গোপন হয়ে আছে

আপত্তি: সব নবী ইজতেহাদী ভুলের স্বীকার হয়েছেন

আপত্তি: মির্যা সাহেবের আধ্যাত্মিক মর্যাদা এত বড় হয় কীভাবে

আপত্তি: হযরত ঈসা (আ.) মদ পান করতো

আপত্তি: এই ওহীতে আল্লাহ্ আমার নাম মুহাম্মদ রেখেছেন

আপত্তি: মুহাম্মদ পুনরায় আগমন করেছেন আমাদের মধ্যে

আপত্তি: দিবালোকের ন্যায় স্পষ্ট যে নবুওয়তের দরজা খোলা

আপত্তি: আলামত, মোজেযা, কারামত এবং খরকে আদত সব একই

আপত্তি: মুহাম্মদ (সা.)-এর তেজোদ্দীপ্ত কিরণ প্রকাশের সময় নেই

আপত্তি: কাশফের অবস্থা এভাবে চেপে বসল যে, নিজেকে মহিলা মনে হল

আপত্তি: তোমাকে একজন ছেলের সংবাদ দিচ্ছি যার সাথে খোদা প্রকাশিত হবে

আপত্তি: মিকাইল অর্থ খোদার মত

আপত্তি: তুমি যে কাজের ইচ্ছা কর তা তৎক্ষণাৎ হয়ে যায়

আপত্তি: আল্লাহ্ নিজের ওয়াদা মত কাদিয়ানে অবতীর্ণ হবেন

আপত্তি: মির্যা সাহেব বলেন, আমি (আল্লাহ্) চোরের মত গোপনে আসবো

আপত্তি: মুহাম্মদী বেগম এবং আহমদ বেগ সংক্রান্ত ভবিষ্যদ্বাণী পূর্ণ হয়নি

আপত্তি: আমি মক্কা বা মদীনায় মৃত্যুবরণ করবো

আপত্তি : মির্যা সাহেব সিনেমা দেখতে যেতেন

আপত্তি: মির্যা কাদিয়ানী কাজের মহিলাকে দিয়ে রাতে পা টিপাতেন

আপত্তি : মির্যা কাদিয়ানী কখনও কখনও যিনা-ব্যভিচার করতেন (নাউযুবিল্লাহ্‌)

আপত্তিঃ মির্যা সাহেব হিন্দুদের ক্ষেপিয়ে দিয়েছিলেন

আপত্তি: রসূলুল্লাহ্ (সা.) এর জন্মের পর তার বাবা ইন্তেকাল করেন

আপত্তি : তিনি ইসলামী বছরের দ্বিতীয় মাসকে চতুর্থ মাস লিখেছেন

আপত্তি : ১৮৫৭ সালে কুরআন আসমানে উঠানো হবে

আপত্তি : কুরআনের বক্তব্য অনুযায়ী ধর্মযুদ্ধ হারাম

আপত্তি : মক্কা মদীনায় রেলের রাস্তা তৈরি হচ্ছে

আপত্তি : পূর্বেকার নবীগণের কাশফ অনুযায়ী চতুর্দশ শতাব্দির শুরুতে জন্ম

আপত্তি: শেষ যুগে মুহাম্মদ (সা.) দুনিয়াতে আবার আসবেন

আপত্তি : মসীহের যুগে রেলগাড়ী আবিষ্কৃত হবে

আপত্তি : আদম থেকে নিয়ে শেষ পর্যন্ত দুনিয়ার বয়স ৭ হাজার বছর

আপত্তি : ইমাম মাহদীর কিতাবে ৩১৩ জন সাথীর নাম থাকবে

আপত্তি : ভারতে একজন কাল রংয়ের নবী এসেছিলেন তার নাম কাহেন

আপত্তি : হাদীসে আছে, মসীহ্‌ ছয় হাজার সালে জন্ম নিবেন

আপত্তি : হাদীসে আছে আগত মাসীহ্ জুলকারনাইন হবে

আপত্তি : মসীহ্ (আ.) আসলে তাকে লাঞ্ছিত করা হবে… কুরআন ও হাদীসে এমন কথা আছে

আপত্তি : সহীহ্ হাদীসসমূহে আছে, মসীহ শতাব্দির শুরুতে আসার কথা

আপত্তি: আহমদীরা খতমে নবুওত অস্বীকারকারী

আপত্তি: মির্যা সাহেব এমন নবুওতের দাবি করেছেন যা প্রকাশ্য কুফরি।

আপত্তি: হযরত মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী(আ.) নবীগণের সাথে বে-আদবী করেছেন বা তাদের সম্মানে আঘাত হেনেছেন।

আপত্তি: হযরত মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী(আ.) মুসলমানদেরকে কাফের বলেছেন ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছেন।

আপত্তি: ১৭ জুলাই ১৯২২ তারিখের আল-ফজলে আহমদীয়া জামাতের দ্বিতীয় খলীফা বলেছেন, ‘আধ্যাত্মিকতার ক্ষেত্রে প্রত্যেকে উন্নতি করতে পারে এমনকি মুহাম্মদ (সা.)-এর চেয়েও বেশী উন্নতি করতে পারে।’

আপত্তি: আকমল নামের এক ব্যক্তির একটি কবিতার একটি লাইনে রয়েছে, ‘মুহাম্মদ আবার আমাদের মাঝে এসেছে, মর্যাদায় আগের চেয়ে সামনে বেড়ে পূর্ণাঙ্গীন মুহাম্মদকে যদি কেউ দেখতে চাও কাদিয়ানে এসে গোলাম আহমদকে দেখে যাও।’

আপত্তি- হাযা খালিফাতুল্লাহিল মাহদী বুখারীর হাদিস

আপত্তি: পাঁচ পঞ্চাশের সমান

আপত্তি: সত্য ধর্ম হলে মুরতাদ হয় কিভাবে? শামসুদ্দিন মুরতাদ ও মোল্লাদের উল্লাস।

আপত্তি: মির্যা সাহেব তার বিভিন্ন পুস্তকে ঈসা(আ.)-এর বিভিন্ন কবরের কথা উল্লেখ করেছেন, কোনটি সঠিক?

আপত্তি: মির্যা সাহেব উল্লেখ্য করেছেন যে, মুহাম্মদ (সা.)-এর ১১ পুত্র সন্তান ছিল

আপত্তি: মির্যা সাহেবের মিরাক তথা উন্মাদনার রোগ ছিল

আপত্তি: যে ব্যক্তি পিতার পেনশনের অর্থ চুরি করে খরচ করে সে কীভাবে ইমাম মাহদী হয়?

আপত্তি: মির্যা সাহেব বলেছেন মহানবী (সা.)-এর ১২ জন কন্যাসন্তান ছিলেন!

আপত্তি: মুহাম্মদী বেগম এবং মির্যা আহমদ বেগ সংক্রান্ত ভবিষ্যদ্বাণী পূর্ণ হয় নি

আপত্তি: স্বপ্নে দেখলাম, আমি খোদা এবং বিশ্বাস করলাম

আপত্তি: মির্যা সাহেবের মর্যাদা রসূলুল্লাহ্‌ সাঃ এর কাধ বরাবর (নাউযুবিল্লাহ্‌)

আপত্তি: রাসূল (সা.)-এর দ্বারা দ্বীন প্রচারের কাজ পরিপূর্ণভাবে হয়নি

আপত্তি: মির্যা সাহেব বিরূদ্ধবাদীদের গালি গালাজ করেছেন

আপত্তি: হযরত মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী(আ.) মুসলমানদেরকে কাফের বলেছেন ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছেন

আপত্তি: আল্লাহ্ আমার হাতে বয়াত গ্রহণ করেছেন

আপত্তি : আমার আলামত দশ লক্ষ। রসূলুল্লাহ্(সা.)-এর মু’জিযা তিন হাজার

হযরত মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী (আ.)-এর সঠিক বয়স প্রসঙ্গ