আপত্তি : ১৮৫৭ সালে কুরআন আসমানে উঠানো হবে


আপত্তি : ১৮৫৭ সালে কুরআন আসমানে উঠানো হবে বলে কুরআনে বক্তব্য আছে। (রূহানী খাযায়েন ৩/৪৯০,দ্র, টিকা)

উত্তর: আল্লামা আব্দুল মজিদ খুব ভালভাবেই জানেন, কুরআনের একটি বৈশিষ্ট্য হল, এটি বাহ্যিক উপকরণের উল্লেখ করে আধ্যাত্মিক বা গভীরতর রেখেছেন, আল্লাহ্ উর্ধ্বলোক থেকে পানি বর্ষণ করে মৃত ভূমিকে পুনর্জীবিত করেন আবার তিনি সেই পানি উধাও করে দিতেও সক্ষম । এ কথার উল্লেখ তিনি এভাবে করেছেন, এখানে বাহ্যিক পানির পাশাপাশি আধ্যাত্মিক পানিরও উল্লেখ রয়েছে। অন্তর্দৃষ্টি সম্পন্ন মুসলমানদের জন্য এ বিষয়টি অস্পষ্ট নয়। এ আয়াতেরই ‘হুরূফে আবজাদের’ (আরবী অক্ষরগুলোর সংখ্যমান) হিসেবে ১৮৫৭ সনটি নিরূপিত হয়।

যে কুরআন হযরত মুহাম্মদ(সা.)-এর প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে সেই কুরআনকেই পুনর্বাসিত করার জন্য, এবং অবক্ষয়ের পর মুসলমানদেরকে পুনর্জীবিত করার লক্ষ্যে আল্লাহ্ তা’লা আল কুরআনের মর্ম ও তত্ত্ব উদ্ধারের ব্যবস্থা করেছেন। এছাড়া ‘আল্লামা’ নিশ্চয়ই জানেন মহানবী(সা.) ইসলামের প্রথম তিন শতাব্দীকে সর্বোত্তম শতাব্দী বলে উল্লেখ করেছেন। আবার সূরা সাজদার প্রথম রুকুতেই বলে রেখেছেন, ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা এমন এক দিনে জগৎ থেকে উঠে যাবে যা মানুষের গণনায় এক হাজার বছরের সমান। ৩০০+১০০০ = ১৩০০ । অর্থাৎ ১৩০০ হিজরী সনে ইসলাম চরম দুর্দশাগ্রস্থ অবস্থায় থাকবে। আর এটি ১৮৫৭ সনের অনতিবিলম্ব পরের যুগ।

যখন ইসলামের এহেন চরম দুর্দশা তখন, নিশ্চয় আমরা এই যিকর তথা কুরআন অবতীর্ণ করেছি এবং আমরাই এর হেফাজত করব। (সূরা হিজর: আয়াত ১০) এই প্রতিশ্রতি অনুযায়ী মহান সংস্কারক পাঠিয়ে আল্লাহ ইসলামের শিক্ষাকে পুনরুদ্ধার করার ব্যবস্থা করেছেন। কিন্তু আল্লামা আব্দুল মজিদ তো মির্যা সাহেবের বই পড়ে আপত্তি লিখেছেন। মির্যা সাহেব কোন হিসাবে ১৮৫৭ সন নির্ধারণ করেছেন তা উদ্ধৃত টিকার মাঝেই লেখা আছে। পাঠকের কাছে স্পষ্ট, ‘আল্লামা’ স্বপ্রণোদিত হয়ে এসব আপত্তি করে মানুষকে বিভ্রান্ত করছেন।

অন্যান্য উত্তর