আপত্তি: স্বীকার করতেই হবে যে কুরআন শরিফ অশ্লীল গালি দিয়ে ভর্তি


আপত্তি: হযরত মির্যা সাহেব বলেছেন অথবা স্বীকার করতেই হবে যে কুরআন শরিফ অশ্লীল গালি দিয়ে ভর্তি এবং কুরআন কঠোর ভাষার রাস্তা ব্যবহার করেছে। (রুহানী খাযায়েন, ৩/১২৫)

উত্তর: যারা পবিত্র ইসলাম, কুরআন এবং মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর বিরুদ্ধে একচেটিয়াভাবে অশ্লীল ও অশ্রাব্য ভাষা ব্যবহার করে এসেছে তাদের এবং মহানবী(সা.)-এর প্রতি বিদ্বেষ পোষণকারীদের বিরুদ্ধে মির্যা সাহেবের কঠোর অবস্থান নিয়ে আপত্তি করা হয়, কেন মির্যা সাহেব কঠোর ভাষা ব্যবহার করেছেন? এই আপত্তি খণ্ডন করে হযরত মির্যা সাহেব দীর্ঘ উত্তর প্রদান করেছেন। তিনি ইযালায়ে আওহাম গ্রন্থে এর বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। সেখান থেকে খণ্ডিত ও বিকৃত ভাবানুবাদ উপস্থাপন করে আল্লামা আব্দুল মজিদ সাহেব বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার পায়তারা করছেন। অন্যকে মিছামিছি খুশি করার জন্য সত্য গোপন করাকে বাংলাতে বলা হয় চাটুকারিতা আর আরবীতে বলা হয় মুদাহানাত।

কুরআন শরিফ এই ধরনের চাটুকারিতার ঘোর বিরোধী। সূরা কালামে আল্লাহ্ তা’লা বলছেন, আর তুমি মিথ্যাবাদীদের অনুসরণ করো নাতারা চায় তুমি নমনীয় হও তাহলে তারাও নমনীয় হবে (সূরা কলম: ৯-১০)।

হযরত মির্যা সাহেব ইসলামের স্বপক্ষে কলমযুদ্ধে নেমেছিলেন এবং খোদা-প্রদত্ত দায়িত্ব সম্পাদনের জন্য এ কাজ করছেন। কুরআন শরিফ ভদ্রতা এবং শালীনতা অবলম্বন করা সত্ত্বেও সত্য কথা কখনও গোপন করে নি। নির্ভিকভাবে সত্য উপস্থাপন করেছে। এ কথা উপস্থাপন করতে গিয়ে তিনি(আ.) কুরআন থেকে একের পর এক উদাহরণ দিয়েছেন। আমার পক্ষ থেকে সত্য কথা নির্বিঘ্নে বলা যদি অশালীনতা এবং গালি হয়ে থাকে তাহলে কুরআন শরিফের বিরুদ্ধেও এই একই অভিযোগ বর্তাবে। কিন্তু মির্যা সাহেব বলেছেন, গালিগালাজ এক জিনিষ এবং সত্যের অকপট বর্হিপ্রকাশ ভিন্ন জিনিষ। আমরা প্রশ্ন করতে চাই, খ্রিষ্টান এবং আর্যসমাজী পুরোহিত ও পাদ্রীরা ইসলামের বিপক্ষে যেসব কুরুচীপূর্ণ কথা এবং অশ্লিল কথা বলেছে তার সদুত্তর দিয়ে মির্যা সাহেব কি সঠিক কাজ করেছেন নাকি বেঠিক কাজ করেছেন? যারা আল্লাহ এবং তার রসুল এবং তার কুরআন এর বিরুদ্ধে বাজে কথা বলে তাদেরকে কী ধরনের উত্তর দিলে আল্লামা আব্দুল মজিদ খুশি হবেন। আজ ১২৭ বছর পর মির্যা সাহেবের বিরুদ্ধে আপত্তি করা সহজ, কিন্তু তিনি যে অন্ধকার যুগে ইসলামের আলো পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার জন্য লড়াই করেছেন তখন তাকে সঙ্গ দেয়ার মত কেউ ছিল না। কলমের যুদ্ধে একা তিনি বাজিমাত করে গেছেন। আপত্তিকারীকে ভদ্রতা এবং শালীনতার মনগড়া মানদণ্ড খণ্ডন করার জন্য হযরত মির্যা সাহেব কুরআনের কঠোর ভাষার উত্তরগুলো তুলে ধরে তার অভিযোগের অপনোদন করেছেন। কুরআনকে অবমাননা করার জন্য করা হয়নি। বরং মুসলমানদের ঈমানী আত্মাভিমান জাগ্রত করার জন্য কুরআন থেকে এই বিষয়টি উত্থাপন করা হয়েছে। সূরা আনকাবুতে আল্লাহ তা’লা বলেছেন, তোমরা কিতাবধারীদের সাথে সর্বোত্তম পন্থায় ধর্মীয় বিতর্ক করবে তবে তাদের মাঝ থেকে যারা অন্যায় করেছে তারা তাদের বিষয়টি ভিন্ন…(সূরা আনকাবুত: ৪৭)। তবে তাদের মাঝ থেকে যারা অন্যায় করেছে হযরত মির্যা সাহেব কুরআনের এই স্বর্ণশিক্ষা অনুযায়ী কেবল তাদের সীমালঙ্ঘনের পর তাদেরকে কড়া ভাষায় জবাব দিয়েছেন। যে ব্যক্তি কুরআনের শিক্ষা অনুযায়ী আমল করে সে কি কুরআন অবমাননা করে? মির্যা সাহেব কুরআনের শিক্ষা বাস্তবায়ন করেছেন মাত্র।

অন্যান্য উত্তর