আপত্তি: রসূলুল্লাহ্ (সা.) এর জন্মের পর তার বাবা ইন্তেকাল করেন


আপত্তি: মির্যা সাহেবের বক্তব্য হল, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এমন একজন ইয়াতীম সন্তান ছিলেন, যার জন্মের কিছুদিন পরেই তার বাবা ইন্তেকাল করেন। (রূহানী খাযায়েন ২৩/৪৬৫)

উত্তর: উপরোক্ত আপত্তি উল্লেখ করে ‘আল্লামা’ আব্দুল মজিদ বলেছেন, আমাদের দেশের ছোট বাচ্চাও জানে মহানবী(সা.)-এর জন্মের পূর্বে আব্দুল্লাহ বিন আব্দুল মুত্তালিব ইন্তেকাল করেছেন। ‘আল্লামা’ আব্দুল মজিদ! যে জ্ঞান বাচ্চাদেরও আছে সেটাকে পাণ্ডিত্য বলে না। বুৎপত্তি লাভ ও বিশেষজ্ঞ হওয়া সম্পূর্ণ ভিন্ন জিনিষ। বাচ্চাদের জ্ঞানকে আল্লামা নিজের পাণ্ডিত্য হিসাবে উপস্থাপন করছেন এটা সত্যিই হতাশাজনক। ‘আল্লামা’ অনেক কষ্ট করে হাজার হাজার পৃষ্ঠা ঘেটে এ কয়টা আপত্তি বের করেছেন কিন্তু আমরা ‘আল্লামা’কে তার উত্থাপিত কোন আপত্তিতে খুশি করতে পারছি না বলে দুঃখিত। মির্যা সাহেব যে কথা বলেছেন তা যে ভিত্তিহীন নয় তার প্রমাণ নিচে দেয়া হল।

একাধিক হাদীস সীরাত ও ইতিহাস গ্রন্থে উল্লেখ আছে, হযরত আব্দুল্লাহ বিন আব্দুল মুত্তালিব মুহাম্মদ(সা.)-এর জন্মের পর ইন্তেকাল করেছেন। কেউ বর্ণনা করেছেন, তার মৃত্যু হয়েছে সাত মাস পর, কেউ বলেছেন, পনের মাস পর, কেউ বর্ণনা করেছেন আটাশ মাস পর। বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রকাশিত ইসলামী বিশ্বকোষ ও সিরাত বিশ্বকোষ খুলে দেখুন সেখানেও একথাই সম্ভাব্য সকল উদ্ধৃতিসহ উল্লেখ করা হয়েছে। (সীরাত বিশ্বকোষঃ ৪র্থ খণ্ডপৃষ্ঠা ১৮৫ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ কর্তৃক প্রকাশিত)

‘আল্লামা’র এসব আপত্তি করার আগে পবিত্র কুরআনের স্পষ্ট আদেশ মান্য করা উচিত ছিল। তাহলে তাকে এমনভাবে লজ্জা পেতে হত না। আল্লাহ তালা পবিত্র কুরআনে বলেন, হে যারা ঈমান এনেছযদি কোন ফাসেক ব্যক্তিও তোমাদের কাছে কোন সংবাদ বা তথ্য নিয়ে আসে তোমরা তা যাচাই বাছাই করে দেখে নিও (সূরা হুজুরাত: ৭)। একটু ঐতিহাসিক গ্রন্থাদি কষ্ট করে খুঁজে দেখলে আমাদেরকে আর এভাবে লিখতে হত না আর ‘আল্লামা’কেও লজ্জিত হতে হত না।

যদি না জেনে কেউ এমন আপত্তি করে থাকে তার উচিৎ ইতিহাস পড়ে জেনে নেয়া। আর কেউ যদি জেনেশুনে বিভ্রান্তি ও অরাজকতা সৃষ্টির জন্য একাজ করে থাকে তাহলে এর বিচার আল্লাহ করবেন।

অন্যান্য উত্তর