আপত্তি: মির্যা সাহেব নিজেকে মরিয়ম দাবি করেছেন
আপত্তিঃ মির্যা সাহেব নিজেকে মরিয়ম দাবি করেছেন।
জবাবঃ হযরত মসীহ মওউদ (আ.) এ সম্পর্কে লিখেন, “সূরা তাহরীমেও এ বিষয়ের প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে যে, এই উম্মতের কোন কোন ব্যাক্তি মরিয়ম সিদ্দিকার সদৃশ হবেন। যিনি সাধুতা অবলম্বন করেছিলেন, অতপর তাহার গর্ভে ঈসার রুহ ফুকে দেয়া হয়েছিল এবং তার গর্ভে ঈসা (আ.) এর জন্ম হয়। এই আয়াতে এই কথার প্রতি ইঙ্গিত ছিল যে, এই উম্মতের মধ্যে এক ব্যক্তি হবেন যিনি প্রথমে মরিয়মের মর্যাদা লাভ করবেন, অতপর তার মধ্যে ঈসা (আ.) এর রুহ ফুকে দেয়া হবে। ফলে মরিয়ম হতে ঈসার আবির্ভাব হবে— অর্থাৎ, তিনি মরিয়মী গুন হতে ঈসায়ী গুণে রুপান্তরিত হবেন যেন মরিয়মরুপ গুণ ঈসারূপ সন্তান প্রসব করল এবং এরুপে তিনি ইবনে মরিয়ম নামে অভিহিত হবেন। এমন বারাহীনে আহমদীয়া নামক গ্রন্থে সর্বপ্রথম আমার নাম মরিয়ম রাখা হয়েছে।“ (কিশতিয়ে নূহ)
সূরা তাহরীমের ১২-১৩ আয়াত থেকে বুঝা যায় মুমিন দুই ধরণের হয়ে থাকে। ১. আসিয়া (ফেরাউনের স্ত্রীর) স্বরুপ। ২. মরিয়ম স্বরুপ। আসিয়া স্বরুপ হল, সেই সকল মুমিন যারা প্রথমে কুফরীর কাছে অপরাজিত থাকে। দ্বিতীয়ত, সেই সকল মুমিন যাদের উপর প্রথম থেকেই মন্দশক্তি প্রভাব সৃষ্টি করতে পারেনি।
الَّتِیۡۤ اَحۡصَنَتۡ فَرۡجَہَا প্রথম দলের উদাহরণ যাদেরকে পারিভাষিক ভাষায় মরিয়ম বলে থাকে। এরপর মরিয়মি অবস্থা থেকে উন্নতি করে فَنَفَخۡنَا فِیۡہِ مِنۡ رُّوۡحِنَا অনুযায়ী ইবনে মরিয়মের অবস্থায় উপনীত হয়। কেননা মরিয়মের মাকাম হল, সিদ্দিকিয়্যাত। আর ইবনে মরিয়মের মাকাম হল, নবুয়্যত। হযরত মসীহ মওউদ (আ.) এ বিষয়টিই বুঝাতে চেয়েছেন। এতে আপত্তি করার কি আছে?
পরিশেষে তিনি বলেন, “যদিও তিনি বারাহীনে আহমদীয়ার তৃতীয় খন্ডে আমার নাম মরিয়ম রেখেছেন, এইরুপেই– যেমন ঐ গ্রন্থ হইতে প্রমাণিত হয় যে, আমি দুই বছর যাবত মরিয়মরুপ অবস্থায় প্রতিপালিত হয়ে পর্দার আড়ালে বর্ধিত হচ্ছিলাম। অতপর এই অবস্থায় দুই বছর অতিবাহিত হলে মরিয়মের ন্যায় আমার মধ্যেও ঈসার রুহ ফুকে দেযা হয়েছে এবং রুপকভাবে আমাকে গর্ভবতী নির্দেশ করা হয়েছে। (বারাহীনে আহমদীয়া, চতুর্থ খন্ড, ৪৯৬ পৃষ্ঠা)অবশেষে কয়েকমাস পরে, যা দশ মাসের অধিক হবে না, এই ইলহাম দ্বারা যা সর্বশেষে বারাহীনে আহমদীয়া চতুর্থ খন্ড ৫৫৬ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে, আমাকে মরিয়ম হতে ঈসাতে পরিণত করা হয়েছে। সুতরাং এইরুপেই আমি ঈসা ইবনে মরিয়ম হয়েছি।” (কিশতিয়ে নূহ)
অন্যান্য উত্তর
- আপত্তি: মির্যা সাহেব রসূল (সা.)-কে হেলাল এবং নিজেকে বদর আখ্যা দিয়েছেন
- আপত্তি: মির্যা সাহেব লিখেছেন, তার সিংহাসন সবার ওপরে
- আপত্তি: মির্যা সাহেব নিজেকে দরুদ শরীফের মধ্যে অন্তর্ভূক্ত করেছেন
- আপত্তি: মির্যা সাহেব লিখেছেন ইয়ালাস খোদাতা’লার নাম
- আপত্তি: মির্যা সাহেবের উপর অন্য ভাষায় ইলহাম হল কেন?
- আপত্তি: মির্যা সাহেব বলেছেন, মাহদীর মাধ্যমে মহানবী (সা.) এর দ্বিতীয় আগমন হবে
- আপত্তি: মির্যা সাহেব নতুন নবুয়্যত, ধর্ম, কিবলা, নামায এবং কুরআন বানিয়েছেন
- আপত্তি: মির্যা সাহেবের কথা- একটি নতুন বাহন আবিষ্কার হবে যা আগুন দ্বারা চলবে
- আপত্তি: মির্যা সাহেব বলেন, কুরআনে তাঁর নাম ইবনে মরিয়ম রাখা হয়েছে
- আপত্তি: মির্যা সাহেব রেশমী লুঙ্গি পরিধান করেছিলেন যা হারাম