আপত্তি: মিকাইল অর্থ খোদার মত
আপত্তি: দানিয়েল নবী তার কিতাবে আমার নাম মিকাইল রেখেছেন। আর ইব্রানী ভাষায় মিকাইল অর্থ খোদার মত। (রূহানী খাযায়েন ১৭/৪১৩) আব্দুর মজিদ আপত্তি করেঃ কাদিয়ানী ভাইরা বলবেন কি, সেই নবীদের বইগুলোর নাম ও পৃষ্টা নম্বর কত? মির্যা সাহেবকে মিথ্যার হাত থেকে বাচানোর জন্য উদ্ধৃতিগুলো প্রকাশ করা কাদিয়ানীদের জন্য জরুরী। মিকাইলের প্রকৃত অর্থ “আল্লাহর বান্দা। এখানে “আল্লাহর মত” বলে মির্যা সাহেব ভুল করেছেন। যেমন তিনি সফরকে চতুর্থ মাস বলে ভুল করেছেন। (রূহানী খাযায়েন ১৫/২১৮)
উত্তর: আল্লামা আব্দুল মজিদের পাণ্ডিত্য দেখে আফসোস হচ্ছে। মির্যা সাহেব লেখেছেন ইব্রানী ভাষায় মিকাইল-এর অর্থ খোদার মত আর ‘আল্লামা’ অন্য অবিধান থেকে অনেক গবেষণা করে বের করেছেন, মিকাইলের অর্থ আল্লাহর বান্দা। অবিধান বের করার জ্ঞানও যদি না থাকে তাহলে অন্যের পাণ্ডিত্য বিচার করতে কেন এলেন। যদি অবিধান বের করা শিখে ফেলতেন তাহলে আর এভাবে লজ্জিত হতে হত না। ইব্রানী বা হিব্রু ভাষায় মিকাইল অর্থ খোদার মত। ইব্রানী তথা হিব্রু ভাষার অভিধানে মিকাইল-এর অর্থ কী দেয়া আছে দেখুন-
SH4317 4317
Miyka’el me-kaw-ale’
from 4310 and (the prefix derivative from) 3588 and 410; who (is) like God; Mikael, the name of an archangel and of nine Israelites:–Michael. 16
উক্ত হিব্রু অভিধানে স্পষ্ট মিকাইলের অর্থ ‘যে আল্লাহর মত‘ করা হয়েছে। অতএব আল্লামা আল্লাহর প্রেরিত পুরুষের বিরোধিতায় আল্লাহর শাস্তির পাত্র হয়ে যাবেন না।
বাকি রইল দানিয়েল নবীর কোন বইয়ে এর উল্লেখ আছে? ‘আল্লামা’ নিশ্চয় বাইবেল পড়েছেন। বাইবেলেরে পুরাতন নিয়মের দানিয়েল অংশে ১২ অধ্যায়ে লিখিত আছে-
দানিয়েল নবী বলছেন, “সেই সময় তোমার লোকদের রক্ষাকারী মহান স্বর্গদূত মীখায়েল তোমাদের পক্ষে দাড়াবেন। এমন একটা কষ্টের সময় উপস্থিত হবে যা তোমার জাতির আরম্ভ থেকে সেই সময় পর্যন্ত কখনও হয় নি। …পৃথিবীর মাটিতে ঘুমিয়ে থাকা অসংখ্য লোক তখন জেগে উঠবে। …কিন্তু তুমি, দানিয়েল, শেষ সময় না আসা পর্যন্ত এই ভবিষ্যদ্বাণীর বইটা বন্ধ করে তার কথাগুলো সীলমোহর করে রাখ। সেই সময়ের মধ্যে অনেকে যেখানে সেখানে যাবে এবং জ্ঞানে বৃদ্ধি হবে। … সেদিন থেকে নিয়মিত উৎসর্গ বন্ধ করে দেওয়া হবে এবং সর্বনাশা ঘৃণার জিনিষ স্থাপন করা হবে সেই দিন থেকে একহাজার দু‘শো নব্বই দিন হবে। সেই লোক ধন্য যে অপেক্ষা করে এবং একহাজার তিনশো পয়ত্রিশ দিন পর্যন্ত স্থির থাকে।” (দানিয়েল ১২:১১-১২)
১২৯০ থেকে ১৩৩৫-এর একটি সংখ্যা উপরোক্ত ভবিষ্যদ্বাণীতে উল্লেখ করা হয়েছে। আর আশ্চর্যজনক হলেও সত্য বাস্তবে হযরত মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী(আ.) ১২৯০ হিজরী সনেই প্রথম ইলহাম লাভ করেছিলেন। আর ১২৯০ থেকে ১৩৩৫ সাল পর্যন্ত সময়ের মধ্যেই তাঁর জামাতের বিকাশ, প্রচার ও প্রসার ঘটেছে।
শুধু হযরত দানিয়েল(আ.)-ই নন হযরত ঈসা(আ.)-ও ভবিষ্যদ্বাণী করে বলেছেন: “আমি তোমাদের বলছি, যে পর্যন্ত তোমরা এ কথা না বলবে, যিনি প্রভুর নামে আসছেন তার গৌরব হোক। সেই পর্যন্ত আর তোমরা আমাকে দেখতে পারবে না।” (মথি ২৩:৩৯)
তিনি আরো বলেন, “সেই সাহায্যকারী পবিত্র আত্মাকে পিতা আমার নামে পাঠিয়ে দেবেন” (যোহনের ১৪ অধ্যায়ের ২৫-২৬ শ্লোক)
অতএব ‘আল্লামা’র আপত্তি কোন ভাবেই ধোপে টেকে না।
অন্যান্য উত্তর
- আপত্তি: মির্যা সাহেব রসূল (সা.)-কে হেলাল এবং নিজেকে বদর আখ্যা দিয়েছেন
- আপত্তি: মির্যা সাহেব লিখেছেন, তার সিংহাসন সবার ওপরে
- আপত্তি: মির্যা সাহেব নিজেকে দরুদ শরীফের মধ্যে অন্তর্ভূক্ত করেছেন
- আপত্তি: মির্যা সাহেব লিখেছেন ইয়ালাস খোদাতা’লার নাম
- আপত্তি: মির্যা সাহেবের উপর অন্য ভাষায় ইলহাম হল কেন?
- আপত্তি: মির্যা সাহেব বলেছেন, মাহদীর মাধ্যমে মহানবী (সা.) এর দ্বিতীয় আগমন হবে
- আপত্তি: মির্যা সাহেব নতুন নবুয়্যত, ধর্ম, কিবলা, নামায এবং কুরআন বানিয়েছেন
- আপত্তি: মির্যা সাহেবের কথা- একটি নতুন বাহন আবিষ্কার হবে যা আগুন দ্বারা চলবে
- আপত্তি: মির্যা সাহেব বলেন, কুরআনে তাঁর নাম ইবনে মরিয়ম রাখা হয়েছে
- আপত্তি: মির্যা সাহেব রেশমী লুঙ্গি পরিধান করেছিলেন যা হারাম