আপত্তি: এই ওহীতে আল্লাহ্ আমার নাম মুহাম্মদ রেখেছেন


আপত্তি: এই ওহীতে আল্লাহ্ আমার নাম মুহাম্মদ রেখেছেন।‘ (রুহানী খাযায়েন ১৮ খণ্ড, পৃষ্ঠা ২০৭)

উত্তর: এতে আপত্তির কী আছে? মুহাম্মদ(সা.)-এর পূর্ণ আনুগত্যকারীর নাম যদি স্বয়ং আল্লাহ মুহাম্মদ রেখে দেন এতে আপত্তির করা অবান্তর। বরং আপত্তি তখন হত যখন তিনি মুহাম্মদ নাম রাখতে অস্বীকার করতেন। প্রত্যেক দেশে, প্রত্যেক শহরে অগণিত মানুষের নাম মুহাম্মদ। আত্মীয় স্বজনের মাঝে খোজ নিয়ে দেখা যাবে কী বিশাল সংখ্যায় মানুষের নাম মুহাম্মদ। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে ২০১৪ সালে যুক্তরাজ্যে সবচেয়ে বেশী সংখ্যক নবজাত শিশু-পুত্রদের নাম মুহাম্মদ রাখা হয়েছে (দি গার্ডিয়ান ও দি ইন্ডিপেন্ডেন্ট, ১লা ডিসেম্বর-২০১৪)

মানুষ মানুষের নাম মুহাম্মদ রাখলে আপত্তি হয় না কিন্তু মুহাম্মদ(সা.)-এর প্রেমে বিভোর এক প্রেমিকের নাম আল্লাহ্ তা’লা মুহাম্মদ’ রাখলে এটি আপত্তির বিষয় হয়ে দাড়ায় কেন? কেননা সর্বজ্ঞানী আল্লাহ কারোর মাঝে মুহাম্মদী গুণাবলী দেখে তার নাম মুহাম্মদ রাখতেই পারেন। কিন্তু যদি মির্যা সাহেব নিজেও নিজের নাম মুহাম্মদ রেখে থাকেন, এতেও অ-আহমদীদের আপত্তি করার কিছু নেই। কেননা নিজের নাম মুহাম্মদ রেখে তিনি নিজেকে মুহাম্মদ(সা.)-এর প্রেমিক সাব্যস্ত করেছেন।

লক্ষ্য করে দেখুন, কোন সনাতনী বা কোন ইহুদী বা খ্রিস্টান কখনও নিজের নাম মুহাম্মদ রাখে না। যে তাকে (স.) ভালবাসে কেবল সে-ই এ নাম রাখতে পছন্দ করে। ফাতাবিরূ ইয়া উলিল আলবাব। অতএব মানুষ তাদের পুত্র সন্তানদের নাম মুহাম্মদ রাখলে দোষের কিছু নেই বরং আমরা গর্ব বোধ করি কিন্তু আল্লাহ্ তার কোন প্রিয় বান্দার নাম মুহাম্মদ রাখলে অনেকের সহ্য হয় না। আশ্চর্যের বিষয়!!

‘আল্লামা’ আব্দুল মজিদ হযরত মির্যা সাহেবের শত্রুতায় এতটাই অন্ধ যার ফলে তিনি কথার মারপ্যাচে হযরত সাহেবের প্রতি মিথ্যা আরোপ করতেও কুণ্ঠাবোধ করেন নি। তিনি তার পুস্তকের ৪০/৪১ নম্বর পৃষ্ঠায় একটি উপমা উপস্থাপন করে দেশের এক সফল রাষ্ট্রপতির সাথে পরবর্তীতে আগমনকারী আরেকজনের তুলনা করতে গিয়ে সত্য বিষয়টিকে ঘোলাটে করে ফেলেছেন। হযরত মির্যা সাহেব রসূলের প্রতিবিম্ব হবার দাবী করেছেন। মহানবী (সা.)-কে নিজের প্রতিবিম্ব বলেন নি। রসূলুল্লাহ্ (সা.)-কে কায়া এবং নিজেকে তার ছায়া বলেছেন। রসূলুল্লাহ (সা.)-কে তিনি বলেছেন সূর্য আর নিজেকে বলেছেন চন্দ্র।

অতএব বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির উপমাটি বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার জন্য উল্টোভাবে দেয়া হয়েছে। আর রাষ্ট্রপতির উপামা দেয়াই এখানে রসূল(সা.)-এর শানের পরিপন্থি কেননা আমাদের প্রিয় রসূল (সা.)-এর মর্যাদা জাগতিক রাষ্ট্রপ্রতির চেয়ে শত-কোটি গুণ উর্ধ্বে। হযরত মির্যা সাহেবের বক্তব্য শুনুন, ই বাহরে রাওয় বাখালকে খোদা দাহম এক কাতরায়ে যে বেহরে কামালে মুস্তাফা আসত। (তুমি এখন যে নিদর্শন ও ঐশী সমর্থনের প্লাবন বয়ে যেতে দেখছ এটি আমার মুনিব ও নেতা হযরত মুহাম্মদ(সা.)-এর মহাসমুদ্রের এক বিন্দু পানি মাত্র।) আরও বলেছেন,

ওহ পেশওয়া হামারা জিসসে হে নূর সারা

নাম উসকী হে মুহাম্মদ দিলবার মেরা এহি হ্যায়

উস নূর পার ফিদা হু উসকা হি ম্যায় হুয়া হু

ওহ হে ম্যায় চীয কিয়া হু বাস ফায়সালা এহী হ্যায়

‘আল্লামা’ সাহেব নিশ্চিত থাকতে পারেন। আপনি যতই উদাহরণ দিন এই মানদণ্ডে ধরা পড়বে এবং পরাস্ত হবে। মহানবী(সা.)-এর চেয়ে বড় আর কেউ নেই এবং হতেই পারে না।

অন্যান্য উত্তর