اَللّٰہُ نَزَّلَ اَحۡسَنَ الۡحَدِیۡثِ کِتٰبًا مُّتَشَابِہًا مَّثَانِیَ ٭ۖ تَقۡشَعِرُّ مِنۡہُ جُلُوۡدُ الَّذِیۡنَ یَخۡشَوۡنَ رَبَّہُمۡ ۚ ثُمَّ تَلِیۡنُ جُلُوۡدُہُمۡ وَ قُلُوۡبُہُمۡ اِلٰی ذِکۡرِ اللّٰہِ ؕ ذٰلِکَ ہُدَی اللّٰہِ یَہۡدِیۡ بِہٖ مَنۡ یَّشَآءُ ؕ وَ مَنۡ یُّضۡلِلِ اللّٰہُ فَمَا لَہٗ مِنۡ ہَادٍ ﴿۲۴﴾
আল্লাহ্ কিতাবরূপে সর্বোত্তম বাণী নাযেল করিয়াছেন, যাহা পরস্পর সাদৃশ্যপূর্ণ, পুনঃ পুনঃ পঠনীয়। ইহার (পাঠের) কারণে তাহাদের গাত্র রোমাঞ্চিত হইয়া উঠে যাহারা তাহাদের প্রতিপালককে ভয় করে, তৎপর তাহাদের দেহ ও তাহাদের মন আল্লাহ্র স্মরণে নরম হইয়া পড়ে। ইহা আল্লাহ্র হেদায়াত, ইহার দ্বারা তিনি যাহাকে চাহেন হেদায়াত দেন। এবং যাহাকে আল্লাহ্ বিভ্রান্ত সাব্যস্ত করেন তাহার জন্য কেহই হেদায়াতদাতা নাই।
(আয্ যুমার: ২৪)
খাইরুকুম মান তায়াল্লামাল কুরআনা ওয়া আল্লামাহু। অর্থাৎ, তোমাদের মধ্যে সে-ই সর্বোত্তম যে কুরআন শিখে এবং অপরকে শিখায়। বিদায় হজ্জের ভাষণে মহানবী (সা.) তাঁর উম্মতকে সর্বশেষ যে উপদেশ দিয়েছেন তা হল, “আমার মৃত্যু আসন্ন কিন্তু আমি তোমাদের কাছে এমন এক ঐশী গ্রন্থ (অর্থাৎ, কুরআন) রেখে যাচ্ছি যা মূর্তিমান নূর এবং হিদায়াত।” (অর্থাৎ, কুরআন) রেখে যাচ্ছি যা মূর্তিমান নূর এবং হিদায়াত।
(...)
হযরত মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী (আ:), প্রতিশ্রুত মসীহ্ ও ইমাম মাহ্দী বলেন: ‘কুরআন সকল জ্ঞানের সমষ্টি।’ অর্থাৎ সর্বপ্রকার জ্ঞান এতে পাওয়া যায়। কিন্তু একই যুগে এর সকল জ্ঞানভান্ডার প্রকাশিত হওয়া আবশ্যক নয়, বরং যখন যে সমস্যাবলীর উদ্ভব হয় তদনুযায়ী কুরআনের (সে সম্পর্কিত) জ্ঞান প্রকাশিত হয় এবং প্রত্যেক যুগের সমস্যা অনুযায়ী সেসব সমস্যার সমাধানকারী আধ্যাত্মিক শিক্ষক প্রেরণ করা হয়।
(শাহাদাতুল কুরআন, রূহানী খাযায়েন-৬ষ্ঠ খন্ড, পৃ:৩৪৮)
কুরআন মজীদ (বাংলা অনুবাদ ও সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা) – সাধু ভাষা
The Holy Quran (Bangla Translation with short Commentary) – Traditional Bangla
© Ahmadiyya Muslim Community 2008 - 2020. All rights reserved.